• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কারণে বাড়ছে পণ্যের দাম : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 
‘অতি মুনাফালোভীরা চাঁদাবাজদের চেয়েও ভয়ানক’ মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা অল্প দামে পণ্য কিনে তিনগুণ দামে বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদারকি করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে মিরপুরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা-ইন-সাইবার সিকিউরিটি কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির থেকে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। রমজানে যারা চাঁদাবাজি ও অধিক মুনাফা করছে তাদের স্পেশাল ফোর্সের আওতায় আনা হবে। নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি না হলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের কাজ চলছে। চাঁদাবাজি দেখলেই পুলিশকে অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে।  চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঘন ঘন আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে দেখেছি বড় বড় দু’চারটা অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের অনুসন্ধান চলছে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা, এখনও তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে সতর্ক থাকলে অগ্নিকাণ্ড রোধ সম্ভব। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান প্রমুখ। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩১

‘ঘুমের সমস্যায় বাড়ছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও ক্যানসার’
ঘুমের সমস্যার কারণে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যানসারের মতো রোগ বাড়ছে বলে জানিয়েছন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি ঘুমজনিত স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের কারণে মৃত্যু হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া সঠিকভাবে ঘুম না হওয়ায় একজন মানুষের চাকরি ও যৌন জীবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাজে প্রভাব ফেলছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবের হাউজি রুমে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জনস ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ঘুম ও নাক ডাকা’ বিষয়ক সেমিনারে আলোচকরা এই কথা বলেন। আলোচকরা বলেন, ভালো থাকার জন্য ভালো ঘুম হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে অনেকেই আছেন যাদের মোটেও ভালো ঘুম হয় না। আমেরিকার জাতীয় নিদ্রা ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে বড়দের মধ্যে শতকরা ৬০ জনই সপ্তাহে দুই রাত বা তার বেশি সময় ঘুমজনিত সমস্যায় ভোগেন। শতকরা ৪০ জনের বেশি লোক মাসে অন্তত দুইদিন অতি দিবা নিদ্রালুতায় আক্রান্ত হয়ে দৈনন্দিন কাজে বাধাগ্রস্ত হন। সপ্তাহে দুদিন এ ধরনের সমস্যায় পড়েন, এমন আছেন শতকরা ২০ জন। আমেরিকায় অন্তত ৪ লাখ লোক নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় ভোগে। বড়দের ৫ ভাগ স্লিপ অ্যাপনিয়া আক্রান্ত। শিশুদের ভেতর এ হার ২-৩ ভাগ। তবে যেসব শিশুরা নাক ডাকে তাদের ভেতর স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগী আছে ১০-২০ ভাগ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু। তিনি বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর প্রকার ও তীব্রতার ওপর। এটি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া ও সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া আক্রমণের ওপর নির্ভর করে। সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া ব্রেন বা মস্তিষ্কের কারণে হয়। এর মূল কারণ সাধারণত হার্ট ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর এবং এ ধরনের অ্যাপনিয়ার চিকিৎসার মানে ওই সব রোগের চিকিৎসা করা। ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, সুস্থ থাকতে হলে সবার আগে অভ্যাসগত জীবনযাত্রার কিছু দিক পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে ঘুমানোর স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে স্লিপ অ্যাপনিয়া বাড়ে। সেজন্য একপাশে কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন এবং যদি সাইনাস বা ফুসফুসের ফ্লেমের কারণে নাক বন্ধ থাকে তাহলে যেদিক দিয়ে বন্ধ থাকে তার বিপরীত দিকে কাত হয়ে শোয়া ভালো। বালিশ দিয়ে ঘুমালেও খুব বেশি নরম বা ফোম জাতীয় তুলার বালিশ দিয়ে না শোয়া ভালো এবং বুকে জড়িয়ে ধরার বালিশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে-শোয়ার বালিশ চার ইঞ্চি উঁচু থাকা ভালো। তিনি আরও বলেন, ওজন কমানোর চেষ্টা করে বা মেদ ভুঁড়ি বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে শরীরের ১০ শতাংশ ওজন কমাতে পারলে ২৫ শতাংশ স্লিপ অ্যাপনিয়া এমনিতেই কমে যায়। এছাড়াও অ্যালকোহল, ধূমপান, অতিরিক্ত চা-কফি পান থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঘুমের ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। টনসিলের প্রদাহ থাকলে তা যাতে রাতের বেলায় একটু স্থিতি হয়ে থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, যেমন নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা, সাঁতারকাটা এবং সাইকেল চালানোই সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম বলে জানান অধ্যাপক মনিলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জনস ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া বাংলাদেশে সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম খোরশেদ আলম মজুমদার। সেমিনার শেষে মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্লিপ অ্যাপনিয়া ও ঘুমের সমস্যা আক্রান্ত ব্যক্তিরা নানা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে চান।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে
পাকিস্তানে সাপ্তাহিক মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ১.৩৫ শতাংশ এবং বার্ষিক সুদের হার ৩২.৮৯ শতাংশে। নতুন সরকার গঠনের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। সাপ্তাহিক মুদ্রাস্ফীতির হারের সাম্প্রতিক উত্থানের ফলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার তীব্র বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৩২.৮৯ শতাংশে উদ্বেগজনক স্তরে পৌঁছেছে। শুক্রবার এআরওয়াই নিউজ এ রিপোর্ট করেছে। পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য বলছে, ১৮টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, ১৪টি পণ্যের দাম কমেছে এবং ২৩টি পণ্যের দাম বহাল রাখা হয়েছে। বিশেষ করে টমেটো, কলা, ডিম এবং রসুনের মতো প্রধান পণ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এআরওয়াই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, টমেটোর দাম প্রতি কেজি ৩০ পাকিস্তানি রুপি পর্যন্ত বেড়েছে, যেখানে কলার দাম এখন প্রতি ডজন ৩৪ পাকিস্তানি রুপি এবং ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৯ পাকিস্তানি রুপি। উপরন্তু, রান্নার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৪৬.৭১ পাকিস্তানি রুপি বেড়েছে, যা পরিবারগুলির ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ২২ পাকিস্তানি রুপি এবং খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ৩১ পাকিস্তানি রুপি। ক্রমবর্ধমান ব্যয় গরুর মাংস, মুরগি, রান্নার তেল এবং ময়দার মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যকেও প্রভাবিত করছে। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ১৪ পাকিস্তানি রুপি এবং মুরগির দাম প্রতি কেজি ৬ পিকেআর বেড়েছে। এআরওয়াই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এসবিএ কর্মসূচির আওতায় ১.১ বিলিয়ন ডলারের চূড়ান্ত কিস্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঋণদাতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। আলোচনায় ৩৬ মাসের এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) আওতায় নতুন চুক্তি চাইবে পাকিস্তান। আইএমএফের কাছে দেশটি ৬-৮ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ কর্মসূচি চাইতে পারে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৫১

রোজার আগে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম (ভিডিও)
সংযমের মাস রমজানকে সামনে রেখে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আগামী মার্চে রোজা শুরু, এর মাস দুয়েক আগে থেকেই নানান অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খেজুরের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। জাতভেদে প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা বেশি দামে। ছোলার দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। গরুর মাংস আর পোলট্রি মুরগির দামও বাড়তি।  এ বিষয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের এক খেজুর বিক্রেতা বলেন, ভালো খেজুরের দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে, ছোট খেজুরের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। গতবছর  শুল্ক কম ছিল, এবার বাড়তি শুল্কের কারণে খেজুরের দাম বেড়েছে। গতবার মেডজুল খেজুরের পাঁচ কেজিতে শুল্ক ছিল ২৬০ টাকা, এবার এক কেজিতে তা ২৬০ টাকা পড়ছে।  বেড়েছে ছোলাসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ জন্য আমদানিকারক ও বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন।   