• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মঞ্চ থেকে অভিনেত্রীকে নেমে যেতে বাধ্য করলেন ভক্তরা
দক্ষিণী সিনেমা ‘টিল্লু স্কোয়ার’র সফলতা উদযাপনের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন জুনিয়র এনটিআর ও অনুপমা পরমেশ্বরন। সিনেমার মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই জুটি। কিন্তু অভিনেত্রী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠতেই বাঁধল বিপত্তি। রীতিমতো অনুপমা মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বাধ্য করলেন উপস্থিত দর্শকরা। এদিন জুনিয়র এনটিআরকে ঘিরে দর্শকের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে সিনেমার অন্য কলাকুশলীরাও ছিলেন। ‘টিল্লু স্কোয়ার’ সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুললেও, অনুষ্ঠানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন অতিথি জুনিয়র এনটিআর।    সিনেমার মুখ্য অভিনেত্রী অনুপমাকে অনুষ্ঠানের মঞ্চে ডাকা হয়। কিন্তু মঞ্চে উঠতেই জুনিয়র এনটিআরের নাম নিয়ে তাকে বিব্রত করতে শুরু করেন দর্শক। অভিনেতার ভক্তদের দাবি, অনুপমা নয়, জুনিয়র এনটিআরের বক্তব্য শুনতে চান তারা।  শুধু তাই নয়, অনুপমাকে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার দাবিও জানান জুনিয়র এনটিআরের ভক্তরা। অভিনেত্রীকে উপস্থিত দর্শকদের দুই মিনিট কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও উপস্থিত দর্শকরা সেটাও না করে দেন।     এই অবস্থায় অনুপমা বলেন, আমি শুধু মাত্র এক মিনিট সময় নেব। আপনাদের ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের সময় নষ্ট করব না। এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ এনটিআর গারুকে। আমার খারাপ লাগার কোনো কারণ নেই। আমি তাদের  ভক্তদের আবেগ, অনুভূতির জায়গাটা বুঝতে পারছি। আমি নিজেও উত্তেজিত। ইতোমধ্যে পুরো ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষের মুখেও পড়েন জুনিয়র এনটিআরের ভক্তরা। এভাবে মঞ্চ থেকে অভিনেত্রীকে বেরিয়ে যেতে বলা নিন্দনীয় ঘটনার নিদর্শন মনে করছেন দর্শকের একাংশ। তবে অনুপমা যেভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন, সেটাও প্রশংসনীয়। অনুপমার ধৈর্য ও নম্র স্বভাবকে সম্মান জানিয়েছেন নেটিজেনরা।    সূত্র : আনন্দবাজার     
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৬

তরুণদের তুলে নিয়ে সেনাবাহিনীতে ঢুকতে বাধ্য করছে মিয়ানমার জান্তা!
মিয়ানমারে তরুণদের ধরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে জান্তা সরকার। নির্দেশ না মানলে পাঠানো হচ্ছে জেলে। বিশেষ করে রাতের বেলা কোনও তরুণকে একা পেলেই তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সেনাসদস্যরা। এরপর তাদের সামনে রাখা হয় দুটি পথ; হয় সেনাবাহিনীতে যোগদান, নয় জেল! এমনই একজন কো ওয়াই ফিও। গেলো অক্টোবরের ২৭ তারিখে মন স্টেটের রাজধানী মাওলামিয়ানে রাতের বেলা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে সেনাসদস্যরা। ফুটবল ম্যাচ শেষ করে একটি চায়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন ১৯ বছরের এ তরুণ। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সেনাসদস্যরা মোটরসাইকেলসহ তাকে তুলে নেন নিজেদের টহল ট্রাকে। ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি দেখে ফেলেন ওয়াইয়ের প্রতিবেশি ইউ সোয়ে। দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে খবরটা দেন তিনি। এরপর ওই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন পুলিশ স্টেশনে ওয়াইকে খুঁজতে যান। কিন্তু পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের জানানো হয়, অনেক রাত হয়ে গেছে; তাদের সকালে আসতে হবে। ওয়াইয়ের বাবা-মা বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটায় পুলিশ স্টেশনে গেলাম। কিন্তু ওয়াই ফিও সেখানে ছিল না। অফিসাররা জানাল, তারা তাকে আটক করেননি। তবে সে সামরিক কম্পাউন্ডে থাকতে পারে। এরপর  বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে আমাদেরকে বাসায় ফিরে যেতে বলেন তারা।’ পরে বিকেলে পুলিশ ওয়াইয়ের বাবা-মাকে ফোন করে জানায়, শহরের বাইরে একটি মিলিটারি রিক্রুটমেন্ট অফিসে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। যদিও বিষয়টি জটিল, তারপরও তারা আলোচনা করছে, কী করা যায়! পরে আবার পুলিশ জানাল যে, তাদেরকে কিছু টাকা দিতে হবে। না হলে ওয়াইকে বের করা যাবে না। ওয়াইয়ের মুক্তির জন্য তিন মিলিয়ন কায়েত (মিয়ানমারের মুদ্রা) দাবি করা হয় বলে দাবি তার বাবা-মায়ের। ওয়াইয়ের প্রতিবেশি ও ওয়ার্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জানতেন কীভাবে বিষয়টি ডিল করতে হবে। তিনি ওয়াইয়ের বাবা-মাকে টাকা দিতে বললেন। অবশেষে টাকার বিনিময়ে ওয়াই মুক্তি পেলেন।   ওয়াই ফিয়ের ভাগ্য ভালো ছিল যে তাকে মুক্ত করা গেছে। কিন্তু তাকে যতদিন আটকে রাখা হয়েছিল, প্রতিদিনই তাকে মারধর করতেন জান্তা বাহিনীর অফিসাররা। তাকে বলা হয়েছিল- হয় তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। কিন্তু সেখানে আরও অনেকে আছে ওয়াইয়ের মত। যারা দিনের পর দিন মার খাচ্ছেন। সূত্র :  দ্য ফ্রন্টিয়ার
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২

বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে ২০ মিলিয়ন ডলারের বাড়ি ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা
বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন মার্কিন গায়ক নিক জোনাসকে। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। সেখানে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বাড়ি কেনেন তারা। সেই স্বপ্নের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এই তারকা দম্পতি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পেজ সিক্স এ খবর প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। বাড়ির নাম ‘ক্যালিফোর্নিয়া ম্যানসন’। বাড়িটিতে রয়েছেন ৭টি বেড রুম, ৯টি বাথরুম, সেফস কিচেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়াইন রুম, ইনডোর বাস্কেটবল কোর্ট, বোলিং অ্যালি, হোম থিয়েটার, এন্টারটেইনমেন্ট লাউঞ্জ, স্পা, জিম, বিলিয়ার্ড রুম। এই বাড়ির জন্য এ দম্পতিকে গুনতে হয় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু পানি পড়ে স্বপ্নের বাড়িটি বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে, যা নিয়ে এখনও আইনি লড়াই চলছে। বিষয়টি নিয়ে ২০২৩ সালে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার নথিপত্র পেয়েছে পেজ সিক্স। তা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে এ বাড়ির পুল এবং স্পাতে প্রথম সমস্যা দেখতে পান প্রিয়াঙ্কা-নিক। কাছাকাছি সময়ে তারা বারবিকিউ অংশের ডেকে ছিদ্র দেখতে পান। এই ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ওই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সময়ের সঙ্গে বাড়িটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে কথা বলতে পেজ সিক্সের এ প্রতিবেদক আইনজীবী ফ্রেড ফেনস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বিল্ডারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ট্রাস্টি। পরে বিল্ডার সাব-কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। আর যেসব লোকজন কাজটি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাব-কন্ডাক্টর। এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যেকে জড়িত। তবে কার দোষে এ ঘটনা ঘটেছে তা চূড়ান্ত করতে পারবে বিল্ডার। আর এসব কারণে বিষয়টি সমাধান হতে সময় লাগছে।’ বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটির সংস্কারের কাজ চলছে। একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, এ বাড়িতে এখন কেউ বসবাস করেন না। এটি কাউকে ভাড়াও দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর রাজকীয় আয়োজনে নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি প্রিয়াঙ্কা জানান, সারোগেসির মাধ্যমে কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন তিনি।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫০

‘আইনজীবীরা আদালত বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন’
আইনজীবীরা আদালত বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আদালত বর্জন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে আমরা মনে করি দেশের আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তা রক্ষা করার জন্য এবং ভোটাধিকারের জন্য ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা স্বোচ্চার। সেটা প্রতিবাদ হিসেবে আজ আমরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েকশ সরকার বিরোধী আইনজীবী আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। তারা আইনজীবীদের মধ্যে আদালত বর্জনের দাবিতে লিফলেটও বিতরণ করেন। সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে আইনজীবীরা নানান স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত আদালত বর্জন করেন তারা। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সারাদেশে বিচারের নামে যে অবিচার-প্রহসন হচ্ছে তার প্রতিবাদে আমরা সকাল ৯টা থেকে আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছি। দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারের নামে যে অবিচার হচ্ছে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছি। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বাংলাদেশে ন্যায় বিচার নেই। সরকারের কথায় তা স্পষ্ট হয়ে গেছে নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে। এ জন্য বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তার কারণে প্রায় তিন মাসে বিএনপিসহ বিরোধী দলের ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছে। আদালত বর্জন কর্মসূচিতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, ইউনাইটেড লইয়ার ফ্রন্টেরে (ইউএলএফ) কো-কনভেনর সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ শতাধিক আইনজীবী। এর আগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়