• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতিতে আরও সমৃদ্ধি আসবে। ওয়াটার ওয়েকে আরও বেশি স্মুথ করতে পারলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আরো ওপরে দৃষ্টিতে আসবে। সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারা বড় ধরনের দুর্বলতা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রকল্পের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। পরবর্তীতে ডিপিপি পরিবর্তন করা-সঠিক নয়। নদী খননের ড্রেজ মেটেরিয়াল কোথায় ফেলা হবে এটি একটি সমস্যা। বিচার বিশ্লেষণ করে ডিপিপি ফর্ম করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ১০,১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯,৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি প্রকল্প।
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩

‘আমরা দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা জ্ঞান এবং দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি। যেখানে শিক্ষার্থীরা দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা স্বাবলম্বী হবে এবং তার মধ্যে যে প্রতিভা আছে তার পুরোটা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমি মনে করি একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শরীর ও মনে যে শিশু সুস্থ হবে সেই শিশুই মানবিক, সৃজনশীল, দক্ষ ও যোগ্য হয়ে সোনার বাংলা গড়বার সোনার মানুষ হয়ে উঠবে।   মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড় বার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই বাংলাদেশ গড়বার জন্য তারই সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। এখন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার জন্য কাজ করছেন। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার জন্য যে স্মার্ট নাগরিক দরকার সেই নাগরিক তৈরির জন্য আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সে দিকে নেওয়ার জন্য কাজ করেছি এবং করছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।  বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এম আর শামীম পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদস্য অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটওয়ারীসহ শিক্ষক, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৮

মেধাহীন জাতি তৈরিতে সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে : রিজভী
একটি মেধাহীন জাতি তৈরি করার জন্য সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষানীতি নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।    লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘শিক্ষানীতির কোনও মৌলিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। পাসের হার বাড়িয়ে দেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। শিক্ষার্থী উত্তরপত্রে কিছু লিখুক আর না লিখুক তাকে পাস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। বলা হয়েছে, ফেল করানো যাবে না। অথচ পড়াশোনা করেই পাস করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘শিশুশ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একেকবার একেক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে হযবরল করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্কুলমুখী না করে কোচিং সেন্টার ও গাইড বইমুখী করা হয়েছে। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থায় এহেন অরাজকতায় কখনোই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ঘটবে না। একটি মেধাহীন জাতি তৈরি করার জন্য সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে।’ মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও দেশপ্রেম প্রকাশে সরকারিভাবে ‘কপটতা ও রাজনৈতিক শঠতা উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন রুহুল কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা চাই, জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা চাই ইত্যাদি সরকারি প্রোপাগান্ডা অব্যাহত রয়েছে। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলা ভাষা চর্চার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমান দখলদার শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য আন্তপ্রাণ দেখালেও বাস্তবে দেশকে পরিণত করা হচ্ছে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচর্যা কেন্দ্র হিসেবে। আত্মনির্ভরশীলতার স্থলে পরনির্ভরশীলতাকে করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি। এখন ভারত থেকে কচুরমুখীও আমদানি করতে হয় আমাদের। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত এখন ছেপে আসে ভারত থেকে। পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত অনেক প্রবন্ধ কবিতায় বানান ভুলে ভরা। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ভাষার চর্চাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কায়দায় পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রভাষার চর্চাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে নিরন্তরভাবে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩

৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। আসন্ন ২০ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  লিখিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আসন্ন ২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পূর্বেই আমাদের দাবি বাস্তবায়নের স্বার্থে সিন্ডিকেট আয়োজন সংক্রান্ত অফিস কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজনীয় বিধায় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ অবিলম্বে সিন্ডিকেট সভার সুষ্ঠু আয়োজনের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার ভবনে চলমান প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করছে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করাসহ মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে অপর্যাপ্ত, অদক্ষ ও অগ্রহণযোগ্য।  যৌন নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার ও ধর্ষনকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এবং মীর মোশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের সম্পৃক্ততা তদন্তের দাবিতেও প্রশাসনের আশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রশাসনের এই রহস্যজনক নির্লিপ্ততা ও অবহেলার প্রেক্ষিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ চলমান ঘটনাবলীর উপরে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে এবং কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ২০ তারিখের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে যদি আশানুরূপ কোন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন জারি রাখবো এবং আন্দোলনের ফলে যদি ভর্তি পরীক্ষা ব্যাহত হয় তাহলে এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। সিন্ডিকেটের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করার কথা ছিল এবং তাদের তালিকা প্রকাশের কথা ছিল কিন্তু তারা আমাদেরকে তালিকা দিতে পারেনি। এখানে প্রশাসনের গড়িমসি ও শৈথল্য প্রকাশ পেয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি ধর্ষণকাণ্ডে সহায়তাকারীদের পলায়নের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এড়াতে পারে না। যেখানে র‍্যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন সেখানে এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালযয়ের উপাচার্যকে বোঝা উচিত। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রক্টর এবং প্রভোস্টকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়ার কোনো সদিচ্ছা আমরা দেখতে পাইনি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমরা সুস্পষ্ট বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় চলমান পরিস্থিতির সুষ্ঠু বিচার না হয়ে এভাবে চলতে থাকলে আমরা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারি না। কারণ আমাদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল তার কোনোটারই দৃশ্যমান ফলাফল আমরা দেখতে পাইনি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বলা হয়েছে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করতে হবে, সেটি তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।  এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে রোববার বেলা একটায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের সামনে নিপীড়কের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। 
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১

‘আ.লীগ নির্বাচনী ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, আমাদের যে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষিত হয়েছে সেই ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা বাস্তবায়ন করবো। আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া এক গণসংবর্ধণা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারলে নিশ্চয়ই এই দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে, সত্যিকার অর্থেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।  তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন, তারা অনেকেই নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। শুধুমাত্র টাকার পাহাড় ছড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ফরিদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যায় বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একজন সৈনিক জীবিত থাকতে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা।  ফরিদপুরকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ সময় যারা নানা প্রলোভনে মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তাদের দলের মূল ধারায় ফিরে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে একই ছাতার নিচে থেকে দলকে সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান তিনি।  ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানাজী, সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস, দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছিরসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সোনার নৌকার রেপ্লিকা ও পৌরসভার মেয়রের পক্ষ থেকে পৌরসভার উন্নয়ন চাবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হয় আবদুর রহমানের হাতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়