• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার্থে শাবিতে স্বপ্নোত্থানের বসন্ত উৎসব
ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত একজন মায়ের চিকিৎসার্থে ১লা ফাল্গুন উপলক্ষে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নোত্থান’। বসন্ত উৎসব থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ অসুস্থ মায়ের চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে বলে জানান সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের লাইব্রেরী ভবন ও অর্জুনতলার মধ্যখানে বিভিন্ন ধরনের স্টল সাজিয়েছে স্বপ্নোত্থানের সদস্যরা। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স ও কাপড়ের স্টল। নানান জাতের পিঠা নিয়ে পিঠার স্টলও দেওয়া হয়েছে। স্টলের পাশে রয়েছে ফটোবুথ যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফটো তুলছেন। এ ছাড়া ছোট বাচ্চাদের জন্য রয়েছে গেমিং জোন। স্বপ্নোত্থানের এ বসন্ত উৎসব উপভোগ করতে স্টলগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। স্বপ্নোত্থানের এ চ্যারিটি উৎসবকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্বপ্নোত্থানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী কবীর বলেন, বসন্ত উৎসবে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি চ্যারিটি আয়োজনের উদ্যোগ সত্যিই দারুণ। এ ধরনের উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণে প্রসারিত হতে পারে একজন মায়ের চিকিৎসা। বসন্ত উৎসবে এ ধরনের চ্যারিটি আয়োজনের মাধ্যমে স্বপ্নোত্থান আত্মনিবেদন এবং সমাজের উন্নতির পথ প্রবৃদ্ধি করতে অবদান রাখছে। এভাবেই সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। বসন্ত উৎসব উপভোগ করতে এসে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী সোহানা আবেদিন লামিসা বলেন, বসন্তের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আয়োজন সত্যিই বিস্ময়কর। বসন্ত উৎসবে নানা ধরনের আয়োজন করেছে স্বপ্নোত্থান। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ বলেন, অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে স্বপ্নোত্থান আজ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। তাদের এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে স্বপ্নোত্থানের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম রাহাত বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানুষের জন্য কিছু করতে। যখন কেউ বিপদে পড়ে আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসে আমরা বিভিন্ন ধরনের চ্যারিটি উৎসব করে থাকি। চ্যারিটি উৎসবের সব লভ্যাংশ মানুষের সাহায্যার্থে ব্যয় করি। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর মায়ের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমরা আজ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৮

বসন্ত এসে গেছে
ছোটোবেলায় প্রিয় ঋতু নামে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে বেশকিছু রচনা লেখা থাকতো। একেক বইতে একেক পছন্দের ঋতু। খুব কম লেখনেই বসন্ত ঋতুকে কারও প্রিয় ঋতু হিসেবে পড়া হয়েছিল। প্রচুর রঙের আগমনী বার্তার মাসটি ক্ষণজন্মা বলেই হয়তো কেউ সাহস করেনি প্রিয় নামে তালিকাভুক্ত করতে। ‘আনন্দ বিষয়টা দীর্ঘ সময়ের জন্য’ এটা ভাবতেই বেশি ভালো লাগে কী না আমাদের! এরপর অনেকদিন। তখন টিভি চ্যানেলে বিটিভি বাদেও আরও কিছু চ্যানেলের আবির্ভাব হচ্ছিলো। নতুনত্বের খোঁজে নতুন চ্যানেলে ঢু মারলেও আমরা যারা ছোটো ছিলাম, তাদের জন্য বিটিভিই ছিল একমাত্র অবলম্বন। হঠাৎ একদিন- আর শীত শীত লাগছে না। ঠান্ডা বাতাসে আর কাঁপছি না। কী করে? চারিদিক ফুরফুরে। আজ বসন্ত। সিসিমপুরে এই গানটি শুনেই বসন্তের সাথে আরেক দফা পরিচয় হয়ে যায় নব্বই দশকের শিশুদের। অনেকের তো মুখে মুখেই ছড়িয়ে গেলো বসন্ত নিয়ে করা গানটি। অনেক গানের মধ্যে নাম লেখালো সিসিমিপুরের ‘আজ বসন্ত’ গানটিও। বসন্ত নিয়ে এমন উন্মাদনার কী কারণ হতে পারে, সেটা ওই বয়সে টের না পেলেও এই বয়সে এসে ঢের টের পাচ্ছি অনেকে। একটু বড়ো হয়ে খেয়াল করলাম, ঠিক ফেব্রুয়ারিটা আসলেই কিছু একটা ঘটে যায় পুরো প্রকৃতিতে। কেমন যেন মন কেমন করা এক অনুভূতি। না ভালো, না খারাপ।