• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দেশের সার্বভৌমত্বের বড় শত্রু বিএনপি-জামায়াত : শেখ পরশ
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বাংলাদেশে সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে বড় শত্রু বিএনপি-জামায়াত। ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। বিএনপি হচ্ছে সেই নিধিরামদের দল। শক্তি নাই, সমর্থ নাই বড় বড় কথা। শক্তি-সামর্থ্য নাই বলে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। আন্দোলনেও বাতাস পাচ্ছে না। জমায়াতও পারছে না। এখন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে তাদের অনেক দুশ্চিন্তা। আমি শুধু তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এদেশে যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে আছেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। “কুমিরের কান্না” দিয়ে এ দেশের মানুষকে ধোঁকা দেবার চেষ্টা করবেন না। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে, আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা জেলা শাখার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরশ বলেন, মনে রাখতে হবে, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ছলে-বলে-কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান হতে পারে। সেকারণে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (জিএস মিজান), সঞ্চালনা করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ আহমেদ, হাজী এইচ এম সেলিম, এরফান উদ্দিন আহমেদ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৩

ইফতার রাজনীতিতে ফের একসঙ্গে বিএনপি-জামায়াত
ইফতার পার্টির রাজনীতি দিয়ে জামায়াতের সঙ্গে আবারও প্রকাশ্যে আসছে বিএনপি। সর্বশেষ পাঁচ বছর আগে বিএনপি জামায়াত নেতারা মুখোমুখি বসেছিলেন। দ্বাদশ নির্বাচনের আগে বিএনপি যখন আন্দোলনের নামে মাঠে নেমেছিলো ঠিক তখনও সঙ্গে জামায়াত আছে কি নেই, তার স্পষ্ট কোনো উল্লেখ করেনি দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা জামায়াত অন্তর্ভূক্তি না চাওয়ার কারণে এতদিন প্রকাশ্য সম্পর্ক নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলেনি বিএনপি। আবারও নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে ইফতারি আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুরনো শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন তারা।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) তাদের একসঙ্গে আবারো ইফতারের টেবিলে বসাকে তাদের পুরনো সম্পর্কে নতুন পথচলা বলে মনে করেন অনেকে।  অন্যদিকে রাজধানীতে বড় পরিসরে ইফতারের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রায় নয় বছর পর এত বড় পরিসরে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করে দলটি।  রাজধানীর লেডিস ক্লাবে গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। বিএনপির এই ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ দলটির চারজন নেতা অংশ নিয়েছেন। তবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের দুই শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেউ অংশ নেননি।  সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। এসময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বক্তব্য শেষে ইফতারের আগে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক টেবিলে পাশাপাশি চেয়ারে বসেন এবং দুজনের মধ্যে তখন একান্ত আলাপচারিতা হতে দেখা যায়।  এছাড়া অন্যান্য নেতারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।  এদিকে, জামায়াতের আয়োজনকে অ্যালার্মিং উল্লেখ করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির বলেন,  তাদের এই রাজনীতি বরাবরই যৌথ ছিলো। এখানে কোন বিচ্ছেদ কখনো ঘটেনি। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা দৃশ্যমান সম্পর্কে হয়তো আসেনি। সেটা জনগনের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। আমি বারবারই বলেছি, বিএনপি ও জামায়াত সহোদর। তাদের জন্ম একই জায়গা থেকে হয়েছে। ফলে তাদের রাজনীতির ধরণ ও পথ একটাই।    উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জুন হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৪

জাতির জন্য বিএনপি-জামায়াত অভিশাপ : নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বিএনপি-জামায়াতের অসাধু তৎপরতায় নানা ধরনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। এরা দেশের মঙ্গলের চেয়ে নিজেদের মঙ্গলের কথাই ভাবে। এই বিএনপি সব সময় নিজেদের পকেট ও গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা ভাবে। এরা দেশপ্রেমিক নয়। এরা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে না। এই গোষ্ঠীটি জাতির জন্য অভিশাপ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর মতিঝিল জনতা ব্যাংক ভবন চত্বরে জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদ কর্তৃক খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পবিত্র রমজান মাস। সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস। অথচ বিএনপি-জামায়াত সংযমী না হয়ে আন্দোলনের নামে মানুষের দুঃখ কষ্টকে আরও বাড়ানোর জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এরা নিজেরা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে দুর্নীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করি। লুটেরাদের হাত থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নাছিম বলেন, মানুষের কষ্ট উপলব্ধি করেন জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সেই উপলব্ধির জায়গা থেকে কিভাবে তিনি মানুষের কষ্টকে দূর করা যায় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে দেশে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র রমজান মাসে মানুষের কষ্ট ও দুঃখকে বাড়ানোর জন্য দ্রব্যমূল্যের কারসাজি করে মানুষের পকেটের টাকা লোপাট করার চেষ্টা করছে। এই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থেকে জনমত তৈরি করতে হবে। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বিপক্ষে সজাগ থেকে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এদের হাত থেকে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। সরকার আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষকে এদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদের সভাপতি মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিতে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জনতা ব্যাংকের এমডি ও সিইও আব্দুল জব্বার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ডিএমডি গোলাম মর্তুজা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৭

