• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিচার কার কাছে দেব, অবন্তিকার মায়ের আহাজারি
‘এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে চলে গেল, এটাই বুঝি আমার প্রাপ্য ছিল। একটা বিধবা নারীর প্রাপ্য ছিল। আমি এখন সন্তানহারা। আমি এর বিচার কার কাছে দেব?’- এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তার আহাজারি যেন থামছেই না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের কষ্ট প্রকাশ করেন তিনি।  তিনি বলছিলেন, ‘গত রোজায় সরকারি কলেজের অধ্যাপক স্বামীকে হারালাম। এবার মেয়েকে হারালাম। এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে আমার কাছ থেকে চলে গেল। মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিল না। ও সাহসী মেয়ে ছিল। বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।’ তাহমিনা শবনম বলেন, ‘হায় রে অবন্তিকা তুই আমারে কত বলছিলি মা একটা জিডি করো মা একটা জিডি করো। আমি বলেছি মা এগুলা করব না। আল্লায় বিচার করবে। আমার আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ছিল। আল্লাহ আমার কাছ থেকে তোরেই নিয়ে গেল! আরে তোরে নিয়ে গেল অবন্তিকা? আমি কত কষ্ট করলাম। আমি এই জন্যই কষ্ট করলাম।’ গতকাল ইফতারের পর মেয়েকে বিষণ্ন দেখেছিলেন মা তাহমিনা শবনম। তখন মন খারাপ কেন জানতে চেয়েছিলেন মা। অবন্তিকা শুধু বলেছিলেন, ‘এমনি।’ কিন্তু মেয়ে যে আত্মহত্যা করবে, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, ঢাকায় কিছুদিন আগে মেয়েটা কলতা বাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না। পরে আমি ওর সঙ্গে গেলাম ঢাকায়। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা বলতেছে তোমার কি পরীক্ষা শেষ? না কি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে। তিনি বলেন, রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি তারপরে আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো একটা স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে ওই আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কীসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না, কোনো কিছু হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।  মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী নানাভাবে তাকে উৎপীড়ন করতেন। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন। আপত্তিকর মন্তব্য করতেন, হুমকি দিতেন। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফাইরোজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরই ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

রাজিয়ার মৃত্যুতে স্বামীর অভিযোগ, বিচার চেয়েছেন চেয়ারম্যানের কাছে
সন্তান প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যান বাংলাদেশের হয়ে সাফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা। তবে তার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্বামী ইয়াম রহমান। তিনি অভিযোগ করেছেন পরিবারের অবহেলার শিকার রাজিয়া, মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাজিয়ার মা বাধা দেন। ইয়ামও পেশায় একজন ফুটবলার। ফুটবলার হিসেবেই বাফুফে ভবন-সংলগ্ন টার্ফে তাদের পরিচয়। তারপর দেড় বছর প্রেম করে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তারা। রাজিয়ার অকাল মৃত্যু সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন ইয়ামের। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্ত্রী রাজিয়ার দাফন শেষে দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইয়াম। তিনি বলেন, বিকেলে রাজিয়ার দাফন শেষ করে এখনো কবরের পাশে বসে আছি। কি থেকে কী হয়ে গেলো। আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। কিন্তু তাকে নেওয়া হয়নি। রাজিয়ার মা ও ভাইয়ের ওপর অভিযোগ করে ইয়াম বলেন, আমি এখানে এসে শুনলাম, রাজিয়া আমার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য তার মাকে অনুরোধ করেছিল ফোনে ধরিয়ে দিতে। তার মা সেটাও দেয়নি। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে এর বিচার চেয়েছি। নিজের বাচ্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, আমার বাড়ি চট্টগ্রামে। মা আসতেছেন। তিনি এখন পথে। তিনি আসলেই শিশু সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাচ্চাকে আমার ভাবির কাছে বগুড়ায় দিয়ে আসবো। রাজিয়া সুলতানা ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল দলে খেলেছেন। ২০১৮ সালে সাফ জেতা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, মা হওয়ার পরও ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রাজিয়া। গত বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল তখন সে খেলেছে এবং ওই সময়ই আমাকে সুঃসংবাদ দিয়েছিল আমি বাবা হতে চলেছি। ‘তখন রাজিয়া বলেছিল তার ফুটবল খেলার কী হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, বাচ্চা হওয়ার পর আবার খেলবা। এখন নিজেই সবকিছু থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো’।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

‘জিয়াউর রহমান রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছে, আমরা বিচার করছি’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছে, আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের বিচার করছে।  শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ২০ বছর পূর্তি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, যারা প্রধান রাজাকার ছিল, তাদের বিচার করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে রাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কারও বিচার করবে না। আর কেউ বিচার দিলেই তার সাজা হচ্ছে না। তদন্ত করেই অপরাধ প্রমাণ হলে সাজা পাচ্ছে রাজাকাররা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর ফরহাদ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি  মানিক শীল। গ্রান্ড রিইউনিয়নে সিপিএস বিভাগের পাঁচশোর বেশি সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২১:১২

