• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ৪ মে থেকে
কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে যে ছাড় বা রেয়াত দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে, আগামী ৪ মে থেকে তা প্রত্যাহার হচ্ছে। ফলে বাড়ছে সব ধরনের ট্রেনের ভাড়া। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে। এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে। জানা যায়, বর্তমানে ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের ওপরে ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত কর নির্ধারিত আছে। আগামী ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করেন, তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে।  এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। ভাড়া বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেসময় এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। উল্লেখ্য, রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২৩ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলে 
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির কোনো নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে আছে তৃণমূল বিএনপি’র অর্ধশত নেতা। নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে নারাজ তৃণমূল নেতারা। এতে করে নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব দুটাই বাড়ছে। তাঁদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপি’র নীতিনির্ধারকেরা। কারণ, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেরানো না গেলে পরের ধাপগুলোতে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, আর তাতে দলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।   আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট। এর মধ্যে বিএনপির ৪৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তৃণমূল নেতারা বলছেন, জাতীয় আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাঁদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবেন। এতে বিএনপির অনেক নেতার সম্ভাবনা আছে জেতার।   অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করে বসে আছেন যে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিলের আগেই সবাই ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, কেউ যদি দলের নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে কোথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না কারণ তারা ‘প্রহসনমূলক নির্বাচনে’ অংশ নিতে চায় না। গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।  নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত থাকলেও সারা দেশের নেতাদের অনেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাঁরা বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা নির্দলীয় ব্যানারে প্রার্থী হবেন। এজন্য লন্ডন বা কেন্দ্রীয় নেতাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় থাকছেন না।  নির্বাচনে আগ্রহী ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার শাদাত বলেন, আমার বাবা বিএনপি থেকে ত্রিশালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমিও জনপ্রতিনিধি হই। তার ইচ্ছাতেই বিএনপির সঙ্গে আছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে জনগণের সেবা করতে চাই। যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় কোনও প্রতীক থাকবে না, সেই বিবেচনা থেকে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।  ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ যুবদলের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে নেমেছেন।  নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে এবং তাদের সংঘবদ্ধ করতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন অংশ নিলে বহিষ্কারও করতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ত্রিশাল উপজেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে জনগণ চায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের প্রতিনিধি হই। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।  নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই নির্বাচন করতে আগ্রহী।  বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা নির্বাচন বিএনপিকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি জানান, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত। তার পরও অনেক সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয় মতামতে ভিন্নতাও আসে। আমরা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়। বিএনপি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। বরং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের অনেক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর আগেও সিটি করপোরেশন বা ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তা সত্ত্বেও দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেড় শতাধিক প্রার্থী বিজয়ীও হয়েছেন। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৮

তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া
তীব্র গরমে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ। অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমে খেটেখাওয়া মানুষের কষ্ট যেন বেশি। জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। রিকশাচালক সালেক মিয়া বলেন, আর পারছি না। খুব গরম। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। ফুটপাতে তরমুজ বিক্রেতা আকবর বলেন, ভালো গরম পড়ছে। ঈদের কারণে রাস্তায় মানুষ কম। তবে বেচা-বিক্রি একবারে খারাপ না। গরমে তরমুজের দাম আরও বাড়বে।   বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, গরমে অনেক শিশু ডায়রিয়া, হাঁপানি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ভর্তির পাশাপাশি হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর ভিড় দেখা গেছে। এক সপ্তাহে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী। এরইমধ্যে রোগীর চাপে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীর জন্য বেড দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে থাকছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৪৭ জন গরমজনিত রোগী ভর্তি রয়েছে; যাদের অধিকাংশই ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। নওগাঁর মান্দা থেকে আসা আব্দুর রহমান মেয়েকে রামেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গত পাঁচদিন ধরে দেড় মাস বয়সী শিশুর পাতলা পায়খানা ও জ্বর। পরে হাসপাতালে এসে জানা যায়, শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। নাতিকে নিয়ে হাসাপাতালে এসেছেন পারুল আখতার। তিনদিন ধরে পাতলা পায়খানা, বমি এবং জ্বরে ভুগছে তার নাতি। শয্যা না থাকায় হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রামেক হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, এখনও হাসপাতালে রোগীর ভিড় সহনীয় পর্যায়ে আছে। হঠাৎ গরম পড়ায় বিভিন্ন রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে পানি ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসকের। এদিকে বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে দেশের ৬ জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে ঝড়-বৃষ্টির কারণে দু-এক জায়গায় কিছুটা কমেছে তাপমাত্রা। তবে ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঢাকায় অস্বস্তিকর অনুভূতি কমেনি। চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ অঞ্চল থেকে তাপপ্রবাহ দূর হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৪, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫, যশোরে ৪০ দশমিক ২, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০

বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বাড়ছে : ড্যাব
দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকে ন্যক্কারজনক অ্যাখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, মূলত বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি পরমুখাপেক্ষী চিকিৎসা ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদানে যারা তাদের শ্রম ও মেধা ব্যয় করছেন তাদের ওপর সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী ও দুর্বৃত্তদের হাতে চিকিৎসকদের ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ওপর শারীরিক নির্যাতন অমানবিক এবং অযাচিত।  তারা বলেন, কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের ওপর আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে নিজের হাতেই আইন তুলে নিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী একের পর এক চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ ভাঙচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে রক্তিম দাস নামের একজন চিকিৎসককে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। প্রচণ্ড আঘাতের কারণে ওই ডাক্তারের মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়। আহত চিকিৎসক মামলা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা যেহেতু এমপির কাছের লোক তাই পটিয়া থানার ওসি মামলা নিতে চায়নি। শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মামলা নেওয়া হয় বটে, কিন্তু মামলার ধারা পরিবর্তন করে সেটাকে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা নেওয়া হয়।  ড্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, পহেলা বৈশাখের দিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে কতিপয় দুর্বৃত্ত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন শিপলুর ওপর এনআইসিইউতে গুরুতর অসুস্থ শিশুর মৃত্যু হলে তার আত্মীয়-স্বজনরা হামলা করলে ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি এখন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। এর কিছুদিন আগে একজন চিকিৎসক তার সন্তানকে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন এবং পরে মারা যান।  তারা আরও বলেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর এই ধরনের হামলা ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি এবং সামাজিক অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বর্তমান বাংলাদেশ, যেখানে বিচারহীনতাই সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে।  ড্যাবের সভাপতি ও মহাসচিব অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং ডাক্তারদের নিরাপদ কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে। অন্যথায় দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে এবং এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১

রাজশাহীতে গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, বেশির ভাগই শিশু
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজশাহীতে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০, ২৪ ও ২৬ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, গরমে অনেক শিশু ডায়রিয়া, হাঁপানি, জ্বরে ভুগছেন। এছাড়াও হাসপাতালগুলোর আউটডোরে এসব রোগে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী মাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরইমধ্যে রোগীর চাপে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীর জন্য শয্যা সংখ্যা সংকুলান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের বাইরে মানুষের চলাচলরত রাস্তার মেঝেতে থাকছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৪৭ জন গরম জনিত রোগী ভর্তি রয়েছে। যারমধ্যে ৩২ জনই শিশু। যাদের অধিকাংশই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।  নওগাঁর মান্দা থেকে আসা আব্দুর রহমান কন্যা সন্তান নিয়ে রামেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভর্তি করেছেন তিনি জানান, গত পাঁচদিন ধরে তার ৪২ দিনের শিশুর পাতলা পায়খানা জ্বর। পরে হাসপাতালে এসে জানতে পারে শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে।  পারুল আখতার জানান, তার নাতির তিনদিন ধরে পাতলা পায়খানা ও বমি এবং জ্বর রয়েছে। কিন্তু শয্যা না থাকায় হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  নওগাঁর জোতবাজার এলাকার নাজিমুদ্দিন তার তিন বছরের এক শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। গত রোববার রাতে জ্বর ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়ে তাকে। এরপর সামান্য জ্বর কমলেও কমছিল না পাতলা পায়খানা। এরপর পাতলা পায়খানা কমার পর আবারও জ্বর আসে তার। সঙ্গে আবারও শুরু হয় পাতলা পায়খানা। এভাবে থেমে থেমে চলতে থাকে। নিরুপায় হয়ে অবশেষে চিকিৎসা নিতে আসে রামেক হাসপাতালে ওই শিশুর চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। সাধারণত দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভুক্তভোগী হয়। তাদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শহরে ট্যাপের পানি সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে দূষিত হয়। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় পচন ধরা ফ্রিজের খাবার গ্রহণ ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের (ইএমও) ইনচার্জ ডা. শংকরকে বিশ্বাস জানান, এখনো আমাদের হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গরম এসেছে। এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে। এক্ষেত্রে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।   
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