আন্দোলনের নামে দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত : নাছিম
বিএনপি-জামায়াত দেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে আন্দোলনের নামে দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত বহির্বিশ্বের আদালত কর্তৃক রায় পাওয়া সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা দেশ বাঁচানোর আন্দোলন করতে জানে না, তারা তাদের দল রক্ষার আন্দোলন করে। এরা মানুষ পুড়িয়ে ধ্বংসের রাজনীতি করে। এই বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন-সংগ্রামের নামে দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশ বিরোধী অপশক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধিতা করছে। সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ জুলহাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৬

জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বিএনপি-জামায়াত মদদ দিচ্ছে : আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের আখাউড়া বনগজ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনগজ ঈদগাঁহ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। আনিসুল হক বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে চিনে ফেলছে, তারা আর সেই খেলা খেলতে পারবেন না। এখন বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করবে, সেটাই ম্যান্ডেট এবং সেটায় হবে। আনিসুল হক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি সন্ত্রাস করতে চান, তারা যদি বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট করতে চান তাহলে আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা কোনো সন্ত্রাস সহ্য করব না। আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি আমাদেরকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যারা পেছন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে তাদেরকে আমরা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শানু মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২

বিএনপি-জামায়াত না আসলেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা যেভাবে প্রমাণিত
উপমহাদেশের উপকূল ঘেঁসে উর্বর ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এক সোনার দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আয়তনে নগণ্য হলেও গুরুত্বে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নানান দেশের কাছে নানাভাবে প্রয়োজন এই দেশ।  রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, ভ্রমণসহ নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকে বাংলাদেশ। ১৬ শতকের পর্তুগিজ আগমনের সময় থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসন, দেশভাগ, পাকিস্তান শাসনামল সব সময়ই আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বর্তমান বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।  ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম, বুদ্ধিজীবীসহ নানাবিধ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।  ছোট্ট এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির মানুষের অবস্থানের কারণেই দেখা দেই বিভিন্ন ধরণের মতানৈক্য, ফলাফল একাধিক রাজনৈতিক আদর্শ। একারণে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শিরোনামে বিভিন্ন দেশ ও পত্র-পত্রিকার আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয় এই বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মুখ্য আলোচ্য ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।  এ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থ ও সর্বমোট পঞ্চমবারের মত সরকার গঠন করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মূলত স্বাধীন দেশে নির্বাচন ও সরকার গঠন একটি নিয়মিত ও স্বাভাবিক ঘটনা। সেটিই ঘটেছে গত ৭ জানুয়ারি।  যেখানে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।  অর্থাৎ একাধিক দলের অংশগ্রহণ যা ছিল সাংবিধানিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশের মূল নির্বাচনী প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচন একপাক্ষিক, নির্বাচন স্বচ্ছ হয় নাই এধরণের বক্তব্য উঠে আসছে দেশের ও বাইরের বিভিন্ন মহল থেকে। আমার মতে নির্বাচনের মত কর্মযজ্ঞের জন্য এধরণের বক্তব্যও স্বাভাবিক।  তবে নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করত বা জয়লাভ করত তাহলে আর এধরণের বক্তব্য আসত না। আসলে এধরণের বক্তব্য মিশে আছে দুইটা দলের আদর্শের মাঝেই। যেখানে আওয়ামী লীগ মনে করে এই দেশটা এদেশের জনগণের আর বিএনপি মনে করে দেশটা তাদের দলের।  মজার ব্যাপার হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য বর্তমানে নিজের দেশের জনগণ তথা নির্বাচনে অংশগ্রহণকে নয় বরং বিদেশি সাহায্যের উপরই বেশি ভর করতে চাই। যে কারণেই দলটি আজ জনতা বর্জিত। এজন্যই জনসাধারণের সংস্পর্শে নেই এমন একটি দল নির্বাচনে আসলো বা না আসলো তার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচকে অস্বচ্ছতার তকমা দেয়া সমীচীন নয়।  যদি গণতন্ত্রের কথায় বলতে হয় তাহলে গণতন্ত্র সম্পর্কিত আব্রাহাম লিংকনের কথা স্মরণ করেই বলতে চাই, এদেশ জনগণের। সেকথা মেনেই আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং বিপুল ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে।  আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন খাত গুলো পর্যালোচনা করে দেখা যাক। মাথাপিছু আয়, দারিদ্র্য, প্রবৃদ্ধির হার, রপ্তানি, জিডিপির আকার, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ, এডিপি, শস্য উৎপাদনসহ অন্যান্য সকল খাতেই পূর্বের তুলনায় ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে যে যুগান্তকারী অর্জন; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্র বিজয়, ছিটমহল বিনিময়, স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন সংযুক্ত,সাবমেরিন ক্যাবল, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিভিন্ন ফ্লাইওভার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্যান্য সফলতা তা দেশের এবং বহির্বিশ্বের ষড়যন্ত্রকারীদের কপালে ভাঁজ তৈরি করেছে।  কারণ এসকল উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে যেমন করেছে সম্মানিত তেমন আওয়ামী লীগকেও নিজস্ব রাজনীতিতে আসীন করেছে সফলতার শিখরে। যারই ফলাফল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩ আসন নিয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ।  তারপরেও শকুনের চোখ ও সমালোচনা এদেশে বিশেষ করে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমর্থকদের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন। অর্জন কেন বললাম? না হলে, যে দেশের নামকরণ করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান,ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে মহানায়ক থেকে এদেশ স্বাধীন করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে শেখ মুজিবকে কিভাবে এদেশের মানুষের হাতেই হত্যা হতে হয়?  সুতরাং সমালোচনাতে কান দিয়ে নয় বরং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নির্বাচন হতে হবে নিয়মিত এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিই পাক বিজিত আসন।  লেখক : প্রভাষক, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮

‘সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে’
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে আখাউড়ায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা যদি কেউ করে আর সেই ষড়যন্ত্র যদি আপনারা জানেন তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আপনারাই পদক্ষেপ নেবেন।  আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যদি সজাগ থাকি, আমরা যদি সচেতন থাকি তাহলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য সেখানে পৌঁছাতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

ফেনীতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের নিরঙ্কুশ জয়
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদ সভাপতি-সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সহ-সভাপতি ও অর্থ সম্পাদকসহ বাকি ৪টি পদে জয় পেয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।  একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে উভয় প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপস্থিতিতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন সমিতির নির্বাচন কমিশনার ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল করিম মজুমদার। ঘোষিত ফলাফলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মো. আবদুস সাত্তার ১৭০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয় হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক পেয়েছেন ১৫৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে একই প্যানেলের মো. টিপু সোলায়মান ১৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রসিক শেখর ভৌমিক পেয়েছেন ১২১ ভোট। সহ-সভাপতি পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মো. শামসুল হুদা ১৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইসহাক পেয়েছেন ১৭২ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের এমদাদ হোসাইন ১৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৮ ভোট। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ভূঞা ১৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরফুদ্দিন আহাম্মদ ডালিম পেয়েছেন ১৬২ ভোট।  অডিটর পদে সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মো. আরিফ ১৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সেলিম উদ্দিন সজিব পেয়েছেন ১১৩ ভোট।  অর্থ সম্পাদক পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মো. আরশাদ আলী ভূঞা ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১৪১ ভোট। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খন্দকার ১৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ১৪২ ভোট। এ ছাড়া ৬টি নির্বাহী সদস্য পদের মধ্যে ৪টিতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মো. মনির উদ্দিন মিনু, মো. মাঈন উদ্দিন রাজু, মো. ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন ফরহাদ এবং দুটিতে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের কাজি মোজাহেরুল ইসলাম জাহিদ ও ফারিহা জাহান জয়ী হন। প্রসঙ্গত, ১৫টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে ৩০ জন ও অডিটর পদে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীসহ মোট ৩১ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৩৩২ জন ভোটারের মধ্যে ৩২০ জন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৭

সেনবাগে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা 
রাত পোহালেই ভোট। সকাল থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই ভোটযুদ্ধ। এরই মাঝে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা দেশব্যাপী তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। আন্দোলনের অন্তরালে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নাশকতাকারীরা। শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ঠিক সেভাবেই নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসনেও সক্রিয় রয়েছে হরতাল-অবরোধের সমর্থনকারী এই নাশকতাকারীরা।  সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পণ্ড করতে যারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে, সেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার অনেক এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।  এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা সারাদেশের ন্যায় সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতেও নাশকতা কর্মকাণ্ড চালাতে সক্রিয় রয়েছে। মূলত নৌকাবিরোধী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের আশ্রয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীরা প্রকাশ্যে এলাকায় অবস্থান করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করছে। এই নাশকতাকারীদের নামে একাধিক মামলা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অদৃশ্য কারণে নীরব রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীদের শেল্টার হিসেবে কাজ করছেন। নৌকার অফিস ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীরা। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মানিকের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। আমার বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে মানিকের পক্ষ নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। হয়তো পরিবার নিয়ে ভোট দিতেও যেতে পারবো না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার স্থানীয় বিএনপি নেতারা।  অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর এই ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়