• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কত টনের এসিতে কত বিদ্যুৎ বিল
প্রচণ্ড তাপমাত্রায় দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়া তো দূরের কথা, ঘরের ভিতরেও টিকে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতে স্বস্তির খোঁজে সবাই-ই ছুটছে এসির দিকে। কিন্তু এসি লাগালেই তো হয় না, বিদ্যুত খরচেরও একটা চিন্তা থেকে যায়। এসি কেনার আগে যদি কত টনের এসিতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে, তা জেনে নেওয়া যায়, তাহলে এসি কেনার সিদ্ধান্তটা অনেকটাই সহজ হবে। জেনে নিন কত টনের এসিতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে- দেশের একটি ইলেকট্রিক পণ্যের এসি ইলেকট্রিসিটি বিল ক্যালকুলেশনের হিসেব থেকে জানা যায়, দেড় টনের একটি ইনভার্টার রেগুলার এসি ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটানা ৫০ মিনিট করে প্রতিদিন আট ঘণ্টা চালালে এক মাসে বিদ্যুৎ খরচ হবে ২৫৩ দশমিক ৪১ কিলোওয়াট; যার আনুমানিক বিল আসবে প্রায় ১ হাজার ৫৬৩ টাকার কিছু বেশি। একই সময়ে দুই টনের একটি এসির বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। তবে এক টনের একটি এসি একই সময় ধরে চালালে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় এক হাজার ৩০০ টাকার কিছু বেশি।  
১৫ ঘণ্টা আগে

শূন্যপদে পল্লী বিদ্যুতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩। প্রতিষ্ঠানটির শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা ডাকযোগ বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।  যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ লোকবল নিয়োগ: ৩ জন  পদের নাম: সহকারী ক্যাশিয়ার পদের সংখ্যা: ৩টি (কম বা বেশি হতে পারে) বেতন: ১৮,৩০০-৪৬,২৪০ টাকা এবং নিয়মানুযায়ী অন্যান্য ভাতাদি  শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরির ধরন: স্থায়ী প্রার্থীর ধরন: শুধু নারী কর্মস্থল: ময়মনসিংহ বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি: সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার/জেনারেল ম্যানেজার ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর অনুকূলে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক হতে ২০০ টাকা মূল্যমানের পে- অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ২০ মে ২০২৪ পর্যন্ত।
১৬ ঘণ্টা আগে

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গতকাল রোববার ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৩

আবারও বন্ধ চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
উৎপাদনে ফেরার ১৫ দিন পর আবারও চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর গত মার্চের ১০ তারিখে চাঁদপুর ১৫০ মেগওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র উৎপাদনে আসে। মার্চ মাসে চালু ছিল। চলতি এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যার ফলে পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়।  কর্তব্যরত প্রকৌশলী দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ইউনিটটি শাটডাউন করে দেয়। এর পর থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। তাৎক্ষণি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তবে কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা রিপেয়ারিং কাজ শুরু হলে বলা যাবে বলে বলেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি।  শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিউ ট্রাক রোড গুনরাজদী এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গিয়ে উৎপাদন বন্ধ অবস্থা দেখা যায়। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা বিভিন্ন অংশে কাজ করছেন।  চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসরাম রাজু বলেন, রোববার ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রকৌশলীরা আসবে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সিডিউল মেরামত কাজ চলবে। আগামী ১ মে থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ মার্চ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ইউনিট চালু করা হয়। মাত্র ২৫ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন শেষে ৫ এপ্রিল এই ইউনিটের একটি জেনারেটরের বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অভিজিৎ কুরি আরও বলেন, এর আগে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সকল কাজ শেষ করে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ইউনিটটি চালু করতে গেলে ধরা পড়ে গ্যাস বুস্টার নামক যন্ত্র অকেজো। রিজার্ভে থাকা গ্যাস বুস্টার যন্ত্রটি আগে থেকে অকেজো থাকায় বন্ধ হয়ে যায় পুরো বিদ্যুৎ  কন্দ্রটি। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে গ্যাস বুস্টার ক্রয়সহ আমেরিকা থেকে আনা হয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। চীন, ইন্দোনেশিয়ান এক্সপার্ট টিম ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলীদের যৌথ চেষ্টায় সম্পন্ন করা হয় নতুন গ্যাস বুস্টার ইনস্টলেশনের কাজ। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম রাজু বলেন, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত শিডিউল মেরামত কাজ চলবে। আগামী ১ মে থেকে পুনরায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

গরমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ত্রুটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই গরমের বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ তা হলো অর্থ। তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোথাও কোনো সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট) কার্যক্রমের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

এসির টেম্পারেচার যত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, হবে বিদ্যুৎ বিলেরও সাশ্রয়
বাহিরের এই তাপদাহে ঘরে ফিরে এসির হাওয়ায় ঠান্ডা হতে অনেকেই ১৬ ডিগ্রির সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এয়ার কন্ডিশনার চালু করে। এটি করলে তাৎক্ষণিক শীতলতা পাওয়া যায়। আসলে এই অভ্যাস সম্পূর্ণ ভুল। এতে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে এবং ঘরে বসে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েনসি (BEE), ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঘরে বসে থাকা মানুষের জন্য একেবারে সঠিক। এতে স্বাস্থ্যের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব পড়ে না এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হয়। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েনসি (BEE), কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালালে সেটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে।  ১৬ ডিগ্রিতে কি ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়? কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। আপনি যদি ১৬ ডিগ্রিতে এসি চালান, তাহলে আপনি অবশ্যই একটু ভালো ঠান্ডা অনুভব করবেন, কিন্তু এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি। ২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালালেও একই সময়ে রুম ঠান্ডা হবে। কিন্তু ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে কম্প্রেসারটি বেশি লোড হয় এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। এসির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়ানোর ফলে তিন থেকে চার শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একটানা দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন না হলে এসি বন্ধ রাখুন।
১৫ ঘণ্টা আগে

