• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে রওশনপন্থী জাপার সম্মেলন
জাতীয় পার্টির (জাপা) বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করছেন রওশন এরশাদ। শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর রমনা ইনস্টিটিউটের সামনে খোলামাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে রওশন এরশাদ ছাড়াও রয়েছেন, জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু। ফলে জাতীয় পার্টি নামে আরও একটি দলের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে জাতীয় পার্টি ভেঙে একই নামে পাঁচটি দল হয়েছে। রাজধানী ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেবর-ভাবির কোন্দলের মাত্রা চরমে ওঠে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা সরাসরি পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন। ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করেন। তাদের পদত্যাগও চান পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই। এ ঘটনা কেন্দ্র করে দলে থাকা দীর্ঘদিনের মিত্রদের একে একে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাপার স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হন রওশন এরশাদ। মূলত রওশন অংশে তিনি ছাড়া বাকি শীর্ষ নেতাদের সবাই দল থেকে বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়েই নতুন করে দল গঠন করতে যাচ্ছেন সাবেক এই বিরোধী দলের নেতা। তবে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করেননি জিএম কাদের। দলটির একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাপায় সবচেয়ে বড় ভাঙন হতে যাচ্ছে আজ শনিবার। যদিও ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না রংপুরসহ ১৭টি জেলা। অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও কমবেশি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বিভক্তি প্রসঙ্গে রওশনের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব কাজী ফিরোজ রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছি, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। জাপা ফের ভাঙছে। এজন্য কে দায়ী, তা হয়তো সময় মূল্যায়ন করবে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এরপর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে অন্তত ছয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলটি। তারপর থেকে এরশাদ-রওশন ও জিএম কাদের জাপার মূল ধারায় ছিলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৬

নৌকাকে হারিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার জয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেনকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান।  রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফলে একরামুজ্জামান পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট। একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর আগে, এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। অনিয়মের কারণে বেশ কিছু কেন্দ্রের ভোট বাতিল এবং ২১ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। ১৫ ব্যক্তিকে জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন ৪০ জন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮

লক্ষ্মীপুরে জাপার বহিষ্কৃত নেতাকে যুবকের থাপ্পড়
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনসংযোগকালে শেখ ফায়িজ উল্যাহ শিপন নামে জাতীয় পার্টির সদ্য বহিষ্কৃত এক নেতাকে থাপ্পড় দেন এক যুবক। এ ঘটনার ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার কাফিলাতলী স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। শিপন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত একপত্রে তাকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম (ঈগল) সদরের হামছাদী এলাকায় জনসংযোগে বের হন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাপা থেকে সদ্য অব্যহতি প্রাপ্ত শেখ ফায়িজ উল্যাহ শিপন। দুপুরে কাফিলাতলী স্কুল মাঠে পৌঁছালে হঠাৎ এক যুবক এসে তার গালে থাপ্পড় মারে। এ সময় ওই যুবককে তাড়া করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। জানা যায়, শেখ ফায়িজ উল্লাহ শিপন জাতীয় পার্টির নেতা থাকা অবস্থায় লক্ষ্মীপুরের কয়েকটি দলীয় অনুষ্ঠানেও হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকে আর ২০২১ সালে জাপার লাঙ্গল নিয়ে সংসদ নির্বাচন করে দুই বারই জামানত হারান এ নেতা।  জানতে চাইলে শেখ ফায়িজ উল্লাহ শিপন বলেন, আমরা নির্বাচনে প্রচারণায় বের হলে নৌকা প্রতিকের ৮-১০ জন সমর্থক স্কুল মাঠে এসে প্রচারণায় বাধা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় শান্ত নামে এক যুবক আমাকে থাপ্পড় মারে। সে হামছাদী ইউনিয়নের মৃত সফিক উল্যাহর ছেলে।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়