• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বন কর্মকর্তা হত্যার রহস্য উন্মোচন
কক্সবাজার উখিয়া বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই মামলার প্রধান আসামি ডাম্পার চালক মো. নুরুল ইসলাম বাপ্পিকে ৯ দিন পরে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উখিয়া থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার বাপ্পি উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড  হরিণ মারা গ্রামের মো. কাসেমের ছেলে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল জানান, উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা চিহ্নিত পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে দোছড়ি বিটের হরিণমারা এলাকার সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে ড্রাম ট্রাক (ডাম্পার) গাড়ি ভর্তি করে মাটি চুরি করে নিয়ে যেত। ওই দিন  বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান মাটি পরিবহনে বাধা দিলে তাকে ডাম্পার ধাক্কায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে গিয়েছিল। পরে উখিয়া থানা পুলিশ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তারে সক্ষম হলেও প্রধান আসামিসহ অন্যরা পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মামলার এক নাম্বার আসামি ডাম্পার চালক বাপ্পি চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় অবস্থান করছেন, এমন সংবাদে গত সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    উল্লেখ্য, রোববার (৩১ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল পাহাড়খেকো। খবর পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সজলসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্পট্রাক চাপা দেয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে মারা যান এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন। এ ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মনজুরের ছেলে।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০১

বন কর্মকর্তা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অতিসত্বর আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। রোববার (৩১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। চিঠিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে ভূমি দস্যুদের নির্মমতার শিকার হন সাজাদুজ্জামান। উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও এক বন কর্মকর্তা। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট মহেশখালীতে মো. ইউসুফ উদ্দীন নামে আরও এক বন রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় ও বনখেকোর হাতে অপহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনারও সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। পাহাড় ও বন খেকোদের দমন করতে না পারার ব্যর্থতা এসব অপরাধীকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ধারাবাহিকতায়ই সাজাদুজ্জামানকেও অপহত্যার শিকার হতে হলো। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। একইসঙ্গে প্রয়াত মো. ইউসুফ ও সাজাদুজ্জামানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে বনভূমি রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানানোসহ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা। প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানবিভাগ ও ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

অভিযানে গিয়ে পাহাড় কাটা চক্রের ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বন কর্মকর্তার
বনরক্ষার অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় বনবিভাগের এক বিট কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পাহাড়খেকোদের ব্যবহৃত ডাম্পারের (মিনি ট্রাক) চাপায় পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগভুক্ত উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতে অভিযানের পথিমধ্যে হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালি সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) মোটরসাইকেল আরোহী সাজ্জাদকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মস্তিষ্ক দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান সাজ্জাদ। পরে তার সঙ্গে থাকা উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার চালক আলীকে (২৭) আহত অবস্থা উদ্ধার করে স্থানীয়রা। স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, ঘাতক ডাম্পারটি বনবিভাগের তালিকাভুক্ত হরিণমারার পাহাড়খেকো ছৈয়দ করিম প্রকাশ মিল ছৈয়দ করিম এর। বাপ্পি নামের এক যুবক ঐ ডাম্পার চালাচ্ছিল। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানিয়েছেন, নিহত সাজ্জাদুজ্জামানের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে জানান উখিয়া থানা ওসি শামীম হোসাইন। দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরোয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জানান, পাহাড়খেকোদের সামাজিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তথা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। আমরা একজন দক্ষ বন কর্মকর্তাকে হারালাম। ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছালেহ আহমদ ও উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৩

