• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া
রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে তীব্র তাপদাহ। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর অতিরিক্ত গরমের ফলে ডায়রিয়া, ঠান্ডা-কাশিসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নানা বয়সি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাঁচার জন্য রাসুল (সা.) আমাদের বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় কর। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিশ্বাস। (মিশকাত : ৫৯১) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো (বোখারি, হাদিস : ৩২৬০)। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে- আবু জার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। এক সময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবিজি (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবিজি পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও। এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা হয় জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় কর। (বোখারি ৫৩৯)। তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি'মাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামি'য়ি সাখাত্বিকা অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে। اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন। অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন।
৮ ঘণ্টা আগে

বিপদ-আপদ থেকে বাঁচার দোয়া
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই বিপদ-আপদ আসে। অনেক সময় পাপের পরিণাম হিসেবেও নেমে আসে বিপদ। তবে মাঝেমধ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হিসেবেও আসতে পারে বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদ এবং বালামসিবত। এ জন্য আল্লাহর রসুল (সা.) সব ধরনের বিপদ-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য দোয়া শিখিয়েছেন।  হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)   হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯) হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করবে, তাকে আসমান-জমিনের কোনো জিনিস ক্ষতি করতে পারবে না।   উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াস‌মিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামা-ই ওহুয়াস সামিউল আলিম   অর্থাৎ, আমি আল্লাহ‌র নামে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যার নামের সঙ্গে আসমান ও জমিনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, আর তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪১০)
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১

ভিডিওকলে ‘বাঁচার আকুতি’ জানান রকি, হয়নি শেষরক্ষা
পরিবারের হাল ধরতে মাত্র ২ মাস আগে যশোরের ছেলে কামরুল হাবিব রকি (২১) কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। কর্মরত ছিলেন ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে যে ৪৬ জন মারা যান তাদের মধ্যে একজন কামরুল হাবিব রকি। ভিডিওকলে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি মারা যান। শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় তার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে রকির বাড়ির পরিবেশ। নিহত রকি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।  নিহত রকির মামা জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রকির মেসেঞ্জারে ভিডিওকল দিয়েছি, সে রিসিভ করেনি। পরে আমাকে কল ব্যাক করে বাঁচার আকুতি জানায়। কিছুক্ষণ পর কল কেটে যায়। আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা জানান, উদ্ধারকাজ চলছে, ধৈর্য্য ধরুন। এরপর আমি ঢাকায় রওনা হই। সেখানে হাসপাতালে পাই রকিকে। ততক্ষণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমিই রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরির পর আমিই ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে সে চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’ নিহত রকির ভাই কামরান হোসেন সাজিম জানান, তার ভাই আলিম পাস করে গত ডিসেম্বরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় আগুন লাগে। রকি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান রকি। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯

স্বামীকে ফোন করে বাঁচার আর্তনাদ, পরে সন্তানসহ মিলল লাশ
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মা ও দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন নাজিয়া আক্তার (৩১) ও তার দুই সন্তান আয়ান (৮), আয়াত (৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করে নাজিয়ার আত্মীয় রিফাত হোসেন জানান, নাজিয়ার স্বামী মো. আশিক ব্যবসার কাজে বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বনানীতে যান। সে সময় দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান নাজিয়া। আগুন লাগার পর নাজিয়া তার স্বামীকে ফোন দিয়ে বাঁচার আর্তনাদ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ২২ জন। এরমধ্যে ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। আহতদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৬

বাঁচার আকুতি জানিয়ে মুশতাক-তিশার নতুন ভিডিও
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত দম্পতি মুশতাক-তিশা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দর্শনার্থীদের রোষানলে বইমেলা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। এরপর হত্যার হুমকি পেয়ে নিরাপত্তা চেয়ে ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এবার আলোচিত এই দম্পতি গভীর রাতে এক ভিডিও বার্তায় বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে ভিডিও বার্তায় মুশতাক-তিশা দম্পতি বলেন, এই দেশে কি আমাদের বাঁচার অধিকার নেই? এক লোক প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে এসে আমাদের দুজনকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা শঙ্কিত। আমরা বাঁচতে চাই। নিরাপত্তা চাই। বইমেলায় যেতে চাই। আর এই হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখতে চাই। মুশতাক আরও বলেন, শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে আমরা জিডি করেছি। এরই মধ্যে নতুন করে একটি ভিডিও আমাদের নজরে আসে যেখানে আমাকে ও আমার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমি তার বিচার চাই। সেইসঙ্গে জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমরা শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করেছি। কোন অন্যায় করিনি। একই বিষয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশা বলেন, আমি একজন নারী, একজন মানুষ। আমার কী অপরাধ? আমার বাঁচার অধিকার নেই? প্রকাশ্যে এভাবে কেন হুমকি দেবে। আমরা শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করেছি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরমধ্যে বইমেলায় নিজেদের নিয়ে দুটো বই প্রকাশ পেলে তারা আবারও আলোচনায় আসেন।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫২

বিপদ-আপদ থেকে বাঁচার আমল
জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত মানুষ বিপদ-আপদে পড়ে থাকেন। সেই সময় আসলে কি করা উচিত তা বুঝতে না পেরে অনেকে অসহায় জীবনযাপন করতে থাকেন। কিন্তু বিপদ ও মুসিবত থেকে বাঁচতে কিছু আমল রয়েছে। যা নিয়মিত করলে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।  আমলগুলো হলো- বিপদ-আপদ থেকে বাঁচতে সাতটি সালাম রয়েছে। যেগুলো নামাজের পর পড়লে সবধরনের বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকা যায়। সালামগুলো হলো- ১. সালামুন কাউলামমির রাবির রাহীম ২. সালামুন আ’লা নুহিন ফিল আ’লামীন ৩. সালামুন আ’লা ইব্রাহীম ৪. সালামুন আ’লা মুছা ওয়া হারুন ৫. সালামুন আ’লা ইলইয়াসীন ৬. সালামুন আলাইকুম তিবতুম ফাদখুলূহা খালিদীন ৭. সালামুন হিয়া হাত্তা মাতলায়িল ফাজর। দোয়া ইউনুস বেশি বেশি পড়লে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাসবুনাল্লাহুনিমাল ওয়াকীল সর্বদা বেশি বেশি পড়লে বিপদাপদ দূর ও রিজিক বাড়তে থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে। উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদুররু মা`আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি`ই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম। এ ছাড়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ ৯৯টি রোগের মহাওষুধ। এটি বেশি বেশি পড়লে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। (মিশকাত.তিরমিজী)
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়