• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লড়াই চলবে, জনগণ বিজয়ী হবেই : মান্না
এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আর এই লড়াইয়ে জনগণ বিজয়ী হবেই বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে, সরকার চাইলে আমরা নাম দেবো। বিএনপির কারা কারা আছে যদি পারেন তাহলে আপনারা (সরকার) নাম দেন। এ সময় দেশের অতিদরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে অন্তত এক হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবিও জানান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাজারে নৈরাজ্য চলছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ সিন্ডিকেটকারীরা সরকারের ভিতরে আছে এবং তারা সংসদ দখল করে নিয়েছে। কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

ড. ইউনূসের অভিযোগ প্রত্যাখান করলো কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকানস
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকানস ইনকর্পোরেটেড। গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে ড. ইউনূসের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জানায় সংগঠনটি।   বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, প্রধান উপদেষ্টা শামীম চৌধুরী, উপদেষ্টা ডা. প্রদীপ কর, পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, মহাসচিব মঞ্জুর চৌধুরী, উপদেষ্টা মো. জালাল উদ্দিন জলিল, পরিচালক রুমানা আক্তার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, কায়কোবাদ খান এবং উপদেষ্টা হাকিকুল ইসলাম খোকন। বিবৃতিতে বলা হয়, কর ফাঁকির বিষয়ে ইউনূস মিথ্যাচার করেছেন। ড. ইউনূস সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মিথ্যা দাবি করেছেন। ইউনুস বলেছিলেন যে তিনি কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নয়, বরং তাদেরকেই পরিশোধ করতে হবে কিনা তা স্পষ্ট করার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। ড. ইউনূস ২০০৯ সালে 'ইউনূস ট্রাস্ট' এবং ২০১১ সালে 'ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট' নামে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কর ফাঁকি দেওয়া। ২০১১-১২ অর্থবছরে ইউনূস এই দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬২ কোটি টাকা অনুদান দেন। তিনি অনুদানের উপর কর দেননি। পরবর্তী দুই বছরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে টাকা দিয়েছেন এবং কর পরিশোধ করেননি। উল্লেখ্য, এসব ট্রাস্টের ট্রাস্টি নিজেও একই কাজ করেছেন। তখন বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনআরবি) এসব অনিয়ম নিয়ে আপত্তি জানায়। আইনে বলা হয়েছে, স্ত্রী, পুত্র বা কন্যাকে দান করলে অর্থ করযোগ্য হবে না। অন্যসব ক্ষেত্রে কর প্রদানযোগ্য। আইনে লেখা থাকলেও ইউনূস এই সহজ বিষয়টিকে জোড়াতালি দিয়ে যাচ্ছেন। ইউনূস কর কমিশন, ট্যাক্স আপিল বিভাগ ও আদালতে যান। এর মূল উদ্দেশ্য বিলম্ব করা। এটা ইউনূসের পুরনো অভ্যাস। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে ইউনূস একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। ইউনূস ১২ বছর অনুপস্থিত এবং অসুস্থ ছিলেন, যার ফলে তিনি কর পরিশোধ করেননি। ফলে তার পাওনার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি টাকা। ড. ইউনূস তার দীর্ঘদিনের কর বকেয়া পরিশোধের পরিবর্তে কর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে মামলা করেন। ১২ বছর ধরে কর ফাঁকি দিয়ে তিনি লাভবান হলেও নিঃসন্দেহে তার সুনাম এখন প্রশ্নবিদ্ধ। একইভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে জড়িত আরেকটি মামলায় ২৫ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করার বিধান থাকলেও এনবিআরকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আদালতে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। আদালত সম্প্রতি তাকে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়ম না মেনে বিদেশ ভ্রমণ ও অসুস্থতাসহ নানা অজুহাতে একের পর এক তারিখ পরিবর্তন করে সহজে সমাধানযোগ্য বিষয়টি ১০-১৫ বছর বিলম্বিত করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি আদালতে গিয়েছিলেন।  প্রসঙ্গত, ইউনূস তার নামে প্রতিষ্ঠিত দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের অর্থ দান করেন; এসব প্রতিষ্ঠান গত ১৫ বছরে কোন দাতব্য কাজ করেনি। খালেদ মুহিউদ্দিন আয়োজিত ডয়চে ভেলের টকশোতে এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দাবি করেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকে আমি কোনো অনিয়ম করিনি। কোনও আয়কর ফাঁকি দেওয়া হয়নি।’ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আদালতের রায়ে পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য নিশ্চিত করতে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিত্ব ও উদ্ভাবনী বিবেচনায় সরকার ইউনূসের ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংককে চালানোর অনুমতি দেয়। সরকারের এই শুভ উদ্যোগের সুযোগ নিয়ে তিনি প্রতিটি ব্যাংকের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে বেপরোয়াভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার নিয়োগ করা পরিচালনা পর্ষদ বা চেয়ারম্যান এসব গুরুতর আইনি বিষয় নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেননি। নব্বইয়ের দশকে নরওয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের কিছু দিক নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিল। এরপর সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৬০ বছর বয়সে কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত অবসর গ্রহণের বয়সেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন  বিবৃবিতে আরও বলা হয়,  ১৯৯৯ সালে পরিচালনা পর্ষদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে চাকরির নিয়ম অনুসরণ না করে ৬০ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এই চুক্তিতে আইনের মর্যাদা দেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পরিদর্শন বই ১৯৯৯-এ মন্তব্য করেছে।  ২০১০ সালে, একটি নরওয়েজিয়ান টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিষয়টি প্রচার করেছিল এবং তদন্তের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এরই প্রতিফলন হিসেবে ২০১১ সালে প্রফেসর ইউনূসকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। প্রফেসর ইউনূস এরপর আদালতের শরণাপন্ন হন এবং আদালতের রায়ে ২০১১ সালের এপ্রিলে পদত্যাগ করেন। আয়কর নিয়ে ছলচাতুরির খেলা খেলতে থাকেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইন এবং সরকার আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর অধীনে প্রদেয় আয়কর অধ্যাদেশ থেকে আবাসিক/অনাবাসিক অবস্থা নির্বিশেষে বাংলাদেশের যে কোনও নাগরিকের আয়কে অব্যাহতি দিয়েছে। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৪ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত  সাত অর্থবছরে ১৩৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে করমুক্ত আয় হিসেবে মোট ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৮ টাকা, ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে রয়্যালটি পেয়েছেন। তিনি মোট ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩ শত ৯৭ টাকা দেখিয়ে আয়কর ছাড়ের সুবিধা নিয়েছে। বিদেশ থেকে এই সম্মাননা, পুরস্কার বা রয়্যালটি পাওয়ার আগে ড. ইউনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ইউনূস ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেননি।  ফান্ড ট্রান্সফারে অনিয়ম ১৯৯৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপরোক্ত অর্থ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামক প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয় বলে দাবি করা হয়। এরপরও অর্থ স্থানান্তর না হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের বিদ্যমান সম্পদের উৎস হিসেবে গ্রামীণ কল্যাণের অর্থ একই দিনে আবার ঋণ হিসেবে দলিল করা হয়। এর মাধ্যমে সম্পদের বিপরীতে তহবিল না থাকলে ‘ব্যাখ্যাহীন আয়’ হিসেবে বিবেচিত অর্থের ওপর প্রযোজ্য আয়কর ফাঁকির চেষ্টা করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এমতাবস্থায়, আয়কর অব্যাহতি কর্তন এসআরও নং ৯৩-আইন/২০০০ এর শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। তহবিল স্থানান্তর সংক্রান্ত গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ কল্যাণের মধ্যে চুক্তি ১৯৯৭ সালের মে মাসে সম্পাদিত হয়। যদিও তহবিল স্থানান্তর ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে দেখানো হয়, অর্থাৎ, চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ মাস আগে। সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে আয়কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কিন্তু গ্রামীণ কল্যাণকে নয়। তাই তহবিল স্থানান্তর অবৈধ হয়েছে। উপরোক্ত অর্থ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারির পর গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে স্থানান্তর করা হয়। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে হিসাব মিলিয়ে ১৯৯৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উল্লিখিত হস্তান্তর দেখানো হয়। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

