• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
দল থেকে বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাকর্মীদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে শুধু চেয়ারম্যান পদেই ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৮ নেতা। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ভোট করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও লড়ছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এটিই তার প্রমাণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচন না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দলটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নানাভাবে দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। এজন্য দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতাদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এবং নেতাদের সব অনুরোধ উপেক্ষা করে অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পদধারী নেতা। ১১ জন দল থেকে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত কিংবা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক নেতা। এ ছাড়া বাকি ৯ জন বিএনপি নেতাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা এলাকায় বিএনপির লোক হিসেবে পরিচিত। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা জানান, এমনিতেই টানা প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত লম্বা সময় কখনোই ক্ষমতাহীন থাকেনি দলটি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিএনপির অনেক নেতা প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অনেকের পূর্বপুরুষ কিংবা পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘকাল নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা নির্বাচন করছেন। তারা আরও জানান, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক কারণে আপাতত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ধারাবাহিকভাবে বর্জন করতে থাকলে তৃণমূলে দলীয় নেতাদের প্রভাব কমে যাবে। এতে ব্যক্তির পাশাপাশি দলও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় সবার জন্যই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তারা। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপির আহ্বায়ক রমিজ উদ্দীন (লন্ডনি) বলেন, আমি জেনে-বুঝেই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। রাজনীতি করতে করতে বুড়ো হয়ে গেছি। আমার এমপি হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনে না গেলে তৃণমূল নেতাকর্মীকে কীভাবে ধরে রাখব? চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে তো নেতাকর্মীরা কিছুটা সুবিধা ও স্বস্তি পাবেন। তাদের স্বার্থেই নির্বাচন করছি। আমি জয়ী হলে তাদের জন্য হবে বিরাট সান্ত্বনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস বলেন, এলাকার জনগণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বিজয়ী হয়ে তাদের আশা পূরণ করব। তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে নেতাকর্মীরা দলছাড়া হয়ে পড়ে। আশা করি, দল পরিস্থিতি বুঝে আমাদের বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শেই স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা দলের বিষয়। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনের কথা বুঝতে পারছে না। এজন্য তাদের নির্দেশ মানছেন না বেশিরভাগ নেতা। এটি বুঝতে ভুল করলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব  অচিরেই টের পাবে রাজনীতিতে কতটা সংকুচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, এমনিতেই টানা প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত লম্বা সময় কখনোই ক্ষমতাহীন থাকেনি দলটি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিএনপির অনেক নেতা প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও তারা নির্বাচন করছেন।
৯ ঘণ্টা আগে

বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির আরও এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ওইদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার
বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হ‌য়ে‌ছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী‌তে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

২ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। রোববার (২১ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৭

হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
হেরোইনসহ গ্রেফতার নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু রায়হান ওরফে প্রবানকে (৩২) বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলাপরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু রায়হানকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বহিষ্কৃত আবু রায়হান মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান-শিয়াধার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর বাজার এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রায়হান ও তার সহযোগী তফসির খানকে (২৫) আটক করে। এ সময় রায়হানের শরীর তল্লাশি চালিয়ে এক গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান নেত্রকোণা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পূর্ব) মো. সাইদুর রহমান।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৭

জাবিতে ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার স্কুলছাত্রকে আটকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং এহসানুর রহমান রাফি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। তিনি জানান, বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ শিকদার মো. জুলকারনাইনকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্যরা হলেন- প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম আক্কাস আলী। এ ছাড়া নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়াকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের কক্ষের তালা ভেঙে রুম দখলের চেষ্টার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা কমিটি (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড)। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ইংরেজি বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাসকে ১ বছর, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মোস্তাকিম রহমান রাফি এবং আইআইটি ৪৯তম ব্যাচের আরমানুল আলমকে ৬ মাসের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। সিন্ডিকেটে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ফজিলাতুন্নেসা হলের একটি কক্ষে সিগারেট থেকে আগুন লাগার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড)। মোসাররাত লামিয়া নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৯

