• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য জয়ার অনুরোধ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। শুধু অভিনয় নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সরব থাকার পাশাপাশি পশুপাখির প্রতি প্রাণীদের প্রতি জয়ার ভালোবাসা বরাবরই চোখের পড়ার মতন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় তিনি। প্রায় সময়ই নানান ইস্যুতে নিজের মতামত কিংবা অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেন না এই অভিনেত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। আসন্ন ঈদুল ফিতরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য সহায়তার অনুরোধ জানালেন জয়া।      মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অসহায় বাচ্চাদের জন্য পোস্ট দিয়েছেন জয়া। ওই স্ট্যাটাসে ঈদে অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য সহায়তার হাত বাড়াতে অনু্রোধ জানান তিনি।  পাঠকদের সুবিধার জন্য জয়ার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—  ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারও বাবা-মা নেই, কারও বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না।      খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা, খালা, চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়।  মৃত মা-বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়— কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা-চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না   কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত।  বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে। একটা অনুরোধ— এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। অন্তত পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হয়।’     
১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭

ভারতীয় স্কুলের বাচ্চাদের নাচে-গানে মাতালেন পপতারকা এড শিরান
বিশ্বের জনপ্রিয় পপতারকা এড শিরান। বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। আর সেখানে পৌঁছেই মুম্বাইয়ের একটি স্কুলের বাচ্চাদের নাচে-গানে মাতালেন এই পপতারকা।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে ভারতীয় ভক্ত অনুরাগীদের রীতিমতো চমকে দিয়েছেন এড শিরান। ভিডিওর ক্যাপশনে গায়ক লিখেছেন, আজ সকালে মুম্বাইয়ের একটা স্কুলে গিয়েছিলাম এবং বাচ্চাদের সঙ্গে পারফর্ম করলাম। অনেক মজা করেছি।    ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই রিলস ভিডিওতে দেখা যায়, মুম্বাইয়ের একটি স্কুল পরিদর্শনে যান এড শিরান। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে নাচে-গানে মেতে উঠেন তিনি।            এদিকের এড শিরানের ভারতে আসার খবরে বেশ উচ্ছ্বসিত ভারতীয় ভক্তরা। ভিডিওটি পোস্টটি করা মাত্রই মন্তব্যের ঝড় ওঠে গায়কের কমেন্টসবক্সে। একজন লিখেছে— এড শিরান এতো বড় পপতারকা হয়েও কি সাধারণ তিনি। আবার অনেকেই লিখেছেন, ভারতে স্বাগতম পপসম্রাট।    ২০২৪ সালে এশিয়া ও ইউরোপ ট্যুরের অংশ হিসেবে আগামী ১৬ মার্চ মুম্বাইয়ে পারফর্ম করবেন এড শিরান। মুম্বাইয়ের মহালক্ষ্মী রেসকোর্সের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট।  এড শিরান ছাড়াও এই কনসার্টে পারফর্ম করতে দেখা যাবে গায়ক প্রতীক কুহাদ এবং গায়ক ক্যালাম স্কটকেও। ভারতে এড শিরানের এটি দ্বিতীয় কনসা। এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ ভারতে কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন এড শিরান।    
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৫

সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের ক্ষতি করায় জাকারবার্গের ক্ষমা প্রার্থনা
সামাজিক মাধ্যম নিয়ে মার্কিন সেনেটরদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়লেন মার্ক জাকারবার্গসহ অন্যরা। ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ। বুধবার মার্কিন সেনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সেই সব বাবা-মা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন, ফেসবুক ও অন্য সামাজিক মাধ্যমে আসক্তির জন্য যাদের সন্তানদের ক্ষতি হয়েছে। একজন সেনেটর সরাসরি অভিযোগ করেন, জাকারবার্গরা এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। শুনানির সময় জাকারবার্গ ওই সন্তানদের অভিভাবকদের বলেছেন, আপনাদের যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়। সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি এই হাইটেক কর্তাদের ডেকেছিল এবং তাদের কঠিন প্রশ্ন করে। এর নাম দেয়া হয়েছিল, বিগ টেক অয়ান্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস। জাকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্ন্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্রঁ এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন। সেনেটর ডিক ডুবিন ছিলেন এই কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, এই কোম্পানিগুলি যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর বাচ্চার কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলি সুরক্ষার পিছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদের মধ্যে পড়েছে। সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, মিস্টার জাকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলির কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এরকম পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে। জাকারবার্গ সেনেটরদের বলেন, ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। অনলাইন সুরক্ষায় অর্থ খরচ করবে কোম্পানিগুলি জানিয়ে টিকটক সিইও শাও জি চিউ বলেছেন, আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি জানি, যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা খুবই ভয়ের এবং প্রতিটি বাবা-মার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি দুইশ কোটি ডলার খরচ করবেন। চলতি বছরেই আমাদের ৪০ হাজার পেশাদার সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন। মেটাও জানিয়েছে, তাদের ৪০ হাজার কর্মী অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে থেকে তারা দুই হাজার কোটি ডলার এর জন্য খরচ করেছে। মেটার কাছেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিশোর ও সদ্য যুবকদের কাছে অচেনা জায়গা থেকে কোনো বার্তা পাঠানো হলে, তা ব্লক করা হবে। এছাড়া ইনস্টা ও ফেসবুকে কিশোরদের কনটেন্টের উপর আরো কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়