• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কোটচাঁদপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ 
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। গত ২৪ মার্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ২৭ এপ্রিল শেষ হবে। এই সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বিপুল অর্থের বিনিময়ে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান আলম সম্রাটের সঙ্গে যোগসাজশ করে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাক ও যশোরের দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলছেন তারা। কিন্তু পত্রিকার ওয়েবসাইট থেকে ওই দিনের পত্রিকা দেখে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। জালিয়াতি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কাগজে লিখে ওই দিনের পত্রিকার সঙ্গে ফটোকপি করে চালানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কার্ড ইস্যু থেকে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক এ বিষয়টিও লঙ্ঘন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিজের পছন্দের লোকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১২ লাখ টাকার চুক্তি করেন এবং সেই অনুযায়ী শনিবার (৩০ মার্চ) কালীগঞ্জ সরকারি নলডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড পরীক্ষার তারিখ ধার্য করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে কেউ জানেন না। এ ব্যাপারে বর্তমান সভাপতি শাহজাহান আলম বলেন, প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য বলেছিলাম এবং তিনি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিল নিয়েছেন। তবে তিনি এরকম কাজ করবেন আমি ভাবতেও পারিনি। অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সরকার বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে তা বাতিল করা হবে। প্রধান শিক্ষক যদি ভুয়া নিয়োগ দেয় তাহলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

একযুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
দেশে গত একযুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, গত একযুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য  ৫ হাজার ২০৫ জন প্রধান শিক্ষক এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৪ জন সহকারী শিক্ষকসহ মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে বলেও জানান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। এসময় নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ঘোষণার পর আর কোনো রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়নি। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আলোকে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। তবে গত ১৪ বছরে নোয়াখালীর ৩১ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:০৪

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক সংকট মেটাতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়া ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।  শনিবার (২ মার্চ) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে সংগঠনটির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সংকট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান কারিকুলামে যে শিক্ষা দর্শন, অ্যক্টভিটি বেইজড লার্নিং, সেখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা শিক্ষক হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন। আমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন। আমরা মনে করছি ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োজিত করতে পারলে শিক্ষক সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সদের স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একজন এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর বিএসসি (পাস কোর্স) পাস করতে সময় লাগে ৫ বছর। অন্যদিকে ডিপ্লোমা পাস করতে সময় লাগে ৪ বছর। সেক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাস করা একজন শিক্ষার্থী এক বছর কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাকে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইডিইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান।   
০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৮

শিক্ষকরা অনিয়মিত, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যে বিদ্যালয়ে
যে বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত, সে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে এই গানটিই আমাদের বাংলাদেশের পরিচয়। জাতীয় সংগীতেই শেষ নয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না শিক্ষকরাও। কোমলমতি শিশুদের হাজিরাও ডাকা হয় বিকেলে। শিক্ষকদের এমন আচরণে শিশুরাই বা কি শিখবে!  খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের ফাতেমা নগর এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টি। পাহাড়ি-বাঙালির সংমিশ্রণে গড়া এই গ্রামটিতে ১৯৮০ সালে গড়ে উঠেছে বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় যে শিশুদের সুশিক্ষায় গড়ার প্রথম কারিগর সেটি হয়তো ভুলেই গেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের নানা অজুহাত আর অনিয়মেই ধ্বংস হচ্ছে শিশুদের মেধা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়েই পাঠদান শুরু হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ছাড়াই। যেখানে শিশুদের হাজিরা ডাকার কথা ক্লাসের শুরুতেই, সেখানে হাজিরা ডাকা হয় বিকেল ৩টায়। নানা অজুহাত আর ক্ষমতার বলে শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। বসে বসেই সরকারি অর্থ গুনছেন তারা। এতে নষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। আবার হাজিরা ডাকা হয় বিকেলে। এ ছাড়াও শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি দল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাজির হয় বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন বিকেল ৩টা। বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৬ শিক্ষকের মাঝে শুধুমাত্র ১ জন শিক্ষক উপস্থিত। তার কাছে বাকিদের কথা জানতে চাইলে জানান ১ জন এসে চলে গেছে, ২ জন ট্রেনিংয়ে, ১ জনের স্বামী অসুস্থ এবং বাকি ১ জন ডেপুটেশনে।  যাকে উপস্থিত পাওয়া যায়, তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম। তিনি জানান, আমি সকালে আসি। এসে দাপ্তরির কাজও আমিই করি আবার শিশুদের পাঠদানও আমিই করি। কোনো শিক্ষক সকালে এসে আবার চলে যায় দুপুরের আগেই। তাদেরকে নিষেধ করেছি। ওরা ওদের মতো করে আসে আবার চলে যায়। একটি শ্রেণিতে ১ ঘণ্টায় ক্লাস হয়েছে ৫টি বিষয়ের ওপর। এমন মন্তব্যসহ শিক্ষকদের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ওই এলাকার মো. আব্দুল জলিল জানান, এই বিদ্যালয়ের পাশেই আমার দোকান। আমি বহুদিন যাবৎ দেখছি যে কোনো শিক্ষক ৯টায় আসলে ১০টায় চলে যায়। আবার ১০টায় আসলে ১১টায় চলে যায়। তারা নিয়মিত স্কুলেও আসে না এবং যাওয়ারও কোনো নিয়ম থাকে না। বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে জাতীয় সংগীত হয় না, ক্লাসও ঠিকমতো হয় না। তারপর ১ ঘণ্টায় ১ জন শিক্ষক ৫টা ক্লাস নিছে। কীভাবে নিয়েছে তা আমার মাথায় ধরে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়েই রয়েছে পরিত্যক্ত এক ভবন। সেটি যেকোনো মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। শিক্ষার এমন নাজেহাল অবস্থা আর কতোদিন। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কোমলমতি শিশুদের স্বজনরা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শুক্কুর আলী জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্কুলে অনিয়ম হচ্ছে। শিক্ষকরা যে যার মতো করে চলে যায়। স্কুল যেন সঠিকভাবে চলে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পানছড়ি উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এডিন চাকমা জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরকারেরর নীতিমালায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

