• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জাজিরার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই দিন রাতেই তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৪

সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।      রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে সালমানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। অভিনেতার মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  এ প্রসঙ্গে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমানের বাড়িতে গুলি চালানোর পর মুম্বাই থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃতদের মুম্বাই আনা হবে। পাশাপাশি সালমানের বাড়ির এই ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হামলা হিসেবেই অভিহিত করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।  সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই হামলার দায় স্বীকার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সালমানকে হুমকিও দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, ‘আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ।    এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম।’  এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

মুক্তি পাওয়ায় নাবিকদের বাড়িতে খুশির বন্যা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। যদিও ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল পরিবারগুলো। অবশেষে শনিবার রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। এ বিষয়ে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এ খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব। নাবিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে জানি না। আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দের দিন ছিল বিষাদে ভরা। আজ যেন আমাদের খুশির ঈদ। কেএসআরএম গ্রুপের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। আরেক নাবিক আইয়ুব খানের ভাই আওরঙ্গজেব রাব্বী দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আজ মনে হচ্ছে সত্যিকারের ঈদ এসেছে। আমরা খুবই খুশি। কেএসআরএস কর্তৃপক্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামে যাদের বাড়ি তারা হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসারখান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়লার হক আইনুল এবং শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বাড়ি ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল। নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির। নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম। নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন ও নাটোরের অর্ডিনারি সি-ম্যান মোহাম্মদ জয়। সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী। এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ২ বোনের মৃত্যু
নাটোরের সিংড়ায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মামাতো বোনসহ ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার লালোর ইউনিয়নের ঢাকঢোল ডাঙ্গাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম। নিহতরা হলো ফারিয়া আক্তার (৮) ও ফাতেমা আক্তার (৮)। তারা মামাত-ফুফাত বোন। জানা যায়, ফারিয়া সৌদি প্রবাসী ফারুক হোসেনের মেয়ে এবং ফাতেমা নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া হাট এলাকার রায়হান হোসেনের মেয়ে।  এ বিষয়ে ওসি আবুল কালাম বলেন, ঈদে উপলক্ষে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে ফাতেমা। সকালে মামাত বোন ফারিয়ার সঙ্গে খেলার এক ফাঁকে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় তারা। দীর্ঘ সময় তাদের না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে স্যান্ডেল ভাসতে দেখেন।  ওসি আবুল কালাম আরও বলেন, পরে স্থানীয়রা পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে ২ শিশুকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজন ও স্থানীয়দের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৭

নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু 
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ঈদে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যমুনা নদীতে ডুবে মিনহাজ (৯) ও মিনাল (৭) নামে ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল সাপধরী ইউনিয়নের চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত ২ সহোদর মিনহাজ ও মিনাল ওই উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুতলা এলাকার আজহার আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার উপজেলা বেলগাছা ইউনিয়নের জারুল তলা এলাকা থেকে মা চায়না আক্তার ২ ছেলে ও স্বামী আজহার আলীকে সঙ্গে নিয়ে চরশিশুয়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা নদীর পানিতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মিনহাজ ও মিনাল মাছ ধরতে যান। সাঁতার না জানায় মাছ ধরার কোনো এক সময় নিখোঁজ হয়ে যান ২ সহোদর ভাই। পরে এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন। সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-বাবার সঙ্গে ঈদের পরের দিন নানার বাড়িতে এসেছিল ২ ভাই।  ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার জানান, সহোদর ২ ভাইয়ের পানিতে ডুবে মৃত্যুর একটি সংবাদ পেয়েছি। তারা মা-বাবার সঙ্গে শনিবার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।  তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের বাবার বাড়ি যমুনার পূর্বপাড় জারুলতলা এলাকায়। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেটি দুর্গম চরাঞ্চল। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১

প্রথমবারের মতো সালমানের বাড়িতে রণবীর-আলিয়া
বলিউডের তারকাদের বাড়ির অনুষ্ঠান মানেই জমকালো আয়োজন। গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সালমান খানদের বাড়িতে আয়োজিত হয়েছিল উৎসবের। আর সেখানে প্রথমবারের মতো স্ত্রী আলিয়া ভাটকে নিয়ে হাজির হন রণবীর কাপুর। প্রতি বছর সালমান খানের বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে ঈদের পার্টির আয়োজন করা হয়। এদিন বলিপাড়ার সব নামি তারকাদের ঢল নামে খানদের অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন সালমান।   শোনা যায়, এই প্রথমবার নাকি সালমানের বাড়িতে পা রাখলেন রণবীর-আলিয়া দম্পতি। ইতোমধ্যে অভিনেতার বাড়ির কর্মচারীর সঙ্গে তোলা তাদের ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়া। এরপর থেকেই চর্চায় মেতেছেন নেটিজেনরা। তবে কি দীর্ঘদিনের মন কষাকষি মিটল সালমান-রণবীরের?  এমনিতে কাপুর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে সালমানের। আলিয়াকেও বেশ পছন্দ করেন এই অভিনেতা। কিন্তু একমাত্র রণবীরের সঙ্গেই কোনো সম্পর্ক ছিল না সালমানের।    জানা গেছে, ক্যাটরিনা-সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কারণেই নাকি দূরত্ব রেখেছিলেন তিনি। তবে এবার আলিয়ার মধ্যস্থতায় কি স্বাভাবিক হলো তাদের সম্পর্ক? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জাল বুনেছে তাদের ভক্তদের মনে। এদিকে অনেকের ধারণা, ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’-এ নাকি দেখা যেতে পারে সালমানকে। যদিও এই বিষয়ে সালমান-রণবীরের তরফে কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

