• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
থার্টি ফার্স্ট নাইটে এক ঘণ্টায় বায়ুদূষণ বেড়েছে ৩৫ শতাংশ
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকায় এক ঘণ্টায় বায়ুদূষণ ৩৫ শতাংশ বেড়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণায় নববর্ষ উদযাপনের কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে বায়ু এবং শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এতে দেখা গেছে, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টা থেকে ১২টার তুলনায় পরবর্তী এক ঘণ্টা রাত ১২টা থেকে ১টায় বায়ুদূষণের পরিমাণ প্রায় ৬৪ মাইক্রোগ্রাম বা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এসময় সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ রেকর্ড হয় ২৪৯ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার, যা বায়ুমান সূচকে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। ক্যাপস জানায়, আতশবাজি, পটকা বা এ জাতীয় শব্দ সৃষ্টিকারী বস্তু সাধারণত পটাসিয়াম পারক্লোরেট, বিষাক্ত বেরিয়াম নাইট্রেট, পার্লাইট পাউডার, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম খাদ ও মাটি-পাথর ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। এগুলো পোড়ানোর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বায়ুদূষণকারী পদার্থ নির্গত হয়। যা হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। ক্যাপসের গবেষণা বলছে, ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফুটানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয়েছে রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণের হার আগের দিন ৩০ ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশিরভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে ছিল।  ৭০ ডেসিবলের অধিক শব্দ মানুষসহ পশু-পাখির কানের বধিরতা সৃষ্টি করতে সক্ষম। এমনকি এই শব্দ গর্ভপাত, শিশুমৃত্যু ও বয়স্কদের হার্টের ঝুঁকিও বাড়ায় বলে জানায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়