পাকিস্তানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ খাতে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য গ্রাহকরা আগামী তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি পরিশোধ করবেন। ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয় করতে বৃহস্পতিবার ‘ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ এবং ‘কে-ইলেক্ট্রিকের’ গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিটে ২.৭৪৯২ রুপি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে নেপ্রা ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য মাসিক জ্বালানি চার্জ সামঞ্জস্যের কারণ হিসেবে ‘ডিসকোস’ পিটিশনে প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। সেটি কার্যকর হলে ‘ডিসকোসের’ ভোক্তাদের প্রতি ইউনিটে ৪.৯৯ দিতে হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক সমন্বয়ের জন্য প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি কেটে রাখা হবে। এর মানে এপ্রিল মাসে ত্রৈমাসিক ও মাসিক সমন্বয়ের জন্য ডিস্কোর গ্রাহকদের কাঁধে প্রতি ইউনিটে অতিরিক্ত ৭.৭৪ রুপির বোঝা পড়বে এবং মে ও জুন মাসে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৪ রুপি গুনতে হবে। একইভাবে কে-ইলেক্ট্রিকের গ্রাহকদের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয়ে ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত ২.৭৫ রুপি দিতে হবে। কিউটিএ’র প্রভাবে ডিসকোস ও কেই এর গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৮৫.২ বিলিয়ন রুপি গুনতে হবে। ফেব্রুয়ারির এফসি’র জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত আরো ৪০ বিলিয়ন রুপি।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৭

পিরোজপুরে ঝড়ের তাণ্ডব : ২ দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
পিরোজপুরে হঠাৎ করে আঘাত হানা কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। স্বল্প পরিসরে পিরোজপুর শহরে রাতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা গেলেও অধিকাংশ এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় ঝড়। আর মুহূর্তের মধ্যেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার পৌরএলাকা এবং শারিকতলা ইউনিয়ন। এর প্রভাব পড়ে পার্শ্ববর্তী কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলায়ও। সদর উপজেলার দক্ষিণ মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ পড়ে চাপা পড়ে মারা যান এক নারী এবং একই এলাকায় পানিতে পড়ে মারা যান আরেক বৃদ্ধ। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। অন্যদিকে ঝড়ে গাছে থাকা আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলের গুটি এবং গাছে থাকা কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  তবে ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পিরোজপুর সদর, কাউখালী, ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা। তবে জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলো থেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করা সম্ভব হলেও গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট এখনও যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়নি। এতে করে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  এদিকে সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায়।  তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যার মধ্যে অধিকাংশ এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে। বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৬

সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, বেতন (গ্রেড-৪)
জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি)। এ প্রতিষ্ঠানে ক্রেন অপারেটর (গ্রেড-৪) পদে একাধিক কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীদের ডাকযোগে/সরাসরি বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।  যা যা প্রয়োজন : পদের নাম : ক্রেন অপারেটর (গ্রেড-৪) পদসংখ্যা : ২টি যোগ্যতা: যেকোনো শিক্ষা বোর্ড/ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি বা সমমান পাস। ক্রেন/হেভি ভেহিকেল চালনায় কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ বৈধ ড্রাইভিং/অপারেটিং লাইসেন্সধারী হতে হবে। বয়স : ১৮ থেকে ৪৮ বছর। ইজিসিবিতে কর্মরতদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। কর্মস্থল : ইজিসিবির অধীন যেকোনো এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্থাপনা বা প্রকল্পে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া ইজিসিবির কোনো দপ্তরে সংযুক্ত করলে সেখানে কাজ করতে হবে চাকরির ধরন : প্রাথমিকভাবে তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে। সন্তোষজনক কর্মসম্পাদনের ভিত্তিতে চাকরির চুক্তি পর্যায়ক্রমে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নবায়নযোগ্য। মূল বেতন: ১৫ হাজার ৫০০ টাকা সুযোগ-সুবিধা : বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বিধি অনুযায়ী দেওয়া হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ নাম, পিতা/স্বামীর নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ, ১৯ মার্চ, ২০২৪ তারিখে বয়স, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম, জাতীয়তা, বৈবাহিক অবস্থা, অভিজ্ঞতা (প্রতিষ্ঠানের নাম ও কর্মকালসহ), বিশেষ কোটায় আবেদন করলে তা উল্লেখ করে মহাব্যবস্থাপক (এইচআরএম), করপোরেট অফিস, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড, ইউনিক হাইটস (লেভেল-১৫ ও ১৬), ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১২১৭ বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মার্কশিট/ট্রান্সক্রিপ্ট, বৈধ ড্রাইভিং/অপারেটিং লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য কার্যক্রমসংক্রান্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে), স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে নিজ নিজ এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া ১০ টাকা মূল্যের ডাকটিকিটযুক্ত বর্তমান ঠিকানাসহ ফেরত খামও পাঠাতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। আবেদন ফি: ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেডের অনুকূলে ২০০ টাকার (অফেরতযোগ্য) ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করে রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: মহাব্যবস্থাপক (এইচআর), করপোরেট অফিস, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড, ইউনিক হাইটস (লেভেল-১৫ ও ১৬), ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১২১৭। আবেদনের শেষ সময়: ২৮ মার্চ ২০২৪, বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়