• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বাড়ছে : ড্যাব
দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকে ন্যক্কারজনক অ্যাখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, মূলত বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি পরমুখাপেক্ষী চিকিৎসা ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদানে যারা তাদের শ্রম ও মেধা ব্যয় করছেন তাদের ওপর সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী ও দুর্বৃত্তদের হাতে চিকিৎসকদের ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ওপর শারীরিক নির্যাতন অমানবিক এবং অযাচিত।  তারা বলেন, কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের ওপর আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে নিজের হাতেই আইন তুলে নিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী একের পর এক চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ ভাঙচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে রক্তিম দাস নামের একজন চিকিৎসককে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। প্রচণ্ড আঘাতের কারণে ওই ডাক্তারের মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়। আহত চিকিৎসক মামলা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা যেহেতু এমপির কাছের লোক তাই পটিয়া থানার ওসি মামলা নিতে চায়নি। শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মামলা নেওয়া হয় বটে, কিন্তু মামলার ধারা পরিবর্তন করে সেটাকে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা নেওয়া হয়।  ড্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, পহেলা বৈশাখের দিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে কতিপয় দুর্বৃত্ত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন শিপলুর ওপর এনআইসিইউতে গুরুতর অসুস্থ শিশুর মৃত্যু হলে তার আত্মীয়-স্বজনরা হামলা করলে ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি এখন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। এর কিছুদিন আগে একজন চিকিৎসক তার সন্তানকে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন এবং পরে মারা যান।  তারা আরও বলেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর এই ধরনের হামলা ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি এবং সামাজিক অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বর্তমান বাংলাদেশ, যেখানে বিচারহীনতাই সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে।  ড্যাবের সভাপতি ও মহাসচিব অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং ডাক্তারদের নিরাপদ কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে। অন্যথায় দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে এবং এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১

পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফৌজদারি মামলায় তার বিচার শুরু হলো।  প্রসঙ্গত, ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আইনের দিক থেকে ভুল কিছু করেননি বলে দাবি তার। এমনকি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখতে নিজের ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এদিকে মুখ বন্ধ রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। উল্লেখ্য, সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়ায় ছয় সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষের এই মামলাতেই আদালতকক্ষে হাজির হতে হল রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য এই প্রার্থীকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

রমনার বটমূলে বোমা হামলার ২৩ বছরেও হয়নি বিচার
২৩ বছর আগে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলার এখনো বিচার হয়নি। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে বোমা হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতে রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালত বদল হওয়ায় শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। ১০ বছরে অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।   অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়ার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।   আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয় এবং পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর শীর্ষ হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। বর্তমানে মামলাটিতে মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। এর মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৯

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি : ৯ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
২০১৫ সালে বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় বেশ কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় সাত আসামিকে খুঁজে না পেয়ে পরের বছর কামাল নামে এক ব্যবসায়ীকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরের বছরের জুন মাসে আসামি কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। কিন্তু অভিযোগ গঠনের প্রায় ছয় বছর পরও ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তারা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসছেন না। সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আলোচিত মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।  জানা গেছে, ঘটনার প্রায় দুই বছর পর কামাল নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলাটিতে ৯ জনের সাক্ষী নেওয়ার পর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এ দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে নতুন দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আগামী পহেলা বৈশাখের আগে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়ী কামালকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে আট লাঞ্ছনাকারীর মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্য সাতজনকে খুঁজে না পাওয়ায় তাদের চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে। এ মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে। এ মামলার একমাত্র আসামি কামাল জামিনে রয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলা নববর্ষের উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে মামলাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাদ পড়ায় আমরা রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে আবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করি। আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটিতে কিছু পুলিশ সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হবে। তারা সাক্ষ্য দিলে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। আশা করছি, দ্রুতসময়ের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল টিএসসিতে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এসময় সেই নারীদের বাঁচাতে গেলে নিপীড়কদের আঘাতে হাত ভাঙে তৎকালীন ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দী। আহত হন ছাত্র ইউনিয়নের আরও দুই নেতা। পরে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বারবার অভিযোগ করলেও পুলিশ প্রথমে স্বীকার করেনি। পরে ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯

ভাই হত্যার বিচার চাইলেন শাহনূর
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শাহনূর ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার দাবি আসামিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।    শাহনূর পোস্টে লেখেন, আমার আপন খালাতো ভাই আলিফ হত্যার সঠিক বিচার আমরা পাইনি। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এবং শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাইয়েরা কেউ সহযোগিতা করতে পারেননি। আসামিরা দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই আছে। এটা আমাদের সমাজের এবং জাতির কাছে লজ্জাজনক ব্যাপার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে শাহানূরের খালাতো ভাই আলিফকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। সেসময় বিচারের দাবিতে শাহনূর একাধিক পোস্ট করেন।  শাহনূর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল সংগঠনটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মিশা-ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন চারপাশ। ২২তলা ভবনটিতে থাকা মানুষের আত্মচিৎকার ও বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা। অনেকে সুউচ্চ ভবনটির কাঁচের দেয়াল বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ হাত ফসকে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হচ্ছেন। খবর পেয়ে মুহূর্তেই ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার জরুরি কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকেও পানি ছিটানো হয়। কিন্তু কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আগুন থেকে রক্ষা পেতে অনেকে লাফিয়ে নিচে পড়ছেন। শুনে মনে হতে পারে এটি কোনো হলিউড বা বলিউড সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু না এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এমনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল রাজধানী ঢাকার বনানীর ফারুক-রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন প্রাণ হারান। এ ছাড়া অনেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও পোড়া ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও অগ্নিকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি।  বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ওই বছরের ৩০ মার্চ বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভীরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে নকশা জালিয়াতির অভিযোগে অপর মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুলিশের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভবনটির জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এবং এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধার লোভে নির্মাণ বিধিমালা না মানায় এফআর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পুলিশের দায়ের করা মামলটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভীরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুন নবী ও রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর। পরে মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত না হওয়ায় পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। পরবর্তীতে গত ২২ জানুয়ারি একই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।  পিবিআইয়ের চার্জশিট থেকেও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত ৮ আসামির বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করেন। সবশেষ গত ১২ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত বিচারের জন্য মামলার নথি সিএমএম বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করবো সাক্ষীদের হাজির করে যতদ্রুত সম্ভব মামলার বিচারকাজ শেষ করার। অন্যদিকে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর নকশা জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ জুন দুদকের উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলাবিশিষ্ট এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করেন। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে ভবনের দুই পাশে যে পরিমাণ জায়গা রাখার কথা তা–ও রাখা হয়নি। এ ছাড়া আবাসিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হলেও পুরো ভবনটি ব্যবহার করা হয়েছে বাণিজ্যিক কাজে। নকশা জালিয়াতির মামলায় ভবন মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ ৪ জনের বিচার চলছে। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদেম, রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪

আটক সোমালিয়ান জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত
সোমালিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধার করা জাহাজ এমভি রুয়েন থেকে আটক ৩৫ জলদস্যুকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। আটক এই সোমালিয়ান দস্যুদের বিচারের মুখোমুখি করবে ভারত।  বুধবার (২০ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটি আগামী শনিবার (২৩ মার্চ) ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতে আনার পর জলদস্যুদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই নৌ কর্মকর্তা। এছাড়া জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয় বলে জানান তিনি।  এর আগে, গত ১৬ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি জাহাজে থাকা ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে কমান্ডোরা।  জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সোকোত্রা থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে উত্তর আরব সাগরে মাল্টার এই জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ান দস্যুরা।  রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের এই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১১ সালে। ওই সময় এ অঞ্চলের জলদস্যুদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার তাদের কাছে গিয়েছিল মুক্তিপণ হিসেবে।  জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের ঘটনা সর্বোচ্চে পৌঁছানোর ওই সময় বড় ধরনের হামলায় জড়িত জলদস্যুদের বিচার করে কারাগারে বন্দি করতো ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী আটককৃত জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এমভি রুয়েন ছিনতাইয়ে জড়িত জলদস্যুদের বিচারের মাধ্যমে কয়েক বছর পর প্রথমবারের মতো ফের জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২১:২১