স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন
সংসদে বিরোধী দলের এমপিদের সমালোচনার মুখেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করতে বিল পাস হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার-সংশোধন) বিল-২০২৪’ উত্থাপন করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন।  বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।  বিলটি পাসেরর বিরোধিতা করে সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি যখন আইনটি করে, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং সব দলের পক্ষ থেকে এই আইনের সমালোচনা করা হয়েছিল। দ্রুত বিচার আইন নাম হলেও কোর্টে কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুব কম মামলা শেষ হয়। সিআরপিসি মামলা যেভাবে চলে, সেভাবেই চলে। শুধু গ্রেপ্তারের বেলায় আইনটা মনে করা হয়। এই আইন দিয়ে সরকারের যদি ইনটেনশন থাকে, সাধারণ মানুষ বা প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করার সুযোগ আছে। আপনি আজকে ক্ষমতায় আছেন, কালকে ক্ষমতায় যদি অন্য কেউ আসে; এই আইনের মাধ্যমে আপনারাই হয়রানির শিকার হবেন। সেদিন আফসোস করবেন। তিনি বলেন, আইনটি স্থায়ী করবেন না। প্রত্যাহার করেন প্রয়োজনে। এক-দুই বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ান। আপনারা ভুগবেন, মানুষ ভুগবে। জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি এনেছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের সরকার আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো—যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সে সময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি, আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে। সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।  পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে, তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্য কোনো সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়নি। অর্থাৎ আইনটির বিদ্যমান ধারা এখনকার মতো থাকবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৪

রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণই এখন সংখ্যালঘু : প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আইনজীবী ডক্টর পায়াম আখভান। এ সময় এসব কথা তুলে ধরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।    আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আইনজীবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এখন সেখানকার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জটিল বলে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা, ডক্টর পায়াম আখভানকে বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের আগমনে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটা অংশ ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সাক্ষাতে ‘জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে’ বিভিন্ন রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আইসিজে-তে বাংলাদেশের আইনগত উপস্থাপনা প্রস্তুত করতে সহায়তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. পায়ম আখভানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ড. পায়ম আখভানও এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫০

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে যা বললেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মার্চ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তার ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্ট দেন। ফেসবুকের সেই পোস্টে তিনি বেইলি রোডের আগুন ও বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে কথা বলেন। আরটিভির পাঠকদের জন্য সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- বনানীর F R টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার আজো হয়নি : বেলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৬ ছাড়িয়েছে। এর দায় অবশ্যই তাদের নিতে হবে যাদের গাফিলতির কারণে এই নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হলো। স্বজন হারাদের আর্তনাদ, অপূরণীয় ক্ষতি এবং অনেক পরিবারের সুন্দর ভবিষ্যৎ কিভাবে নির্মমতায় শেষ হয়ে গেল, এর বিচার হবে কিনা জানিনা।‌ বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলো, আমাদের ভবনগুলির অব্যবস্থাপনা এবং দেখভাল করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি করেছিলাম একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। তদন্তে ৬২ জনের দায় নিরূপণ হয়েছিল ভবন নির্মাণ এবং তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্য থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে দায়ীদের সকল তথ্য দিয়েছিলাম দুর্নীতি দমন কমিশনকে। অপ্রিয় হলেও সত্য ,তদন্ত রিপোর্টে যাদের দায় নিরুপন হয়েছিল তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়নি। আরো আশ্চর্য যে, তদন্ত শেষে আরো অনেককেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগপত্রে। যাদের দায় নির্ধারণ করেছিল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি, তাদের চেয়ে অনেক নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঐ দায়ীদের একটি অংশকে অব্যাহতি দিয়ে দিলেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে তাদের জামিন হয়ে গেলো। এমনও নজির রয়েছে, কোন কোন আসামিকে একদিনের জন্যেও জেল হাজতে যেতে হয়নি। বিচারে শাস্তি হওয়াতো অনেক দূরের কথা। যতদূর জানি এই মামলার বিচার আজও হয়নি। ওই ঘটনা দেশি-বিদেশি সকল গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ওই ঘটনার পরে ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে অনেক ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে। রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থাকে এজাতীয় ভবনের তদারকের উপরে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বলতে আমার দ্বিধা নেই, সবকিছুই স্থিমিত হয়ে যায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই। এভাবেই অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রভাবশালীদের হাত অনেক লম্বা। তারা সবকিছুই ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন। বেলিরোডের নির্মমতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করলেও অনেকেই এই সকল অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ ঘটনায় দায়ীদের বাঁচাবার জন্যই তৎপর হয়ে যান। নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুড এর ঘটনায় পোড়া দেহগুলি স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করার পূর্বেই জামিন হয়ে গেলো আসামিদের। আমাদের বিবেক কি, নির্বাক হয়ে এসব দেখেই যাবে? নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া কি আর বলার আছে? চিকিৎসাধীন যারা তাদের আরোগ্য কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হোন। এই ঘটনায় দায়ী অপরাধীরা যেহেতু শক্তিশালী, তাদের হাত অনেক লম্বা, তাই তাদের নিয়ে না হয় কোন মন্তব্য করলাম না।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

