• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
উপজেলা নির্বাচন / অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২৫ মার্চ) সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না।   তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। কারিগরি ও পদ্ধতিগত সুবিধার্থে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের অপেক্ষা না করে আগেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলক হচ্ছে
সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে দেশের সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। আগামী ১ জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে যোগদান করবে, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ১৩ মার্চ সরকারের জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে। এছাড়া, গত ১৩ মার্চ জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৮-আইন/২০২৪-এর মাধ্যমে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন  থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। এ ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসেবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোনো পেনশন প্রাপ্য হন না। এর ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা; যা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দিতে হবে। উভয় অর্থ এই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত উক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় এই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং উক্ত ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসেবে জমাকৃত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে। মন্ত্রণালয় জানায়, সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ দিয়ে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১.৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা প্রদান করলে তিনি অবসর গমনের পর অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন প্রাপ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২.৪৭ গুণ। আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় এ পরিমাণ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ হতে প্রাপ্য মুনাফার হার বৃদ্ধি পেলে মাসিক পেনশনের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় খরচ সরকারের নির্বাহ করা হবে বিধায় চাঁদাদাতার কর্পাস হিসাবে জমাকৃত অর্থ এবং বিনিয়োগলব্ধ আয় সম্পূর্ণ চাঁদাদাতার অ্যানুইটি হিসাবায়নের মাধ্যমে মাসিক পেনশন নির্ধারিত হবে। জমাকৃত চাঁদার উপর বিনিয়োগ রেয়াত পাওয়া যাবে এবং প্রাপ্য পেনশন আয়করমুক্ত হবে। স্কিমটি রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত হওয়ায় এটি শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ। এ স্কিমে নিবন্ধিত কর্মচারী পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পরবর্তী মাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক পেনশনের অর্থ পেতে থাকবেন, যা তাকে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে। এক্ষেত্রে তাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো দপ্তরে যাওয়ার বা কোনোপ্রকার প্রমাণক দাখিলের প্রয়োজন হবে না। প্রত্যয় স্কিমটি নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং আর্থিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি
যৌন হয়রানির ঘটনায় টানা ৯দিন ধরে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এবং বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে।   বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি এই অফিস আদেশ জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই আদেশে আরও বলা হয়, মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে বিভাগীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বিভাগীয় প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এবং তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র’র স্থায়ী বহিস্কার আদেশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনার ১৩ দিনেও যৌন হয়রানির ঘটনায় বিচার না হওয়ায় এবং এখন পর্যন্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না করে তালবাহানা করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আন্দোলনকারিরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবন, সকল বিভাগের ফটক এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর তালাবদ্ধ প্রশাসনিক ভবনের ফটকে এসে আন্দোলনকারিদের শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়কের দুই পাশের যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছে মহাসড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা।     ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।   প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।        
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৫

চালের বস্তায় ৬ তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করল সরকার
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চাল বাজারজাত নিশ্চিত করতে বস্তার ওপর ছয়টি তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। বস্তায় উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সরকারি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। জারি করা এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তাগণ ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে ছয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম হতে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্যের এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকবে। ২. বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না। ৩. চাল উৎপাদনকারী সকল মিল মালিক (অটো/হাস্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে। ৪. কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। ৫. এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। খাদ্য পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ৬. আগামী ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) তারিখ থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

রিটার্নে জীবনযাত্রার ব্যয় বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব
আয়কর রিটার্নে করদাতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবরণ বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। পাশাপাশি আয়কর আদায় বাড়াতে অটোমেশন করাসহ বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় চেয়েছে সংগঠনটি। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে এনবিআর ও সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। সংগঠনের নেতারা বলছেন, আয়করের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যা আয় বলে গণ্য হবে সেই আয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি করদাতার জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়কে রিটার্ন ভিত্তিতেই কর প্রদান করা হবে। পাশাপাশি ব্যয় বিয়োজনের সুযোগ নেই। তাই ব্যক্তি করদাতাদের জীবনের সংশ্লিষ্ট ব্যয়কে দাখিলে বাধ্যতামূলক করা হলে করদাতারা রিটার্ন প্রদানে নিরুৎসাহিত হবে। তারা আরও বলছেন, করদাতারা যেহেতু শতভাগ ক্যাশ-লেস পদ্ধতির আওতায় আসেনি, সে কারণে তাদের পক্ষে এ সকল ব্যয় হিসাব রাখা কঠিন। এছাড়া সংগঠনটি ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর পুরোপুরি বাস্তবায়ন, সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক মূসক কার্যক্রম পরিচালনা করা, করদাতাদের অতিরিক্ত কর ফেরত প্রদান, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎসে কর বাতিল, কর জাল বাড়াতে এনবিআরকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৪

তরুণ-তরুণীদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করল মিয়ানমার
মিয়ানমারে তরুণ বয়সী সব নারী-পুরুষের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার। এমন একটি সময় এই ঘোষণা আসলো যখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।    মিয়ানমারে আগে থেকেই চালু থাকা বাধ্যতামূলক নিয়োগসংক্রান্ত একটি আইনকে কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকল পুরুষকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। আর নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছরেরে মধ্যে তাদেরকেও একই মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি জান্তা সরকার। সেনাবাহিনীতে তিন বছর থাকতে হবে। চলমান রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নিয়োগ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক অপমানজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ২০২৩ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে হামলা চালিয়ে শান রাজ্যের সীমান্ত ক্রসিং এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দখল করে নেয়। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই রাজ্যটি মিয়ানমারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দিয়েই সড়কপথে চীনের সঙ্গে বেশির ভাগ বাণিজ্য সংঘঠিত হয়ে থাকে। গত মাসে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) জানায় যে, তারা মিয়ানমারের চিন রাজ্যের পালেতোয়া এবং মিওয়াতে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত শেষ সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে সতর্ক করেছিলেন যে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে দেশ ভাগ হয়ে যেতে পারে। দেশের সামরিক বাহিনীতে নাগরিকদের বাধ্যতামূলক যোগদানের বিধান রেখে ২০১০ সালে মিয়ানমারে একটি আইন চালু করা হয়। কিন্তু এতদিন তা কার্যকর করা হয়নি। নাগরিকদের কেউ এই আইন না মানতে চাইলে একই মেয়াদে জেল খাটতে পারে বলেও আইনে বলা হয়েছে। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল জান্তা সরকার। সম্প্রতি সেই জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ২০১১ সালের গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে মিয়ানমার প্রায় ৫০ বছর নিপীড়নমূলক সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। এরপর একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির সামরিক বাহিনী পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর থেকেই মিয়ানমারে যুদ্ধ ও সহিংসতায় চলে আসছে। এতে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই উত্তেজনা চলতে থাকলেও এতোটা কোনঠাসা পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনীকে এর আগে আর পড়তে হয়নি।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়