• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুদিন পর সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলামের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে রোকনপুর সীমান্তের শূন্যরেখায় বিএসএফ সদস্যরা বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম। বুধবার সাইফুলের পরিবার ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে তখন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান। তিনি জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে নিখোঁজ থাকা সাইফুল ইসলামের বিষয়ে বুধবার বিএসএফের কাছে জানানো হয়েছিল। পরে বিএসএফ এক যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহ হস্তান্তর করেছে তারা।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪২

একদিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ
নওগাঁর পোরশা নিতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল-আমিনের (৩৮) লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে ১৬ বিজিবি হাঁপানিয়া বিওপি-সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ সদস্য ও বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশ পৌঁছে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাঁপানিয়া বিওপি’র নায়েক সুবেদার আবু তালেব। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে কৃষ্ণসদা সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পোরশা ও সাপাহার থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে আল-আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রিজ নামক স্থানে পৌঁছলে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের পর লাশ ফেরত দিয়েছে। নিহতের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন ছিল। নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, তার জানামতে আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়া করতেন। তিনি টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে গরু নিয়ে আসতেন। হঠাৎ মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান বলে তিনি শুনেছেন।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬

ঘূর্ণিঝড়ে ট্রলার ডুবে বিএসএফ সদস্য নিহত, বাংলাদেশ সীমান্তে পড়েছিল মরদেহ
সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিণ হাড়দ্দহ সীমান্তে ঘূর্ণিঝড়ে ট্রলার ডুবে এক ভারতীয় বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সীমান্তের ইছামতি নদীতে টহলকারী ট্রলার ডুবে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। নিহত বিএসএফ সদস্যের নাম রিয়াজুল ইসলাম (৩০)। তিনি বাহিনীটির সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ১৭ বিজিবির শাখরা টাউন শ্রীপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুজিবর রহমান জানান, রাতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ওই সময়ে নদীতে ভারতীয় বিএসএফের একটি টহলকারী ট্রলার অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। রাতেই বিএসএফ অভিযান করে ট্রলারের মাঝিকে খুঁজে পায়। তবে একজন সৈনিক নিখোঁজ ছিলেন। নদীতে তখন জোয়ার ছিল। তিনি আরও বলেন, সকালে ভাটার সময় নিখোঁজ ট্রলার ও বিএসএফ সৈনিকের মরদেহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে দক্ষিণ হাড়দ্দহ বালুরচরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন ভারতীয় বিএসএফ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে মরদেহটি নিয়ে যায়। বিএসএফের কাছে থাকা অস্ত্র উদ্ধার হলেও একটি ওয়্যারলেস পাওয়া যায়নি।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪১

২৩ বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
ফেনীর ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২৩ বাংলাদেশিকে ভারতের মনুবাজার থানায় চোরাকারবারী হিসেবে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা। বিজিবির অধিনায়ক জানান, ২৩ বাংলাদেশিকে আটকের বিষয়টি প্রথমে বিএসএফ স্বীকার করেনি। বুধবার তারা স্বীকার করে বলেছে চোরাকারবারী হিসেবে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পতাকা বৈঠকে আর কিছু করার সুযোগ নেই। আদালতের মাধ্যমে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আটকরা হলেন পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), সামিন (৪০), হারুন (২৩), লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০), রাধানগর এলাকার মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), ইমরান (২২), রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), করিম (২০), ছাগলনাইয়া এলাকার মটুয়া এলাকার খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মাহিম (২৫), হারুন (৩২), ইমাম হোসেন (২২)। জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাতে হঠাৎ পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকার এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে বলে গুঞ্জন শুনে স্থানীয়রা খবর নিতে সীমান্তের কাটাতারের কাছাকাছি যায়। তাৎক্ষণিক হঠাৎ বিএসএফ পুনরায় এগিয়ে এসে বাংলাদেশিদের ধাওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪২

সীমান্ত থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। সোমবার রাতে ভারতের সমরগঞ্জ ও বাংলাদেশের কাছে তারকাটা দিয়ে চিনি চোরাচালানে কাজ করছিল শতাধিক শ্রমিক। এসময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। অনেকে পালিয়ে আসতে পারলেও ২৩ জন শ্রমিক বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির (৪ বিজিবি) ফেনী ব্যাটালিয়ন অধিনায়নক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা। বিকেলে এ ব্যাপারে বিএসএফর সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি। ২৩ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা বিএসএফ বিজিবিকে জানিয়েছে। আটককৃতদের পরিবারের স্বজনদের তথ্য দিতে বলা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে। তাদের ছাড়িয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি।  বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে পূর্ব ছাগলনাইয়া বিজিবি ক্যাম্পে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিয়েছেন স্বজনরা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮

‘বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সীমান্তে গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। সেহেলী সাবরীন জানান, গত ২৪ জানুয়ারি বিজিবি সদস্য মো. রইশুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা রোধে বিজিবি ও বিএসএফ ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। এর আগে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীন নিহত হন। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রতিবাদলিপি পাঠায়। একই সঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করে বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটেলিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট-সংলগ্ন এলাকায় একদল গরু চোরাকারবারিকে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি জানার পরই ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল। তিনি জানান, এরপর জানা যায় ভারতীয় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিপাহী রইশুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে।  পরে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে রইশুদ্দীনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৫

বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গোরপোতা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক রবিউল ইসলাম টুকলু (৩৪) মারা যান। গতকাল রাতে মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান। এর আগে গতকাল রোববার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ভারত-বাংলাদেশের পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে রবিউল ইসলাম টুকলুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তের প্রধান পিলার ডিএমপি ৭ এর উপ-পিলার ৩১ হতে ৫০ গজ অভ্যন্তরে ভারতের তিনবিঘা করিডর স্থান দিয়ে রবিউলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় নিহতের বড় ভাই আমিনুর রহমান, বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান, পাটগ্রাম থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা, বিএসএফের অর্জুন কোম্পানি সদরের কমান্ডার গোপাল কৃষ্ণ পান্ডে, তিনবিঘা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার শমসের সিং, কুচলিবাড়ি থানা পুলিশের ওসি অজয় রায় এবং দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৪

বিজিবি সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ
বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সাড়ে ১১টায় যশোরের শার্শা শিকারপো সীমান্তে বিজিবির ৪৯ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিলের কাছে মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহটি হস্তান্তর করে বিএসএফ। আরও পড়ুন : ট্রেনে কাটা পড়ে সেনাসদস্যসহ নিহত ২   এর আগে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে বিজিবির ওই সিপাহী নিহত হোন।  এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রতিবাদলিপি পাঠায়। একইসঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করে বিজিবি। বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটেলিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্টসংলগ্ন এলাকায় একদল গরু চোরাকারবারীকে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আরও পড়ুন : চুরি হওয়া ঘর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি জানার পরই ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল।  তিনি জানান, এরপর জানা যায় ভারতীয় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিপাহী রইশুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়