• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর
ই-পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সুখবর দিলো বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ‘এক্সপার্ট সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।  স্থানীয় সময় রোববার (৭ এপ্রিল) এক্সপার্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের উদ্যোগে বাংলাদেশ হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান ও দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং প্রবাসী সাংবাদিকদের জন্য এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরুর কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে শুরু হবে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক এস এম আরমান পারভেজ। এসময় এস এম আরমান পারভেজ বলেন, প্রবাসীদের দালালমুক্ত ই-পাসপোর্ট সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। একজন পাসপোর্ট গ্রহীতাকে তার ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় কার্যাদি দক্ষকর্মী দ্বারা আমরাই সম্পন্ন করে দিব। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ভোগান্তির আরেক নাম দালাল, এই দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করবেন এবং মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া, সম্মানিত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মানের সঙ্গে ই-পার্সপোর্ট সেবা দিতে আমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মাত্র ২৫ রিঙ্গিতের বিনিময়ে আমরা এ সেবা দিব। একজন প্রবাসীকে পাসপোর্টের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। শুরুতেই কল সেন্টার দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস। বর্তমানে প্রবাসীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং প্রদান করা হবে যা এর আগে সরাসরি দূতাবাস গিয়ে করতে হতো। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, কাউন্সির (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, পাসপোর্ট কাউন্সির কিয়ামুদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ উপস্থিত ছিলেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৬

বাংলাদেশিদের মসজিদ নির্মাণে মালয়েশিয়ানের ৭ কোটি টাকার অনুদান
কুয়ালালামপুরের অদূরে পুচং এলাকায় ফ্যাক্টরিতে কর্মরত বিদেশি কর্মীর সংখ্যাই বেশি। বিদেশি কর্মীদের ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা-বাণিজ্য। তবে ছিল না কোনো মসজিদ। এবার এখানেই জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রায় সাত কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মালয়েশিয়ান নাগরিক।  রমজানের শুরুতেই অনুদান ও মসজিদ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় নাগরিক হাজি ওথস ম্যান বিন এনগাদিমিন। এ সময় অনুদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি। ঘোষণার সময় দান করা ঐ মালয়েশিয়ান নাগরিক উপস্থিত থাকলেও নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানান মসজিদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে থাকা মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোল্লা। এর আগে, মাত্র দুই রিঙ্গিতে সরকারি এই জায়গা বরাদ্দ করা হয় বাংলাদেশিদের মসজিদ নির্মাণের জন্য। এদিকে মসজিদ নির্মাণের এ ঘোষণায় দারুণ উচ্ছসিত সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।   
২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৮

কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় সিক্ত জামালরা
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে কুয়েতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দেশটিতে পা দেওয়ার পর ভিন্ন মুহূর্তের স্বাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। জামাল-তপুদের দেখতে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিমানবন্দরে হাজির হন। এ সময় বাংলাদেশ দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় তারা।  রোববার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় সৌদি আরব থেকে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। এরপর সময় বিকেল ৬ টার দিকে কুয়েতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের যৌথ ম্যাচ খেলতে কুয়েত গেছে। ২১ মার্চ কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল। মূলত যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ফিলিস্তিনের হোম ম্যাচ কুয়েতে হবে।  ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ ২৬ মার্চ ঢাকায় কিংস অ্যারেনায়।  আগে গতকাল রাত থেকেই কুয়েতের ভিসা প্রাপ্তি নিয়ে ছিল জটিলতা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ফুটবল ফেডারেশনই সফরকারী দেশের ভিসার কাজ সম্পন্ন করে থাকে। সেই মোতাবেক বাফুফে বাংলাদেশ দলের তালিকা অনেক আগেই কুয়েত ফুটবল ফেডারেশনকে পাঠিয়েছে। তারপরেও বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ফ্লাইট ধরার আহমুহূর্ত পর্যন্ত।  উল্লেখ্য, এএফসি-ফিফা ম্যাচের ৭২ ঘন্টা আগে সফরকারী দলের ব্যয় বহন করে। সেই হিসেবে আজ ও আগামীকাল কুয়েতে অবস্থানের ব্যয় বাফুফেকেই বহন করতে হবে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:২০

কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশিদের সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