আসমান থেকে জমিনে ঘিরে থাকে কিছু ব্যাখ্যাহীন আবহাওয়া। একটা ক্ষণিকের মায়া ঢেলে দিয়ে আবার হারিয়ে যাওয়া বাংলার এক অভিমানি ঋতুর নামই যেন বসন্ত। এরপর অনেকদিন বসন্ত নিয়ে আক্ষেপ দেখা হয়নি। লাল, গোলাপি, কমলা কিংবা হলুদরঙা শাড়িতে নারী দেখা হয়েছে। একই রঙের পাঞ্জাবিতে পুরুষ দেখা হয়েছে, রমনায় নাগরদোলা দেখা হয়েছে, রমণীর খোঁপায় কিংবা হাতে ফুলের গাঁজরাও দেখা হয়েছে। দেখা হয়নি কেবল বসন্ত নিয়ে আক্ষেপ। আমার মনে আছে, যেবার কলেজের গণ্ডিতে পা রাখলাম সেবারই বাংলা প্রথম পত্রে বসন্তের সাথে আরেক দফা আলাপ হয়েছিল আমাদের। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটা পড়ে প্রথমবারের মতো একইসাথে আনন্দ এবং দুঃখের সাথে পরিচিত হয়ে মিশ্র অনুভূতিতে ভাসছিলাম। কবিতার লাইনগুলো এরকম- “কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী- গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে।” কী আক্ষেপ! কী বেদনা! এত আকাঙ্ক্ষা আর কোন লেখনে বহুকাল পাওয়া হয়নি। মনে প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল, বসন্ত মানে কি আসলেই এতটা রিক্ততা?উত্তর আর জানা হয়নি। কলেজের বেঞ্চটার পাশে রাখা ডাস্টবিনে ওই প্রশ্ন ফেলে রেখেই আরেকটু বড়ো হওয়ার দিকেই মনোনিবেশ করেছিলাম। বড়ো-রা বলতেন, এক জীবনে নাকি সব জানতে নেই। তবে কি শুধু বিষাদই ছড়ায় বসন্ত? এ প্রশ্নে মনে পড়লো বসন্তের বিখ্যাত গানটি। এই বসন্তে অনেক জন্ম আগে তোমায় প্রথম দেখেছিলেম আমি হেঁটেছিলেম নিরুদ্দেশের পানে সেই বসন্ত এখন ভীষণ দামি আমার কাছে, তোমার কাছে, আমার কাছে, বসন্ত এসে গেছে কী আনন্দ! প্রথম দেখার অপার সুখানুভূতি! এই অনুভূতি ভোলার নয়। এক জোড়া চোরা চাহুনির বিপরীতে এক জোড়া লাজুক দৃষ্টিই যেন কাঙ্ক্ষিত উত্তর। আর ভাগ্যের লিখনে মানুষটাকে যদি নিজের করে পাওয়া হয় তো বসন্তের আনন্দ দ্বিগুণ হতে কতক্ষণ? ভাঙনের সুর যেমন বাজে, মিলনের আবহও তো তেমন তৈরি হয়। এ যেন প্রকৃতিরই আরেক খেলা। শীত যতটা কেড়ে নেয়, বসন্ত যেন ততটাই ফিরিয়ে দেয়। হওয়ারই তো কথা, প্রকৃতি যে সমতায় বিশ্বাসী।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১

বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসে যত আয়োজন
নানান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উদযাপনে।জোড়া উৎসবে আগের দিন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে উৎসব-আনন্দের আমেজ। উৎসবের দিনটিতে অনেক সময় কোথায় কী আয়োজন, তা জানা না থাকায় দিনশেষে আফসোস করেন অনেকে। তাই আগেভাগেই দিনের আয়োজন নিয়ে জেনে নিন। একনজরে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসের সব আয়োজন- প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় হবে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ‘বসন্ত উৎসব’। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে যন্ত্রসংগীতে সূচনা হবে উৎসবের। অনুষ্ঠানে সেতার পরিবেশন করবেন জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। সেতারে রাগ বসন্ত মুখারী বাদনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হবে। এ ছাড়া নৃত্য ও সংগীতের দল, বরেণ্য শিল্পী, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা ছাড়াও বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময় থাকবে আয়োজনে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়