• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লক্ষ্মীপুর বাজুসের সভাপতি সমির, সম্পাদক পরেশ
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সমির চন্দ্র কর্মকার সভাপতি ও পরেশ কর্মকার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রত্যেক প্রার্থীই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাজুস লক্ষ্মীপুর শাখার নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক ওমর ফারুক, সদস্য জ্যোতির্ম্ময় মজুমদার ও বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরতি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চির করা হয়।  বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রিপনুল হাসান নতুন কমিটির নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।  নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি খোকন দেবনাথ, রানা কুমার পাল, সহদেব চিন্দ কুরী, জুলাশ কুরী, সহসাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র কুরী, দীপক দেবনাথ, অঞ্জন কুমার কুরী, সুব্রত দত্ত, ভাষাণ চন্দ্র কর্মকয়ার ও কোষাধ্যক্ষ সুভাষ কর্মকার।  নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরেশ কর্মকার বলেন, অতীতের সব ভেদাভেদ ভুলে সংগঠনকে স্মার্ট ও গতিশীল করার লক্ষে নব নির্বাচিত সকল সদস্যকে নিয়ে করবে নতুন কমিটি। প্রসঙ্গত, রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে কার্যকরী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১৫০ জন সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটির ১৯ জন সদস্য নির্বাচিত করেন। তাদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২ টি পদে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১১

স্বর্ণের দাম নাগালে রাখতে বাজুসের যে প্রস্তাব
দেশের স্বর্ণের বাজার লাগামহীন। গত এক বছরে ২৯ বার এ দাম ওঠানামা করছে। এই সময়ে এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০ হাজার ২৯৬ টাকার মতো। এতে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায় অনেকটা ভাটা যাচ্ছে। ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে বিক্রি ও লাভ দুটোই কমছে বলে জানান বিক্রেতারা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছে।  আরও পড়ুন: বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার সংগঠনটি এ বিষয়ে একটি হিসাব তুল ধরে। এতে দেখা যায় সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৯০ হাজার ৭৪৫ টাকা। এরপর ২৯ বার ওঠানামায় বছর শেষে দাঁড়ায় ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকায়। এ বছর দাম বেড়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকায় ওঠার পর আবার নেমেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকায়। বাজারে এ ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে বাজুস বলছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতায় স্বর্ণ ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ীরা। যার দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। এতে বিক্রি কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। তাই বাজারে ক্রেতা ধরে রাখতে দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চান বাজুস। এর জন্য তারা একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। বাজুসের সাবেক সভাপতি ও মুখপাত্র ড. দীলিপ কুমার বলেন, ধনী দেশগুলো এখন স্বর্ণকে সঞ্চয় ও রিজার্ভ হিসেবে কিনছে। তাই স্বর্ণের দাম কমা এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে স্বর্ণের ওপর আরোপিত ভ্যাট যদি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যায় তাহলে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার টাকা কমবে। আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ দিতে হয়, সেটি কমালে আরও ৫ হাজার টাকা দাম কমবে বলে জানান তিনি। তবে এর বাইরেও আরেকটি প্রস্তাব স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, দেশে স্বর্ণশোধনাগার গড়ে উঠলে বিশ্ববাজারে পিওর গোল্ডের দাম বাড়লেও কিছুটা সুবিধা করা যাবে। আর এর সুফল ভোগ করবেন ক্রেতারা।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০

পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবি বাজুসের
স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একইসঙ্গে বাজুসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছয়টি প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাজুস প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।  বৈঠক শেষে বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, বাজুসের কিছু সমস্যা নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। মন্ত্রী অতীতেও সুন্দর ভূমিকা রেখেছেন, আগামীতেও তিনি আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা স্মার্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী হতে চাই। এ জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন নীতিমালা দিয়েছেন। সেই নীতিমালা অনুযায়ী আমরা স্বর্ণ রপ্তানি করতে পারব, আমদানি করতে পারব। এই আমাদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু আইনগত প্রতিবন্ধকতা আছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা স্বর্ণের মূল্যটা নির্ধারণ করতে পারি না। ডা. দিলীপ কুমার আরও বলেন, বাজুস যেভাবে কাজ করছে তাতে আগামী দিনে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো আমরা নিরসন করতে পারব। আমাদের মূল সমস্যা ছিল স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় পুলিশি হয়রানি হয়, তাঁতীবাজারে আমাদের একটি ছোট, বড়, মাঝারি শিল্প কারখানায় অর্নামেন্টস তৈরি হয়। সেখানে পুরাতন স্বর্ণ নিয়ে নতুন স্বর্ণ তৈরি হয়ে আসে, আসা-যাওয়ার সময় আমাদের কিছুটা হয়রানি হতে হয়। যে বিষয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় জুয়েলারি শিল্পের অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হওয়ার বাজুসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও বাজুসের যেকোনো সমস্যা সমাধানে তার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। বৈঠকে বাজুসের পক্ষ থেকে ছয়টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সে বাজুসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রমে বাজুসের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে বাজুসের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা।এছাড়া সারা দেশে জুয়েলারি দোকানে এ যাবৎকাল অনেক চুরি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় বর্তমান আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে থানা গ্রহণ করে। স্বর্ণ একটি মূল্যবান ধাতু। তাই আইন পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তাবনা পেশ করে বাজুস। পাশাপাশি অতীতে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা প্রায়ই হয়রানির শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে কোনো হয়রানি না করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে বাজুস। বৈঠকে বাজুসের সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, মো. জয়নাল আবেদীন, সমিত ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়