• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বাজেয়াপ্ত
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। লালুপ্রসাদকে পাটনায় নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে। সোমবার দিল্লিতে হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যান ইডির কর্মকর্তারা। হেমন্ত সোরেনের একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি ছিল। সেটিকে তারা বাজেয়াপ্ত করেন। বেশ কিছু নথিপত্রও তারা নিয়ে গিয়েছেন। ইডি সূত্র জানিয়েছে, বাড়ি থেকে ৩৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু তারা হেমন্ত সোরেনকে পাননি। হেমন্ত যে বিশেষ বিমানে দিল্লি এসেছেন, তা বিমানবন্দরে আছে। হেমন্ত ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীদের ফোন বন্ধ আছে। তাই হেমন্তকে তারা কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের যোগাযোগ আছে। হেমন্ত সোরেনকে এর আগে নয়বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। কিন্তু হেমন্ত যাননি। গত শনিবার ভারতের এই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সমন পাঠিয়ে জানায়, ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি দিল্লিতে হেমন্তকে তাদের দপ্তরে আসতে হবে। কিন্তু হেমন্ত তার কোনো জবাব দেননি। তখন ২৯ বা ৩১ তারিখ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়। গত ২০ জানুয়ারি হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। মূলত অর্থ তছরুপের অভিযোগ নিয়ে এই তল্লাশি হয়। সাত ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। হেমন্ত ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার অভিযোগ, তার নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেজন্যই ইডিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আর ইডি সূত্রের দাবি, রাঁচিতে সাত দশমিক ১৬ একর জমি নিয়ে হেমন্ত ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেননি। এদিকে, বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করে ইডি। লালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময় অর্থ ও জমির বিনিময়ে বহু যুবককে গ্রুপ ডি-র চাকরি দিয়েছিলেন। তার স্ত্রী রাবড়ি দেবী ও দুই মেয়ে মিসা ও হেমার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছে ইডি। ইডি মনে করছে, লালুর পরিবারের নামে এবং একটি সংস্থার নামে জমি নেয়া হয়। ওই সংস্থার সঙ্গে লালুর পরিবারের যোগ আছে। রোববারই লালুর দলের সঙ্গ ছেড়ে আবার বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন নীতীশ কুমার। তার একদিন পরেই ৭৫ বছর বয়সী লালুপ্রসাদকে ডেকে পাঠিয়ে দীর্ঘ জেরা করলো ইডি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৫

সেনাবাহিনীর সমালোচনা করলেই বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তি
সেনাবাহিনীর সমালোচকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ সরকার। এ লক্ষ্যে একটি বিলেরও অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এই বিলের অধীনে রুশ সেনাবাহিনীর সমালোচনাকারী যেকোনো নাগরিকের সম্পত্তি, অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে পারবে রাশিয়া। খবর আল জাজিরার।  আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর সমালোচনা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত যে কারও সম্পত্তি, অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার একটি বিল অনুমোদন করেছেন আইনপ্রণেতারা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা ৩৯৫ ভোট দিয়ে বিলটি পাস করেছে। এই বিলের বিপক্ষে ভোট পড়েছে মোটে তিনটি। পার্লামেন্টের স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন আইন প্রণেতাদের বলেন, সেনাবাহিনীর সমালোচকদের জন্য এই ব্যবস্থাও ‘যথেষ্ট নয়’। কারণ তারা আরামে বাস করে, সম্পত্তি ভাড়া দেয়, রাশিয়ান নাগরিকদের খরচে রয়্যালটি পেতে থাকে। তারা নাৎসি শাসনকে সমর্থন করার জন্য এই তহবিলগুলো ব্যবহার করে। রুশ স্পিকারের দাবি, ‘আমাদের দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যারা কাজ করে, যারা আমাদের নাগরিক, সৈন্য এবং অফিসারদের অপমান করা সম্ভব বলে মনে করে এবং যারা নাৎসিদের সমর্থন করে তাদের থামিয়ে দেবে গৃহীত সিদ্ধান্তটি।’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ-মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে মস্কো কর্তৃপক্ষ তার সামরিক অভিযানের যে কোনও সমালোচনা নিষিদ্ধ করেছে এবং যুদ্ধের বিরোধিতাকারী হাজার হাজার রাশিয়ানকে আটক করেছে। বেশ কিছু লেখক ও কর্মী ইতোমধ্যে দীর্ঘ সাজা পেয়েছেন এবং কয়েকজনকে ‘চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।  রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সমালোচনামূলক কথা বলার জন্য সমালোচনাকারীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। এদিকে ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ রাখার জন্য ফ্রান্সের নিন্দা করে একটি প্রস্তাব গ্রহণের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন রুশ আইনপ্রণেতারা। দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিনের উত্তেজনার পর এই সিদ্ধান্ত নেন তারা। ফ্রান্স অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, যুদ্ধে বা ‘অন্য কোথাও’ তাদের কোনও ভাড়াটে সেনা নেই এবং এই ধরনের দাবি কার্যত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০০

এমপিদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান টিআইবির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের কারও অবৈধ সম্পদ থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিআইবির পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়। টিআইবি বলছে, দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে প্রায় ৮৫ শতাংশই কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। শতকোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন সংসদ সদস্য সংখ্যা ১৫। সংসদের সদস্যদের অস্থাবর সম্পদের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গড় অস্থাবর সম্পদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন— এমন ১১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। সংস্থাটি আরও বলছে, দেশের আইন (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট, ২০২৩) একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষি জমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অকৃষি জমিসহ যা ১০০ বিঘা পর্যন্ত যেতে পারে) বেঁধে দিলেও আইনি সীমার বাইরে জমি আছে ১৩ জন সংসদ সদস্যের কাছে। সম্মিলিতভাবে এই ১৩ জন সংসদ সদস্যের আইনি সীমার বাইরে বাড়তি জমি রয়েছে ৮০০ একর (৩ বিঘায় ১ একর বিবেচনায়)। সংসদ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক, হলফনামায় তার প্রদর্শিত জমির পরিমাণ ৩৮০ দশমিক ৭৫ একর। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে, আইনি সীমার বাইরে মোট বাড়তি ৮০০ একরের বেশি জমি বিধিবহির্ভূতভাবে সংসদ সদস্যদের অনেকের মালিকানাধীন রয়েছে। এসব জমি বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানাই।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩

শেরপুরে ১৬ প্রার্থীর ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর জেলাতে তিনটি আসনে অংশ নেন ১৬ জন প্রার্থী। নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় তাদের মধ্যে ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুরে স্ব-স্ব আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়। শেরপুর-১ (সদর) আসন এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল হক মনি লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ২০৭ ভোট, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী বারেক বৈদেশী গামছা প্রতীকে ২০৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ফারুক হোসেন সোনালী আঁশ প্রতীকে ১৯২ ভোট, বিএনএম প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ নোঙর প্রতীকে ১৭২ ভোট ও বিএসপি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ একতারা প্রতীকে ৭৪ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ এ আসনে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ব্যতীত অপর চারজন প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ২২৬ জন। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দুইজনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৪২ ভোট। আর জাসদ প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাজাহান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৬ ভোট। এতে তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসন মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৩। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৮ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল আহসান ঈগল প্রতীকে ২ হাজার ৫৮০ ভোট, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজা কেটলি প্রতীকে ৬৯৮ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল হক লাঙ্গল প্রতীকে ৪৩৯ ভোট ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী মো. সুন্দর আলী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৭১ ভোট। তাদের মধ্যে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ব্যতীত অপর চারজনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর ৪১ এর ১ ধারা মোতাবেক নির্বাচনে প্রদত্ত সর্বমোট ভোটের ৮ ভাগের একভাগের কম ভোট যারা পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

মাহির ট্রাক খাদে, বাজেয়াপ্ত হচ্ছে জামানত
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদি হলেও শেষ পর্যন্ত নয় হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মাহি। আর প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে এই নায়িকার।  রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে নৌকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এ আসনে ১৫৮ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। মোট ভোটে পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩, ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বৈধ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৬, বাতিল হাওয়া ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৯৭। আসনটিতে নির্বাচনী প্রচারণায় মাহিয়া মাহি টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে কখনও ‘জমিদার’, আবার কখনও ‘চৌধুরী সাহেব’সহ নানান তীর্যক মন্তব্য করেছেন। অবশেষে সেই ‘জমিদার’ বা ‘চৌধুরী সাহেবে’র কাছেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন এই চিত্রনায়িকা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ে কর্মীরা মাহিয়া মাহিকে নানান প্রশ্ন শুনতে হয়েছে।   সবশেষ রোববার নির্বাচন চলাকালীন তানোরের মুন্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন সময় মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে বলেন, হারি বা জিতি ইনশাআল্লাহ আগামীকাল সোমবার পুরো এলাকায় একটা শোডাউন করবো। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেবো, আমি তাদের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। আর জিতলে এই এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি তাদের নিয়েই বাস্তবায়ন করবো। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি মাহিয়া মাহিকে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানা গেছে। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৪

এমপি হলেন ছোট মনির, চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছোট মনির বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, এ আসনে মোট ১৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৭টি প্রাপ্ত কেন্দ্রে ছোট মনির পেয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৬ ভোট। তারমধ্যে ভূঞাপুর উপজেলায় ছোট মনির নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ১২৯ ভোট ও ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৬ ভোট এবং গোপালপুর উপজেলায় তিনি নৌকা পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৬০১ ভোট ও ঈগল প্রতীকের ঠান্ডু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৭০ ভোট। এ ছাড়া এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আরও ৪ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার (লাঙ্গল)। তিনি পেয়েছেন মোট ৪০২ ভোট, গণফ্রন্টের গোলাম সারোয়ার (মাছ)। তিনি পেয়েছেন মোট ৩১২ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল করিম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম আম প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়