আসন ছেড়ে বিজয়ী বললেন, ইমরানের প্রার্থীই আসলে জিতেছেন 
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জেতার পরও আসন ছেড়ে দিয়েছেন জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই) নেতা হাফিজ নাঈম-উর-রহমান। সেইসঙ্গে বলেছেন, 'কারচুপি করে আমাকে জেতানো হয়েছে; জিতেছেন আসলে ইমরানের প্রার্থীই। এ জয় আমি চাই না।' সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে সিন্ধের প্রাদেশিক পরিষদের পিএস-১২৯ আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। গত বৃহস্পতিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ নির্বাচনে করাচি সেন্ট্রাল থেকে সিন্ধ অ্যাসেম্বলির পিএস-১২৯ আসন থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় হাফিজ নাঈম-উর-রহমানকে। তবে ফলাফল ঘোষণার পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত-ই-ইসলামির এ নেতা দাবি করেন, আসনটিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীই জিতেছেন। তিনি কোনও ‘দাতব্য’ আসন চান না। এ আসনে যার অধিকার আছে তাকেই দেওয়া উচিত। এমপিএ হিসেবে শপথ নেবেন না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ বলেন, তিনি নিজের আসনটি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তবে কারচুপির কারণে তার দলের হারানো সব আসন পুনরুদ্ধার করতে আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ম্যান্ডেট (জনসমর্থন) দিয়ে জনগণের মন পরিবর্তন করা যাবে না। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন। তাই পিটিআইয়ের জয় ও ম্যান্ডেট মেনে নিচ্ছি।  উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে।  ফলে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনও দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৮

বিজয়ী হওয়ার গেজেট স্থগিতের বিরুদ্ধে আবদুল হাইয়ের আবেদন
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেট স্থগিতের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় নৌকার প্রার্থী নিজেই আবেদনটি করেন। তার পক্ষের আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত গেজেট স্থগিত করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলাফল অনুযায়ী, আব্দুল হাই পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট। এরপর ভোটগ্রহণ ও গণনায় অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য পদের গেজেট স্থগিত চেয়ে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল। পরে ইসির গেজেট স্থগিত করেন বিচারপতি আসাদুজ্জামানের কোর্ট।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

সিওইউডিএস ডিবেটর সার্চে বিজয়ী আইন বিভাগ 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (সিওইউডিএস) দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘৬ষ্ঠ ডিবেটর সার্চ টুর্নামেন্ট -২০২৩’ বিজয়ী হয়েছে আইন বিভাগ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে বিতর্কের বিষয় ছিল ‘এই সংসদ মনে করে, বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষাকে (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) সীমিত করে কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণকে সমর্থন করবে।’ সরকারি দল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম এবং বিরোধী দল ছিল আইন বিভাগ। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা রিমি নির্বাচিত হয়েছেন সেরা বিতার্কিক। ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহাম্মেদ বাঁধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক কমিটি, কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, ময়নামতি ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মেজর মেহেদী হাসান শাহরিয়ার এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বদরুল হুদা জেনু বলেন, ‘বিতর্ক চর্চা একজন মানুষকে যৌক্তিক মানুষ হতে সাহায্য করে। তর্ক এবং বিতর্কের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। তর্ক মানে হলো জোর দিয়ে কথা বলা আর বিতর্ক মানে হলো যুক্তি দিয়ে কথা বলা। একটি সুন্দর যুক্তিবাদী সমাজ গড়তে হলে যুক্তির কোন বিকল্প নেই।’
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩০

‘ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আ.লীগকে বিজয়ী করেছে’
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে দেখিয়ে দিয়েছেন। জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছেন এদেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুরের সখিপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।  তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দুর্বার ছুটে চলা এক বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। এক নতুন বাংলাদেশের রূপকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দিয়ে ক্যারিশমেটিক এ নেত্রী পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরেক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মানুষ প্রমাণ করেছে, তারা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রশ্নে কখনো আপস করে নাই। আগামী দিনেও আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নড়িয়া-সখিপুরকে স্মার্ট এলাকায় রূপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ। সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকাল থেকেই সখিপুর ও চরভাগা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কর্মকাণ্ড দেখেন এবং এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এনামুল হক শামীম।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৩