বেড়িবাঁধ সংস্কারে বন উজাড়, ঝুঁকিতে সমুদ্র উপকূলের মানুষ
ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে সমুদ্র উপকূলকে রক্ষায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলছে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকলেও হয়েছে তার বিপরীত। বাঁধ নির্মাণে ধ্বংস করা হয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। কাজের মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। বাঁধে ব্যবহার করা হয়েছে বালু মিশ্রিত সংরক্ষিত বনের মাটি। উজাড় করা হয়েছে প্রায় শত একর বনভূমি। বনের জমিতে দিঘি কেটে বানানো হয়েছে মাছের ঘের। বন ধ্বংস বন্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো সুফল আসেনি। উল্টো প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ৪৮নং পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ-১ প্রকল্পের আওতায়, প্যাকেজ-২ এর কাজ শেষ করার কথা ছিলো ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি। পরবর্তীতে কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা রয়েছে। শুরুতে এ কাজ চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআইসিও (সিকো) শুরু করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তারপরই শুরু হয় নানা অনিয়ম, ওঠে নানা অভিযোগ। উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করেছে। এমনকি বালু মিশ্রিত মাটি আনা হয়েছে সংরক্ষিত বনের ভেতর থেকে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে মানুষের জানমালের রক্ষাকবচ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বিশালাকৃতির হাজার হাজার গাছ উপড়ে বড় বড় দিঘি তৈরি করা হয়েছে। বনের মালিকানা দাবিতে এসব দিঘিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করছেন। ফলে সমুদ্র বেষ্টিত উপকূলের সবুজ বেষ্টনী দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ভেস্তে গেছে সরকারের মূল পরিকল্পনা। এসব অনিয়মে জড়িত রয়েছেন পাউবো ও বনবিভাগের কর্তাব্যক্তিরা এমন দাবি ভুক্তভোগীদের। বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসকারীদের অভিযোগের শেষ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল সিকদার বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারে যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে এসব মাটি বালু মিশ্রিত। গঙ্গামতি সংরক্ষিত বনের গাছ বেকু দিয়ে উপড়ে ফেলে মাটি আনা হয়েছে। বন উজাড় করে মাটি এনে ব্যবহার করা হয়েছে বেড়িবাধেঁ। এ বিষয় তারা বিভিন্ন সময় বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা দেখছি, দেখবো বলে আশ্বস্ত করলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। তার অভিযোগ বন উজাড় করার পেছনে বন বিভাগের কর্মকর্তারাই দায়ী। বনের উপকারভোগী মো. হেমায়েত ফকির বলেন, বাঁধ সংস্কার করতে গিয়ে শত শত একর বনভূমি উজাড় করা হয়েছে। বন বিভাগ শুধু কয়েকটি মামলা করেই তাদের দায়িত্ববোধ শেষ করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সাব ঠিকাদাররা বন ধ্বংস করে মাটি এনে বেড়িবাঁধে ব্যবহার করেছে। হাজার কোটি টাকার বনভূমি উজাড় করা হয়েছে দাবি তার। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে জীবন নাশের। কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদ দেওয়ান বলেন, সাব ঠিকাদাররা বেড়িবাঁধে সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। মাটির চেয়ে বালুর ব্যবহার বেশি করা হয়েছে। রাতের আঁধারে বাঁধের ঢাল থেকে বালু উঠিয়ে বাঁধের মধ্য দিয়ে ওপরে শুধু মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা এ কাজ বন্ধ করে দেন এবং পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে আবার কাজ শুরু করা হয়। এ ছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বন উজাড় করার কারণে ঝড় বন্যার সময় ঝুঁকি বেড়েছে। মাটির পরিবর্তে বাঁধে বেশির ভাগই বালু ব্যবহার করায় বাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে। বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, জনবল সংকটের মধ্যেও তারা বন রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সহযোগিতা না পাওয়ায় বন রক্ষায় তারা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর তারা কয়েক দফা পরিদর্শন করেছেন।   পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উপকূলীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে বেশ কিছু অভিযোগ ছিলো। সেগুলো সমাধান করেই কাজ চলমান রয়েছে। তবে বাঁধে ২৫ ভাগ বালু ব্যবহার করার বিধান রয়েছে। বাঁধে বনের মাটি ব্যবহারের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানান, বাঁধে মাটি কিনে ব্যবহার করা হয়েছে। সাব ঠিকাদাররা কোথা থেকে মাটি এনেছে এটা তাদের জানার কথা নয় বললেন পানিউন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন রক্ষার জন্য বনবিভাগকে আরও সর্তক থাকতে হবে। তার কাছে এমন অভিযোগ এলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে কয়েকটি ডাম্প ট্রাক ও বেকু জব্দ করা হয়েছে। বনের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে বনের জমির মালিকানার প্রশ্নে তিনি জানান, কীভাবে তারা বনের জমির মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা মামলাসহ নানামুখী উদ্যোগের কথা বললেও ইতোমধ্যে কুয়াকাটার গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন, লেম্বুর বনসহ উপকূলের কয়েক শত বনভূমি উজাড় হয়ে গেছে। বনপ্রেমীদের মতে হাজার কোটি টাকার বন ধ্বংস করা হয়েছে। এর দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন উপকারভোগীদের। উপকূলের রক্ষাকবচ খ্যাত সংরক্ষিত বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জোর দাবি স্থানীয়দের।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

