• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি, ৫২ জন দুদিনের রিমান্ডে
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটসহ ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে কুকি-চিন সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পুলিশ ৫৭ জন আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন ৫২ জনকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুটি মামলায় গ্রেপ্তার ৫৭ জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। এদের মধ্যে ৫২ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মহতুল হোসাইন যত্ন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে

বান্দরবানে আরও ১ কুকি-চিন সদস্য কারাগারে
বান্দরবানে হাও লিয়ান বম (৬৭) নামের সন্দেহভাজন আরও এক কুকি-চিন সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মাইসুমা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হাও লিয়ান বান্দরবান সদরের লাইমিপাড়া এলাকার ঙুনৎিলর বমের ছেলে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ। তিনি জানান, রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরও একজনকে আদালতে হাজির করা হয়। লিয়ান বম নামে ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাইসুমা সুলতানা।  উল্লেখ্য, রুমা-থানচিতে একই ঘটনায় ৬৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮

বান্দরবানে ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব শুরু
বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শুরু হলো ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় মারমা, ম্রো, খেয়াং ও খুমিদের সর্ববৃহৎ সামাজিক এ উৎসব শুরু হয়। রাজার মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা জেলার প্রধান সড়ক উজানীপাড়া হয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।  এতে অংশ নেন বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমীসহ সরকারি কর্মকর্তারাও। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকেই নিজেদের ঐতিহ্যের পোশাকে শিশু ও তরুণ-তরুণীরা রাজার মাঠে আসতে শুরু করেন। মার্মা তরুণরা লুঙ্গিসহ নানান রঙের শার্ট, সাংগ্রাইং টি-শার্ট পরে ও তরুণীরা বার্মিজ থামি, গলায় মালা ও নানান রঙের ছাতা নিয়ে আসতে থাকেন।  এ সময় চাকমা তরুণরা ধুতি পরে, মাথায় সাদা পাগড়ি বেঁধে ও তরুণীরা পিনন, খাদি, গলায় মুদ্রার মালা পড়েন। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা ঐতিহ্যের পোশাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নিতে আসেন।  মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মারমাদের সাংগ্রাইং ও ত্রিপুরাদের বৈসু, চাকমা বিজুকে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি উৎসব বলা হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বছরের শেষ দুদিন (২৯ ও ৩০ চৈত্র) ও নতুন বছরের প্রথম দিন (পয়লা বৈশাখ) এই তিন দিন বৈসু, বিজু ও বিষু উদযাপন করেন। বর্মী বর্ষপঞ্জি অনুসরণে মারমা, খেয়াং, খুমিসহ পাঁচটি জাতিগোষ্ঠী বছরের শেষ দিনে (৩০ চৈত্র) অথবা বাংলা বছরের প্রথম দিনে সাংগ্রাইং উৎসব পালন করেন। খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী বম, পাংখুয়া ও লুসাই এই তিন জনগোষ্ঠী বৈসাবি উৎসব উদযাপন করেন না।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৬

যৌথ বাহিনীর অভিযান / বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি জানান, যে সব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান, সেসব এলাকার সব পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকার সব হোটেল মালিকদের পর্যটক বা ভ্রমণকারীদের হোটেল রুম ভাড়া না দেওয়ার পাশাপাশি যৌথ অভিযান পরিচালিত এলাকার কাছাকাছি পর্যটন স্পটে তাদের না-নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র-টাকা লুটের ঘটনায় যৌথ অভিযানে আটক ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৬

বান্দরবানে নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিজু উৎসব শুরু 
বান্দরবানের চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু ও বিষু উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে তরুণ তরুণীরা এ উৎসব শুরু হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছরের শেষ দুদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিজু, মূল বিজু ও গজ্যাপজ্যা বিজু পালন করে থাকে।  সবার ঘরে হরেক রকমের সবজির মিশ্রণে পাজন রান্না হবে। নতুন কাপড় পরে দলবেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াবে সবাই। এছাড়া সাধ্য অনুসারে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এমনকি কারও সঙ্গে অতীতের বৈরিতা থাকলে এদিন একে অপরকে ক্ষমার মাধ্যমে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা বলে গজ্যাপজ্যা দিন, এদিনও মূল বিজুর আমেজ থাকে, মুরব্বি ও বয়স্কদের নিজ বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে উন্নত খাবার পরিবেশন করে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। বিহারের ভিক্ষু সংঘকে উন্নত মানের খাদ্য ভোজন দান করা হয়, বাড়িতে বিকেলে পারিবারিক মঙ্গলের জন্য ধর্মীয় গুরুদের আমন্ত্রণ করে মঙ্গল সূত্রপাঠ শোনা হয়। তরুণ-তরুণীরা বয়স্কদেরকে গোসল করিয়ে আশীর্বাদ নেন। সম্প্রদায়ের তরুণীরা বলেন-সকলে যেন সুখে শান্তিতে থাকে এজন্য আমরা নদীতে ফুল ভাসাই। এদিনটা আমাদের জন্য খুবই খুশির দিন।   সুন্তে চাকমা ও বিপাশা চাকমা জানান, আমরা তিনদিন ব্যাপী বিজু উৎসব পালন করবো। প্রতিদিন নানা উৎসব পালন করা হবে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করে হবে পাচন। তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ তরুণীরা একে অপরের বাড়িতে গিয়ে পাচন খাবেন। আগামী তিন দিন চলবে এই অনুষ্ঠান।  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫

