• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সময় বাড়ায় মেট্রোরেলে স্বস্তি, রাতেও যাত্রীর চাপ
পবিত্র রমজান মাসে মানুষ যাতে ঈদের কেনাকাটা করে সহজে স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে সে জন্য মেট্রোরেলের সময় রাতে এক ঘণ্টা বাড়িয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে এ সময় বাড়ায়স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন এ সিদ্ধান্ত চমৎকার হয়েছে। রাতে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। রাত ৯টার দিকে সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার স্টেশনে দেখা যায়, ট্রেনের জন্য অপক্ষো করছেন অনেক যাত্রী। এসময় অনেক যাত্রীকে দেখা যায় এমআরটি পাসে রিচার্জ করছেন, কিনছেন টিকিট। বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সুফিয়ান সাদি। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, খুব ভাল হয়েছে। মেট্রোরেল চলাচলে এক ঘণ্টা সময় বাড়ানোয় মানুষ এখন কাজ শেষ করে দ্রুত বাসায় যেতে পারবেন। তবে সময়টা আরও বাড়ানো উচিত। কেননা রাজধানীতে রাতেই জ্যাম থাকে। রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু থাকলে মানুষের ভোগান্তি অনেকেটাই কমবে। রিয়াদ মোর্শেদ ফাহিম। কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে চাকরি করেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের সময় বাড়ানোয় খুব ভালো হয়েছে। অফিস কাছে হলেও মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারতাম না। একঘণ্টা সময় বাড়ানোর ফলে সুযোগটা তৈরি হয়েছে। এখন নিয়মিত মেট্রোরেলে চলাচল করা যাবে। তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে বাসে চলাচল যে কতটা ভোগান্তির তা ভুক্তভোগী সবাই জানে। এবার সেই ভোগান্তি পোহাতে হবে না। তবে এই সময় একঘণ্টা নয়, আরও বাড়ানো হলে মানুষ নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে পারবে। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য তিনি আজই এমআরটি পাস নিয়েছেন বলেও জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক আরটিভি নিউজকে বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেল এখন একটি নির্ভরযোগ্য বাহন হিসেবে দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো ও চলমান যাত্রীবহনকারী বগীর সাথে নতুন বগীর সংযোজন মানুষের আগ্রহের জায়গা আরো বৃদ্ধি করবে।  তিনি আরও বলেন, যানজট, গণপরিবহনে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা, আরামদায়ক যাতায়াত ও নাগরিক জীবনে সৃষ্ট ভোগান্তি নিরসনে মেট্রোরেল সময়োপযোগী একটি উপায় হিসেবে স্বস্তি ও নিরাপদে চলাচলের সুযোগ দিচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যা ও আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় এনে চলাচলের সময় ও অধিক যাত্রী ধারণের ব্যবস্থা দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ড. তৌহিদুল হক বলেন, যানজট সৃষ্ট সমস্যা মানুষের কর্মক্ষমতা নষ্ট করছে ও মনস্তাত্ত্বিক ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। ফলে মেট্রোরেল নিয়ে এক ধরনের প্রত্যাশা ও নির্ভরযোগ্যতার বাস্তবতা লক্ষণীয়। তাই এই সুবিধা আরো দ্রুত বৃদ্ধিকরণ এবং মেট্রোরেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সকল ধরনের নিরাপত্তার অপরিহার্য। রমজানে রাতে একঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে, মানুষের চাহিদার বিবেচনায় এ সময় আরও বাড়ানো প্রয়োজন। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কারওয়ানবাজার স্টেশনের বিপণন কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম দিনেই যাত্রীদের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। সময় বাড়াতে যাত্রীরাও খুব খুশি। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, সিঙ্গেল এন্ট্রি যাত্রীরা রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো স্টেশনে এসে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। যাদের এমআরটি পাস আছে, তারা রাত ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সবশেষ ট্রেনটি ছেড়ে আসবে। উত্তরা থেকে ট্রেন ছাড়ার শেষ সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, উত্তরা থেকে রাত ৯টায় সবশেষ ট্রেনটি ছেড়ে আসবে। যাদের এমআরটি পাস আছে তারা রাত ৯টার মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাতায়াত করতে পারবেন। এদিকে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, ঈদের কেনাকাটার জন্য বের হওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে মেট্রোরেলের সময় বাড়ানো হয়েছে। রোজা শেষে আবারও আগের সময়সূচিতে ফিরবে মেট্রোরেল। তবে চাহিদা থাকলে এই সময়সূচি নিয়মিত রাখারও পরিকল্পনা আছে। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, বুধবার থেকে উত্তরা থেকে সবশেষ ট্রেন ৯টা এবং মতিঝিল থেকে সবশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। শেষের এই এক ঘণ্টায় ১২ মিনিট পরপর চলবে ট্রেন। এতে ১০টি ট্রিপ বেশি চলবে মেট্রোরেল। আগে দিনে ১৮৪ বার চললেও এখন চলবে ১৯৪ বার। এ ছাড়া রমজানে র‍্যাপিড পাস বা এমআরটি পাসে ৬০ মিনিটের বদলে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ‘পেইড জোনে’ অবস্থানের সুযোগ রয়েছে। ইফতারের সময় মেট্রোরেলে ২৫০ এমএল পানির বোতল সঙ্গে রাখতে পারবেন যাত্রীরা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫

ডলারের দাম বাড়ায় হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়নি : ধর্মমন্ত্রী
ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে, তাই সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় কমানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এই কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হজে প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যেন পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী পাঠানো যায় সেজন্য ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমিয়ে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন হজে যেতে পারেন সেজন্যই এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় এ বছর অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্যও অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া মিনায় মিনা আরাফায় তাবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে সরকারের ইচ্ছা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি। ফরিদুল হক খান আরও বলেন, অধিক সুযোগ-সুবিধা আশা করেন এরকম হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমের বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়