• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দ্বাদশ সংসদকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না : জি এম কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। তিনি বলেন, এই সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে তা আশঙ্কার বিষয়। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এবার সংসদে শতকরা ৭৫ শতাংশই সরকারদলীয় সদস্য। আর স্বতন্ত্র ২১ শতাংশ। তারাও প্রায় সরকারদলীয়। ৩-৪ শতাংশ শুধু বিরোধীদলীয় সদস্য। তাই সংখ্যার বিচারে দ্বাদশ সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। এই সংসদ কখনো নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি ও বিরোধীদল দুই পক্ষই সংখ্যায় কাছাকাছি থাকবে। তাহলে তাদের মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে, নিজেদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়াঝাঁটি হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। এটাই ছিল সংসদ তৈরি করার উদ্দেশ্য। যেহেতু সেটি হয়নি, তাই এটাকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না। এ সময় জি এম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। আগের কয়েকজন স্পিকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা দলীয় আনুগত্যে স্পিকার হলেও বাহ্যিকভাবে চেষ্টা করতেন নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করার। আশা করছি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। বিরোধীদের মতামতকে সংসদে তোলার সুযোগ দেবেন। সংসদের ভারসাম্যের ত্রুটি কমানোর চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

তদন্ত ছাড়া ফেরি দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে না : নৌ-প্রতিমন্ত্রী
ঘন কুয়াশার কারণে নোঙর করে রাখা রজনীগন্ধা নামে ফেরিতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরি ডুবে যাওয়ার বিষয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া এ দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।  নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাকে বলা হয়েছে, ওখানে ফেরি নোঙর করা ছিল, বাল্কহেড ধাক্কা দিয়েছে। আমি এই মুহূর্তে বলতে পারব না আসলে কোনটা সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না কোনটা সত্য। এখানে অন্য কোনো দুর্বলতা বা অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, এর মধ্যে বলতে পারি না। ফেরিটি ছিল ঘাটের খুব কাছাকাছি।  তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনা পর্যবেক্ষণে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব, টিসি ও টিএ’র চেয়ারম্যান সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি আরও বলেন,  বাংলাদেশের আবহাওয়ার কুয়াশা ভেদ করে এমন ফগলাইট দেশে নেই। আগে কেনা ফগলাইটগুলো সার্ভে করে কেনা হয়নি। আমরা নিবন্ধন ছাড়া চলতে থাকা বাল্কহেডগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ ঘন কুয়াশার কারণে পাটুয়ারিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে আটকে পড়ে নদীতে নোঙর করে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর ডুবতে থাকে ফেরি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২২

নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নয় বলা যাবে না : সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক নয়’ আখ্যা দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকার আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে একাধিকবার নিজেদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা গ্রহণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমরা একাধিকবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু তারা সাড়া দেননি। আপনারা জানেন পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য আমরা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সেরকম রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। নির্বাচনী সর্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সর্বমোট ১৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় বলে আখ্যায়িত করা যাবে না। সিইসি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। এর আগে, সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মাঠে নেমেছে পুলিশ,  র‌্যাব, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার, এপিবিএন এবং কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়