• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জিয়া রহমান মারা গেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান (৬০) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশকের চাকরিজীবনে শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়া রহমান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।  জিয়া রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মুনীর চৌধুরী ভবনে থাকতেন। রাতে অসুস্থ বোধ করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়।  জিয়া রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসেন। শনিবার (২৩ মার্চ) বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জিয়া রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান উপাচার্য।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৪

বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
সম্প্রতি জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদেকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, এরূপ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। হঠাৎ করেই এরূপ প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যেও চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।  হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, এরূপ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শনের শামিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন, গঠন করেছিলেন একটি কার্যকরী শিক্ষা কমিশন। তার শিক্ষা দর্শন আমাদের মুক্তির পথকে সুগম করেছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো নির্দেশনাতেই তারই আদর্শের উত্তরসূরি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে চলেছেন।  শিক্ষকদের প্রতি এরূপ বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ব্যহত হবে। কেননা, এর ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হবেন না, ফলশ্রুতিতে ব্যাহত হবে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ও গবেষণা, তৈরি হবে মেধা শূন্য অদক্ষ জাতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সদা অঙ্গীকারবদ্ধ। যেখানে বিশ্বের অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো আছে, সেখানে আমাদেরকে বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শিক্ষকদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার এহেন হটকারী প্রজ্ঞাপন জারি করা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অন্তরায়। অনতিবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজকে প্রাপ্য সম্মান ও ভবিষতের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৪

শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিল, সম্পাদক সজিব
প্রায় এক দশক পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মো. খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সজিবুর রহমান মনোনীত হয়েছেন। বুধবার (২০ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নতুন কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন মামুন শাহ, ফারহান রুবেল, তায়েফ হোসেন, ইশতিয়াক আহমেদ, নাজমুল হুদা শুভ, ইউসুফ হোসেন টিটু, মো. ইয়াসিন আহমেদ, সাজেদুল ইসলাম, রেজাউল হক সিজার, নাজমুল হাসান, আইরিন লিনজা, সৈয়দ মোতাহির আল হোসেন, সাইমন আক্তার, সামশেদ ছিদ্দিকী সুমন, সাদ্দাম হোসেন পিয়াস, আদিল আহমেদ, সবুজ মিয়া, আরিফুল ইসলাম আরিফ, আকাশ তালুকদার, মো. মনসুর আলম নিরব, আশিকুর রহমান আশিক, শৈশব আহমেদ, হবিবুর রহমান হাবিব, আল শাহারিয়া, সৈয়দ সাকিবুর রহমান ও আফসরো তাসনিমা ঋষিতা। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইমামুল হোসেন হৃদয়, মো. সুমন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, আজিজুল ইসলাম সীমান্ত, জাফর উদ্দিন লাসিম, মো. উজ্জ্বল মিয়া, উজ্জ্বল দাস চিনু ও সাবিহা সাইমুন পুষ্প। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন সাদাত আলম তালুকদার, নূরে আলম শ্রাবণ, লোকমান হোসেন, শাকিল হাওলাদার, আর কে রাকিব আহমেদ, ফারহান হোসেন চৌধুরী আরিয়ান, শুভ সাহা ও অমিত সাহা। নতুন কমিটিতে ২৬ জন সহসভাপতি, ৮ জন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সর্বমোট ৪৪ জন সদস্য দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৪

