• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে জবিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, থমথমে পরিবেশ
শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় রাতে ও দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এই মুহূর্তে। যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এদিকে শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হলেও ক্যাম্পাসে ওইসময় শিক্ষার্থীদের জড়ো হতে দেখা যায়নি খুব একটা। ক্যাম্পাসে মানুষজনের আনাগোনাও ছিল কম।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, বিকেলে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মানববন্ধন শেষ করে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমর্থন জানাব। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর মিছিল থেকে ‘ফাইরুজ অবন্তিকা হত্যার বিচার কর’, ‘নিপীড়নকারী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়। তারা বলেন, ‘পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে, ভিকটিম ব্লেমিং বন্ধ ও ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলকে শক্তিশালী করতে হবে।’ সেইসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে তাকে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক বাসদের
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনগণের জীবনকে আরও ভোগান্তির মধ্যে ফেলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ। একইসঙ্গে দলটি সমন্বয়ের নামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এ দাবি না মানলে আগামী ১ মার্চ দেশব্যাপী বামজোট আহুত বিক্ষোভ পালন করবে। এ কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে নেমে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় দলটি। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের পাঠান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে সমন্বয়ের নামে পর্যায়ক্রমে ১৫ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বশেষ গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডলারের সঙ্গে টাকার মূল্যমানের হ্রাসের যে অজুহাত দেওয়া হয়েছে। আমদানি রপ্তানির নামে ডলার পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সাধারণ মানুষ জড়িত নয়। অথচ এর দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই। ২০০ ইউনিটের নিচে ৩৪ পয়সা এবং বেশি ব্যবহারকারীদের ৭০ পয়সা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ যেমন বাড়াবে, তেমনি সরকার ও লুটপাটকারীদের দায় এড়ানোর পথ তৈরি করবে। আমরা বহু দিন থেকে বলে আসছি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতসহ অন্যান্যক্ষেত্রে চলমান দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করলে এবং তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে গ্যাস ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়েও কম দামে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব। তাছাড়া সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন না করে ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় ও অলস বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ভর্তুকি দেওয়ার ভুল নীতি অনুসরণ, দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ না করে নানা অজুহাতে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি সরকারের দুর্নীতিবাজ তোষণের ফল। বিদ্যুৎসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অবিলম্বে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে সবক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অপচয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে সরকারের সব ধরনের অনিয়ম ও স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিদ্যুৎসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১ মার্চ দেশব্যাপী বামজোট আহুত বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে নেমে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক বাম জোটের
সমন্বয়ের নামে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আগামী ১ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।  বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তা জনগণের কাঁধে চাপানোর প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের এই ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ জনগণ মেনে নেবে  না। এর সঙ্গে দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই প্রধান কাজ। বক্তারা আরও বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের দাম কমানোর কথা বললেও যেসব ব্যবসায়ী এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম হোতা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও সারাদেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু ছাড়া এই সংকটের সমাধান হবে না। কিন্তু সরকার সেই পথে হাঁটছে না।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১১

বিক্ষোভের ডাকে ১৪৪ ধারা জারি পাকিস্তানে
নির্বাচনের পর বেসামাল হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি। ক্ষমতা দখলে চলছে ভাঙা-গড়ার খেলা। ভোটের পর পরই ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। আজ দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশস্থলের নামও ঘোষণা করেছে তারা। এর প্রেক্ষিতে ইমরান সমর্থকদের ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রাজধানী জুড়ে। খবর ডনের। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য শহরজুড়ে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে পুলিশ। পিটিআই দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ঘোষণায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যেকোনো সময় এফ৯ পার্কের কাছে ট্রাফিক বাড়ানো হতে পারে। এ এলাকায় জনগণকে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদ জুড়ে টহল বাড়ানো হয়েছে এবং চেকপয়েন্টগুলোতে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। জরুরি এবং যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে কাউন্টার টেররিজম বিভাগের স্পেশাল ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে টহল অব্যাহত রেখেছে তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান বলেন, যারা বিশ্বাস করেন ম্যান্ডেট পরিবর্তন ও নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে আমরা সেসব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। শনিবার বিকেলে পিটিআই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। এ কর্মসূচিতে জনসাধারণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ব্যারিস্টার গওহর আলি খান বলেন, এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের ম্যান্ডেট চুরি হতে দেব না।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক পিটিআই’র
পাকিস্তানজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। জোট সরকার গঠনে পাকিস্তান পিপিলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইমরান খান এমন তথ্য জানানোর পরই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান। খবর জিও নিউজের। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ পালনে জামায়াত-ই-ইসলামি, জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) অন্যান্য দলগুলোকেও পাশে চান পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান। পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান বলেন, এবারের  নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আমাদের ম্যান্ডেট চুরি হতে দেব না। প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ৯২টি আসনে জয় পেয়েছে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ছাড়া দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭৯টি ও বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জয় পেয়েছে ৫৩টি আসনে। কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ব্যাপক রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। এদিকে সংবিধান অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অথবা নির্বাচনের দিন থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। আর জাতীয় পরিষদে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এর মধ্যে নারীদের ৬০টি এবং অমুসলিমদের জন্য ১০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯

লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক বিক্ষোভের মুখে মোদি  
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। দেশ জুড়ে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। নির্বাচনের প্রাক্কালে আন্দোলনের যে তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে পিছিয়ে যেতে পারে ভোটের আয়োজনও।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ শুরু করেছেন ভারতের কৃষকরা। ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল ও শস্যবিমার দাবিতে হাজার হাজার কৃষক রাস্তায় নেমেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকার।  কৃষকদের এই রোডমার্চ ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তা চাঁদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এছাড়া কৃষকরা যাতে ট্রাক্টর, ট্রাক ও ট্রলি নিয়ে সড়কে নামতে না পারে সেজন্য জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেকোনো জমায়েত ও সমাবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দিল্লিজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে সিএপিএফ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ব্যাটালিয়নসহ দুই হাজারেরও বেশি সদস্য।   তবে, আন্দোলন ঠেকানোর জন্য মোদি সরকারের কোনও পায়তারাই তোয়াক্কা করছেন না কৃষকরা। দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই তারা রাজধানী দিল্লির দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন বলে খবর দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের।  সূত্রের বরাতে ভারতের আনন্দবাজার বলছে, শুধু পঞ্জাব থেকেই ১৫০০টি ট্র্যাক্টর, ৫০০ গাড়ি নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছেন কৃষকেরা। ওইসব গাড়িতে প্রায় ৬ মাসের খাবার নিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হলে কি ২০২০ সালের পর আরও একটি দীর্ঘ সময়ের কৃষক আন্দোলন দেখতে চলেছে দিল্লি-সহ গোটা ভারত? ওই সময় দিল্লির সীমানায় যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকেরা, সেই আন্দোলন ১৩ মাস ধরে চলেছিল। এবারও কৃষকেরা সেই পথেই হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লির সীমানা। পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের কৃষক হরভজন সিংহ এনডিটিভিকে বলেন, 'সুচ থেকে হাতুড়ি, সবকিছু ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছি আমরা। ব্যারিকেড ভাঙার যন্ত্রও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা ৬ মাসের জন্য খাবার নিয়ে রওনা দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে প্রচুর জ্বালানিও আছে।' আরও এক কৃষক জানিয়েছেন, এর আগের আন্দোলন ১৩ মাস ধরে চলেছিল। এরপর কৃষকদের দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তারা রাখেনি। তার ভাষ্য, 'এবার যত দিন না পর্যন্ত আমাদের দাবিদাওয়া মেনে না নেওয়া হবে, ততদিন আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।' কৃষকদের এই ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ রুখে দেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বৈঠকও করেন। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সোমবার রাত ১১টার পর বৈঠকে বসে ২০২০ সালের ইলেক্ট্রিসিটি আইন বাতিল করার বিষয়ে কৃষক নেতাদের আশ্বস্ত করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষকদের মূল তিনটি দাবি— ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মওকুফ এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ নিয়ে দুপক্ষ কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। বৈঠকে যোগ দেওয়া কৃষকদের এক প্রতিনিধির অভিযোগ, দুই বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সে ব্যাপারে কিছুই করেনি কেন্দ্র। কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও মোদি সরকার সময় নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তার।    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯

বিক্ষোভের মুখে পাকিস্তানের বালতিস্তানে কর আদায় স্থগিত
পাকিস্তানে অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান কর্তৃপক্ষ ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে কর আদায় স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এরপরই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি তিন সপ্তাহের জন্য অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত করলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে বা বিলম্বের কৌশল অবলম্বন করা হলে তারা আবার বিক্ষোভ শুরু করবে। ফতুল্লাহ খান, বিশেষ সহকারী হুসেন শাহ ও নাসির জামানি এবং আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারি প্রতিনিধি দল দীর্ঘ আলোচনা করেছে। তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে যা অনুসারে গিলগিট বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিগুলি সম্বোধন করা হয়েছে। বর্তমানে অর্থ আইন ২০২৩ এর অধীনে কর আদায় করা হচ্ছে, যা মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ অনুসারে স্থগিত করা হয়েছে। এই আইনের সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কোনও কর প্রযোজ্য হবে না। বৈঠকের পর গিলগিট বালতিস্তান সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সমস্যার সমাধান করবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনাকারী কমিটির সদস্য গোলাম আব্বাস বলেন, কর স্থগিতের প্রজ্ঞাপনের পর ২১ দিনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে বা বিলম্বের কৌশল অবলম্বন করা হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নেমে আসবে। তারা আশাবাদী যে, সরকার কাজ করবে এবং চুক্তি মেনে চলবে। পাবলিক অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে এহসান আলী এডভোকেট অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের নিয়মিত অবহিত করবেন এবং জনগণকে তাদের বার্তা দেবেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৫

বিক্ষোভের ডাক দিলো জামায়াত
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জামায়াতে ইসলামী।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে মহাসংকট চলছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি জনগণের মাঝে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দরিদ্র জনগণ দিনে এক বেলাও পেট ভরে খেতে পারছে না। এর সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যার কারণে জনগণের দুঃখ-কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সব সংকটের মূল কারণ ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন করে সরকারের ক্ষমতায় থাকা। তামাশার নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া মহাসংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও অবিলম্বে প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে সারাদেশের সব মহানগরীতে আগামী ২৮ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়