র‍্যাগিংয়ে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা, হাবিপ্রবির দুই ছাত্র বহিষ্কার
নবীন শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পড় এবং সিগারেটের আগুনে হাতে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আর্কিটেকচার বিভাগের দুই ছাত্রকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন হল থেকে বহিষ্কারসহ ৬ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ মার্চ হাবিপ্রবি র‍্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ মূলকমিটির সভায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি আর্কিটেকচার বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘটিত র‍্যাগিংয়ের ঘটনা বিশদভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানবির রুবাইয়েত ফারাবী ও দিগন্ত সাহাকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে বহিষ্কার করা হলো। আগামী ২৭ মার্চ হতে তাদের শাস্তি কার্যকর বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৬ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হলো।   জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের এক ভোরবেলা আর্কিটেকচার বিভাগের নবাগত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বটগাছের নিচে ডাকে একই বিভাগের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ঐ শিক্ষার্থীরা। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তারা নবীন শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পড় মারে এবং সিগারেটের আগুনে হাতে ছ্যাঁকা দেয়। এরপর তাদের মেসে নিয়ে গিয়েও র‍্যাগ দেয়। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পায় র‍্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি।  প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের এর আগেও সতর্ক করা হয়েছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন ও প্রক্টর অফিস তাদের র‍্যাগিং থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, র‍্যাগিং কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং থেকে দূরে থাকতে আহবান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন বলেন, ছাত্রদের শাস্তি প্রদান ও বহিষ্কার আমাদের জন্য দুঃখজনক একটি বিষয়। শিক্ষার্থীদের আমরা বারংবার সতর্ক করে যাচ্ছি র‍্যাগিং থেকে দূরে থাকার জন্য। আমাদের তারপরেও ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই হাবিপ্রবিতে কোন অবস্থাতেই র‍্যাগিংয়ের ঘটনাকে সমর্থন করা হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণু নীতিতে রয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

সাংবাদিককে জখম, তিতুমীরের ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র বহিষ্কার হয়েছেন।   শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক মুজিবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার অভিযোগে ইমরুল রুদ্রকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে বিজ্ঞপ্তিতে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের বিবরণ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ আছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র সাব্বির আহমেদের ওপর এই হামলা করেছেন। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজে একটি ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে হামলার শিকার হন ওই সাংবাদিক। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৬

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে নির্যাতন, জেলা সভাপতির বহিষ্কার দাবি
আবারও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্বয়ং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে রাস্তা থেকে তুলে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন তিনি। নানা ঘটনায় বিতর্কিত সদর উদ্দিন খানকে নিয়ে আতঙ্কিত দলটির শত শত নেতাকর্মী বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধনে অংশ নেন বলে জানান। শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।   এদিকে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসার শমসপুর বাজারের পাশের রাস্তা থেকে কয়েকজন মিলে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।  এ বিষয়ে আলমগীর হোসেন জানান, জোর করে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের শমসপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদর খান তাকে বেতের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। সদর খানের ভাই রহিম খানের পক্ষে উপজেলা নির্বাচনে ভোট করতে অস্বীকার করলে তার বুকের ওপর পা তুলে মুখে অস্ত্র ঢুকিয়ে নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।  বৃহস্পতিবার বিকেলেই সদর খান, তার ভাই রহিম খান ও রহিম খানের ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন।  বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেন থানা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে সদর উদ্দিন খান ও রহিম খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাসস্টান্ডে আসেন।  খোকসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম এমদাদ হোসেন বলেন, কয়েকবার দল ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ নানা কারণে বিতর্কিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানকে দল থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সহযোগী সংগঠনসহ ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার বলেন, গেল জাতীয় নির্বাচনেও খোকসা কুমারখালী আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন সদর খান। তার বিরুদ্ধে গেলেই দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালান তিনি।  এ সময় দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। বাদী পক্ষের অভিযোগ, থানা থেকে সদর খানের নাম মামলায় বাদ দিতে বলা হয়েছে।  এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। কোনো আসামিকে বাদ দেওয়া বা যোগ করার ব্যাপার নেই। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নেওয়া হবে। ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা / অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি, সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে অব্যাহতি ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। উপাচার্যের নির্দেশে ডাকা হয় জরুরি বৈঠক। সেখানেই গৃহীত হয় এসব সিদ্ধান্ত।  বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহকে।’ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো আইন বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি খুব ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার জন্য, যেন দোষীরা শাস্তি পায়। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অবন্তিকার সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনও জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়