• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিপিএলের দল বাড়ানো নিয়ে মুখ খুললেন পাপন
১০ দল নিয়ে মাঠে গড়ায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। অন্যদিকে ছয়টি করে দল আছে পাকিস্তান সুপার লিগ, ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-২০, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-২০’তে। তবে মাত্র পাঁচটি দল নিয়ে গড়ায় লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ। সেখানে সাতটি দল নিয়ে আয়োজিত হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের চেয়ে বেশি দল (৮টি) নিয়ে বিগ ব্যাশ লিগ ও ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড আয়োজিত হয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ দল নিয়ে ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হলেও অনেকের আক্ষেপ এলাকার দল না থাকা। বিপিএলে একবার শিরোপার স্বাদ নিয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। তবে এখন আর দলটির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। বিভাগ হওয়া সত্ত্বেও কখনই বিপিএলে খেলা হয়নি ময়মনসিংহের। অন্যদিকে নোয়াখালী, গাজীপুর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি বিপিএল দল গঠনের। সম্প্রতি বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার চৌধুরী মল্লিকের ভাষ্য, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও নোয়াখালীর প্রতিনিধিত্ব করতে আবেদন করেছে।  তাই বরাবরের মতোই বড় প্রশ্ন, আগ্রহী হলেও বিপিএলে আর দল বাড়ানো যাবে তো! জানা গেছে, বিপিএলে দল বাড়ছে না। কেউ সরে দাঁড়ালে সেখানে নতুন কাউকে দেখা যেতে পারে। সেখানেও থাকছে যদি-কিন্তুর বিষয়। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি বস এবং যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। তার দাবি, বিপিএলের আগামী আসরে দল বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। পাপনের ভাষ্য, বলা মুশকিল। দুই বা তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগ হবে কি না… আমাদের সক্ষমতাও দেখতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি যোগ হয়; খরচ অনেক বেড়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, সময়। একটা টুর্নামেন্টের জন্য যে সময় আমরা পাই… এই সময়ে না করে যদি সময় একটু এদিক-সেদিক করতে পারতাম; আমরা আরও ভালো ভালো বিদেশি খেলোয়াড় পেতাম। কিন্তু আমাদের উপায় নেই। ক্রীড়ামন্ত্রী যোগ করেন, দেখুন বিপিএল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলতে হচ্ছে। আমাদের তো ন্যূনতম একটা বিরতি দিতে হয়। এখন আবার প্রিমিয়ার লিগ শুরু হচ্ছে। তারপর সামনে আরও সিরিজ, এরপর বিশ্বকাপ। এত সময় পাওয়া কঠিন হবে। তৃতীয়ত, বাইরের ওই অবকাঠামো নেই। স্টেডিয়াম আছে, আনুষঙ্গিক যে জিনিস দরকার, সেই সুযোগ নেই। আমাদের পরিকল্পনা হলো এটাকে আরও বড় করব, সারা বাংলাদেশে নিয়ে যাব। কিন্তু আগামী বারেই হবে কি না বলা কঠিন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৩০

রোজায় পণ্যের দাম বাড়ানো অদ্ভুত ব্যাপার : প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম বাড়ানো অদ্ভুত ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র রমজান মাস আসছে। আমি দেশবাসীকে রমজানের অগ্রিম মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আমরা মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য যেন সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে। তিনি বলেন, এখানে একটা অদ্ভুত ব্যাপার, রমজানে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, মজুত করা হয়। সেগুলো লক্ষ্য রেখেই আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিত্যপণ্যের সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সরকারপ্রধান বলেন, দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন এবং করোনা অতিমারীর পরই মূলত মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, উন্নত দেশগুলোতেও ব্যাপকভাবে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে যেন এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেজন্য আমরা ব্যাপকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
০৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৪

বয়স্ক-বিধবা ভাতা বাড়ানো হবে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বয়স্ক-বিধবা ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (৩ মার্চ) রাতে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, এতিম ও বিধবাদের জন্য বয়স্ক-বিধবা ভাতা বাড়াতে ডিসিরা অনুরোধ করেছেন। আমি তাদেরকে সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনীর সুবিধাভোগীদের ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছি। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভাতা বণ্টনে যেন কোনো অনিয়ম যেন না হয়, সেজন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেই অনিয়ম করুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তিনি বলেন, যেহেতু এখন এসব ভাতা সরকার টু পাবলিক পদ্ধতিতে বিতরণ করা হয়। তাই অনেক অনিয়ম কমে এসেছে। তারপরও যদি কোনো গ্যাপ থাকে তা চিহ্নিত করে আমাদের জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভাপতিত্বে প্রথম দিনের শেষ সেশনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কার্য অধিবেশন হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৬

