• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আমিরাতে বন্যা : ৩ ফিলিপাইন নাগরিকের মৃত্যু
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় গাড়ির ভেতর আটকে পড়ে দুই ফিলিপাইন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গাড়ি দুর্ঘটনায় আরও এক ফিলিপাইন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস। ফিলিপাইনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ১৬ এপ্রিল তাদের মৃত্যু হয়। হানস লিও ক্যাকডাক নামের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমিরাতে বন্যার সময় ৩ ফিলিপিনোর মৃত্যু হয়েছে। দুইজন বন্যার কারণে গাড়িতে আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আরেকজন গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা তাদের পরিবারের প্রতি সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করব।” সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত মুষলধারে বর্ষণ হয় মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, সোম-মঙ্গলবার রাতে পুরো আমিরাতে ২৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গড়ে দেশটির দুই বছরের মোট বৃষ্টিপাতের সমান। গত ৭৫ বছরে এমন প্রবল বর্ষণ আমিরাতে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। রাস্তায় এতই পানি জমে যায় যে অনেক গাড়ি ভাসা শুরু করে। এছাড়া পানির লেভেল বাড়ার কারণে অনেকে গাড়ির ভেতর আটকা পড়ে যান। তেমনই একটি গাড়ির ভেতর আটকে দুই ফিলিপিনোর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে। সূত্র: খালিজ টাইমস
৫ ঘণ্টা আগে

মুক্তি পাওয়ায় নাবিকদের বাড়িতে খুশির বন্যা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। যদিও ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল পরিবারগুলো। অবশেষে শনিবার রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। এ বিষয়ে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এ খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব। নাবিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে জানি না। আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দের দিন ছিল বিষাদে ভরা। আজ যেন আমাদের খুশির ঈদ। কেএসআরএম গ্রুপের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। আরেক নাবিক আইয়ুব খানের ভাই আওরঙ্গজেব রাব্বী দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আজ মনে হচ্ছে সত্যিকারের ঈদ এসেছে। আমরা খুবই খুশি। কেএসআরএস কর্তৃপক্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামে যাদের বাড়ি তারা হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসারখান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়লার হক আইনুল এবং শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বাড়ি ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল। নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির। নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম। নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন ও নাটোরের অর্ডিনারি সি-ম্যান মোহাম্মদ জয়। সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী। এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এবার পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন। এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর ভারত সরকার ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন। এবারের পদ্মশ্রী প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ভারতের প্রথম নারী মাহুত পার্বতী বড়ুয়া, আদিবাসী পরিবেশবিদ এবং নারী উন্নয়নকর্মী চামি মুর্মু, ছত্তিশগঢ়ের জশপুরের আদিবাসী উন্নয়নকর্মী জগেশ্বর যাদব, দিব্যাঙ্গ সমাজকর্মী গুরবিন্দ্র সিংহ, সমাজকর্মী সংথানকিমা, কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি ও প্রাচীন ওষধি চিকিৎসক হেমচাঁদ মাঞ্জি। এ ছাড়া রয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশের ভেষজ ওষুধ বিশেষজ্ঞ ইয়ানুং জামো লেগো, ছৌ নাচের মুখোশ তৈরিকারক নেপালচন্দ্র সূত্রধর, কলকাতার কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল, আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু, দক্ষিণ আন্দামানের জৈব কৃষক কে চেল্লাম্মাল, মাইসুরুর আদিবাসী উন্নয়নকর্মী সোমান্না, আসামের আদিবাসী কৃষক সর্বেশ্বর বসুমাতারি, বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক প্রেমা ধনরাজ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়াজদি মানেক্সা ইটালিয়া, ক্রীড়াবিদ উদয় বিশ্বনাথ দেশপান্ডে। তালিকায় আরও রয়েছেন, শিল্পী দম্পতি শান্তিদেবী পাসওয়ান, শিবান পাসওয়ান, পট শিল্পী অশোক কুমার বিশ্বাস, নৃত্যশিল্পী বালকৃষ্ণান সদানম পুথিয়া ভিটিল, ওড়িশার লোকশিল্পী ভগবত প্রধান, ত্রিপুরার শাল তাঁতি স্মৃতিরেখা চাকমা, ওমপ্রকাশ শর্মা, কুন্নুরের লোকশিল্পী নারায়ণ ইপি, বাঁশ শিল্পী জর্ডন লেপচা, মণিপুরের মচিহান সাসা, তেলঙ্গানার গড্ডাম সাম্মাইয়া, রাজস্থানের বহুরূপী শিল্পী জানকীলালও। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘শিল্প’ বিভাগে এই সম্মাননা পাচ্ছেন। এর আগে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সন্‌জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীককে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। তার আগে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা পেয়েছিলেন। আর ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক ও সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী। সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান তিনি।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১২

ভোট চাইতে গিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা নওয়াজ শরীফের
পাকিস্তান পৌঁছে নির্বাচনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ। অর্থনীতিকে আবার চাঙা করার কথা বলে ভোট চাইছেন তিনি। সোমবার একটি জনসভায় নওয়াজ বলেছেন, পাকিস্তানকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে গেলে অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। শরীফের দাবি, তিনিই এই কাজ সুচারুভাবে করতে পারেন। নওয়াজ শরীফ বলেন, ২০১৩ সালের পর আপনাদের সামনে আসতে পেরে আমার ভালো লাগছে। কিন্তু যখন দেশের আর্থিক অবস্থা দেখছি, তখনই আমার এই আনন্দ চলে যাচ্ছে। দেশ একটা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসাটা বড় চ্যালেঞ্জ। নওয়াজের দাবি, যদি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে রায় না দিত, তাহলে দেশের এই অবস্থা হত না। আমি এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারব। আমি ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণহীন জায়গায় পৌঁছে গেছে। নওয়াজ জানান, আমি এখানে নির্বাচনে লড়তে এসেছি। আপনাদের ভোট ভিক্ষা করতে এসেছি। দেশের সমৃদ্ধি চাইলে আমাকে ভোট দিন। ইমরানের নাম না করে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থার জন্য সাবেক ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন নওয়াজ। তিনি বলেন, আমি যখন জেলে ও লন্ডনে ছিলাম, তখন দেশকে লুট করা হয়েছে। নওয়াজ বলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দেশের কোনো তরুণ বেকার থাকবেন না। সকলে কম দামে বিদ্যুৎ, জল, গ্যাস ও সবজি পাবেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়