• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চলচ্চিত্রে অভিনয় না করার কারণ জানালেন ববিতা
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। যার রূপ ও অভিনয়গুণে এখনও বুঁদ ১৬ থেকে ৮০। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে সিনেমায় একসময়ে দাপিয়ে বেড়ানো এই অভিনেত্রীকে এখন আর দেখা যায় না রুপালি পর্দায়। চলচ্চিত্রে অভিনয় না করার কারণ জানালেন ববিতা। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে চলচ্চিত্রের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ববিতা।  এ সময় অভিনেত্রী বলেন, সুযোগ হলেই আবারও আমাকে পর্দায় দেখতে পারবেন ভক্তার। সঙ্গে এ-ও জানান, আমাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করা হলে অবশ্যই অভিনয় করব। অভিনয়কে আমি কখনোই বিদায় বলতে পারি না। ববিতা বলেন, বর্তমানে যেসব চরিত্রের জন্য আমাকে বলা হয়, এগুলো করতে অভ্যস্ত নই। মাঝে শাকিব খানের একটি সিনেমার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সিনেমার শুটিং নাকি আমেরিকা, কানাডায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি রাজি হয়নি। কারণ, শুধু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না। কেউ যদি আমাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করে তাহলে অবশ্যই সিনেমায় অভিনয় করব। অভিনেত্রী আরও বলেন, আমাদের পাশের দেশগুলোতে দেখেন, অমিতাভ বচ্চন এই বয়সে এসেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন। শ্রীদেবী মৃত্যুর আগেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এই চর্চাটা নেই। সবাই মনে করে বয়স হয়ে গেলেই নায়ক কিংবা নায়িকার বাবা-মার চরিত্র ছাড়া আমাদের আর কোনো চরিত্র নেই। আর এ কারণেই সিনেমায় নেই আমি। ভালো এবং মনের মতো গল্প হলে অবশ্যই সিনেমায় দর্শক দেখবে আমাকে।     প্রসঙ্গত, সর্বশেষ নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায় দেখা গেছে ববিতাকে। তবে আগামীতে কোনো সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে সুযোগ পেলে অবশ্যই তাকে রুপালি পর্দায় দেখা যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫১

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন ববিতা
মেয়েকে আদর্শ শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন হৃদরোগে আক্রান্ত বগুড়ার ধুনট উপজেলার শাহেলা খাতুন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন দেখে যাওয়া হলো না। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন তিনি। মাকে চিরনিদ্রায় রেখে সকল কষ্ট চেপে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের দলিলুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন। জানা গেছে, হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে শাহেলা খাতুনের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছেন গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ববিতা। পরীক্ষার হলে অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে বসে বারবার চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষার আগে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন মা, এটাই ছিল হয়তো স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু লড়াকু ববিতার ভাগ্যে তা আর হয়নি। মায়ের নিকট থেকে দোয়ার পরিবর্তে মাকে কবরে রেখে কেন্দ্রে আসতে হয় তাকে। মমতাময়ী মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে কেন্দ্রে এসেছিল সে। ববিতা খাতুন বলেন, আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি চাইতেন আমি যেন পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আমাকে শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ খবর পেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর্জা ওমর ফারুক ববিতার খোঁজ খবর নিতে পরীক্ষা কক্ষে যান। তিনি শোকাহত ববিতার পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। এসময় কক্ষের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চোখেও পানি চলে আসে। ববিতা ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া ও বাড়িতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কেন্দ্র সচিব।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়