‘ঈদযাত্রায় ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়ানো হবে’ 
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আমাদের মিটিং রয়েছে। মিটিংয়ে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে রাজবাড়ী স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের বিশেষ সুবিধার্থে ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া অনলাইনে টিকিটের পাশাপাশি আমরা স্টেশনগুলোতেও টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করবো। অতিরিক্ত যেসব বগি যুক্ত করা হবে সেখানে বসার এবং দাঁড়ানোর যাত্রী যেতে পারবে। ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনে সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চালক ও স্টেশনমাস্টার নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। যারা ভালো করবে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে বন্ধ হওয়া এবং নতুন স্টেশনগুলো চালু করা হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৩

‘সীমান্তে শক্তি বাড়ানো হয়েছে, কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারবে না’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে অস্ত্র নিয়ে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যারা এসেছে তারা সবাই ধরা পড়েছে। বিজিবি সবাইকে আটক করেছে। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। আমাদের বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তে আমরা বিজিবির আরও শক্তি বাড়িয়েছি, ফোর্স বাড়িয়েছি। আমাদের কোস্টগার্ডকে আমরা সজাগ অবস্থায় রেখেছি। আমাদের নেভি ওখানে সজাগ রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর ষোলশহরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ব্যক্তিগত সফরে আজ চট্টগ্রামে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পুলিশ উপহার দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীসহ পুরো নিরাপত্তা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চেয়েছিলেন একটি সুন্দর এবং অবাধ নির্বাচন। দেশবাসীসহ সারাবিশ্বের মানুষ লক্ষ্য করেছেন একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। কেউ আজ পর্যন্ত প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আগামী উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে নেত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া কোনো নির্বাচনে আমরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবো না। যেহেতু নৌকা প্রতীক থাকবে না, সেহেতু যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তারা কে কতখানি জনপ্রিয়, তারা সেটাই প্রমাণ করবে। আমরা মনে করি জনপ্রিয় লোকজনই নির্বাচনে আসবেন। আমরা সেটাই চাই। বিএনপির সরকার উৎখাত করা কথা বলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,  ‘তারা তো অনেক কথাই বলে, যেগুলো এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন তারা জানে, যদি কোনো ষড়যন্ত্র না করতে পারেন কিংবা তাদের বিদেশি প্রভুরা যদি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে নির্বাচন জিতবে না।  সে জন্য এবারও তারা নির্বাচনে আসেনি। এ দেশের জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’ এ সময় পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জমানান, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২১

‘চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনার সৌন্দর্য আরও বাড়ানো হবে’
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন, চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনাকে কোনো ধরনের পরিবর্তন না করে প্রাকৃতিকভাবে থাকা স্থানটিকে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে। এখানে যেসব গাছ আছে সেগুলো থাকবে এবং আরও নতুন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গাছ লাগানো হবে। এ ছাড়াও সবুজায়ন করার লক্ষ্যে এখানকার ভূমিতে ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে এখানে হাঁটার জন্য ফুটপাত তৈরি এবং ক্যাফেটেরিয়া থাকবে। যাতে করে আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্নভাবে সেবা প্রদান করা যায়।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর রেলস্টেশনের অবকাঠামসহ তিন নদীর মোহনার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিন নদীর মোহনায় যে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা। এটাকে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে ফিরে আনা। অর্থাৎ চাঁদপুরবাসী যেন সেখানে অবসর সময় কাটানো এবং বিনোদন উপভোগ করতে পারে।  মহাব্যবস্থাপক বলেন, রেলওয়ের অবকাঠামগত উন্নয়ন কাজগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে নিয়মিত কাজ। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরে আসা। এখানে আমাদের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান আছে সেগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। আর এখানে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলোকে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে পরিকল্পনাও করা হবে। চাঁদপুর-কক্সবাজার ট্রেন চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে পরিকল্পনা অর্থাৎ যাত্রীদের চাহিদার আলোকে ট্রেনের সময় সূচি র্নিধারণ করি। এটি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে ভবিষ্যতে এই রুট বর্ধিত করতে পারি। তবে দীর্ঘদিন যেহেতু চাঁদপুর-চট্টগ্রাম যাত্রী চলাচল করছে, সেখানে হুট করে চাঁদপুর থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু করলে চট্টগ্রামের যাত্রীদের আসন কিভাবে দেওয়া হবে। এছাড়া একটি নতুন রুট চালু করার জন্য নতুন ইঞ্জিন ও লোকমাস্টারের প্রয়োজন আছে। এটির সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে। তিনি আরও বলেন, কবে থেকে চাঁদপুর-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে এটা এখনই বলতে পারছি না। তবে আমাদের কক্সবাজার স্টেশনের কাজ এখন শেষ পর্যায়। সেখানে কিছু ব্রিজ ও অবকাঠামগত কাজ চলমান। সবকিছু শেষ হওয়ার পর আমরা আশাবাদি অচিরেই চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ট্রেন চালু হতে পারে। চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আরও আধুনিক করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ট্রেনটিতে এখন যাত্রীদের কোনো ধরণের সমস্যা হচ্ছে না। এটি আধুনিক করা হবে, তবে সময় লাগবে। কারণ পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে লঞ্চে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তা আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। তবে আমরা সব সময় যাত্রীর চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। রেলওয়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসলে রেল লাইনের পাশে থাকা শহরের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলা হয়। কর্মকর্তারা চলেগেলে আবারও বসানো হয়। এসব বিষয়ে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মহাব্যবস্থাপক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রেল লাইনে চাঁদপুরের দুরুত্ব ১৬০ কিলোমিটার। সেখান থেকে এসে এসব অবৈধ স্থাপনা আমরা নিয়মিত তদারকি কিংবা উচ্ছেদ করতে পারব না। এখানকার স্থানীয় প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে না আসলে আমাদের একার পক্ষে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারপরেও আমাদের পরিকল্পনা আছে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ের সম্পত্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনা। কোনভাবেই অবৈধ দখলদারদের সুযোগ দেয়া হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) মো. হানিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ ও পূর্ত) লাকসাম মো. লিয়াকত আলী মজুমদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের চীফ ইনচার্জ মো. সালামত উল্লাহ, চাঁদপুর স্টেশন মাষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) সোয়াইবুর শিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মহাব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তিন নদীর মোহনাসহ স্টেশনের উন্নয়ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