পাথরঘাটায় বন উজাড় করে দখল, তিনজনের জেল
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা ও বাদুরতলা সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে জমি দখলের মামলায় তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জামিনের জন্য হাজির হলে দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠান। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩৮), একই গ্রামের ওয়ারেচ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৯) ও মৃত মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে সুলতান (৫২)। জানুয়ারি মাসে বন আইনে পৃথক ৩টি মামলা করে বন বিভাগ। ওই মামলায় আসামিদের আদালত সমন জারি করলে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত ১৪ জানুয়ারি এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বন বিভাগ অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ বিষয়ে বন বিভাগের কৌঁসুলি সোহরাব হোসেন বলেন, বনবিভাগের তৎপরতায় একাধিক অভিযানসহ মামলা করা হয়েছে।  অপর একটি মামলায় ১১ ফেরুয়ারি হাজির হওয়ার  জন্য ২ জনকে সমন জারির আদেশ দেন আদালত।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৫

শ্রীপুরে বন বিভাগের চার একর জমি উদ্ধার
বনের জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে জবরদখলের পরই উচ্ছেদ করে প্রায় চার একর জমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পরে বন বিভাগ ওই জমিতে বিভিন্ন বনজ গাছ রোপন করেন। উদ্ধারকৃত জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। শ্রীপুর রেঞ্জের অধীনে সিমলাপাড়া বিট অফিস কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকৃত জমি দখলে নিয়েছে।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বনভূমি উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে। সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শামসুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় মাহমুদুল হাসান রিপন এবং দুলাল ফকির গং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক-সংলগ্ন নয়নপুর এলাকায় গেজেটভুক্ত ৪ একর জমি নিজেদের দাবি করে তারা ওই জমির চারপাশে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে।   শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, বন বিভাগের জমি থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করেছে। বেলা ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে বন বিভাগের ৬০ সদস্যের একটি দল অংশ নেয়। এ সময় টিন, বাঁশ ও পিলার দিয়ে তৈরি বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ইট দিয়ে নির্মাণাধীন কয়েকটি স্থাপনাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৪নং ধনুয়া মৌজার এসএ খতিয়ান ৭১, এসএ দাগ ১৭৭৩, আরএস খতিয়ান ১১২৭ এবং আরএস দাগ ৬৯৪৫। যার সবটুকুই বন বিভাগের গেজেটভুক্ত জমি। অভিযুক্ত দুলাল ফকির বলেন, এসএ সিএস আরএস তিনটি রেকর্ডই আমাদের নামে রয়েছে। জমিতে বনের গেজেটভুক্ত থাকায় বন বিভাগ তাদের দাবি করে দখলে নিয়েছে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২

ভারত থেকে বাংলাদেশে হাজার হাজার বানর, অতিষ্ঠ স্থানীয়রা
ভারতের বনাঞ্চলে পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় ভারত থেকে হাজার হাজার বানর এসেছে বাংলাদেশে। এতে বানরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ২নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের আওতাধীন পৈথারা, ফকিরের খিল, কামাল্লা, বদরপুর ও জামমুড়ার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত থেকে এসেছে কয়েক হাজার বানর। ত্রিপুরা রাজ্যের একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতের বনাঞ্চলে পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় খাবারের খোঁজে বানরের দল সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে দলবেঁধে আসছে লোকালয়ে। হানা দিচ্ছে ফসলের খেতে ও ফলের বাগানে। ফলে এসব এলাকার প্রান্তিক কৃষকরা বানরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছে না, আলু, বেগুন, বরবটি, সিমসহ বিভিন্ন সবজির বাগান। স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের অন্য রাজ্যে বানরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায়, ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কয়েক হাজার বানর এনে ত্রিপুরা রাজ্যের বনাঞ্চলে অবমুক্ত করে। সেই বানরগুলোই বনাঞ্চলে খাবার না পেয়ে দলে দলে ছুটে আসছে লোকালয়ে। প্রতিদিন বানরগুলো দু -তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে দিনে দুবার সময় করে হানা দেয় স্থানীয় কৃষকের আম, কাঁঠাল, সবজির বাগানসহ শস্যখেতে। বাড়িতে ঢুকে খেয়ে ফেলছে এলাকাবাসীর রান্না করা খাবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন জানান, গেল দু-তিন মাস ধরে ভারত থেকে আসা বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং কৃষকরা। বানরগুলোকে বাংলাদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য বন বিভাগের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। স্থানীয় কৃষক আব্দুল মুনাফ বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বানরগুলো এসে আমাদের ফসলের জমিসহ বিভিন্ন সবজির বাগান নষ্ট করছে। বানরগুলোকে তাড়ালেও যায় না। বানরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে এখন চব্বিশ ঘণ্টা আমাদের ফসলের মাঠে থাকতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, যেহেতু এরা নিরীহ প্রাণী এদের মারা যাবে না। আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বানরগুলোকে তাড়াতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আমরা লোক পাঠাব এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করব।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়