• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের অবুঝ শিশু জুনায়েদ
বাবা-মাকে খুঁজছে ৫ বছরের শিশু জুনায়েদ ইসলাম। গত বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান জুনায়েদ মা-বাবা। গুরুতর আহত হয় সে নিজেও। তবে মা-বাবার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও বুঝতে পারেনি ছোট্ট এই অবুঝ শিশু। এ বাড়ি, ও বাড়ি মা-বাবাকে খুঁজে ফিরছে অসহায় নিষ্পাপ শিশু জুনায়েদ। সে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নারিকেলি গ্রামের নিহত আনসার ভিডিপি সদস্য এনামুল হক (৪০) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনের (৩২) ছেলে। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ জুনায়েদকে নিয়ে বুধবার ভোরে মোটরসাইকেলে নওগাঁর নওহাটা এলাকায় এক কবিরাজের বাড়িতে গিয়েছিল এনামুল ও বৃষ্টি। বাড়ি ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের সাহাপুর মোড়ে অপর মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সড়কে ছিটকে পড়া এনামুল ও বৃষ্টিকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ৫ বছরের জুনায়েদ। যদিও তার মাথা ও মুখে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নারিকেলি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জুনায়েদ বসে আছে ফুফুর কোলে। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর থেকেই এদিক ওদিক মাকে খুঁজছে সে। স্বজনরা বিভিন্নভাবে তাকে ভোলানোর চেষ্টা করছেন। আক্কেলপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা জানান, দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগে

অজানা ভাইরাসে ২ বোনের মৃত্যু, বাবা-মাকে রাখা হলো আইসোলেশনে
রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাবা-মাকেও হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শিশু দুজনের নাম মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাশিয়া। আগামী ২ মার্চ দুবছর বয়স হতো মুনতাহা মারিশার। আর ৩০ মে পাঁচ বছর হতো মুফতাউল মাশিয়ার বয়স। এ দুই শিশুর বাবার নাম মনজুর রহমান (৩৫)। তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন (৩০) গৃহিণী। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।  কলেজ প্রাঙ্গণে থাকা গাছের বরই কুড়িয়ে এনে দুশিশুকে খেতে দিয়েছিলেন কাজের বুয়া। না ধুয়েই এ বরই খেয়েছিল দুবোন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া। আর গত বুধবার একই লক্ষণ নিয়ে মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। তাই শিশুদের বাবা-মাকে আর হাসপাতাল থেকে যেতে দেননি চিকিৎসকেরা। তাদের রামেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।  আর বিকেলে স্বজনদের মাধ্যমে মাশিয়ার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যার পরে দুর্গাপুর উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। গত বুধবার রাতে ছোট মেয়ে মারিশাকেও দাফন করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে রামেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় মনজুর রহমান ও তার স্ত্রী পলি খাতুনের সঙ্গে। পাশাপাশি শয্যায় বসে ছিলেন তারা। পলি খাতুন জানান, গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কোয়ার্টারের কাজের বুয়া কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে বরই কুড়িয়ে এনে দুমেয়েকে খেতে দিয়েছিলেন। না ধুয়েই ওই বরই খেয়েছিল মারিশা আর মাশিয়া। সেদিন তারা ভালই ছিল। একসঙ্গে খেলেছে। পরদিন বুধবার বেলা ১১টার দিকে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বার বার পানি খাচ্ছিল। দুপুরের পর শুরু হয় বমি। তখন মেয়েকে নিয়ে তারা একটি মাইক্রোবাসে করে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে আসছিলেন। মাইক্রোবাসেও মারিশা বুকের দুধ খায়। শহরে ঢোকার আগে কাটাখালী এলাকায় মায়ের বুকেই মারিশা মারা যায়। সিএমএইচে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, সে আর নেই। এরপর গ্রামের বাড়ি দুর্গাপুরে নিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়। তিনি জানান, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুর্গাপুরের বাড়িতে মাশিয়ারও জ্বর আসে। শুরু হয় বমি। দ্রুতই তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহীতে সিএমএইচে আনা হয়। রাতে মাশিয়ারও পুরো শরীরে ছোপ ছোট কাল দাগ উঠতে শুরু করে। তা দেখে সিএমএইচের চিকিৎসকেরা মাশিয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুতই আইসিইউতে ভর্তি নেন। পরদিন শনিবার বিকালে মাশিয়াও মারা যায়। পলি খাতুন আরও জানান, ছোট মেয়ে মাশিয়ার মৃত্যুর পর তার পুরো শরীরে ছোপ ছোপ কাল দাগ উঠতে দেখা যায়। আর মারিশার একই রকম কাল দাগ উঠতে শুরু করে মৃত্যুর আগের রাতে। এ রকম দাগ তিনি আগে কখনও দেখেননি। গরম তেল শরীরে পড়লে যে ধরনের দাগ হয়, তা অনেকটা সে রকমের। অসুস্থ হওয়ার পরে দুবোনই বার বার পানি খাচ্ছিল। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, বাচ্চা দুজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও তাদের বাবা-মা জানিয়েছেন, তারা খেজুর রস খায়নি। তবে না ধুয়ে বরই খেয়েছিল। এটা নিপাহ ভাইরাস হতে পারে, আবার অন্য কোন ভাইরাসও হতে পারে। সেটা আসলেই কী তা জানতে হাসপাতালে মারা যাওয়া মারিশা আর তার বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রোববার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তখন জানতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘এ বছর এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে কেউ নিপাহ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন, এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা সঠিক যে, বাচ্চা দুজন কোনো একটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে। অসুস্থ হওয়ার আগে এটা বোঝা যায়নি। আবার অসুস্থ হওয়ার পরে চিকিৎসার জন্য খুব বেশি সময়ও পাওয়া যায়নি। তাই বাচ্চা দুজনের বাবা-মাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২