সংসদে ডা. দীপু মনির বিচার চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
‘আমার নির্বাচনী এলাকার মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজটিকে বিগত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ধ্বংস করেছেন’ অভিযোগ করে গত সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর বিচার দাবি করেছেন ঢাকা–১৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন তিনি। বক্তব্যে তিনি বিগত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বললেও নাম উল্লেখ করেননি। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের তখনকার অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনকে অবৈধ ঘোষণা করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। তিনি সোয়া ২ বছর ধরে অবৈধভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২ জুলাই বয়স ৬০ বছর হওয়ার পরও তার চাকরির মেয়াদ তিন বছর বাড়ায় গভর্নিং বডি। এরপর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের তদন্তে ফরহাদ হোসেনের নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ার কথা জানানো হয়।  এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। পরে আদালতের নির্দেশে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। তবে পরিচালনা কমিটি কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির মূল বালিকা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান জাকির হোসেন। তখন দুপক্ষের রেষারেষিতে অচলাবস্থা তৈরি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন তৎকালীন শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা (মিরপুর-কাফরুল) অসংখ্য জামায়াতের নেতাকর্মী বসবাস করে। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রার্থী হয়েছিলেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে। সেখানের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেটি এখন ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। হঠাৎ করে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও ঢাকার ডিসির কারসাজিতে জামায়াতকে ক্ষমতায় বসিয়ে আমার গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। ২৩০০ ছেলেমেয়ে ফেল করেছে। আগের বছর থেকে ১২০০ ছেলে মেয়ে জিপিএ-৫ কম পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জামায়াতের, তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। সে প্যারালাইসিসে ভুগছে, সে কথা বলতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার বলার পরেও তাকে এখনো সরানো হয়নি। কোর্টের পর কোর্ট মামলা তারা করছে, স্কুলটাকে ধ্বংসের মুখোমুখি তারা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান স্কুলটাকে আপনি রক্ষা করুন। আপনার বরাদ্দ দেওয়া জমিতে আমি তিলে তিলে এ স্কুলটি গড়ে তুলেছি। এটি ননএমপিওভুক্ত ‍শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি জানি না কী কারণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কুনজর পড়েছে স্কুলটির ওপর। আমি তারও বিচার চাই।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন আমির
পাকিস্তানে চলছে পিএসএলের নবম আসর। এরমধ্যেই মুলতানের ডেপুটি কমিশনারের বিরুদ্ধে আমিরের পরিবারের সদস্যরা হেনস্তার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। এ অভিযোগে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের কাছে বিচার চেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ করা পোস্টে আমির লিখেছেন, মুলতানের ডেপুটি কমিশনারের অগ্রহণযোগ্য ব্যবহারে বিস্মিত। তিনি আমার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, দাম্ভিকভাবে মাঠের মালিকানা দাবি করেছেন এবং ম্যাচের মধ্যে অন্যায়ভাবে আসন থেকে তাদের তুলে দিয়েছেন। ‘ক্ষমতার এই অপব্যবহার অসহ্য! ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মরিয়ম নওয়াজ (নাম ট্যাগ করে) আশা করি আপনি ব্যবস্থা নেবেন।’ চলমান বিপিএলে করাচি কিংস ছেড়ে এবার কোয়েটা গ্লাডিয়টর্সে খেলছেন ৩১ বছর বয়সী আমির। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে মোট ৬ পয়েন্ট নিয়ে পিএসএল টেবিলের দুইয়ে তারা। এই চার ম্যাচেই খেলা আমির এ পর্যন্ত ৪ উইকেট পেয়েছেন। চলতি বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা কথা ছিল আমিরের। শেষ পর্যন্ত বরিশালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে আইএল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন এই পাকিস্তানি পেসার। এবার খেলছেন পিএসএল।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬

দ্রুত শেষ হবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পিলখানার হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পিলখানায় একটি বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। তদন্ত সম্পন্ন করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড ছিল। এগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক একটা বিচার হয়েছে। চূড়ান্ত বিচার হয়তো অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চূড়ান্ত বিচারটাও আমরা দেখব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচার কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, এখানে কারও গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরণের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরণের বিচার কার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (যা এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা করা হয়। মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

নির্যাতনের বিচার একদিন হবেই : নজরুল
নির্যাতনের বিচার একদিন হবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গোপীবাগে কারাগারে নিহত বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, অত্যাচার-নির্যাতন চিরজীবন চলবে না। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হতো না। নির্যাতনের বিচার একদিন হবেই। তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে যারা নির্যাতন, গুম, খুন ও শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সময়ের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। অনেক আন্দোলনে বিএনপি বিজয়ী হয়েছে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে। বিএনপি আবারও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কথায় বিএনপি গুরুত্ব দেয় না। জোট করে বিএনপি আন্দোলন করছে না, করছে যুগপৎভাবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়