• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু, সরানো হচ্ছে ডিএনসিসি কার্যালয়
কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কার্যালয়টি মোহাম্মদপুরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার সরানোর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) মোতাকাব্বীর আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হলেও ভবনটি ভাঙা হবে পরে। আপাতত কাঁচাবাজার সরানোর কথা ভাবছি আমরা। ব্যবসায়ীদের যেখানে স্থানান্তর করা হবে, সেখানেও কাজ শুরু হয়েছে।’ ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে মোহাম্মদপুর নেওয়া হচ্ছে। শিয়া মসজিদের পাশের মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি এতদিন কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেটে ছিল। ঢাকা সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে, সে তালিকায় এ মার্কেটও আছে। গত ১৮ মার্চ কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারের যে ভবনে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, সেটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। সেই ভবনে ১৭৬টি দোকান রয়েছে। ওই ভবন ঈদের পরে ভাঙা হবে। ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।
২৩ ঘণ্টা আগে

ছুটির দিনে জমজমাট ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে চকবাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করার জন্য চকবাজারে এসেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ইফতার বিক্রির দোকানগুলোতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসায় ব্যবসায়ীদের বিক্রি হচ্ছে অনেক ভালো। প্রায় ৫০-৬০ বছরের পুরোনো এই ইফতার বাজার নানার মুখরোচক খাবারের জন্য বিখ্যাত। ছোলা-বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, শাহী জিলাপি, কাচ্চি বিরিয়ানি, ছাড়াও নানার আইটেমের বিরাট সমাহার রয়ছে এই বাজারে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের ইফতার আইটেম রয়েছে চকবাজারে। এর মধ্যে সুতি কাবাব, শামী কাবাব, আস্ত মুরগি, হাঁসের রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট সর্বনিম্ন ৮৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  কেরানীগঞ্জ থেকে আসা তানভীর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে এখানে ইফতার করতে এসেছি। চকবাজারের ইফতারের অনেক নাম শুনেছি। সেজন্য আজকে টেস্ট করার জন্য এসেছি। সব ঘুরে দেখছি। এখনও কিছু কেনা হয়নি। শেষ সময়ে কিনব।  ফার্মগেট থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে চকবাজারের ইফতার বাজারের ভিডিও দেখে আজকে কিনতে এসেছি। খাসির লেগ রোস্ট, আস্ত হাঁস রোস্ট আর শরবত নিয়েছি। নেওয়াজ গাজী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শরবত থেকে শুরু করে ইফতারের অভিজাত সব আইটেম চকবাজারে পাবেন। সারাদেশ ঘুরে যেসব খাবার পাবেন না, সেগুলো এখানে পাবেন। এ ছাড়া দামও মানুষের হাতের নাগালে। এখন বাজারে সব কিছুর দামই বাড়তি। তবুও আমরা এমনভাবে দাম রাখছি যেন ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৬

এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার র‍্যাম্প খুলছে আজ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র‌্যাম্প চলাচলের জন্য আজ খুলে দেওয়া হবে।  বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের র‍্যাম্প চালুর উদ্বোধন করবেন। এই নিয়ে ১৬টি র‍্যাম্প চালু হচ্ছে। উদ্বোধনের পরপরই এই অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। এই র‍্যাম্প চালু হলে উত্তরা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা গাড়ি মগবাজার, হাতিরঝিল ও কাওরান বাজার এলাকায় নামতে পারবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‍্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫

বাজার তদারকিকালে ১১৩ প্রতিষ্ঠানকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
সারাদেশে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার সময় নানা অনিয়ম পাওয়ায় ৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় সরকারি সংস্থাটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের বাজার তদারকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের ৫টি টিম বাজার তদারকি করে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের সর্বমোট ৫০টি জেলায় একযোগে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মঙ্গলবার সারাদেশে ৫৪টি টিম বাজার তদারকির মাধ্যমে ১১৩টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
২০ মার্চ ২০২৪, ০১:১৩

মজুতদারি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। অযৌক্তিকভাবে মজুতদারি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে, কেউ যাতে কোনো কারসাজি করতে না পারে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইলের পার্ক বাজার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদক, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ী সবাই নিয়মের মধ্যে এলে পণ্যের দাম ধীরে ধীরে কমে যাবে। অযৌক্তিকভাবে মজুতদারি বন্ধে বাজার পরিদর্শন চলবে, কেউ যাতে কোনো কারসাজি করতে না পারে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সাবধানতার জন্য পণ্য কেনার রসিদ থাকতে হবে।  এর আগে, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সামনে প্রতি মাসের টিসিবি পণ্য আগের মাসে পৌঁছে যাবে। উপযুক্ত টিসিবি’র সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করতে জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে। সারাদেশে হস্তশিল্প উন্নয়নে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। টাঙ্গাইলের অনেক সম্ভাবনাময় শিল্প আছে যা দেশে-বিদেশে বাণিজ্য বাড়াতে পারে। হস্তশিল্প উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনকে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। সভায় টাঙ্গাইল জেলার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার সার্বিক উন্নয়নে নানা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।  টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), সংসদ সদস্য ছোট মনির (টাঙ্গাইল-২), সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা (টাঙ্গাইল-৩), সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ (টাঙ্গাইল-৭), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (একুশে পদকপ্রাপ্ত) ফজলুর রহমান খান ফারুক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা, পৌরসভার মেয়ররা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা, জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রমুখ। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৫

