• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া নিলে পরিবহন বন্ধ : রাঙ্গা 
এবারের ঈদযাত্রায় কোনো পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করলে সড়কে তার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অডিটোরিয়ামে আসন্ন ইদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রা প্রসঙ্গে আয়োজিত এক মতমিনিময় সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান।  মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন বাড়তি ভাড়া যদি নেয়, তবে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।  ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সড়ক ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে সেটা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার হাইওয়েতে ঈদযাত্রায় ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবো। অনেক রাস্তা চারলেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ত্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে সেটা নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। রাঙ্গা বলেন, আমরা লক্ষ্য করি কিছু লক্কড় ঝক্কড় বাস যেগুলো সারাবছর সিরিয়াল পায় না, এগুলো ঈদের সময় রাস্তায় নেমে পড়ে। এসব আমরাও ধরতে পারি না, পুলিশও বুঝতে পারে না কোত্থেকে আসে। এগুলো রিজার্ভ হিসেবে চলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিয়ে যায়। যে রাস্তায় আমাদের ছোট বাসও চলে না, সেখানে দেখি বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস ঢুকে পড়েছে। আমরা এখনো মহাসড়ক থেকে নছিমন-করিমন সরাতে পারিনি। এটাও একটা বাধা আমাদের। ঈদে সড়কে বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে এরপর তিনি বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয় তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন, ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হবো। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাবো। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে সেটা আমরা শনাক্ত করবো। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেবো। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।  
১ ঘণ্টা আগে

বেঁধে দেওয়া দামে অসন্তোষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মাংস বিক্রেতারা।  সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানালেও কেউ তা বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাধা দেওয়া হবে না বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বউবাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।  ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, আজ মঙ্গলবার তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে। এদিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন।
২ ঘণ্টা আগে

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আজ
বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রোববার (১৭ মার্চ) আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি অফিস ছুটি। তাই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না। আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে পুনরায় সব কার্যক্রম চলবে। হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল বলেন, ১৭ মার্চ উপলক্ষে সারাদেশে সরকারি ছুটি ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯

৪টা থেকে বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন
আজ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আজকের বৈঠকে মূলত দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি সিএনজি স্টেশনগুলো ৫ ঘণ্টার পরিবর্তে ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের আগে ও পরে ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন চালু থাকবে।  অন্যটি, বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পগুলো রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সেচ মৌসুমের জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। বেশি প্রয়োজন পড়লে তা সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত করা যাবে। তবে রাত ১২টার আগে সেচ দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, পিক আওয়ারে গ্যাসের স্বল্প চাপের সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এতদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিল।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩১

সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে যে ৫ ঘণ্টা
রমজান মাস উপলক্ষে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এ বন্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ ঘণ্টা। ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবত থাকবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক-আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল (সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) পরিবর্তন করে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে পূর্বের নিয়মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

রমজানে স্কুল বন্ধ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল আপিল বিভাগ
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তারা বলেন, রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই।  এর আগে, সোমবার স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের শুনানি এখনও হয়নি।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১০

মঙ্গলবার স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,  ‘আমরা যে সিদ্ধান্তটা দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে রায়ের কোনো কপি আমাদের কাছে আসেনি। এজন্য আমরা কোনো মন্তব্য করবো না।’ সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ‘রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজার দিনে স্কুল বন্ধ নাকি খোলা থাকবে?’- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ‘সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কয়দিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না, এটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।’ তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলকে আমাদের আইনি অবস্থানের কথা জানিয়েছি। এটা আমরা সর্বোচ্চ আদালতে আগামীকাল উপস্থাপন করবো।’ মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এখানে আইনি হস্তক্ষেপ করার অধিকার আদালতের আছে কি না, সেটা দেখার বিষয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এটা আদালতের এখতিয়ার নয়।’
১২ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬

মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
রমজানের প্রথম দিন থেকে স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। তবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শোনাবে  আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। ফলে, রমজানের প্রথম দিন মঙ্গলবার স্কুল খোলা না বন্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়েররের কাছে। মঙ্গলবার স্কুল খোলা না বন্ধ, তা নিয়ে সরাসরি উত্তর না দিলেও বলেন, আদালত যেভাবে বলেছেন, সেভাবে চলতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। সোমবার যেহেতু আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি, তাই হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকবে এমনটা ধরে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের আদেশ মানবে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে রমজান মাসে ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। কিন্তু পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়। গত রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম দিন থেকে স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।  রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ এ প্রসঙ্গে জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুইমাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিপক্ষে সোমবার সকালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার আপিল নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানান তিনি।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫১

হিলিতে কাউন্সিলরকে মারধর, পৌরসভার নাগরিক সেবা বন্ধ
বিচার চলাকালীন সময়ে দিনাজপুরের হিলিতে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলালকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলররা। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে তারা নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন ওই কাউন্সিলর। এ দিকে নাগরিক সেবা বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ নাগরিকরা।  হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভাতে সেবা নিতে আসা মনিরা বেগম বলেন, আমি ঢাকাতে থাকি, আমার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কাগজে স্বাক্ষর প্রয়োজন। আমি পৌরসভাতে এসে জানতে পারলাম সকল কাউন্সিলররা কর্মবিরতিতে গেছেন। যার ফলে আমার প্রয়োজনীয় কাগজে স্বাক্ষর করাতে পারলাম না। এখন আমাকে অনেক বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা সাধারণ নাগরিকরা চাই তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সমাধান করে সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত সেবা প্রদান করা হোক।  হাকিমপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বলেন, আমি হিলি বাজারে পাবনা স্টোরের পাশে নিজস্ব অফিসে বসে বাদী-বিবাদীকে নিয়ে বিচার করছিলাম। এক পর্যায়ে বিচারের সমাধান হয়। কিন্তু বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন তা মেনে নেননি। পরে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তিনি চলে যান। পরের দিন শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিবাদী ছাবিনা আক্তারসহ দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার রাকেশ, মাসুদ (পচা) হাতে লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী ছাবিনা ইয়াসমিন আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে সেন্ডেল দিয়ে মারপিট করেন। এ সময় অন্যরা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমনকি আমার অফিসের ড্রয়ারে থাকা ৩ লাখ টাকা অসৎ উদ্দেশে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে আমি হাকিমপুর থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছি।  হাকিমপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল চলতি মাসের ৭ মার্চ বাদী আবুল বাসার ও বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিনের মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে হিলি বাজারের তার নিজস্ব অফিসে বিচারে বসেন। এক সময় তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলে বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন বিচার না মেনে কাউন্সিলরকে জুতা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করেন। যার কারণে সকল কাউন্সিলর নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, হাকিমপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। 
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৪

হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হোটেল ও রেস্টুরেন্টে হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) এ রিট আবেদন করা হয়। রিটে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা সব শর্তপূরণে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেইলি রোডের ঘটনার পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনায় ওঠে। এসব অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযানে। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ। ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানি’ বলছে। ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। 
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়