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে করে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও পানি সংকটসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন পার করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভোগান্তি হতে মুক্তি পেতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর সুবিধা দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।  জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের তিনটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধের দিনে এ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রমজান মাসে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও কিছু কিছু বিভাগে সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিডি দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে জেনারেটর সুবিধা চালু রাখা হয়। অফিসিয়াল অর্ডারের চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং অনুমতি পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্রী আরটিভিকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই। রুমমেট এর থেকে শুনলাম আরও ঘণ্টা খানেক আগে কারেন্ট গিয়েছে। গরমের মধ্যে শরীর অনেক খারাপ করে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট আসে। মাঝখানে ১০ মিনিটের জন্য এমনি এসে আবার চলে যায়। পরদিন নেক্সট এক্সিমের প্রিপারেশন এর জন্য ল্যাপটপ অন করে বসি। কারেন্ট আবার চলে যায়। ওয়াইফাই  না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে তো এতক্ষণ চলা সম্ভব না। অনেককিছু সার্চ করা লাগে। ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ ও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচুর বিরক্তি কাজ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, গতবছর পরীক্ষার সময় আমরা পড়াশোনা করেছি তখন লোডশেডিং ছিল না যেটা এই বছর দেখা যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়, যার কারণে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। পরীক্ষা থাকায় উপায় না পেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের পড়তে হচ্ছে যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। বঙ্গমাতা হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে অসহ্য গরম লাগে, হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। পানি সরবরাহের সমস্যা হয়, ফলে পানি সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে চার্জ থাকে না, ফলে রমজানের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ওয়াইফাই সুবিধা ও থাকে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পানির সমস্যাতেও ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে তখন যারা থাকে তারা পায় বা অনেক সময় দেখা যায় জানেও না। গতবছর পুরো গ্রীষ্মকাল এইভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে দেখা যায় নাই। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ তো সরকারের হাতে, তারা কতক্ষণ দিবে না দিবে এটার ওপর আমাদের হাত নেই। বিদ্যুৎ সরকারের হাতে থাকলেও জেনারেটর সুবিধাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তবে কেন এ সুবিধা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় দেয়া হচ্ছে না। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অফিসিয়াল একটা অর্ডার আছে কয়টা থেকে কয়টা জেনারেটর চালু রাখবো বা কতক্ষণ চালু থাকবে। আর এর চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে অর্থের ব্যাপার আছে। ভিসি স্যার বা ট্রেজারার স্যার হচ্ছেন এটার অথোরিটি। উনারা যদি অনুমতি দেয় অতিরিক্ত সময় চালানোর তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একটা জেনারেটর নষ্ট। ঐটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা অফডেতে হল এবং আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় জেনারেটর এর ব্যবস্থা করছি। দিনের বেলায় জেনারেটর থাকবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে হিরা-মনিরুল
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে উপরেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম হিরা সভাপতি এবং অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী মনিরুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত সংগঠনটির সভাপতি হলেন হিরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট শাখার সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ চূড়ান্তভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে ১৫৩ জন অফিসারের একাংশ (মাত্র ৪৪ জন) মূল অ্যাসোসিয়েশনের থেকে বেরিয়ে গেলে বাকি সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫টি পদের বিপরীতে আগামী ২১ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কেবল হিরা-মনিরুল প্যানেল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিরোধী প্যানেল না থাকায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে সবকটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিরা-মনিরুল প্যানেলকে নির্বাচিত ঘোষণা করে কমিশন। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন, সহসভাপতি-১ সেকশন অফিসার শেখ আনিকা, সহসভাপতি-২ সেকশন অফিসার বি. এম. আশিকুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ সেকশন অফিসার মো. আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-২ সেকশন অফিসার জাহিদুর রহমান, অর্থসম্পাদক সেকশন অফিসার আকরাম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক সেকশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ল্যাব) মো. রাসেল শেখ। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম, সেকশন অফিসার দীপক চন্দ্র ঘরামী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ আসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামসুর নাহার খানম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ল্যাব) ইউসুফ মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। নব নির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম হিরা ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মনিরুল হাসান অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতিটি স্তরে কর্মরত সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। সেইসঙ্গে সকলের সহযোগিতায় জাতির পিতার নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৫১