বিচার কার কাছে দেব, অবন্তিকার মায়ের আহাজারি
‘এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে চলে গেল, এটাই বুঝি আমার প্রাপ্য ছিল। একটা বিধবা নারীর প্রাপ্য ছিল। আমি এখন সন্তানহারা। আমি এর বিচার কার কাছে দেব?’- এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তার আহাজারি যেন থামছেই না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের কষ্ট প্রকাশ করেন তিনি।  তিনি বলছিলেন, ‘গত রোজায় সরকারি কলেজের অধ্যাপক স্বামীকে হারালাম। এবার মেয়েকে হারালাম। এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে আমার কাছ থেকে চলে গেল। মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিল না। ও সাহসী মেয়ে ছিল। বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।’ তাহমিনা শবনম বলেন, ‘হায় রে অবন্তিকা তুই আমারে কত বলছিলি মা একটা জিডি করো মা একটা জিডি করো। আমি বলেছি মা এগুলা করব না। আল্লায় বিচার করবে। আমার আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ছিল। আল্লাহ আমার কাছ থেকে তোরেই নিয়ে গেল! আরে তোরে নিয়ে গেল অবন্তিকা? আমি কত কষ্ট করলাম। আমি এই জন্যই কষ্ট করলাম।’ গতকাল ইফতারের পর মেয়েকে বিষণ্ন দেখেছিলেন মা তাহমিনা শবনম। তখন মন খারাপ কেন জানতে চেয়েছিলেন মা। অবন্তিকা শুধু বলেছিলেন, ‘এমনি।’ কিন্তু মেয়ে যে আত্মহত্যা করবে, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, ঢাকায় কিছুদিন আগে মেয়েটা কলতা বাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না। পরে আমি ওর সঙ্গে গেলাম ঢাকায়। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা বলতেছে তোমার কি পরীক্ষা শেষ? না কি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে। তিনি বলেন, রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি তারপরে আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো একটা স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে ওই আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কীসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না, কোনো কিছু হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।  মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী নানাভাবে তাকে উৎপীড়ন করতেন। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন। আপত্তিকর মন্তব্য করতেন, হুমকি দিতেন। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফাইরোজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরই ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

রাজিয়ার মৃত্যুতে স্বামীর অভিযোগ, বিচার চেয়েছেন চেয়ারম্যানের কাছে
সন্তান প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যান বাংলাদেশের হয়ে সাফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা। তবে তার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্বামী ইয়াম রহমান। তিনি অভিযোগ করেছেন পরিবারের অবহেলার শিকার রাজিয়া, মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাজিয়ার মা বাধা দেন। ইয়ামও পেশায় একজন ফুটবলার। ফুটবলার হিসেবেই বাফুফে ভবন-সংলগ্ন টার্ফে তাদের পরিচয়। তারপর দেড় বছর প্রেম করে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তারা। রাজিয়ার অকাল মৃত্যু সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন ইয়ামের। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্ত্রী রাজিয়ার দাফন শেষে দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইয়াম। তিনি বলেন, বিকেলে রাজিয়ার দাফন শেষ করে এখনো কবরের পাশে বসে আছি। কি থেকে কী হয়ে গেলো। আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। কিন্তু তাকে নেওয়া হয়নি। রাজিয়ার মা ও ভাইয়ের ওপর অভিযোগ করে ইয়াম বলেন, আমি এখানে এসে শুনলাম, রাজিয়া আমার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য তার মাকে অনুরোধ করেছিল ফোনে ধরিয়ে দিতে। তার মা সেটাও দেয়নি। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে এর বিচার চেয়েছি। নিজের বাচ্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, আমার বাড়ি চট্টগ্রামে। মা আসতেছেন। তিনি এখন পথে। তিনি আসলেই শিশু সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাচ্চাকে আমার ভাবির কাছে বগুড়ায় দিয়ে আসবো। রাজিয়া সুলতানা ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল দলে খেলেছেন। ২০১৮ সালে সাফ জেতা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, মা হওয়ার পরও ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রাজিয়া। গত বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল তখন সে খেলেছে এবং ওই সময়ই আমাকে সুঃসংবাদ দিয়েছিল আমি বাবা হতে চলেছি। ‘তখন রাজিয়া বলেছিল তার ফুটবল খেলার কী হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, বাচ্চা হওয়ার পর আবার খেলবা। এখন নিজেই সবকিছু থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো’।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

‘জিয়াউর রহমান রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছে, আমরা বিচার করছি’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছে, আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের বিচার করছে।  শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ২০ বছর পূর্তি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, যারা প্রধান রাজাকার ছিল, তাদের বিচার করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে রাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কারও বিচার করবে না। আর কেউ বিচার দিলেই তার সাজা হচ্ছে না। তদন্ত করেই অপরাধ প্রমাণ হলে সাজা পাচ্ছে রাজাকাররা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর ফরহাদ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি  মানিক শীল। গ্রান্ড রিইউনিয়নে সিপিএস বিভাগের পাঁচশোর বেশি সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২১:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়