পানির দাম বাড়ানো নিয়ে যা বললেন ওয়াসার ডিএমডি
চলতি বছরের জুন মাস থেকে পানির দাম বাড়ানোর খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি-বাণিজ্য) উত্তম কুমার রায়। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আগামী জুন মাস থেকে পানির দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উত্তম কুমার বলেন, শ্রেণিভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণের পরিকল্পনাটি কেবলমাত্র একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান সমীক্ষা করেছে। এ ব্যাপারে আমরা নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম এবং সরকারের বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পানির দাম বাড়ানোর কথা যেভাবে গণমাধ্যমে আসছে তা সঠিক নয়। কারণ, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের একার নয়, সরকারের সিদ্ধান্ত সবার আগে। তাই এ বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। ওয়াসার ডিএমডি বলেন, পানির উৎপাদন খরচ বেশি বলে অনেকেই সমালোচনা করছেন। অথচ, গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও আমরা কিন্তু সেভাবে পানির দাম বাড়ায়নি। অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব (অব.) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সরকার এখনও নিরাপদ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য পানির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি। পানি অমূল্য সম্পদ, তাই পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা নেওয়া দরকার। ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রেণিভিত্তিক না করে উচ্চ শ্রেণির জন্য করের হার বাড়ানো যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ইলিশকে একটি বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে আমরা এগোতে চাই। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‌‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ -এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা কথা জানান। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্য এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। সবাই যার যার জায়গায় অবদান রাখলে ইলিশ উৎপাদনে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার। ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে, ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ ইলিশ সফলভাবে ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। যা ভিত্তি বছর ২০০১-২০০২ এর তুলনায় ১০৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ফলে এ বছর প্রায় ৪০ দশমিক ৫৮ হাজার কোটি জাটকা নতুন করে ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষেণের সুফল পেতে হলে এ বছর উৎপাদিত ইলিশের পোনা (জাটকা) নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫২

হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো নিয়ে যা জানালেন মন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, সৌদি আরবের সম্মতি পেলে হজ নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়ানো হবে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজ নিবন্ধনের সময়সীমা গত ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সঙ্গে আলোচনা করে সময় না বাড়ানোর আল্টিমেটাম দিয়েছি আমরা। তারপরও সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা যদি সুযোগ দেয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব, নচেৎ এ পর্যন্তই শেষ। তিনি বলেন, এজেন্সির মালিকদের কারণেই হজের কোটা পূরণ হচ্ছে না। প্রতি বছরই হজ এজেন্সির যারা মালিক তারা শেষ সময়ে কম টাকায় বাড়ি ভাড়া পাওয়ায় জন্য এই পলিসি গ্রহণ করেন। আমরা এটা বন্ধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে, এ বছর হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পরে সেই সময় ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয়েছিল। এরপরও হজের কোটা পূরণ হয়নি। এখনও কোটার প্রায় ৭৪ হাজার মুসল্লি বাকি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়