গরমে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, অসুস্থদের অধিকাংশই শিশু
রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ। প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তবে ঈদের ছুটিতে চিকিৎসক কম থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। এ সময়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু। সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রসহ (আইসিডিডিআর,বি) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। অনিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে দেখা গেছে, অনেকে এসেছে জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি নিয়ে।  আইসিডিডিআর,বি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সময়ে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি থাকে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ পর্যন্ত। তবে বর্তমানে হাসপাতালটিতে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম বলেন, ঢাকার চেয়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, জয়পুরহাট, ফরিদপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। রমজানে রাস্তার পাশে কেনা খাবার খাওয়া এবং অনিরাপদ পানি পান করায় হয়তো ডায়রিয়া বেড়েছে। জানা গেছে, রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটা থেকে সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে আড়াইশো জনের মতো ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগে গত রোববার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩৪ জন, শনিবার ৫২৫, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রোগী ভর্তি হয়েছিল ৫৯৫ জন। হাসপাতালে সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা শিশু সায়মার মা বলেন, শুরুতে মেয়ের ডায়রিয়া দেখা দেয়। সঙ্গে শুরু হয় জ্বর এবং প্রচণ্ড বমি। ১৫ দিন আগে যখন ডায়রিয়া দেখা দেয়, তখন থেকেই তার জ্বর। তবে মাঝখানে জ্বর ছাড়ে, আবার আসে। এরকম কয়েকদিন হয়েছে। প্রথমে ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়েছে। এরপর স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। সবশেষে যখন দেখছি তার অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না, বরং দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তখনই আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, গতকালের তুলনায় আজকে অবস্থা কিছুটা ভালো। ডাক্তার বলেছেন অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন এখানে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে।  এরকম শতাধিক শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন, ঈদের ছুটি শেষে ঘরমুখো সব মানুষ রাজধানীতে ফিরলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি। আইসিডিডিআর,বির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাইন্টিস্ট (নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশন) ডা. সারিকা নুজহাত বলেন, এখনো আমাদের হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। কিছুদিন যাবত কেবল গরম পড়েছে, আবার ঈদের ছুটিটাও এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। হয়তো আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, যেহেতু গরমটা বেশি, স্বাভাবিকভাবে মানুষ বেশি তৃষ্ণার্ত ও পিপাসার্ত থাকে। আমাদের পরামর্শ হলো যেসব ছোট বাচ্চা বুকের দুধ খায়, তাদের অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এটি বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া বাইরের খাবারদাবারে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার খুবই কম হয়, যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বড়দের মধ্যে যারা বাইরে কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই গরমে পিপাসা মেটাতে বাইরের বিভিন্ন শরবত ও খোলা পানি পান করেন। তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, বাইরের এসব খোলা পানীয় শরবত কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। বাইরে কাজ করতে হলে অবশ্যই বাসা থেকে বিশুদ্ধ পানি বোতলে করে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সারিকা নুজহাত আরও বলেন, এখন যেহেতু গরমের সিজন, বাসায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। এক্ষেত্রে খাবার সংরক্ষণের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। এই গরম নষ্ট, পচা-বাঁশি খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এমনকি বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। এদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে লম্বা লাইন। সেখানে নেই বসার ব্যবস্থা। গরমে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে বিপাকে অভিভাবকরা। কারও কারও সেবা নিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।  শরীয়তপুরের বাসিন্দা আব্দুর কাদের জানান, তার তিন বছর বয়সী সন্তান জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে দু’দিন আগে। তাকে জাজিরা সদর হাসপাতাল নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশু চিকিৎসক ছুটিতে। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। এখানেও সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৩

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগের পর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়ছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহনে ঢাকা ফিরছেন মানুষ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে রোববার রাত থেকে মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। সোমবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে।  ওসি আরও বলেন, তবে কোথাও যানজটের ভোগান্তি নেই। ঈদ উৎসব শেষে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ব্যাক্তিগত যানবাহনে বাড়ি ফিরছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যানচলাচলের গতি স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যানজটেন সৃষ্টি হয়নি।  তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে ও ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে এক কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৮ যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের ছুটিতে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

করপোরেটের কারসাজিতে লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম
করপোরেট গ্রুপগুলোর কারসাজিতেই অস্থিতিশীল হয়েছে মুরগির বাজার, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর তৈরিকৃত কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা। বাজারের বেশির ভাগ মুরগি এখন করপোরেট গ্রুপগুলোর। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে করপোরেট গ্রুপগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন বিপিএ সভাপতি। তিনি বলেছেন, অসাধু কর্মকর্তা ও করপোরেট গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন ১৭ কোটি ভোক্তা। এই সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় এনে প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা দিয়ে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে সরকারকে। তা না হলে, মহাবিপর্যয়ে পড়বে প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প। কৃষির উন্নয়নে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও করপোরেট গ্রুপগুলোর কারসাজিতে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে জানিয়ে সুমন হাওলাদার আরও বলেন, একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অথচ প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের সেই ফিড কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।  তিনি বলেন, এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতেই খরচ পড়ে যাচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৪৯ টাকা। অসাধু কর্মকর্তা ও করপোরেট গ্রুপগুলোকে আইনের আওতায় না এনে এভাবে দাম নির্ধারণ করে দিলে লোকসানে পড়বেন খামারিরা।  এ অবস্থায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে দ্রুত তাদের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করার দাবি জানান বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৯

আজ থেকে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেট্রোরেল চলাচলের সময় আজ বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে এক ঘণ্টা বাড়ছে। এদিন থেকে রাত ১০টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন সিদ্দিক। তিনি বলেন, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে এতদিন রাত ৮টায় সর্বশেষ মেট্রোরেল ছেড়ে যেত। সেটি এখন এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সর্বশেষ রাত ৯টা পর্যন্ত চলাচল করবে। অপরদিকে, মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তরের উদ্দেশে এতদিন সর্বশেষ মেট্রোরেল রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যেতে। এখন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সর্বশেষ মেট্রোরেল মতিঝিল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। সেই ট্রেনটি উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ১০টা ১৪ মিনিটে। তবে রাত ৯টার পর মতিঝিল মেট্রো স্টেশন থেকে যেসব ট্রেন উত্তরার পথে যাবে সেগুলোতে শুধু এমআরটি/র‍্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। একক টিকেটের যাত্রীরা এসব ট্রেনে চলতে পারবেন না। রাত ৯টার আগেই টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তার পরদিন থেকে পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচল করবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন সিদ্দিক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়