দাম বাড়ার বিষয়ে এক ডাল বিক্রেতা বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে সবরকম ডালের বাজার চড়া। দুই সপ্তাহ আগে যে ছোলার ডাল বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা এখন তা ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সাদা ছোলাটি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ছিল। এখন তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। খেসারি, মসুরসহ সব ডালের দাম পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। কারণ, জানতে চাইলে পাইকাররা বলছেন ছোলা আমদানি হচ্ছে না। এতেও সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। রমজান উপলক্ষে তারা ছোলা মজুদ করছে বাজারে ছাড়ছে না। গরুর মাংসের দাম ফের সাড়ে ৭০০ অতিক্রম করেছে। কোথাও তা ৭৮০ টাকায় ঠেকেছে। নানান অজুহাতে বাড়ছে পোলট্রি মুরগির দামও। রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতি কেজির ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, আমদানি কম, ফিডের দাম বেশি, পরিবহনের ভাড়া বেশিসহ বিভিন্ন কারণে মুরগির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভরা মৌসুমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আলুর দামও সহনীয় হয়নি। নতুন করে বাড়ছে সবজির দাম। এ বিষয়ে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমরা দিনমজুর। এক কেজি শিমের দাম ৬০ টাকা। আর এক কেজি মাছের দাম ৩৫০ টাকা। তাহলে আর পকেটে কী থাকে। সেই সঙ্গে চাউল আছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। অন্য এক ক্রেতা বলেন, এটি একটি চক্র যা ভাঙা না গেলে রমজানে কিছু কেনাই যাবে না।  উচ্চমূল্যের বাজারে নির্দিষ্ট আয়ের ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করেছে টিসিবি। সংস্থাটির মুখপাত্র মো. হুমায়ন কবির মনে করেন, প্রথম ধাপে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল, ছোলা ও চাল দেওয়া হচ্ছে, যা বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা তেল, ডাল, ছোলা এবং চাল বিক্রি করব। ছোলা ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা, তেল ১০০ টাকা লিটার এবং চাল যথারীতি ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। পরে এর সঙ্গে একটি পণ্য বাড়ানো হবে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ এখান থেকে উপকৃত হবে। যদি এক কোটি পরিবার বাজার থেকে এসব পণ্য না কিনে টিসিবি থেকে কেনে তবে বাজারের ওপর এর একটি বিশেষ প্রভাব পড়বে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও এক কোটি পরিবারের মাঝে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত দামে তেল, চাল, ডাল, ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হবে। তবে দাম সহনীয় করতে অনিয়মের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে।     
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৭

আমদানি শুল্ক কমানোর পরও বাড়ছে চিনির দাম (ভিডিও)
আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পর এক টাকাও কমেনি চিনির দাম বরং বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে ৩৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। আর খোলা চিনি ১৪০ টাকা। বিশ্লেষকদের দাবি, চিনি আমদানিতে মনোপলি সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম কমানো কঠিন। তথ্যমতে, চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে গত বছরের নভেম্বরে আমদানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির প্রজ্ঞাপনে, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমানো হয়েছে দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির শুল্ক ৬ হাজার টাকা থেকে করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। শুল্ক ছাড় সুবিধা আমদানিকারকরা পাবেন আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বড় আকারের শুল্ক ছাড়ে ভোক্তারা কম দামে চিনি কিনতে স্বস্তি পাবেন, এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। দাম তো কমেনি বরং প্রায় প্রতি মাসে বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম বেড়েছে গড়ে ৩৫ টাকা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির দাম একটু বেশি হলেও সংকট নেই। তবে, সরকার যদি আমদানি করে আমাদের মাধ্যমে সরবরাহ করে তাহলে দাম কিছুটা কমবে।  বিশ্লেষকরা বলছেন, চিনি আমদানি ও সরবরাহে মনোপলি সিস্টেম ভাঙতে না পারলে বাজারে স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার পুরোপুরি চালু হলে তথ্যে কোন ঘাটতি থাকবে না। তখন মিলগেট থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে কোন জেলায় কতটুকু পণ্য যাচ্ছে সেগুলো আমরা ট্র্যাক করতে পারব।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়