বাবা-মাকে দেখতে এসে পরিবারের পিটুনির স্বীকার যুবক
মাদারীপুরে ধর্মান্তরিত হওয়ায় মো. হৃদয় নামে এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।  শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ডাসার উপজেলার চলবল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মো. হৃদয় (হরজিৎ গাইন) ওই উপজেলার চলবল গ্রামের হরে কৃষ্ণ গাইনের ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় কয়েক বছর আগে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং নাম পরিবর্তন করে মো. হৃদয় হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। দুইদিন আগে হৃদয় তার বাবার বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে যান। বৃহস্প‌তিবার রাতে ঘুমিয়ে পড়লে তার ভাই-বোন ও গ্রামবাসী মিলে তাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  যুবক হৃদয় বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। এই কারণে আমার বড় ভাই ও গ্রামবাসী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেছে। পরে ঘরে আটকে রেখেছে।’   ডাসার থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আহত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১

বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না। প্রবীণদের জন্য পাইলট বেসিসে ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করা হবে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। দীপু মনি বলেন, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা ঘরে একা থাকেন। অনেক সময় তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। কর্মজীবীদের অতিরিক্ত চিন্তা নিয়ে কাজে অংশ নিতে হয়। তাই প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সেখানে প্রবীণদের জন্য বিনোদন খেলাধুলা চিকিৎসাসেবাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেন। মন্ত্রী হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব জিরো টলারেন্স অনুসরণ করা। ঠিক আমার মন্ত্রণালয়েও সেটি অনুসরণ করা হবে। আল-আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজু রহরমান টুটুলসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭

বাবা-মাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলে কারাগারে
জামালপুরের মেলান্দহে বৃদ্ধ বাবা-মাকে নির্যাতন ও ভরণ-পোষণের খরচ না দেওয়ায় হাবিব শেখ নামে (২৫) এক যুবককে জেলে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠান। এর আগে বৃদ্ধ বাবা-মা নিরুপায় হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাবিব শেখ তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণের খরচ না দিয়ে উল্টো উগ্র আচরণ করতো। কথায় কথায় সে ঘরের জিনিসপত্রও ভেঙে ফেলতো। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার রাতে বাবা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামালা করেন। পরে বৃহস্পতিবার হাবিব শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে। আশা ছিল বড় হয়ে আমাদের দেখাশোনা করবে। মাঝে সে ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ আমাদের নির্যাতন শুরু করে। তাই কোনো উপায় না পেয়ে থানায় জানাই। ঘটনা শুনেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণ না দেওয়ার অভিযোগে হাবিব শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। এ ধরনের অভিযোগ থানায় আসা মাত্রই পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩

বাবা-মাকে পাশের ফ্ল্যাটে রেখেই আত্মহত্যা করেন মডেল তাসনিয়া
রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাসনিয়া রহমান (২৬) নামে এক মডেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাসনিয়ার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌসী। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোরের দিকে ঐ ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। এরপর দ্রুত তাকে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাসনিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।  রাজধানী ধানমন্ডির একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন তাসনিয়া। একই বাড়ির চারতলায় থাকতেন তার মা–বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তাসনিয়া। আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ভোরে এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাসনিয়াকে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তানজিম তাসনিয়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাবের) এ মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কী কারণে তাঁকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে, তা এখনো জানা যায়নি। কয়েক বছর ধরে মডেলিং ও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাসনিয়া রহমান। এর আগে একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে অনেক ধরনের সমস্যার কথা বলেন তিনি। গত বছরে একাধিক প্রতারণার অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন তাসনিয়া। তখন তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক জসীম আহমেদ। এদিকে তাসনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাবের) পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে তার মৃত্যুতে।  প্রসঙ্গত, অভিনয়ে নবাগত ছিলেন তাসনিয়া। কয়েকটি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন তিনি। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ সিরিজের একটি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান তাসনিয়া।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়