মরদেহ নিয়ে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন কর্তৃপক্ষ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গত সোমবার দুপুরে এমপিওভুক্তির জন্য দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে রোকেয়া বেগম (৫৫) নামে এক শিক্ষিকার মরদেহ নিয়ে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ঘুষের টাকা তিন দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করলে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। অবশেষে সেই ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউএনও'র উপস্থিতিতে ঘুষের ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা রোকেয়ার স্বামী ও স্বজনদের কাছে ফেরত দেন জিসিজি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন বলেন, উপজেলার ‘জিসিজি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা রোকেয়া খাতুনকে এমপিওভুক্তি করে দেওয়ার কথা বলে কয়েক ধাপে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। পরে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেই শিক্ষিকার মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করলে কমিটি তিন দিনের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেই টাকা আমার উপস্থিতিতেই রোকেয়ার স্বামী ও স্বজনদের কাছে ফেরত দিয়েছেন।  ইউএনও আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগে প্রতারণা ও বেতনহীন ২০ বছরের পারিশ্রমিক চেয়ে রোকেয়ার স্বামী গত বুধবার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে কোনও তদন্তের নির্দেশনা আসলে সেই অনুযায়ী তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কাজিপুর উপজেলার গোদাগাড়ী চকপাড়া গাড়াবের বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে ওই শিক্ষিকার মরদেহ নিয়ে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘুষের টাকা তিন দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করলে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। মৃত স্কুল শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম উপজেলার গাড়াবেড় গ্রামের খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তিনি জিসিজি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখার ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। স্বজনদের অভিযোগ, এমপিওভুক্তির কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজিপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু ও প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম দফায় দফায় তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চার লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।   
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৬

সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার কন্যাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার। জানা গেছে, গত বছরের ১৫ জুন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির একাধিক পদে নিয়োগের কথা জানায়।  পত্রিকাটি খেয়াল করলে দেখা যায়, ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১ জন অফিস সহায়ক, ১ জন আয়া, ১ জন পরিচ্ছন্ন-কর্মী ও ১ জন নৈশ প্রহরীসহ ৫ পদে ৫ জনকে মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। এ আবেদনে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিপরীতে ৩০ প্রার্থী আবেদন করে, যেখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২১ প্রার্থী। মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা বলছে, শিক্ষক নিয়োগসহ বিদ্যালয়ের সব নিয়োগ পরীক্ষা হবে বিদ্যালয়টির যে কোনো শ্রেণি কক্ষে অথচ সেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে (৩০-১১-২৩) পাশের মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পরদিন ১-১২-২৪ তারিখে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের শ্যালক আমিরুল ইসলামকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যালয়টি। একই সময় বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার তহমিনা খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেন।  প্রতিবেদকের হাতে আসা নথি বলছে, ৪০ উর্দ্ধো তহমিনা খাতুনকে ৩৫ বছর দেখিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন বছির উদ্দিন। এ সময় বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জুর অগ্রণী ব্যাংক কন্যাদহ শাখায় অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়। ১৫-০৬-২৪ থেকে ৩০-১১-২৪ পর্যন্ত সঞ্জু কন্যাদহ অগ্রণী ব্যাংক শাখায় কয়েক লাখ টাকা রেখেছেন। যা বিগত কয়েক বছরের লেনদেনের চেয়ে অস্বাভাবিক। স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জুই সব প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের মোটা টাকাও তার হিসাবে রাখা হয়েছে । আর এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেছেন বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার ও প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম । এ ব্যাপারে সঞ্জুর মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে, প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন তিনি। অভিযোগের ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। আর আপনি আসেন, বসে কথা বলি। বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ম্যানেজিং কমিটির কাজে আমার হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আর আমি এসব ব্যাপারে জানি না।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩

৩ জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা
শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুর বিভাগের তিনটি জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তিনি আরও বলেন, শুধু পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে অন্যান্য কাজের জন্য উপস্থিত থাকবেন। এর আগে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিকের জারি করা আদেশে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলমান। শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণসহ) নেমে যাবে, সেসব জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া যাবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়