• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় বাবা-ছেলে আহত
গোপালগঞ্জে বোমা হামলায় মাসুদ শেখ (৪০) ও তার ছেলে আবদুল রাশেদ (৪) আহত হয়েছে। আহতদের প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া মাসুদ শেখের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাসুদ শেখ ওই গ্রামের মন্টু শেখের ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ শেখ তার চার বছর বয়সী ছেলে আবদুল রাশেদকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে ঘরের দরজা খোলার সময় ৫-৬ জন লোক তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়।  বোমার বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।  আহত মাসুদ শেখের ভাবি ফরিদা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর আমরা ঘরে ভাত খাচ্ছিলাম। এ সময় লোডশেডিংয়ে অন্ধকার হয়ে যায়। বিকট শব্দে শুনে ঘর থেকে দৌঁড়ে বের হই। এসে দেখি মাসুদ ও তার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায়  রাস্তার ওপর পড়ে আছে। একটু পাশে তার মোটরসাইকেল পড়ে ছিল। মোটরসাইকেল থেকেও আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ঘরের দরজায় বড় ছিদ্র হয়েছে।  কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে আইনের  আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।   গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্মকর্তা গাজী মো. আশিকুজ্জামান বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে মাসুদ শেখ ও তার ছেলে আব্দুল রাশেদকে নিয়ে আসে। মাসুদ শেখের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। বাম পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে, হাড় কেটে গেছে।  পেটে বড় ইনজুরি রয়েছে। আমার ধারণা, তার পেটের মধ্যে কিছু রয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে তাকে অপারেশন করে পেট থেকে সেটা বের করতে হবে। এ ছাড়া মাসুদের শরীরের ৩০ শতাংশ ও ছেলের শরীর ২৭ শতাংশ  পুড়ে গেছে। মাসুদের অবস্থা আশংকাজনক। তবে ছেলে আব্দুল রাশেদ শঙ্কামুক্ত। তাদের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মাসুদ শেখ তার ছেলেকে নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরছিলো। ওই সময় কে বা কারা বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে। এতে বাবা-ছেলে আহত হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দন স্যারসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
২২ ঘণ্টা আগে

জমি দখলের চেষ্টা চেয়ারম্যানের, বাবা-ছেলে জেলহাজতে
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের অভিযোগে উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান (৬৬) ও তার ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহসান কবীর ওরফে শামীমকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক গিয়াসউদ্দিন তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী এমদাদুল হকের বাবা মৃত আব্দুল লতিফ মিয়া ও চাচা আব্দুর রহমান ১৯৬৫ সালে তাদের মায়ের মৃত্যুর পর সম্পত্তিসমূহ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ২৬ নভেম্বর সেরাজ উদ্দিন ৫৬ শতাংশ তার স্ত্রী ও ৮১ শতাংশ বদিউজ্জামান ও মনিরুজ্জামানের নিকট বিক্রি করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান তাদের সঙ্গে একত্রে মাছ চাষ করছিলেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে আসামিরা নিজের সম্পত্তি দাবি করে মাছ চাষে বাধা প্রদান করেন। ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি স্থানীয় থানায় সালিশ হয়। তখন ওই জমি ১৯৬৪ সালে ক্রয় করেছেন বলে তারা একটি দলিলের ফটোকপি দেখিয়ে রহমানের পুকুরের অংশও নিজেদের দাবি করেন। যা সম্পূর্ণ জাল দলিল প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন এমদাদুল হক। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী জানান, জমিজমা (সিআর) মামলায় আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় বিকেলে বাবা ও ছেলেকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

রামুতে ডাকাতের আক্রমণে বাবা-ছেলে নিহত
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ায় সশস্ত্র ডাকাতদলের আক্রমণে দুজন নিহত হয়েছেন।  রোববার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের আক্রমণে নিহতরা হলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩) ও মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২)। নিহতরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। স্থানীয়দের ধারণা, গরু পাচারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৩

বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত, হাসপাতালে মা 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে বাসচাপায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন মা। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাঁচপুরের কেওঢালা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সুরেষ ডাকুয়া (৩৫) ও ছেলে রোকেশ ডাকুয়া (৭)। এছাড়া নিহতের স্ত্রী নিপু রায় (৩০) আহত হয়েছেন।  সুরেষের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা কাঁচপুর হাইওয়ে থানার কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মনির হোসেন ও আমজাদ হোসেন জানান, সকালে তারা খবর পান কেওঢালা বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওই তিনজনকে একটি বাস চাপা দিয়েছে। পরে তারা সেখানে গিয়ে দেখেন ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। আহত স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় কাতরাচ্ছেন। তখন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঢামেক হাসপাতালে আনার পরপরই চিকিৎসক সুরেষকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত নিপু রায় জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামে। গ্রামে টেইলার্সের দোকান রয়েছে তার স্বামী সুরেষের। গত শনিবার গ্রাম থেকে স্বামী-সন্তানসহ নারায়ণগঞ্জে ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে’ এসেছিলেন পূজার জন্য। সেখান থেকে আজ সকালে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে কাঁচপুর কেওঢালা বাসস্ট্যান্ডে বাবার হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছিল রোকেশ। আর তাদের পেছনে ব্যাগ হাতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় একটি বাস তাদের ওপর উঠিয়ে দেয়। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শিশুটির মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৬

হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দুলাল মল্লিক হত্যা মামলায় বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাব ১২-এর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।  এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা পল্লবী থানার আলবদীরটেক পশ্চিমপাড়া ও সাভার থানার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন—শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পূর্বচর কৈজুরী গ্রামের রহিম শেখ (৫৫) ও তার ছেলে রাশেদুল হাসান (২৩)। ইলিয়াস খান জানান, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে চরের জমি নিয়ে ঠুটিয়া গ্রামের ইসলাম মল্লিক ও শুকুর বেপারীর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমির সীমানাপ্রাচীর নির্ধারণ করার জন্য উভয় পক্ষ গত ২ মার্চ বিকেলে বৈঠকে বসে। বৈঠকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রহিম শেখ ও তার ছেলে রাশেদুল ইসলাম লোকজন নিয়ে হোসেন মল্লিকের বাবা দুলাল মল্লিকের ওপর হামলা চালায়। এতে দুলাল মল্লিক ধারাল ফালার আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত দুলাল মল্লিকের ছেলে হোসেন মল্লিক বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকে রহিম শেখ ও তার ছেলে রাশেদুল হাসান পলাতক ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় ঢাকার পল্লবী থানার আলবদীরটেক পশ্চিমপাড়া ও সাভার থানার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০৩

পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবককে হত্যা, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার 
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে পাওনা ৫ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় যুবক আব্দুল্লাহকে (২৬) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যার জড়িত প্রতিবেশী বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১।  বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ৯টায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪৫) এবং তার ছেলে এছানুল হক (২৪)। রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আব্দুল্লাহপুর আটিপাড়া সুজনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, আসামি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভিকটিম গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর জমিসংক্রান্ত বিষয়ে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে স্থানীয় চায়ের দোকানের তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি শহিদুল ইসলামের মনে প্রচণ্ড ক্রোধ এবং প্রতিশোধ সৃষ্টি করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ভিকটিম আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেলে বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্ব পাশে স্থানীয় মেধা বিকাশ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায়। পরে অনুষ্ঠান স্থলের পশ্চিম পাশে সালামের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। এ সময় আসামি শহিদুল ইসলাম ভিকটিম আব্দুল্লাহর সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মিমাংসা করে দিলে ভিকটিম আব্দুল্লাহ স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে চলে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় আসামি শহিদুল ইসলামের নির্দেশে অপর আসামি রফিক এবং নুরুল ইসলাম নূরু ভিকটিম আব্দুল্লাহকে মাঠ থেকে ডেকে বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্বপাশে সুরুজ মিয়ার টিনসেড ভবনের পেছনে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে। পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ঘটনাস্থলে শহিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে ভিকটিমের বাম পাজরে পার দিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার ছেলে এছানুল হক আব্দুল্লাহও বাম পাজরে পার মারলে সে মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমের শরীরের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আনন্দ উল্লাস করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে দুপুরে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১৫ মার্চ) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের শিকার আব্দুল্লাহ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে। সে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার টিএম বিডি লিমিটেড পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বাঁশবাড়ী বাজারে বাবা ও ছেলে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:০২

