• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে বারের সামনে নারীদের চুলোচুলি
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীদের মদপানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদপান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। তাদের কাছে মদ বিক্রি করায় সেলেব্রিটা বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। গ্রেপ্তার তিন নারী হলেন, শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেকোন নারী-পুরুষ লাইসেন্স থাকলেই মদ পান করতে পারে। তবে পয়লা বৈশাখের রাতে গুলশান এলাকায় যারা মদ পান করেছেন, তাদের কারো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীনদের কাছে বার কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে। যা পান করে তারা মাতাল, বেসামাল হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বার কর্তৃপক্ষের ওই বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা তারা করেনি। ওই নারীরা রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারি করেছেন। যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন। ভাইরাল হলো দেশজুড়ে। ডিবি প্রধান বলেন, আমি মনে করি এই ভিডিও দেশের মানুষের মধ্যে শহরের মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা হবে। এসব নারীরা কারো না কারো সন্তান। তাদের অভিভাবকদের উচিত মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে খেয়াল রাখা। আজকে এই নারীরা বারে গিয়ে মদ পান করে এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছেন সেই মেয়েটিও মাতাল ছিলেন। হারুন অর রশীদ, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, মারধরের শিকার ভুক্তভোগী রিতা আক্তার সুস্মি বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যাই। খাওয়ার এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারজন মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। পরবর্তী সময়ে আমি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে। তিনি বলেন, আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। কারণ রাস্তায় একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৯

বারের সামনে চুলোচুলি, ভাইরাল সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম। হারুন অর রশীদ বলেন, বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন।পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় চিৎকার করছিল নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৬

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন
পুনর্নিবাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেওয়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ (১ নম্বর হল রুমে) হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার সমর্থকরা এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। পরে ব্যারিস্টার খোকন নিজে সংবাদ সম্মেলন করে বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়ালি উর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নতুন বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপিটি দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবারের বার নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) সভাপতি পদে বিজয়ী হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হন সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ এই চারজনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো ২৭ মার্চের চিঠিতে বলা হয়, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। চিঠিতে এরপর বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ৯ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের (খোকনসহ চারজন) এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খোকন, সম্পাদক মঞ্জুরুল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক। শনিবার (৯ মার্চ) রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে বিকেল ৩টার পর শুরু হয় ভোট গণনা। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। যে ভবনে ভোট গণনা করা হয়েছে, সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এর আগে নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এরপর শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এ ছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবী এবং অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জন সুকৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনিভাবে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এ ছাড়াও হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে এবং শনিবার দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, ডা. কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল এবং অ্যাডভোকেট সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামিরা করা হয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৩

সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট গণনা বিকালে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট গণনা শুরু হবে বিকালে। এরপর ঘোষণা করা হবে ফলাফল। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় এ নির্বাচনের ভোট গণনা করা হবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে নাহিদ সুলতানা যুথীকে বাসায় পাওয়া যায়নি। এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) ৩০-৪০ জনের নামে মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। এতে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৩০-৪০ জনকে। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ স্বতন্ত্র সম্পাদক পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন অস্ত্র হাতে অডিটরিয়ামে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এছাড়াও হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলায় ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী নামের এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পর দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টায় শেষ হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫২

সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট গণনায় বহিরাগতদের হামলা, আহত কয়েকজন
সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট গণনার সময় হামলা চালিয়েছে একদল বহিরাগত। এ ঘটনায় স্থগিত আছে ভোট গণনা। হামলায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। সূত্রমতে, দেশের আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২৫) নির্বাচনে দুদিনের ভোট গ্রহণ শেষ হয় গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ)। পরে রাত ১০ টার পর ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হতে দেয়নি বহিরাগতরা। তাদের হামলায় আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বহিরাগতরা সবাই একজন নারী সম্পাদক প্রার্থীর অনুসারী বলে জানা গেছে। এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় দুইদিনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপর থেকে রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পদ ভিত্তিক ব্যালট আলাদা করে গননার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপরেই শুরু হয় হট্টগোল মারামারি। বহিরাগত কয়েকজন ঢুকে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা জানান, মারামারির পরপরই ব্যালট বাক্সগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে সকাল ৮টার দিকে শ'খানেক পুলিশ ব্যালট বাক্স গুলোকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে কঠোর পাহারা বসায়। প্রসঙ্গত, সভাপতি, দুই সহসভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দুই সহসম্পাদক ও ৭ সদস্যসহ মোট ১৪টি পদে এক বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচন হয়ে থাকে। ১৪টি পদের বিপরীতে এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৩৩ জন। এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি পদে ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সম্পাদক পদে লড়ছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন আবু সাঈদ সাগর, আর সম্পাদক পদে লড়ছেন ব্যারিস্টার শাহ মঞ্জুরুল হক। এর বাইরেও যুবলীগ সভাপতির স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথী লড়ছেন সম্পাদক পদে।  এ ছাড়া প্রবীণ আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এম কে রহমানও লড়ছেন সভাপতি পদে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৮৮৩। দুইদিনের ভোট গ্রহণ শেষে মোট ভোট পড়েছে ৫ হাজার ৩১৯টি।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:২১

ষষ্ঠ বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন মতিয়া চৌধুরী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়া চৌধুরী। নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন মতিয়া চৌধুরী। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত আটটায় নকলা ও নালিতাবাড়ীর দুই সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, এ আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৪ টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট। মতিয়া চৌধুরী সাবেক কৃষিমন্ত্রী। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারিতে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়