হাবিপ্রবিসাস সেরা সংগঠক আরটিভির ফাহিমুল্লাহ্
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) সেরা সংগঠক নির্বাচিত হয়েছে আরটিভির হাবিপ্রবি প্রতিনিধি মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ্। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সভাকক্ষে হাবিপ্রবিসাস ষান্মাসিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবিসাসের উপদেষ্টা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ইয়াছিন প্রধান এবং রুবায়েত আল ফেরদৌস নোমান।  সঞ্চালনা করেন হাবিপ্রবিসাসের সভাপতি মো. তানভির আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের ইবনে আলী। এছাড়াও সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ্ সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতা ও সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন।  ফাহিমুল্লাহ্ বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত। প্রাণের সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিকে এগিয়ে নিতে এটি আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষী সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এছাড়াও সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কার পেয়েছেন কার্যকরী সদস্য রিয়া রানী মোদক এবং যৌথভাবে তরুণ উদীয়মান পুরস্কার পেয়েছেন দপ্তর সম্পাদক নাঈম ইসলাম সংগ্রাম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য রাহাত হোসেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৪

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সাথে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিপ্লব মল্লিক এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বুধবার (১৩ মার্চ) পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জনৈক এক ছাত্রনেতার শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ঐ শিক্ষার্থী হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় ছাত্রনেতা হল-পর্যবেক্ষক একজন শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে, ঐ শিক্ষক, পরিচালক (ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতে থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।  বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলসমূহে নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপ করছে এবং কর্তব্যরত শিক্ষকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে। প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক সমিতি বদ্ধ পরিকর। কিন্তু মুষ্ঠিমেয় শিক্ষার্থীদের এরূপ অছাত্রসুলভ আচরণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার হলসমূহে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এরূপ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেনি। বিপ্লব মল্লিক স্যার নিজেই দায়িত্বরত ম্যাডামকে স্যারের রুমে নিয়ে বসিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার ফোনও অফ ছিল কিন্তু দায়িত্বরত ম্যাডামের ফোন এবং ল্যাপটপ দুটোই চালু ছিল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইউজ করতে পারবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কি বলে? আমি দোষীদের পক্ষ নিচ্ছি না। শিক্ষার্থী যদি দোষী হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে ম্যাডাম ও দোষী। শাস্তি ২ জনেরই হওয়া উচিত। নকল করলে তাকে শাস্তি দিবে এটাতে আমার কোনো দ্বিমত নাই। কিন্তু বিনা অপরাধে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার তো দরকার নেই।   
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

শাবিপ্রবির পিএসএস সোসাইটির ভিপি মোবাশ্বির, সম্পাদক মমিন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিকাল স্টাডিজ সোসাইটির নতুন কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সহসভাপতি (ভিপি) হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. মোবাশ্বির হাসান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মমিন উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান এ নতুন কমিটির ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাখরুছ ছালাম দায়িত্ব পালন করেন।  নবনির্বাচিত কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আফজাল হোসাইন, সহসাধারণ সম্পাদক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাকিল, খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহরাব হোসাইন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানিম ইবনে বারী খান, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহাদী হাসান, প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ গোপ নির্বাচিত হয়েছেন।  এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য হিসেবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠু দাশ ও মো. রিয়াজ উদ্দিন রুহিন নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটিতে পদাধিকারবলে সভাপতি হিসেবে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান দায়িত্ব পালন করবেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