এখন থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে এজেন্সির সহায়তা লাগবে না। ফলে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ কমছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। খবর নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগের মাইভিসা পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ই-ভিসার আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের সক্রিয় আইডি ও ব্যবহারকারীর ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব কর্মীদের ভিসা অনুমোদন হয়েছে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় আনতে নিয়োগকর্তাদের চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেশের জনগণের সুবিধা বিবেচনায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গত ফেব্রুয়ারিতে বিদেশিকর্মী নিয়োগে এজেন্টের হস্তক্ষেপ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নেপালের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আসতে মাত্র ৩ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকদের বেলায় তা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রিঙ্গিত লাগে। যা ‘আধুনিক দাসত্বের’ সমতুল্য।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৫

কেয়ার ভিসা : বাংলাদেশিদের জন্য যেসব বিষয় জানা জরুরি
যুক্তরাজ্যে কেয়ার হোম খাতে কর্মী সংকটের ফলে আইনি শিথিলতার সুযোগে বাংলাদেশসহ বি‌ভিন্ন দেশ থে‌কে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী দেশটিতে যাচ্ছেন। তবে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, শিক্ষা-কাজের অভিজ্ঞতা, বিমানবন্দ‌রে নানান প্রশ্নের উত্তর বা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে অসঙ্গতি থাকার কারণে অনেককেই দে‌শে ফেরত আসতে হয়। অনেকে আবার গন্তব্যে পৌঁছেও কাজের সন্ধানে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখিন হন। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কিভাবে কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে সুযোগ কাজে লাগানো যাবে, এ নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার সলিসিটর মুহাম্মদ সাঈদ বাকি। কেয়ার ওয়ার্কারদের জন্য কী ধরনের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি জানান, কেয়ার ভিসায় আসতে হলে একজন মানুষের প্রথমত সংশ্লিষ্ট পেশায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেয়ার ভিসা হলো ইউরোপের দেশটিতে যেসব বয়স্ক মানুষ রয়েছে তাদের সেবা করা। সেটা হতে পারে কেয়ার হোমে বা বাসায় গিয়ে। কাজগুলো হলো- তাদের যত্ন করা, ঔষধ খাওয়ানো, তাদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করা। যাদের এ সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে তারাই কেয়ার ভিসায় অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। এ ভিসার জন্য কেমন যোগ্যতা আর কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন? জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান আইন অনুয়ায়ী যুক্তরাজ্যে কেউ যদি কেয়ার ভিসায় আসতে চান তাহলে তাকে সর্বপ্রথম যে জিনিসটা প্রমাণ করতে হয় সেটা হলো ভাষাগত দক্ষতা। অর্থাৎ তাকে আইএলটিএসে কম পক্ষে ৪.৫ পেতে হবে। আইএলটিএসের পাশাপাশি তার যে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট পেশায় এবং কাজের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটারও প্রমাণ রাখতে হবে। উনি যদি কোনো নার্সিং হোমে কাজ করে থাকেন, কেয়ার হোমে অথবা কোনো হাসপাতালে কাজ করে থাকেন সেই সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র দিলে অনেক সময় এটা হোম অফিস অথবা তার যে স্পন্সর বা নিয়োগ কর্তা সেটা ইতিবাচকভাবে দেখে।  কেয়ার ভিসায় ইমিগ্রেশনে কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে নতুনরা এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি বলেন, কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে গেলে সেখানকার ইমিগ্রেশন নানান ধরনের প্রশ্ন করতে পারে। এ প্রশ্নগুলো করা হয়ে থাকে যিনি আসছেন তিনি কি সত্যিকারের এমপ্লয়ি কিনা, উনি সঠিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কিনা। এটা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারে। সাধারণ তারা প্রশ্ন করে থাকে তিনি যে কাজে আসছেন তার কাজ সম্পর্কে ধারণা আছে কিনা, তার কাজ কবে থেকে শুরু হবে এবং তিনি যে জবটা পেয়েছেন সেটা কিভাবে পেলেন, তার সাক্ষাৎকার করা হয়েছে কিনা, সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা আছে কিনা। নানাভাবে তারা প্রশ্ন করতে পারেন। এবং এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা যাচাই বাচাই করে যিনি আসছেন তিনি কেয়ার ভিসায় কাজ করার জন্য যোগ্য কি না।  এ ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বা পাচ্ছেন না, তাদের করণীয় সম্পর্কে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি জানান, এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, এ দেশে আসার আগে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা। চাকরি পাওয়ার আগে উনি কী কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। যে কোম্পানীতে চাকরি করবেন সেটা চেক করেছেন কিনা। কোম্পানি যে কেয়ার ওয়ার্কার নিচ্ছে সেটা তিনি কিভাবে জানলেন? কোম্পানী তার কোনো ইন্টারভিউ নিয়েছে কিনা। উনি কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসছেন এটা অনেকটা নির্ভর করে। যুক্তরাজ্যে আসার পর দেখা যায় অনেক কোম্পানির লাইসেন্স চলে গিয়েছে অথবা তারা কাজ দিচ্ছে না তাদের জন্য করণীয় হচ্ছে- তাদের অন্য কোনো কোম্পানীতে অ্যাপ্লিকেশন করা। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে বর্তমানে প্রচলিত যে আইন রয়েছে, সে আইন অনুযায়ী একজন মানুষের যদি ভিসা বাতিল করা হয় বা কোনো কেয়ার কোম্পানীর লাইসেন্স যদি বাতিল করে দেয় সরকার, এতে করে তার যে কর্মচারী রয়েছে তারও কিন্তু ভিসা বাতিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে হোম অফিসের নিয়ম অনুযায়ী তাকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হয় অন্য কোনো কোম্পানীতে অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য অথবা অন্য কোনো ভিসাতে আবেদন করার জন্য। এ সময়ের মধ্যে তারা যদি সেটা না করতে পারে তাহলে তাদের বলে দেওয়া হয় নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য।  ভিসা আবেদনের আগে প্রত্যেক আবেদনকারীকে কিছু বিষয় জানা জরুরি বলে জানান ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি। তিনি বলেন, কোনো এমপ্লয়ার কোনো এমপ্লয়ির কাছ থেকে অর্থাৎ যিনি আসবেন তার কাছ থেকে কোনো অর্থ দাবি করতে পারবেন না। যদি কেউ কাজ দেওয়ার নাম করে অর্থ দাবি করে তাহলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, কেয়ার ভিসার কাজ দেওয়ার নাম করে ওয়ার্ক পার্মিট বেচা কিনা করা যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। সরকার এই দেশে কেয়ার হোম গুলোকে লাইসেন্স দিয়েছে বিদেশ থেকে দক্ষ কেয়ার ওয়ার্কার আনার জন্য। অর্থাৎ যারাই যোগ্য বা এসব কেয়ার হোমে কাজ করার জন্য অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধুমাত্র সরকার তাদের আনার জন্য অনুমতি দিয়েছে।  কেয়ার ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ছেলে-মেয়ে উভয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু বেসিক রুল রয়েছে। সেগুলা নিয়ে তিনি বলেন, যে বেসিক রুল রয়েছে তা হলো আইএলটিএসে ৪.৫ পাওয়া। এবং সংশ্লিষ্ট পেশার অর্থাৎ কেয়ার ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাজের যোগ্যতা থাকা। সেক্ষেত্রে অনেকে অনলাইন কোর্স করেন, হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট জমা দেন, নার্সিং হোমের কাজের অভিজ্ঞতা জমা দেন। এ ক্ষেত্রে তার জব পাওয়ার জন্য সহায়ক হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ১৮ বছরের উপর ছেলে-মেয়ে কারই এদেশে আসতে বাঁধা নেই।  কেয়ার ভিসায় ডিপেন্ডেন্ট নেওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার সাঈদ বাকি বলেন, সম্প্রতি কেয়ার ভিসায় যে নিয়ম রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার সেটাতে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসছে। বর্তমানে যিনি কেয়ার ভিসায় আসতে যাচ্ছেন তারা কিন্তু তাদের ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু আগামী ১১ মার্চ থেকে যে নিয়ম আসছে সেখানে নতুন করে যারা কেয়ার ভিসায় আসবেন তারা আর ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসতে পারবেন না। কিন্তু যারা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে এ ভিসায় অবস্থান করছেন তারা তাদের ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য সরকার কেয়ার ভিসাকে শর্টেজ অকেপেশন লিস্টের আওতাভুক্ত করে। এ ক্ষেত্রে তারা ঘোষণা করে যে, কেয়ার ভিসায় আসতে হলে তাদেরকে আইএইচএস ফি অর্থাৎ হেলথ চার্চ ফি প্রতি বছর দিতে হয়, সেটা দিতে হবে না। এতে করে উল্লেখ্যযোগ্য মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অ্যাপ্লিকেশন করেছে এবং দেশটিতে যাচ্ছে। তবে সেই সুযোগে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বৈধভাবে পুরো পরিবার নিয়ে দেশটিতে আসা শুরু করে। পুরো বিষয়টি নজরে আসার পর চূড়ান্ত হার্ডলাইনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ থেকে কেয়ার ভিসায় পরিবারের সদস্যদের নেওয়া যাবে না ব্রিটেনে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের সুখবর দিলো ভারত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ভারত যে পরিমাণ ভিসা ইস্যু করে তার বেশির ভাগই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য, বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে ভারত। সোমবার (৪ মার্চ) চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। মনোজ কুমার বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বা ভিসা ইস্যু সহজীকরণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা-দিল্লি বিষয়টি নিয়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও কাজ চলছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমে গেলে ভারতীয় মুদ্রায় পণ্য আমদানি সহজ হবে। এদিন ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ভারতীয় রুপি এবং বাংলাদেশি টাকায় পণ্য আমদানি ও রপ্তানির বিষয়ে দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩

বাংলাদেশিদের জন্যে স্কলারশিপসহ সুবর্ণ সুযোগ দিলো যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের শিক্ষার্থীদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২১০টি গ্রেট স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ৭১টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাজ্যে (ইউ.কে) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে ইচ্ছুকদের জন্যে ‌‘গ্রেট স্কলারশিপ’ নামের বিশেষ মেধাভিত্তিক বৃত্তিগুলো দেওয়া হবে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। জানা গেছে,  এক বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য প্রতিটি মেধাবৃত্তির সর্বনিম্ন অর্থ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ টাকার সমান। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ইত্যাদি দেশের যোগ্য প্রার্থীরা সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া নির্বাচিত স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলির সাথে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি বৃত্তি যৌথভাবে যুক্তরাজ্য সরকারের গ্রেট ব্রিটেন ক্যাম্পেইন এবং অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিল অর্থায়ন করবে। গ্রেট ক্যাম্পেইন যুক্তরাজ্য সরকারের একটি উদ্যোগ। যা উচ্চ শিক্ষার সুযোগের মাধ্যমে ১৫টি দেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। এটি কর্মসংস্থানের সুবিধা দেয়, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক দর্শক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বাসিন্দা এবং পেশাদারদের শেখার পরিবেশ বৃদ্ধি করে। কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং কীভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে একটি বিশেষ সাক্ষাতকারে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের এডুকেশন ইন্ডিয়ার পরিচালক এবং গ্রেট স্কলারশিপের শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতের রিত্তিকা চন্দ পারুক বিস্তারিত জানিয়েছেন। প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আবেদন সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৫

এক বছরে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা দ্বিগুণ বেড়েছে বাংলাদেশিদের
এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার ও কূটনৈতিক মিশনের জন্য বিশ্বের প্রযুক্তি পরিষেবা বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদনের পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় ১৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ২০১৯ সালের প্রাক-মহামারি সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে সর্বশেষ বছরে ভিসা আবেদনের এই পরিমাণ বেড়েছে আড়াই গুণের কাছাকাছি (২৩৩ শতাংশ)। ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ প্রধান শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ২০২২ সালে আমরা বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া থেকে অনন্য চাহিদা লক্ষ্য করেছি, যার ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতিশীল ভিসা আবেদনের পাশাপাশি একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ মৌসুম তৈরি হয়েছিল। নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, প্রযুক্তিগত ও নির্ভরযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি আমরা। এ সময় আবেদনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ভিএফএস গ্লোবালের নাম ব্যবহার করা ভুয়া ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজ থেকে যারা অর্থের বিনিময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিক্রি করে, তাদের কাছ থেকে সাবধান হতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটে বিনা খরচে প্রদান করা হয় এবং আগে আবেদন করার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হয়। একটি দায়িত্বশীল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এই সমস্যাটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে থাকবো এবং আমরা আবেদনকারীদের অনুরোধ জানাচ্ছি যেন  তারা তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আগে থেকেই করেন। বেশিরভাগ দেশ ভ্রমণ তারিখের ৯০ দিন আগ পর্যন্ত ভিসার আবেদন গ্রহণ করে উল্লেখ করে শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, সংশোধিত শেনজেন ভিসা কোড অনুসারে, ভ্রমণ তারিখের ছয় মাস আগপর্যন্ত শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। বিশেষ করে এই বছর উচ্চ চাহিদা এবং সীমিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট থাকায়, আমরা আবেদনকারীদের তাদের ভিসার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কানাডার ভিসা যুক্ত করার জন্য পাসপোর্ট জমা দিতে দীর্ঘ অপেক্ষার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চাহিদা ও যোগানের সম্পর্কের কারণে এটা হচ্ছে। দূতাবাস থেকে আমাদেরকে যে পরিমাণ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে বলে, আমরা সেটাই দিচ্ছি। ভিএফএস গ্লোবাল বলছে, মহামারির পর থেকে ভ্রমণকারীদের মাঝে আরেকটি উল্লেখযোগ্য আচরণ লক্ষ্য করা গেছে, যা হলো ব্যাপক পরিমাণে ব্যক্তিগত পরিষেবা গ্রহণ। ভিএফএস গ্লোবাল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৬টি ক্লায়েন্ট সরকারকে সেবা দিয়ে আসছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৫

সহজ হবে বাংলাদেশিদের ভারতযাত্রা
