• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সংশোধিত এডিপি অনুমোদন / বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সংশোধনী হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এই এডিপি (আরএডিপি) অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। টাকার অঙ্কে যা ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।  প্রতিবারের মতো এবারও মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পাওয়া অর্থ ব্যয় করতে না পারায় কাটছাঁট করতে হয় সংশোধিত এডিপি। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সার্বিকভাবে এডিপির আকার কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন এ ব্যাপারে জানায়, সব মন্ত্রণালয় সময় মতো বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করতে পারছে না। ফলে এডিপির বাস্তবায়নে প্রত্যেকবারই ব্যয় কমানো হচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। যা কমে হচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদেশি সহায়তা থেকে বরাদ্দ কমছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এআইআইবি’র কাছে তিন বিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ
বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবির বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি)। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি। এই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ বাস্তবায়নে এআইআইবিকে বড় অংশীদার হিসেবে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে আরও তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সংস্থাটির কাছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান রজত মিশ্রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৈঠকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন। এ ছাড়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।  বৈঠককালে এআইআইবির ভাইস চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে বাংলাদেশে আরও বড় আকারে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০২ কিলোওয়াট ঘণ্টা হলেও আমরা দ্রুত ১৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা করতে চাই। বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইনে আধুনিকায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস মিটার, স্টোরেজ সিস্টেম, বায়ু ফুয়েল ইত্যাদি খাত ও উপখাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এই অগ্রযাত্রায় এআইআইবিকে আমাদের অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। এ সময় এআইআইবির ভাইস চেয়ারম্যানও তাকে বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ। জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ও রূপপুর সঞ্চালন ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, এআইআইবি বাংলাদেশে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এআইআইবির অর্থায়নে ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ কোটি ডলারের চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। আরও ৬টি প্রকল্পের জন্য ৩০৬ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিনের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইআইবির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ হ্যারিভাসকার রাঙারাজন ও জ্যেষ্ঠ পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ফরহাদ আহমেদ। এ ছাড়া জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান বৈঠকে অংশ নেন। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

নেপাল থেকে কমে বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ, চলছে দর কষাকষি
নেপালের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে দর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দর অনেক কম বলে তাতে সায় দিতে এখন পর্যন্ত সম্মত হয়নি দেশটি। ফলে, দর কষাকষি চলছে দুদেশের।  নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) কর্মকর্তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমন্ডু পোস্টকে।  এনইএ’র এক কর্মকর্তা কাঠমন্ডু পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যে দাম চেয়েছি, তা আমরা যৌক্তিক মনে করেই চেয়েছি। বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, এখনও আমরা তাতে সায় দিইনি। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে আমাদের।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসি ও এনভিভিএন এর সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। সেই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে এ বিদ্যুৎ। চুক্তিতে প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আগামী জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন এনইএ’র একজন কর্মকর্তা। এতেই খানিকটা বেঁকে বসেছে নেপালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনইএ’র একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পাঠানো সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ, হুইল চার্জ আমাদের বহন করতে হবে না। এনভিভিএন এই খরচ বহন করবে। বিদ্যুতের দাম যদি ইউনিট প্রতি ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি ধরা হয়, তাহলে সেখান থেকে নেপাল পাবে ৫ দশমিক ২৫ রুপি। বাকিটা পাবে ভারতীয় সংস্থা। কিন্তু, বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, তা কার্যকর হলে আমাদের ভাগে প্রায় কিছুই থাকে না।’ এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছিল। সে সময় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে দর কষাকষি হয় বলে জানা গেছে। তবে, এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই চুড়ান্ত মত জানাবেন তারা। এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার ঠিকে অবশ্য ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে এখনও আশাবাদী। কাঠমন্ডু পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় করার জন্য প্রস্তুত, আর আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমাদের সর্বশেষ বৈঠক ইতিবাচক ছিল এবং আমরা আশাবাদী যে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে পারব।’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫০

সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন একটি কমিশন গঠন করি। ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখনই ওয়ার্ড থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত আইন পাস করি। জেলা পরিষদ আইন সেসময় করে দেই। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের সার্বিক কাজ হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছিলাম। সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।   এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

সাউন্ড বক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাউন্ড বক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর মুন্দাদিঘীরপাড় গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  মৃত শিশু আমির হোসেন (৯) ওই এলাকার কোহিনূর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাবা ও মা জীবিকার তাগিদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে থাকলেও আমির হোসেন তার নানার বাড়ি লতাবর গ্রামে থেকে লেখাপড়া করত। শনিবার দুপুরে বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরের সাউন্ড বক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয় শিশুটি। তার নানি বিষয়টি বুঝতে পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।  কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী অবৈধ কারখানার স্থাপন করায় প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় কারখানাটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। সামিয়া প্লাস্টিক নামের একটি কারখানার বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেখানের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আরাফাত মোহাম্মদ নোমানের নেতৃত্বে র‌্যাব-১১, ডিপিডিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমম্বয়ে গঠিত একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯

বিদ্যুৎ বিলও না ওঠায় নামিয়ে দেওয়া হলো ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমা
নতুন বছরের শুরুতে মুক্তি পাচ্ছে নতু নতুন চলচ্চিত্র। সেই ধারাবাহিকতায়  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী মুক্তি পেয়েছে নতুন সিনেমা ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। মুক্তির দিন থেকে দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে ছবিটি। কোনো শোয়ে ২ জন, কোনো শোয়ে ৩ জন করে দর্শক আসছেন। আবার কোনো শোয়ে কেউই আসছেন না। এ অবস্থায় লাভের মুখ তো দূরের কথা রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলের বিদ্যুৎ বিলও উঠছে না ছবিটির আয় থেকে। তাই দুদিন যেতেই সিনেমাটি নামিয়ে নিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানিয়েছেন শ্যামলী সিনেমা হলের হাউজ ম্যানেজার আহসানউল্লাহ। আহসানউল্লাহ বলেন, ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ আমাদের এখানে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ছিল। কিন্তু রোববার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) থেকে আমরা শাকিব খানের ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমাটি চালাচ্ছি। কারণ ছবির সেল-ই নাই। দর্শক কোনো শোয়ে দুইজন, কোনো শোয়ে তিনজন আবার কোনো শোয়ে একেবারে শুন্য। সারাদিনে দেখা গেছে ১৬-১৭ জন করে দর্শক হচ্ছিল। শুক্রবার নাইট শোয়ে তো একজন এসেছিল। একজন নিয়ে কি আর শো চালানো সম্ভব বিদ্যুৎ বিল তোলার নিশ্চয়তাও দিতে পারেনি ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ এমনটা উল্লেখ করে আহসানউল্লাহ বলেন, প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলেই নামিয়েছি। বলেছি এভাবে চললে হল বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ ছবিটি চালিয়ে স্টাফ খরচ না উঠুক, বিদ্যুৎ বিল তো উঠতে হবে। তাও যদি না ওঠে তাহলে কীভাবে হবে। প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আব্দুস সামাদ খোকন। ছবিতে অভিনয় করেছেন দীঘি, গাজী আব্দুন নূর, সুব্রত বড়ুয়া, মিলি বাশার, সাদিয়া শিমুল প্রমুখ।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২১

আমদানিকৃতদের মধ্যে আদানির বিদ্যুতের দাম ৮১ শতাংশ বেশি
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ভারতের সরকারি ও বেসরকারি পাঁচটি কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে। বাকি কোম্পানিগুলোর তুলনায় আদানির বিদ্যুতের দাম ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। বিপিডিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া, পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেড, এনভিভিএন লিমিটেড, সেম্বকর্প এনার্জি ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বিপিডিবি। এরমধ্যে ৪টি কোম্পানি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে খরচ পড়েছে ৪ দশমিক ২২ থেকে ৯ দশমিক ৯৫ টাকা। অন্যদিকে আদানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশকে গুনতে হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা। গত বছর ভারতের পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করেছে ৪টি কোম্পানির ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। আদানির ২টি কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়নি। বিদ্যুৎ আমদানি বাবদ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার ভারতের ৫টি কোম্পানির ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছে। সেখানে আদানির ২টি কেন্দ্র থেকে কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েও পরিশোধ করেছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি। প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, এনভিভিএন লিমিটেড ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১৮০ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৮ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে আদানি পাওয়ার লিমিটেড থেকে কেনা হয় ১৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ৮২২ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। এনভিভিএন লিমিটেডের তুলনায় আদানি গ্রুপ ২০ কোটি ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। এনভিভিএন লিমিটেডকে পরিশোধ করা হয়েছে ৭৬০ কোটি ৬৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬২ টাকা। অথচ কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা আদানিকে পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ২৪১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৮ টাকা। এতে আরও উল্লেখ আছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি করা সব বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। গত অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ আমদানি করতে গড়ে ব্যয় হয়েছিল ৬ দশমিক ১১ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ৭৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, দেশটি থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুতের দাম ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এ ব্যাপারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, আদানির সঙ্গে করা চুক্তিটিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি; যার মাশুল এখন বাংলাদেশকে দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে দেশটির সঙ্গে প্রথম দিকে বিদ্যুৎ আমদানি করার যে চুক্তি করা হয়েছিল, সেখানে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছিল।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৯

‘দেশে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্রিড ভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ এ বিষয়টি জানতে চান। প্রশ্ন উত্তর পর্বে নসরুল হামিদ আরও বলেন, এ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকেও। তবে গ্রিড ভিত্তিক স্থাপিত কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উৎপাদনে সক্ষম ৪৩ শতাংশ বিদ্যুৎ। যা প্রায় ১১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসে ১৭ শতাংশ। যা ৪ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট।  তিনি বলেন, ফার্নেস অয়েল থেকে উৎপাদন হয় ৬ হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ২৪ শতাংশ। ডিজেল ভিত্তিক ৮২৬ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৩ শতাংশ। হাইড্রো ২৩০ মেগাওয়াট বা সক্ষমতার এক শতাংশ। এছাড়া অনগ্রিড সৌরবিদ্যুৎ ৪৫৯ মেগাওয়াট, যা মাত্র ২ শতাংশ। এছাড়া আমদানি করা হচ্ছে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বা ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়। আগামী গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বলে ধারণা করছে মন্ত্রণালয়। এসময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২

সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার
সিলেট নগরের কয়েকটি এলাকায় জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ এবং লাইনের নিকটবর্তী গাছের শাখা-প্রশাখা কাটার জন্য ৩৩/১১ কেভি এমসি কলেজ উপকেন্দ্র, ৩৩ কেভি এমসি কলেজ ফিডার ও ৩৩ কেভি এমসি কলেজ-উপশহর রিং ফিডারের আওতাধীন টিবি হাসপাতাল, মিতালিটিলা, রায়নগর, রাজবাড়ী, নাইওরপুল, কুমারপাড়া, চারাদিঘীরপাড়, বারুতখানা, জিন্দাবাজার, কাজীটুলা, মিরবক্সটুলা, নয়াসড়ক, জেলরোড আরামবাগ, বালুচর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও আশপাশের এলাকায় আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গ্রাহকদের সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়