বান্দরবানে হামলা চালানোর কারণ নিয়ে কুকি-চিনের বিবৃতি
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় আতঙ্কের নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি ব্রাঞ্চে নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এরপর থেকেই কেএনএফকে নিয়ে পাহাড়ে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে প্রথমবার মুখ খুললো বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বিবৃতিতে ব্যাংক ও থানায় হামলা চালানোর কারণ জানিয়েছে তারা। কেএনএফের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সংলাপের বৈঠকে স্বাক্ষরিত শর্ত অনুযায়ী কাজ করেনি সরকার। সংগঠনটির অভিযোগ, বন্দিদের (যারা কেএনএফের সদস্য নয় এবং নিরীহ গ্রামবাসী) এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার-পাঁচ মাস পরেও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। কেবল আর্মি ক্যাম্প থেকে বন্দি মেয়েটিকে (জেলে থাকা অবস্থায় যার গর্ভপাত হয়েছিল) মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  যে ক্যাম্পগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সরানো হয়নি। বরং সেখানে ক্যাম্প ও চেকপোস্ট বসিয়ে নিরীহ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। রুমা সেনানিবাসের অধীন সানসাং পাড়া ক্যাম্পে দুই নিরীহ লোক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় শান্তি আলোচনাতেও সরকারি প্রতিনিধি ও শান্তি কমিটি কোনো উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিতে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত : র‍্যাব
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতিতে শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, রাত সোয়া ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ এই হামলা চালায়। খন্দকার আল মঈন বলেন, হামলাকারীরা পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসারের ৪টি অস্ত্র লুট করে। ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন ভল্টের চাবি না দেওয়ায় তাকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরের দিন তারা থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনার পরে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যা ইতোমধ্যে শান্তি কমিটি ঘোষণা করেছে। এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তিনি বলেন, কুকি-চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। পরে তারা ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল শান্তি চায়, এ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১২

বান্দরবানে ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুই ব্যাংকে ডাকাতি
সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় সশস্ত্র ডাকাতদের হামলার ১৫ ঘণ্টা না যেতেই বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল মিডিয়া (বান্দরবান) মো. ওসমান গনি গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাতে ডাকাতির ঘটনা শুনে আমরা সকালে রুমা শাখায় আসি। হঠাৎ শুনতে পেলাম আজ থানচি শাখায় ডাকাতের হামলা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আমাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।   এ ঘটনার পর বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ছয়টি শাখায় লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে শুধু ব্যাংকের বান্দরবান সদর শাখা লেনদেন পরিচালনা করছে বলে জানান ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ডাকাতরা থানচি বাজার ঘিরে ফেলে। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় সবাইকে বন্দুকের মুখে আটকে রাখে এবং সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংকে প্রবেশ করে।  ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাকাতরা প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ভেতরে অবস্থান করে। এ সময় তারা নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফাঁকা গুলি চালায়। তার পরপরই তারা গ্রাহক, কাউন্টার ও ভল্ট থেকে টাকা সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কৃষি ব্যাংকের থানচি শাখার ব্যবস্থাপক হ্লাসউইথওয়াই মারমা জানান, দুপুর ১২টার দিকে দুটি জিপভর্তি যাত্রী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। ব্যাংকের ভেতরে আলাদা কক্ষে নিয়ে আমাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তারা কাগজপত্র এলোমেলো করে চলে যায়। এদিকে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, একটি সশস্ত্র সংগঠনের ১৫-২০ জনের একটি দল কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ঢুকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে তারা কোনো টাকা নেননি। এদিকে বুধবার ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ব্যাংকের ভেতরে ভাঙচুর হয়েছে। টাকা লুট হয়েছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। ভল্টে প্রবেশের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে। সিআইডি এসে ভল্ট পর্যবেক্ষণ করার পরে বিস্তারিত বলতে পারব। আইজিপি বলেন, কী কাজ করছি এখন বলতে চাচ্ছি না। তবে সকলে সমন্বিতভাবে ম্যানেজারকে উদ্ধারে কাজ করছি। টাকা আদৌ কি খোয়া গেছে কি না তা ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর বলতে পারব। সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে আমরা সদস্য সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেছেন, ভল্ট খোলার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে। ভল্ট খোলা যায়নি। টাকা নিয়েছে কি না সেটা এখন বলা যাবে না। আরও কিছু সময় লাগবে। রুমার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়চিং জানান, ডরমেটোরিতে যাওয়ার পথে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হঠাৎ করে। প্যান্টের পকেটে যা টাকা ছিল সবগুলো তারা নিয়ে গেছে। এরপর আমার পকেট থেকে ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয় এবং অস্ত্রের মুখে বলে নড়াচাড়া করলে গুলি করে দেবো। এরপর আমি কিছু জানি না। ব্যাংকে ফিরে এসে দেখি ব্যাংকের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮

বান্দরবানে ব্যাংক লুট, আরও দুই জেলায় সতর্কতা
বান্দরবানের রুমার পর থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার পর বান্দরবানের ছয় উপজেলার সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাঙ্গামাটির ১৯টি এবং খাগড়াছড়ির ৯টি শাখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সতর্কভাবে লেনদেন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের জিএম (দক্ষিণ) সাইফুল আজিজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন দুপুর ১টার দিকে রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজার ঘেরাও করে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর বাজারে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, এটি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা করেছে। যারা এর আগেও একটি জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে বান্দরবানে তাদের বাহিনীর ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল। সে সময় আমাদের র‌্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছিল। ইদানীং কুকি-চিন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৩

ডাকাতি : বান্দরবানে ৬ উপজেলার সব ব্যাংক বন্ধ
বান্দরবানের রুমার পর থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার পর বান্দরবানের ছয় উপজেলার সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র সদর উপজেলায় ব্যাংক খোলা থাকবে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রুমায় সোনালী ব্যাংক এবং আজ দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সব ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ভোল্টের সব টাকাসহ ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজার ঘেরাও করে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর বাজারে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়