নোবিপ্রবিতে যেন ময়লার ভাগাড়, দ্রুত অপসরণের দাবি শিক্ষার্থীদের
যত্রতত্র ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, চারপাশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নেই বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাপনা। এমনই চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১০১-একরের ক্যাম্পাসে জুড়ে। প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পদচারণা উপকূলের এই বিদ্যাপীঠে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ বৃদ্ধির কারণে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করা যেন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সাকিব আল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ময়লা ফেলার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিন দেখিনি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা দোকান থেকে কিছু খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট বা প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। পরে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলে তারা বলে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং লোকবলের অভাবে ময়লাগুলো পরিষ্কার করা যায় না।  ইসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ফেয়ারওয়েল, চড়ুইভাতি এবং যেকোনো প্রোগ্রাম শেষে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের আশেপাশেই ফেলা হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কারের কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। ফলে দিন দিন আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ক্যাম্পাসটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এটিই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, প্রশান্তি পার্কের পাশে, পকেট গেটের সামনে, একাডেমিক ভবন-১ এর পেছনে, একাডেমিক ভবন-২-এর সামনে, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, গ্যারেজের চারপাশে,শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমিটরির সামনে এবং শান্তিনিকেতনের পাশেসহ ১০১ একরের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে  স্তূপ করে প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। ধীরে ধীরে স্থানগুলো ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গায় রূপ নেয়। অনেক সময় পরিমাণ বেশি  হয়ে গেলে পুড়িয়ে ফেলা হয় বর্জ্যগুলো। পচা, দুর্গন্ধ ও আবর্জনা পোড়ার ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।  এ বিষয়ে নোবিপ্রবির ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভিন তানিয়া বলেন, নোংরা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আমরা যেসব রোগে আক্রান্ত হই তা হলো, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, অ্যাজমা এবং ক্ষুধামন্দা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, বিরক্তিকর পরিস্থিতি এবং টাইফয়েড জ্বরের দেখা দিতে পারে। এতে করে তাদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ ধীরে ধীরে চলে যাবে। মোট কথা নোংরা বা দূষণ পরিবেশে সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। এদিকে ক্যাম্পাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দুইটি  কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে এবং কমিটিগুলো বর্জ্যের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাট ও হাউজিং শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার মো. গোলাপ হোসাইন। তিনি জানান, কমিটির দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসে কী পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন জমা হয়। আমরা তিনটি মিটিং করে বর্জ্যের একটি পরিমাণ নির্ধারণ করেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশও পাঠিয়েছি। সেই সুপারিশের আলোকে আরেকটি কমিটি করা হয়। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক যে বর্জ্যগুলো হয় তা নোয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে যেখানে ময়লা সংরক্ষণ করা হয় সেখানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:২২

ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি ও হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাঞ্জুরুল হাসান। এ ঘটনার পর তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল আহমেদ, ইসাদ হোসেন, আল আমিন, শেখ বিপুল হাসান ও মুশফিক, রাইসুল হক রানাসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও কয়েকজন।  লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী মাঞ্জুরুল হাসান উল্লেখ করেছেন, ‘শুক্রবার রাতে আমি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে বের হলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়। সেসময় তাকে সালাম না দেওয়া এবং লুঙ্গি পরে তার সামনে চলাচলের অভিযোগে পরে আমাকে আমার কক্ষ থেকে ডেকে ৩০৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সভাপতির নির্দেশে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমার চিৎকারে হলের অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।’ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগ করা হলে মাঞ্জুরুল বলেন, আমার চোখে সমস্যা, রাতে ঠিকমত দেখতে পাই না। ওই দিন রাতে আমি যখন লুঙ্গি পরে বাইরে যাচ্ছিলাম, তখন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তার কর্মীরা আমার সামনে পড়ে যায়। পরে তারা আমাকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে আমি ক্ষমা চাই। এসময় ওদের মধ্যে একজন আমাকে বলেন- ভাইকে সালাম দিয়েছিস না কেন? কেন লুঙ্গি উঁচু করে পরেছিস? তারপর তারা আমাকে আবারও মারধর করেন। এ বিষয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ছাত্রাবাসে কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়নি। এদিন রাতে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের কিছু ছেলে আমার কক্ষের সামনে জুনিয়রদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরকে বুঝিয়ে রুমে পাঠায়। ক্যাম্পাস রাজনীতির গ্রুপিংয়ের বলি হিসেবে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, এদিন রাতে ঘটনাটি শুনে সহকারী প্রভোস্টদের নিয়ে ছাত্রাবাসে এসে দেখি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে শনিবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়