• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছে : শি জিনপিং
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অভিনন্দনপত্রে শি বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দনপত্র পাঠান চীনের প্রেসিডেন্ট। এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকায় চীন দূতাবাস। অভিনন্দনপত্রে শি লিখেছেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অবিচলভাবে স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকার উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অর্জন সাধিত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে  দুই দেশ দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ব্যবহারিক সহযোগিতা উপভোগ করেছে, এতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়েছে। শি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। এছাড়া চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রস্তুত।   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর লি কিয়াং ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৬

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শর্তহীন বন্ধুত্ব এখনও বিদ্যমান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনও বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনও বিদ্যমান। এখনও যেকোনো বিষয়ে ভারত সত্যিকার অর্থে আমাদের পাশে থাকে। ভারতকে আমরা সামনেও বন্ধু হিসেবে পাব। যতদিন বাংলাদেশ ও ভারত থাকবে, ততদিন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই স্বাধীনতা আনার জন্য অন্য দেশের সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে। তবে যুদ্ধের পর এত দ্রুত কেউই সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়নি। ভারত আমাদের বন্ধু বলেই এত দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল।   তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের এক হাজার ৬৬১ জন জীবন দেন। এটি তাদের নিজের দেশ নয়, তবুও তারা এদেশের যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেন। আমাদের কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।  মন্ত্রী বলেন, ভারতের সরকার তো বটেই, সাধারণ জনগণ যদি বাংলাদেশের মানুষকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ইতিহাস বোধ হয় অন্যভাবেই লেখা হতো। সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সৈন্য প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল, অন্যদিকে ভারতীয় জনগণ আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা উপলব্ধি করেছিল। বঙ্গবন্ধু পৃথিবীকে আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত ছিলেন ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা করে রাশিয়ার বন্ধুত্ব চায় না বাংলাদেশ’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা বা সম্পর্ক নষ্ট করে বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেন শত্রুতা না হয়, সেজন্য ভিন্ন কৌশলে রুপপুরের জন্য বেশ কিছু জিনিস আনা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কি হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি কখন কী হয় বলা যায় না। সবকিছু মিলে ২০২৪ সালে কী রেজাল্ট হচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না। বিএনপির ১৩ নেতার জেলে মৃত্যুর অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কে কখন মারা গেছে সেই তথ্য কোথায়, এর প্রমাণ কোথায়? তিনি বলেন, বিএনপিকে পাত্তা দিচ্ছি না এমন না। কার অবস্থা কখন কী হয় বলা যায় না। বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কথা বেশি না বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। মেট্রোরেলের চাহিদা ও ভিড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেট্রো তো বাংলাদেশ রেলওয়ে না যে যখন তখন বগি বাড়াবো। এটা তো একটা প্রযুক্তিগত বিষয়। পৃথিবীর কোথাও ৫ থেকে ৬টির বেশি বগি মেট্রোরেলে নেই। তবে চাহিদা যেহেতু বেড়েছে, ১০ মিনিট থেকে ৮ মিনিট পরপর মেট্রো দেওয়া যায় কি না পরিকল্পনা চলছে। মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে এখানে সময় মতো কিছু জায়গায় যেমন শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃত মন্ত্রণালয় (যেখানে এখনও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়নি) এগুলোতে কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবে। তিনি বলেন, এটা আমার মনে হয় সংরক্ষিত মহিলা আসনগুলো আসার পরে, মন্ত্রী আসতে পারে। সেই হিসেবে এর পরে চিন্তাভাবনা। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে তিনি এটা করবেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়