• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়বেন স্বামী। আর বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে অর্নব চৌধুরী। হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকী শিকারমোড়া এলাকার সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরীর ছেলে মো. অর্নব চৌধুরী।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া খেলার মাঠ থেকে বাবা ও মাসহ দুইজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রবাসী হেলিকপ্টারটি। প্রবাসী ছেলের বাবা সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রতিটি সন্তান চাই। হেলিকপ্টারে চড়ব সেটা আমার দীর্ঘদিনের একটা লালিত স্বপ্ন ছিল। ছেলের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমার ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী। সবার কাছে প্রবাসীদের জন্য দোয়া প্রার্থী। জীবনের প্রথম হেলিকপ্টার চড়ব তা-ও আবার শেষ বয়সে কোনো দিন আশা করি নাই। প্রবাসী অর্নব চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার চড়বে সেটা জানার পর থেকেই পরিকল্পনা করি অন্তত বাবা-মামাকে তাদের এ স্বপ্নটা পূরণ করি। আল্লাহ সেই আশাটা পূরণ করেছে।  এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের নারীপুরুষ-শিশুসহ অন্তত কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে। যা পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খালিদ
আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর শহরের এস এম মডেল গভর্নমেন্ট হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। জানাজার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দিন এবং খালিদ হোসেনের বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এর আগে ভোর ৪টায় শিল্পীর মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায়। তার আগে সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ।  তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন বলে জানা গেছে। আশির দশকের প্রথম দিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইমের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন খালিদ। ব্যান্ডটির হয়ে বেশ কিছু অ্যালবামে গেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নব্বই দশকে সলো ক্যারিয়ারেও সফলতা পান। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণে ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’, ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘কীর্তনখোলা নদী’, ‘ঘুমাও’– এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ। প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবুর সুরে তার গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে আগেই। তবে ২০১০ পরবর্তী সময়গুলোতে গানে অনিয়মিত ছিলেন খালিদ। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান নিউইয়র্কে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছাড়লেন মেয়ে, বাবা-মায়ের আত্মহত্যা
ভারতে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন তরুণী। এ ঘটনায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণীর মা-বাবা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার। দেশটির দক্ষিণ কেরালার কোল্লাম জেলার পাভুম্বা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর বাবা উন্নিকৃষ্ণ ও তার স্ত্রী বিন্দু একমাত্র মেয়েকে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু তাদের কথা না শুনে তরণী সম্পর্ক চালিয়ে যান, এরপর প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এ খবর জানতে পেরে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণীর মা-বাবা। ওই তরুণীর আত্মীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই দম্পতি সবসময় চিন্তা করতেন। মেয়ের কারণেই তারা ধীরে ধীরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার খবর জানতে পেরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

জাপানি তিন শিশুকে বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দিলেন হাইকোর্ট
জাপানি বংশোদ্ভূত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বড় মেয়েকে নিয়ে নাকানো এরিকো জাপানে যেতে পারবেন বলেও রায়ে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়