• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কান উৎসবে বিচারক হয়ে যাচ্ছেন ঢাকার ঋতি
একাধারে তিনি সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি। এবারও তিনি আসন্ন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিপ্রেসকি জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। জানা যায়, এর আগে তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবার কানের জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৭৭তম কান উৎসব থেকে দ্বিতীয়বার ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে ঋতি বলেন, কান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। জুরি হিসেবে দ্বিতীয়বার আমন্ত্রণ পাওয়া একটি অবিশ্বাস্য সম্মান। জুরি বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়মিত উপস্থিতি বিশ্ব চলচ্চিত্রকে ইউরোকেন্দ্রিক লেন্স থেকে সরে এসে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলেস থেকে চিত্রনাট্যে পড়াশোনা শেষ করে ঋতি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। তিনি দেশের ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ওয়েস্ট মিটস ইস্ট স্ক্রিনপ্লে ল্যাবের সহ-প্রধান। ঋতি ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ভোটার এবং ২০২০ সালে বার্লিনালে ট্যালেন্টসে প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং লোকার্নো ওপেন ডোরস এর সাথে মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপের অংশ হিসাবে তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পরাবাস্তব চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ান।   চিত্রনাট্যকারের ভূমিকায় ঋতিকে দেখা গিয়েছে নুরুল আলম আতিকের ওয়েব সিরিজ ‘আষাঢ়ে গল্প’তে। তার দুটো শর্ট ফিল্ম অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৪-২৫ মে, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের কান সৈকতে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে আহমেদ মুজতবা জামাল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে কান উৎসবে ফিপ্রেসকি জুরি ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগে

ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিচারিক আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এই অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।  প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় এ কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে  একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে। ওই চুক্তির পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫শ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’ এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে এরইমধ্যে অনেক বিচারক এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩

ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ভারত যাচ্ছেন আগামী মে মাসে। এদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা। সেখানে তারা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ১০ দিন তরা দেশটিতে অবস্থান করবেন। এ প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই। এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক নিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের পনের-ষোলশ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’ এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গতবছরও ৯ থেকে ১৯ অক্টোবর ৫০ বিচারপতি প্রশিক্ষণ নেন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭

বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি বিচারক
ইরানে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার ৪০তম আসরে সম্মানিত বিচারক হিসেবে অংশ নিতে সফরে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)-এর প্রেসিডেন্ট, মা’হাদুল ক্বিরাত বাংলাদেশের পরিচালক কারি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী। আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইরানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। জানা যায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে আগামী ১৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি হিফজ, কিরাত ও তাফসিরসহ মোট  আটটি বিভাগে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাঈসী বিচারকমণ্ডলী ও প্রতিযোগীদের মাঝে সম্মাননা-পুরস্কার প্রদান করবেন। স্বাধীনতার পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইরানে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন কারি আহমাদ বিন ইউসুফ।   এর আগে ২০১১ সালে আহমাদ বিন ইউসুফ এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো কিরাতে ৩য় স্থান অর্জন করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেন। তার এই সফরের মাধ্যমে সারা বিশ্বে লাল সবুজের পতাকা আরও একবার সমুন্নত হবে ও বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি পাবে।   প্রতিযোগিতা শেষে কারি আহমাদ ইউসুফ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন। তিনি বাংলাদেশে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত ও কিরাতের রুপকার কারি মুহাম্মাদ ইউসুফ রহিমাহুল্লাহর বড় ছেলে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন সেই বিচারক
আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সোহেল রানাকে এক মাসের সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সোহেল রানার আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও ব্যারিস্টার  মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ। এর আগে, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মালায় ২০১৯ সালের ৬ মার্চ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত বছরের ১০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে মামলার কার্যক্রম চালানো এবং অভিযোগ গঠন করায় বিচারক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন আসামি। এরপর গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে বিচারক সোহেল রানাকে তলব করেন। পরবর্তীতে সোহেল রানার প্রতি আদালত অবমাননার স্বপ্রণোদিত রুল দেন হাইকোর্ট। রুলের পর গত ৩১ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন সোহেল রানা। এরপর ১২ অক্টোবর সোহেল রানা হাইকোর্টে হাজির হন এবং আদালত অবমাননার বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট কারাদণ্ড দেন এবং জরিমানা করেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩

তমিজী হকের জামিন শুনানিতে ক্ষুব্ধ বিচারক
আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে আদালতে হাজির না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। দেশে কি আইন-আদালত নেই। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জানতে চান, গ্রেপ্তারের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির না করে কিভাবে আসামিকে রাখা যায়। এসময় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন আরফাতুল রাকিব।  আদম তমিজী হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুনানি শেষে আদম তমিজী হকের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। এজন্য তমিজী হকের আইনজীবী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দায় চাপান। তিনি বলেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটায় আদালত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুনানিতে এ আইনজীবী বলেন, আদম তমিজী হক একজন মানসিক রোগী। মানসিক ইন্সটিটিউট বিকন পয়েন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় তাকে সেখানেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন। তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকলে কোর্টে না এনে কিভাবে সেখানে রাখা হলো বলে জানতে চান আদালত। এসময় আইনজীবী জানান, তাকে আদালতে আনা সম্ভব ছিলো না। এ উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত বলেন, বাংলাদেশের একটা সংবিধান আছে। তাহলে সংবিধান ছিঁড়ে ফেলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেও আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এতদিন সেখানে কিভাবে থাকেন। দেশে কি আইন-আদালত নাই। গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে এবং নিজ দল আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তমিজী হক। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আদম তমিজী বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। এরপর গত ১৩ নভেম্বর রাত ১২টায় ঢাকায় ফেরেন আদম তমিজী। পরে রাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে ১৫ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আদম তমিজী হক ইচ্ছাকৃতভাবে তার কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে যায় র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে র‍্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার না করে চলে যায়।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৩

ড. ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন : বিচারক
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন আসামি শ্রম আইনের ৪,৭ ও ৮ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারক। সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণাকালে এ পর্যবেক্ষণ দেন। রায় ঘোষণা এখনও চলছে। দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। ২টা ১৫ মিনিটে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসাসিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এ সময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত। উল্লেখ্য, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া চলছে। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই রায় পড়া শুরু হয়। এর আগে, দুপুরে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা।  
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়