রাজবাড়ীতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৪
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের মিশ্রীপাঁচবাড়িয়া গ্রামে জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বাড়িতে দুদফা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই পরিবারে চার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে রাজবাড়ী জেলা অ্যাকাউন্টস অফিসের হিসবারক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ মণ্ডলের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পাংশা থানায় মামলা করা হয়েছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।   তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চরমপন্থী দলের সদস্যরা এ হামলা চালায়। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন কানু মণ্ডলের ছেলে লক্ষ্মণকুমার মণ্ডল (৩৭), বিকাশ চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে সুজন মণ্ডল (২২), গেদুনাথ মণ্ডলের ছেলে রুপ চাঁদ মণ্ডল (৩৭) ও নীল মণ্ডলের ছেলে বিবেক চন্দ্র মণ্ডল (৪৮)। আহতরা সবাই মিশ্রীপাঁচবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘আমি গতরাতে বাড়িতে এসেছি। রাত ৩টার দিকে আমাদের বাড়ির পেছন দিকে আমার ছোট ভাইয়ের ঘরের দরজা ভেঙে একদল দুর্বৃত্ত ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমার বাবার ঘরে যায়। আমি বিষয়টি বুঝতে পারার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যস্ত রাখি। এ সুযোগে আমার এক ভাই পুলিশকে ফোন করে। পাশাপাশি আশেপাশের প্রতিবেশীদের ডেকে তোলে। তখন প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পরেও প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে ছিল।’ প্রদীপ মণ্ডল আরও বলেন, ‘পুলিশ চলে যাবার পর ভোরের আজানের ঠিক পাঁচ-সাত মিনিট আগে আবারও দুর্বৃত্তরা হাজির হয়। এ সময় পুলিশকে জানিয়েছি কেন, কাজটি ঠিক করিস নাই বলে গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে চারজন আহত হয়। আর যাবার সময় বলে যায় পাঁচ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে না দিলে তোদের কপালে কষ্ট আছে। আহতদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় বাড়ির দেয়াল ও প্রাচীরে ক্ষত হয়।’ এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাত রাব্বী প্রিয়ম বলেন, ‘আহত অবস্থায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনকে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে লক্ষ্মণ কুমার মণ্ডল ও সুজন মণ্ডলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৯

বাড়িতে একা পেয়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, প্রেমিক উধাও
পঞ্চগড়ে ঈদের দিন পরকীয়ার জেরে শাহনাজ পারভীন (২৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মতিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ শাহনাজ ওই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সঙ্গে একটি ছুরি ও রক্তমাখা প্যান্ট জব্দ করেছে পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত বা অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে সকাল থেকেই পরকীয়া প্রেমিক রাজু পালিয়ে গেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল মজিদ ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজের সুযোগে প্রতিবেশী রাজু (২৭) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ৮-৯ মাস আগে কিছুদিন নিখোঁজও ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। তবে বাড়ি ফিরলে প্রথমে তার স্বামী তার তাকে গ্রহণ করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে দুজনে সমঝোতায় আবারও সংসার শুরু হয়। এরপর গত চার মাস আগে স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে যান তিনি। তাদের সংসাদের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও তিন মাসের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার ঈদের জন্য বাড়ি ফেরেন তারা। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন ঈদের নামাজে গেলে পরকীয়া প্রেমিক রাজু শাহনাজের ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে এবং গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় শাহনাজের মেয়ে মাইশা আক্তার চিৎকার করলে পালিয়ে যায় রাজু। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত গৃহবধূর মেয়ে মাইশা আক্তার বলেন, মাকে ছুরি দিয়ে মারে। আমি চিল্লাচিল্লি করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় রাজু। গৃহবধূর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, রাজুর সাথে আমার স্ত্রী মোবাইলে কথা বলত। চলেও গেছিল তার সাথে। তাকে একটি মোবাইল ফোনও দিয়েছিল সে। পরে আমার নামে মামলা করে। আমি সন্তানদের দিকে চেয়ে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাই। রাজু দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমাকে শাহনাজের সাথে সংসার করতে দেবে না।   দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

নরসিংদীতে নিহত ৬ জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
নরসিংদীর মাধবদীতে কাভার্ডভ্যান ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ নিহত ছয়জনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তারাই সবাই ঈদের ছুটিতে মাইক্রোবাসে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ফিরছিলেন। নিহত ছয়জনের মধ্যে একই বাড়ির চারজন ও প্রতিবেশী গ্রামের দুজন রয়েছে। নিহতরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের আবদুল মমিনের ছেলে মজিবুর রহমান (২৭), তার ভাগনি মীম আক্তার (২০) ভাগিনা আবু হুরায়রা (৯) তার চাচা জসিম (৩০) ও প্রতিবেশী গ্রাম জালালপুরের হেলাল ও বাবুল। এ ঘটনার পর পুরো গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ একনজরে দেখার জন্য বাড়িতে আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীসহ সকলেই ভিড় করছেন। তাদের এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।  নিহতদের স্বজনরা জানান, ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে চেপে নারী ও শিশুসহ মোট ১৩ জন যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আসছিলেন। যাত্রাপথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ১৩ জনকে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে আরও দুজন মারা যান।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা
বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। তার আরেকটি পরিচয় — তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই ভীতু প্রকৃতির মেয়ে তিনি। বলা যায়, বাবা-মাকে একটু বেশিই ভয় পেতেন অনন্যা। তবে একবার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।  ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডাকার বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনন্যা। অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিং রুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন তিনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না। আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম— আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব?  অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিং রুমে বসে আমার প্রেমিকের সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। যেহেতু লিভিং রুমে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাই বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন। পরবর্তীতে বাবা আমাকে বলেছিলেন— তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম আমি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি তারা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে প্রকাশ না করলেও নানান জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিদেশেও একসঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রেমিকযুগল।         সূত্র : জি ২৪ 
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়