• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
পরিবার নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস চেয়ারম্যানের 
ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন। পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় একাধিক কক্ষ দখল করে করছেন বসবাস।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাইফুল ইসলাম সুমন। এর কিছুদিন পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো নিজের দখলে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। তার সঙ্গে সেখানে তার স্ত্রী-সন্তানসহ মোট পরিবারের সাতজন সদস্য রয়েছে। কোন ইউপি চেয়ারম্যান এভাবে বসবাস করেন এমনটা আগে দেখেননি এলাকাবাসী। ক্ষমতার জোরেই এভাবে বসবাস করতে পারছেন বলেও অভিযোগ তাদের।  ওমর শরীফ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন হওয়ার পর থেকেই দেখছি পরিবার নিয়ে বোর্ড অফিসে থাকে। ঠিক না বেঠিক জানি না। চেয়ারম্যান বোর্ড অফিসে থাকে কেন এই কথা আমরা বললে আমাদের কথা কি শুনবে সরকার? শোনবে না।  এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনের সহধর্মিণী বলেন, দুই বছর ধরে তারা  ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করছেন। জনগণের সেবার কথা চিন্তা করেই এখানে বাস করছেন। ভবনের দ্বিতীয় তলায় মোট পরিবারের ৭ জন এখানে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, পরিষদে তার জন্য দুটো রুম বরাদ্দ আছে। সেখানে কোয়ার্টার হিসেবে তিনি থাকছেন। আর একটা রুম বিট অফিসারদের। অন্যটি সার্ভার রুম। সেটি তালা দেওয়া থাকে। আর বিট অফিসারদের রুমে মাঝে মাঝে যখন লোকজন আসেন তখন বসেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাসেলকে ফোন দিলে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আসলে সাক্ষাতে কথা বলব।  এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, এভাবে অফিসে থাকার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আমরা জানার পর চেয়ারম্যানকে বলেছি অতি দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ ছেড়ে দিতে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

জাবিতে পাখিমেলা / ‘পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির বসবাস উপযোগী পরিবেশ ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাখির অভয়ারণ্য নিশ্চিত করার স্বার্থে আরোপিত বিধি-নিষেধ মানতে হবে। ক্যাম্পাসের প্রকৃতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন ব্যাচ ও সংগঠনের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতদসত্বেও ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে ব্যাপক সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। ব্যাপক জনসমাগম রোধ করা সম্ভব হলে পাখির অভয়ারণ্য আরও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে আয়োজিত দিনব্যাপী পাখিমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে ২৩তম বারের মতো এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় উপাচার্য আরও বলেন, ক্যাম্পাসে প্রকৃতি ও পরিবেশ ঠিক রাখতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পাখিমেলা পাখিকে ভালোবাসতে উৎসাহিত করে। পাখির প্রতি ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাখির প্রতি সকলকে দায়িত্বশীল ও যত্নবান হতে হবে। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাখিমেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান।  মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, পাখিবিশারদ ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী, আইসিইউএন-এর প্রতিনিধি সারোয়ার আলম দিপু, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আরিফুর রহমান প্রমুখ। এদিকে মেলা উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে প্রচুর সংখ্যক পাখিপ্রেমীর আগমন ঘটে। সকাল থেকেই আগত দর্শনার্থীরা পাখি বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।  ঢাকা থেকে আগত অতিথিদের একজন বলেন, শহুরে কোলাহল আর প্রতিদিনের ব্যস্ততার ফাঁকে একটুখানি প্রশান্তির জন্য বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় এসেছি। এর আগেও বেশকয়েকবার মেলায় এসেছিলাম। তখন লেকগুলোতে পাখি ছিল। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে কোনো পাখি নেই। দিনব্যাপী এ মেলায় ছিল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা ও পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সব শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্ব। এছাড়া জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে পাখির প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টলে পাখি বিষয়ক বই ও সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রজাতির পাখির প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মেলায় বিগত এক বছরে গণমাধ্যমে পাখি ও জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ এবং বিগত এক বছরে বাংলাদেশের পাখির ওপর প্রকাশিত সায়েন্টিফিক জার্নাল, প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে ‘সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং বিগ বার্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়