মাকে বিজয়ী করতে এসে নিজেই হয়ে গেলেন এমপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরুজা বারী। নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন তিনি। নিজের মাকে সহযোগিতা করতে আসেন তার মেয়ে প্রকৌশলী নাহিদ নিগার। কিন্তু জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতার কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন আফরুজা বারী।  আফরুজা বারী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও তার মেয়ে নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী দুবারের এমপি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ নিগার ও শামীম হায়দার পাটোয়ারীর মধ্যে হয় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারী পান ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট। আর তার থেকে ২২ হাজার ৫৫৮ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন নাহিদ নিগার।  এ বিষয়ে জাপার স্থানীয় নেতাকর্মীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নেন। ফলে নেতাকর্মীরা তার ওপর আস্থা রাখতে পারেন না। সে কারণ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি হয়। অনেকে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এ আসনের ভোটের ফলাফলে।  এ বিষয়ে প্রকৌশলী নাহিদ নিগার বলেন, আমি সুন্দরগঞ্জের মানুষের কাছে চিরঋণী।   জানা যায়, নাহিদ নিগার ঢাকার ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। যুক্তরাজ্যে কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক এবং অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১০ প্রার্থী। এর মধ্যে জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বিএনএফ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিসহ দলীয় প্রার্থী ৬ জন। বাকি চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আটজন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০

বড় ভাইকে হারিয়ে বিজয়ী ছোট বোন
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ভাইকে হারিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নিজের শক্ত অবস্থানের জানান দিয়েছেন ছোট বোন। এ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকির নূর লিপি।  তিনি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তার বড় ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৬২ ভোট। রোববার (৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং অফিসার ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফলে এ বিষয়টি জানায়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পরে ভোট গণনার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভোটের এ ফলাফল পাওয়া যায়।   এ আসনে পুরুষ ও নারী এবং হিজড়া মিলিয়ে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৮ জন। মোট ১৭৪ ভোটকেন্দ্রের ১০৭৩টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

টানা অষ্টমবারে বিজয়ী যে সংসদ সদস্য
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী তিনি। টানা অষ্টমবারের মতো জয়ী হয়েছেন এ সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি সব আমলেই তিনি সংসদ সদস্য। মন্ত্রী হয়েছেন কয়েকবার। ৩৫ বছর ধরে একটানা একই আসনের সংসদ সদস্য উত্তরের জননন্দিত এ রাজনীতিক। ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু। পরবর্তীতে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২০০৯ সালে। পরবর্তীতে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি ১৪০টি কেন্দ্রেরে পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮২ ভোট। যার কথা বলছি, তিনি হচ্ছেন, অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন তিনি। পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ৩৫ বছর ধরে একটানা একই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন ফিজার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাতে ১টায় পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৭টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৩টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ ১৫১টির বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫০

ঢাকা-১৯ / বিপুল ভোটে হারলেন নৌকার এনাম, জিতলেন স্বতন্ত্র সাইফুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার-আশুলিয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। ২৯২ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ ঈগল প্রতীকে ৭৬ হাজার ২০২ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. এনামুর রহমান (ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী) নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০টি। টানা দু’বারের এমপি ডা. এনামুর রহমান আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ট্রাক মার্কার প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের থেকে ২৮ হাজার ৩১০ ভোট কম পেয়েছেন। সাইফুলের চেয়ে ৮ হাজার ২১০ ভোট কম পেয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটাধিকার প্রয়োগের পর রাতে সাভার উপজেলা চত্বরে ফল প্রকাশ করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ।  এ ছাড়া এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরও সাতজন। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। ঢাকা-১৯ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৮ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৫। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ১৩ জন। এসব ভোটারদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০ জন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়