অর্ধকোটি টাকার হেরোইনসহ বাবা-ছেলে আটক
সিরাজগঞ্জে ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উদ্ধারকৃত হেরোইনের মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।  সোমবার (১১ মার্চ) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. জুলহাজ উদ্দীন। এর আগে রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডার মোড় এলাকার সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়ক থেকে তদেরকে মাদকসহ আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভাটোপাড়া ইউনিয়নের সাহাব্দিপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে মো. মমিনুল ইসলাম (২৭)। ডিবি ওসি জুলহাজ উদ্দীন জানান, পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডলের তথ্য ও দিক নির্দেশনার ভিত্তিতে রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডার মোড় এলাকায় সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের ওপর এক মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা অবস্থায় রফিকুল ও মমিনুলকে আটক করা হয়। পরে তাদের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক রফিকুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলামের নামে একটি করে মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। 
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৫

হাসপাতালে ডাক্তারের ওপর হামলা, বাবা-ছেলে আটক 
জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে সিরিয়াল ব্রেক করে রোগী না দেখায় এক চিকিৎসকের ওপর হামলা ও তার রুম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী চিকিৎসক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকা কাইফ। এ ঘটনায় মো. জসিম (৫৫) ও তার ছেলে জুয়েল হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল মেডিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকা কাইফ ১১টা থেকে আউটডোরে রোগী দেখা শুরু করেন। দুপরে ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে এক ছেলে ও তার বাবা সিরিয়াল ব্রেক করে চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করেন। ডা. জাকা কাইফ তাদেরকে সিরিয়াল মেনে আসার জন্য অনুরোধ করেন। এতেই তারা উত্তেজিত হয়ে টেবিল-চেয়ার ও গ্লাস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে চিকিৎসকের গায়েও হাত দেয় তারা। তিনি আরও বলেন, আমার তাৎক্ষণিক জয়পুরহাট সদর থানায় বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মো. জসিম (৫৫) ও তার ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভু্ক্তভোগী চিকিৎসক জাকা কাইফ বলেন, আমি বহির্বিভাগে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ করে দুজন লোক সিরিয়াল অমান্য করে জোরপূর্বক রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদেরকে সিরিয়াল মেনে আসতে বললে তারা অতর্কিত আমার ওপর হামলা করে এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে জানতে পারি তারা দুজনে বাবা-ছেলে। জয়পুরহাট সদর থানার এস আই নোমান বলেন, মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে এমন খবর শুনে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পুলিশ পাঠাই। ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩২

মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় জীবিত উদ্ধার ৫, নিখোঁজ বাবা-ছেলে
ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বাবা ও ছেলে। রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজাপুর মাছঘাট-সংলগ্ন এলাকার মেঘনা নদীতে পাখা ভেঙে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার আসা গ্রামে বাসিন্দা রাজ্জাক সরদার (৬২) ও তার ছেলে পারভেজ সরকার। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশিদুল ইসলাম বলেন, ট্রলারটি ভোলার মনপুরা থেকে মেহেন্দিগঞ্জ যাচ্ছিল। রাত ১টার দিকে উপজেলার রাজাপুর (রাস্তার মাথা) মাছঘাট-সংলগ্ন এলাকার মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী ট্রলারটি পাখা ভেঙে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এ সময় পাঁচজন সাঁতরে তীরে উঠলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন রাজ্জাক সরদার ও তার ছেলে। এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. সুমন বলেন, বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়