• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাহাজের কেবিনেই বন্দি আছেন বাংলাদেশি নাবিকরা
  আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে হাইজ্যাক করা এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নোঙর করেছে দস্যুরা।  সেখানে তাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ দিয়েছে আরও ১৫-২০ জন সশস্ত্র দস্যু। তবে, জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন এখনও। জাহাজে তাদের নিজ নিজ কেবিনেই বন্দি অবস্থায় আছেন তারা।  এর আগে ওই নাবিকরা সবাই জাহাজটির ডেকের কক্ষে জিম্মি অবস্থায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় এমভি আবদুল্লাহ থেকে কল করে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাজের স্বত্তাধিকারী কবির গ্রুপের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নিয়ে গেছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরও একটি সূত্র জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমালিয়ান উপকূল থেকে ৭ মাইল দূরে নোঙর করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’।  অস্ত্রের মুখে নাবিকদেরকে দিয়েই জাহাজ পরিচালনা করাচ্ছে জলদস্যুরা। জাহাজে সোমালিয়া থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের নতুন দস্যু দল এসে পুরানোদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। জাহাজের নাবিকরা সেহরি ও ইফতার করার সুযোগ পাচ্ছে। জাহাজের ডেকে জামায়াতে নামাজ আদায় করতে দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে। গ্যারাকাডে পৌঁছানো পর্যন্ত সবাইকে ডেকে জিম্মি করে রাখা হলেও নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নোঙরের পর নাবিকদেরকে যার যার কেবিনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, এমভি আবদুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান জানা গেছে। তবে, এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষকে ফোন করে কোনও দাবি-দাওয়া জানায়নি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপের কর্মকর্তারা। ওইদিনই সন্ধ্যার পর জিম্মি জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৫

বিদেশের কারাগারে ৯ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বন্দি
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারে ৯ হাজার ৩৭০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, আটক হওয়া বাংলাদেশির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৭৪৬ জন সৌদি আরবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০৮ জন বন্দি রয়েছেন তুর্কিতে। এ ছাড়া কাতারে ৪১৫ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, আবুধাবিতে ৪০৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ জন, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, ইরাকে ২১৭ জন, চীনের বেইজিংয়ে ১৮৪ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, জর্ডানে ১০০ জন, ইতালিতে ৮১ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, লেবাননে ২৮ জন, স্পেনে ১৯ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, লিবিয়ায় নয়জন, কুনমিংয়ে সাতজন, কোরিয়ায় ছয়জন, মিশরে ছয়জন, থাইল্যান্ডে চারজন, শ্রীলঙ্কায় তিনজন, জাপানে দুজন, আলজেরিয়া ও পর্তুগালে একজন করে আটক রয়েছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  আটক প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি মাস পর্যন্ত  লিবিয়া থেকে মোট এক হাজার ২২৬ জন এবং ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্য দেশের জেলখানা থেকে ৫১ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।  এছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের জেলখানা থেকে আরও এক হাজার ৯৫০ জনকে ফেরত আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কারাগারে আটক বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের দ্রুত মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করেন।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৬

সাজার মেয়াদ শেষ হলেও কারাগারে বন্দি ১৫৭ বিদেশি
বিভিন্ন অপরাধের সাজা খাটা শেষে প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকা ১৫৭ জন বিদেশি দেশের কারাগারগুলোতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ভারতের ১৫০, মিয়ানমারের পাঁচজন এবং পাকিস্তান ও নেপালের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। বন্দিদের মধ্যে ১৯ জনের মতো নারী রয়েছেন। উচ্চ আদালতের আদেশের পর কারা অধিদপ্তরের পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদনটি হলফনামা করে উচ্চ আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সাজা খাটা হলেও অন্য দেশের নাগরিক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব ব্যক্তিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়াও সম্ভব নয়। কারাবন্দি এই বিদেশি নাগরিকদের সাধারণত অনুপ্রবেশের দায়ে দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২, পাসপোর্ট আইন, ১৯৫২ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হয়েছে।   মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর থানার বাসিন্দা গোবিন্দ উড়িয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার আটক করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।   ওইদিনই আটক ব্যক্তিকে শ্রীমঙ্গল থানায় সোপর্দ করে তার নামে মামলা করে বিজিবি। তদন্তের পর একই বছর ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২৪২ ধারা ও দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২ আইনের ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বিচার শেষে মৌলভীবাজারের চতুর্থ বিচারিক হাকিম এম মিজবাহ উর রহমান  দোষ স্বীকার এবং অতীতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ না থাকায় আদালত গোবিন্দ উড়িয়াকে ২ মাস ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।  রায়ে বলা হয়, সাজার মেয়াদের চেয়ে চারদিন বেশি সাজা ভোগ করে ফেলেছেন গোবিন্দ উড়িয়া। তাই তার প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত। এ রায়ের পর দুই বছর কেটে গেলেও প্রত্যাবাসন হয়নি গোবিন্দ উড়িয়ার। ফলে কারামুক্তিও ঘটেনি। এ নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে গত ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। সাজা ভোগ করা কারাবন্দি গোবিন্দ উড়িয়ার কারামুক্তি ও তার প্রত্যাবাসনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিটে। গত ১৫ জানুয়ারি এ রিটে প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। অন্তর্বর্তী আদেশে গোবিন্দ উড়িয়াকে কারামুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। আর  দণ্ড বা সাজাভোগ করার পরও প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা না করে কারাবন্দি রাখা হয়েছে, এমন বিদেশি নাগরিকদের তালিকা দিতে বলেন আদালত। কারা মহাপরিদর্শককে এ নির্দেশ দিয়ে আগামী ১০ মার্চ পরবর্তী আদেশের তারিখ রাখা হয়েছে।এরপর আদালতে দাখিলের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় কারা অধিদপ্তর।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮

কাশিমপুর কারাগারে বন্দি নারী হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাশিদা বেগম (৫১) নামের এক নারী হাজতির মৃত্যু হয়েছে।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মারা যান ওই নারী।  আরও পড়ুন : চট্টগ্রামের পটিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের সময় দুজনকে ছুরিকাঘাত   জানা যায়, রাশিদা বেগমকে ১৫ দিন আগে রাজবাড়ীর পাংশা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রাশিদা বেগম পরিবারের সঙ্গে পাংশা থানার চাঁদপুর গ্রামে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।  আরও পড়ুন : মানিকগঞ্জে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উদ্যোগে কৃষকের মাঝে পাওয়ার টিলার বিতরণ   মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়