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতযাত্রা সহজ করতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ সময় দুই দেশের আন্তঃযোগাযোগ উন্নয়নে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী।   ভবিষ্যতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের আরও বেশকিছু জেলায় ভারতের ফ্লাইট চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ  এবং ভারতের মধ্যে এখন প্রতিদিন ২০০ এর উপরে  ফ্লাইট চলাচল করে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে আছে, ট্যুরিস্ট বাড়াতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে ট্যুরিজম ফেয়ার করা, বাংলাদেশের জন্য ভারতে অনারারি ভিসা সহজ করা, হেলথ ভিসাসহ অন্যান্য ভিসার সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি। ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, ভারতে বাংলাদেশিদের অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে ফারুক খান বলেছেন, শুধু ভারত নয়, পর্যটনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব দেশের সঙ্গেই অন এ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সামনের সপ্তাহে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।  এরপর বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানের বিভিন্ন সমস্যা আছে। বিমানের অব্যবস্থাপনার যেসব  অভিযোগ আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে, বিমান এখন লাভেই চলছে বলে মনে করি। যদিও একে অ্যামিরাটসের সাথে তুলনা করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির যেসব অভিযোগ আছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসীদের জন্য ইমিগ্রেশনে আলাদা কাউন্টার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯

প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি পরামর্শ দিচ্ছে বাহরাইন দূতাবাস
বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন, নিয়ম অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, নিয়োগকর্তা কতৃক আইনি হয়রানিসহ এতদিন নানা ধরনের আইনি জটিলতায় ভুগতেন। বাংলাদেশি আইনজীবী না থাকা, স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে অসুবিধাসহ এ বিষয়ে প্রবাসীদের তেমন কোনো ধারণা না থাকায় অনেকেই এতদিন কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তবে প্রবাসীদের এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ পদক্ষেপসহ দারুণ এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের উদ্যোগে ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ডের সহযোগিতায় বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ প্রদান’ ও বিশেষ হটলাইন সেবা ২৪/৭ কার্যক্রম গেল বছরের ৫ সেপ্টেম্বরে থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত প্রায় ৩৯০ জন প্রবাসীকে আইনি সেবাপ্রদান করে দূতাবাস। সেবা পাওয়াদের মধ্যে একজন কুমিল্লার আজিজুল হক। দীর্ঘদিন যাবত বাহরাইনে শ্রমিক হিসাবে বসবাস করছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে তাকে বাহরাইনে গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি) আটক করে। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিলেও তার অভিযোগ বহাল থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী আইনি সেবার জন্য আসলে দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত আইনজীবীকে দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে তার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়। আজিজুল হক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের নিয়োগকৃত আইনজীবীর মাধ্যমে আমার সমস্যাটি সমাধান হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের এই সেবাকে সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট সকল কমকর্তা-কর্মচারীকে। বাহরাইনে আরেক প্রবাসী রুবেল ইমান। তার বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তা কতৃক রানওয়ে অভিযোগ ছিল। তিনি তার বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে দূতাবাসে আসেন আইনি সেবার জন্য। পরে দূতাবাসের আইনজীবী কোর্টের মাধ্যমে তার বিষয়টি সমাধান করে। রুবেল ইমান বলেন, বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ায় আমি দূতাবাসের সকলের জন্য দোয়া করি। বর্তমানে আমি ভিসা নবায়ন করতে পেরেছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দূতাবাসকে। দূতাবাস যেন এই সেবা সকল প্রবাসীর জন্য সর্বদা অব্যাহত রাখেন। কমিউনিটি নেতা ও বাহরাইন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, দীর্ঘদিন কিছু রক্তপিপাসু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অজ্ঞাতার সুযোগ নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে তাদেরকে আইনি পরামর্শের নামে লুটে নিয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণে সর্বোচ্চ ১০ এ থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত বঞ্চিত প্রবাসীরা পরিশেষে দূতাবাসের এমন পদক্ষেপে আশার আলো পেয়েছে। যার ফলে এখন বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ সেবা পাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। সে সকল প্রবাসীদের ও কমিউনিটির পক্ষ থেকে আমি দূতাবাসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি সেবা এবং সঠিক আইনগত পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার বেলা ১১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দূতাবাস প্রাঙ্গনে অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন আইনগত সমস্যার পরামর্শ দেওয়া হয়। চাহিদার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে এই সেবার আওতা বাড়ানো হবে।  এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে অফিস চলাকালীন সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা দ্বারা আইনি পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আইনি সেবার জন্য বিশেষ হটলাইন চালু রয়েছে ২৪/৭ যেকোনো পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়