• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
চ্যাম্পিয়নস লিগে কঠিন প্রতিপক্ষ পেলো বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বলা হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগকে (ইউসিএল)। চলতি মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আটটি হেভিওয়েট দল। তবে শেষ আটের লড়াইয়ে সব থেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়োর্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মিলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। কারণ, গতবারের ইউসিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। গত আসরের রানার্সআপ ইন্টার মিলাকে বিদায় করে কোয়ার্টারে পা রাখা অ্যাথলেটিকোও পেয়েছে বড় প্রতিপক্ষ। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের টপকাতে হবে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দেয়াল। এর আগে পিএসভিকে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছিল বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক শক্তিশালী ক্লাব আর্সেনালের প্রতিপক্ষ জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। তার মানে গানারদের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে সাবেক টটেনহ্যাম তারকা ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইনের সঙ্গে।  এবার কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হবে ৯–১০ এপ্রিল, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দলগুলো মুখোমুখি হবে ১৬–১৭ এপ্রিল। এরপর ৩০ এপ্রিল ও ১ মে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৭–৮ মে দ্বিতীয় লেগের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১ জুন হবে ইউসিএল ফাইনাল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

মায়োর্কাকে হারিয়ে লা লিগায় দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে বার্সেলোনা এবং জিরোনার লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে।  মায়োর্কাকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জিরোনারকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কাতালানরা। শুক্রবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে শুরু থেকে দাপট দেখাতে থাকে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে রাফিনিয়ার একটি শট প্রতিহত হয় ডি-বক্সে। বেশির ভাগ সময় পায়ে বল রাখলেও মায়োর্কার ছয় জনের ডিফেন্স লাইনের সামনে সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও একবারের জন্যও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেননি রাফিনিয়া-ফেলিক্সরা। এর মধ্যে গুনদোয়ানের পেনাল্টি শট ফিরেয়ে দেন মায়োর্কার গোলরক্ষক। বল পায়ে দ্রুত গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া রাফিনিয়াকে ডিফেন্ডার মানুয়েল কোপেতে লাথি দিলে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা। শুরুতে অবশ্য গোল কিক দিয়েছিলেন রেফারি, পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে মনিটরে রিপ্লে দেখে স্পট কিকের বাঁশি বাজান তিনি।  কিন্তু লেভানদোভস্কির অনুপস্থিতিতে শট নেন গুনদোয়ান। খুব একটা জোর ছিল না, নিচু ও দুর্বল শট ফেরাতে তেমন একটা অসুবিধা হয়নি সার্বিয়ান গোলরক্ষকের। ফিরতি বলে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইয়ামাল।  ২৯তম মিনিটে রাফিনিয়া ও জোয়াও কানসেলোর দুটি শট প্রতিহত হয় মায়োর্কার ডি-বক্সে। ছয় মিনিট পর কাইল লারিনের হেড অনায়াসে ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফেলিক্সের শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে বড় সুযোগ মিস করে স্বাগতিকরা। ৪৮তম মিনিটে বাঁদিক থেকে ফেলিক্সের শট একজনের পায়ে লেগে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। চমৎকার রিফ্লেক্সে সেটি ঠেকিয়ে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক। এর আগে পরে ব্লকড হয় স্বাগতিকদের দুটি শট।   ৫৭তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ইয়ামাল। তার বুলেট গতির শট ফেরে ক্রসবার কাঁপিয়ে! তিন মিনিট পর ফের সুযোগ আসে গিনদোয়ানের সামনে। ডি-বক্সের মাথা থেকে তার দুর্বল শট সহজেই ঠেকান রাইকোভিচ।  ৬২তম মিনিটে মাঠে আসেন লেভানদোভস্কি ও ভিতো হকে। বাড়ে বার্সেলোনার আক্রমণের গতি। ১১ মিনিট পর গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে পায়ের কারিকুরিতে ভেতরে ঢুকে যান ইয়ামাল। সঙ্গে লেগে থাকা একজন ও সামনে দেয়াল হয়ে থাকা আরেকজনকে এড়িয়ে চমৎকার বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন এই তরুণ ফুটবলার পিছিয়ে পড়ার পর রক্ষণ ছেড়ে আক্রমণে মনোযোগ দেয় মায়োর্কা। কিন্তু সেভাবে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। প্রতি-আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল বার্সেলোনার সামনে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। এই জয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। ২৮ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট বার্সেলোনার। ২৭ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার টেবিল টপার রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে জিরোনা।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৪

বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন জাভি
চলতি মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। তাই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যেকোনো সময় চাকরি হারাতে পারেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেস। তবে গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নেওয়ার আগেই মৌসুম শেষে বার্সেলোনা ছাড়ার কথা জানিয়েছেন জাভি হার্নান্দেস।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের কাছে ৫-৩ গোলে হেরে শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে কাতালানরা। হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। জাভি বলেন, আমি এই ক্লাবেরই খেলোয়াড়, এমনকি নিজের চেয়ে ক্লাবকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। আমার যা কিছু ছিল, সবকিছুই দিয়েছি এই ক্লাবকে এবং ভক্তদের গর্ব করে তুলতে আমি এটা বজায় রাখব। আমি মনে করি ক্লাবের গতিশীল পরিবর্তন প্রয়োজন। খেলোয়াড়দের ভালোর জন্য আমি বিশ্বাস করি, তারা আরও নিজেদের স্বাধীন করতে পারবে। আমরা প্রচুর দুশ্চিন্তা নিয়ে খেলি। তিনি বলেন, পরিচালনা পরিষদের ভালোর জন্য আমার চলে যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আমি মনে করি, আমি সঠিক কাজটাই করছি। বার্সেলোনায় আপনার সবসময়ই মনে হবে আপনাকে মূল্য দিচ্ছে না, বাজে ব্যবহার করা হচ্ছে- ক্লাব এভাবেই চলে। মানসিক দিক থেকে এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। আমি একজন ইতিবাচক মানুষ, কিন্তু আমার ব্যাটারি লেভেল ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং একটা সময়ে বুঝতে পেরেছি যে, এখানে থাকার কোনো মানে নেই। তিনি আরও বলেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে গেলেও আমি সিদ্ধান্ত বদল করব না। আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলব। খেলোয়াড়রা অবশেষে নিজেদের মুক্ত বোধ করবে। আমি অর্থের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার হৃদয় বলছে, ক্লাবের জন্য এটাই ভালো হবে। আমি সমস্যা না, সমাধান হতে চাই। জুন পর্যন্ত এরকম থাকতে চাই।  গত ২০২১-২২ মৌসুমের মাঝখানে কাতারি ক্লাব আল সাদের দায়িত্ব ছেড়ে বার্সায় আসেন। সেবার অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে পরের মৌসুমেই তার অধীনে লিগ শিরোপার স্বাদ পায় বার্সা।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়