বাংলাদেশের জন্য পেঁয়াজ কিনছে ভারত
বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) বেসরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প সূত্র। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অনুরোধ করা দেশগুলোতে ৬৪,৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন। জানা গেছে, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় কাল এখনও জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে অবশ্য এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল। মহারাষ্ট্রের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকে খোদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের এত দাম, কিন্তু ভারতের কৃষক কিংবা ব্যবসায়ীদের তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশে রপ্তানিতে পেঁয়াজের দাম কত হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি এনসিইএল।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে দিনব্যাপী ঈদ চ্যারিটি বাজার অনুষ্ঠিত
ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে আজ দিনব্যাপী ‘ঈদ চ্যারিটি বাজার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক নুরান ফাতেমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সহধর্মিণী দীনা হক, ফোসার সভাপতি ফাহমিদা জাবীন এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমীর রেক্টর মাশ্‌ফী বিন্তে শাম্‌স্।  পরে, প্রধান অতিথি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ৩৫টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী হস্ত ও কারু পণ্যসহ দেশীয় বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রয় করা হয়। সকাল ১০টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ সর্বসাধারণ এই উন্মুক্ত মেলায় কেনাকাটা করেন।  উল্লেখ্য, ফোসা বছরজুড়ে বিভিন্ন উপলক্ষে নিয়মিত চ্যারিটি বাজার আয়োজন করে থাকে। মেলা হতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ফোসা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

রমজান উপলক্ষে নরসিংদীতে নিত্যপণ্যের সাশ্রয়ী বাজার
নরসিংদীতে রমজান মাসে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য কেনাবেচা করতে সাশ্রয়ী বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন।   শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু পৌর পার্ক মাঠে ১২টি স্টলের এই বাজার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বদিউল আলম।  সাশ্রয়ী বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা, যা অন্যান্য বাজারের তুলনায় ১২ টাকা কম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬৫০ টাকায়, যা ৫০ টাকা কম। এ ছাড়া কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা। মুরগির মাংস, লাউ, টমেটো, ডাটা, মাছ, গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব ধরনের নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক বাজার থেকে অন্তত ৩ শতাংশ কম দামে।  রমজানজুড়ে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে তিন দিন সকাল ৯টা থেকে এই হাট চলবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।  জেলা প্রশাসক বদিউল আলম বলেন, নরসিংদী মূলত একটি শিল্প অধ্যুষিত অঞ্চল। এই অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় কাজ করার জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম ঘটেছে। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ছাড়াও নরসিংদীর নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষের রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজারটি অসামান্য ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি জানান, নিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্যের সুবিধা নিয়ে কেউ যেন অধিক পরিমাণে পণ্য কিনতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে উচ্চসীমা (যেমন—গরুর মাংস দুই কেজির বেশি কেউ কিনতে পারবেন না) নির্ধারণ করা হয়েছে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

বাজার এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম (ভিডিও)
রমজানে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। রমজান পণ্যের দাম রোজা শুরুর অনেক আগে থেকেই চড়া হতে শুরু করে। যা বর্তমানে চরম সীমায় পৌঁছেছে। বাজার যেন এখন নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। বাড়তি দামের আগুনে পুড়ছে মানুষ। বাজার সহনীয় করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কাজে আসছে না তেমন। রাজধানীর কাওরান বাজারে দেখা যায়, সরকারের বেধে দেওয়া দামেও মিলছে না খেজুর। সরকার সাধারণ মানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা বেধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে বেশিতে। ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।  রমজানে সবচেয়ে বেড়েছে খেজুরের দাম। এ জন্য বিলাসী পণ্যের তকমা দিয়ে ট্যাক্স বাড়ানোকে দায়ী করছে ব্যবসায়ীরা। খেজুরের দাম সরকার বেধে দিলেও মিলছে না সে দামে।  বিক্রেতারা জানান, বেশি দামে কেনায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। অন্য দিকে, বাজারে দাপট দেখাচ্ছে  লেবু, শসা, বেগুন, মাছ, মাংস ও মুরগী এবং তরমুজও। প্রায় সব সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির উপরে হলেও বিক্রেতাদের দাবি কমতির দিকে মূল্য। তবে অস্বস্তির কথা জানাচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। অতি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের বিদেশি ফল।   বিক্রেতারা বলছেন, আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আনার ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দামও দুই শ’ টাকা কেজির উপরে।  বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকায়। বিক্রেতারা মাছের দাম কমতির দিকে বললেও ক্রেতার কাছে তা চড়া। এ ছাড়া লেবু প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা হলেও শসার কেজি ৮০ টাকা। পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও কেজি প্রতি দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।  বাজার সহনীয় করতে সরকারের কাছে কঠোর ব্যবস্থা চায় সাধারণ মানুষ।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৯

বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার
রমজান মাস এলেই আলোচনায় আসে বাজার ‘সিন্ডিকেট’। এই সিন্ডিকেট বলতে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিলে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া বা নির্দিষ্ট স্বার্থ হাসিলকে বোঝানো হয়। এ কাজ ভালো কিংবা খারাপ দুটোই হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে সিন্ডিকেট বলতে মূলত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বোঝায়। যেটি নেতিবাচক অর্থেই ব্যবহার হয় আসছে। যেখানে এক দল ব্যবসায়ী বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে ইচ্ছামতো পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দাম বাড়িয়ে অবৈধভাবে মুনাফা অর্জন করে। অভিযোগ আছে, এরকম ব্যবসায়ীরা অনেক সময় বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। অর্থাৎ পণ্যের উৎপাদনে কোনও ঘাটতি না থাকা এবং সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকার পরও তারা গুদামজাত করে এবং সংকটের কথা বলে বেশি দামে বিক্রি করে। কিছুদিন পর পর কোন না কোন পণ্য সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ছে। কখনও মুরগী, পেঁয়াজ, আটা, সয়াবিন তেল, কাঁচা মরিচ, ডিম, খেজুর, এমনকি ডাব ও রোগীকে দেয়া স্যালাইনও বাদ যাচ্ছে না। রমজান মাসে এই বাজার সিন্ডেকেট আরও বেশি সক্রিয় হয়। যদিও রমজান মাসটি পুণ্যের হলেও বেশি মুনাফার আশায় থাকেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। লাভ করতেও মরিয়া তারা। একটি রীতিতে পরিণত করেছে এসব ব্যবসায়ীরা। ব্যতিক্রম ঘটছে না এবারও। এবার মাসখানেক আগে থেকে নানা অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছেন তারা। সরকার এবার রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদের নানা আশ্বাস দিলেও সম্ভব হচ্ছে না। ছোলা, বেগুন, লেবু, মাছ-মাংস প্রায় সবই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। যদিও বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দির্দেশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান বলেন, ‘সরবরাহের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সৃষ্টি হয় অথবা একটা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ মজুতদারি করে পচিয়ে ফেলবে কিন্তু বাজারে দেবে না—এই জাতীয় অবস্থার সৃষ্টি করে। সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন সাধারণ মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারে সেদিকে সবাইকে যথাযথভাবে নজর দিতে হবে।’ এ ছাড়া আটটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন চেম্বার থাকবে। যাতে দীর্ঘ মেয়াদে পণ্যগুলো মেইনটেন করে বাজারের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কাজ করছে। মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে মাছ ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে বাজার মনিটিং কার্যক্রম চালাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম বিক্রয় ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। এখন আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে এসব অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।’ সিন্ডিকেটের প্রভাব বিস্তারের পেছনে বাংলাদেশের ইনফরমাল বাজার ব্যবস্থাপনাকে দুষছেন অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘সাধারণত, ফরমাল বাজার সিস্টেমে পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে যতো এজেন্ট কাজ করে তাদের সবাই নিবন্ধিত থাকেন বা প্রত্যেকের আলাদা বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে। অনিবন্ধিত কেউ এই বাজারে লেনদেন করতে পারে না। সেইসাথে, সরকারের নজরদারি সংস্থা, বাজারের প্রতিটি পর্যায়ে লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখতে পারে। কে কী পরিমাণ পণ্য মজুদ রাখছেন, কে কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করছেন বা বিক্রি করছেন, কী দামে বিক্রি করছেন। সব তথ্য সরকারের হাতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় এর কোন সুযোগ সুবিধা নেই। এ কারণে সরকারের কোন সংস্থা বাজারের কোন লেনদেন নজরদারি করতে বা তথ্য রেকর্ড করতে পারে না। ফলে নিয়ন্ত্রণ আরোপও সম্ভব হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সরকারের ঘোষিত দামে বিক্রি করছে না, লেনদেনের রিসিট রাখছে না। মজুদের তথ্য গোপন করছে। এভাবে তারা বাজারে একটি অযাচিত প্রভাব বিস্তার করছে। এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বয়ে আলাদাভাবে টাস্কফোর্স গঠন করা এবং সেই টাস্কফোর্সের পরামর্শে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশমালা তৈরি করা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা।’
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়