• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, সাগরে ভাসছে ১২ নাবিক
নোয়াখালী হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাহাজের ১২ নাবিক সবাই নদীতে ভাসছে বলে জানা যায়। এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। পরে ৯৯৯-থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। এদিকে দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়।  নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগবে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাবিকরা সবাই ডুবে যাওয়া জাহাজের ওপরের অংশ ধরে ভাসছে। এদিকে নৌ-পুলিশের পরপরই হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি টিম ঘাটের একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে। কোস্টগার্ড জানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের ১-২ ঘণ্টা সময় লাগবে। এ ব্যাপারে জাহাজের মালিক পক্ষের একজন মোহাম্মদ ওহায়েদুল ইসলাম মোবাইলে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডুবে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।  তিনি আরও জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক রয়েছে।  
১১ ঘণ্টা আগে

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান  / বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ফলে বিদেশি তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো (আইওসি) কাজ করতে আরও আগ্রহী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের একাধিক কোম্পানি পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। গভীর এবং অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য গত রোববার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। দরপত্রে অংশ নিতে ৫৫টি আইওসির কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দরপত্র প্রকাশ উপলক্ষে সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জ্বালানি বিভাগ। এতে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, এবারের বিডিংয়ে বেশ কিছু নতুনত্ব আছে। এ কারণে আশা করা হচ্ছে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। এর একটি হলো ব্রেন্ট ক্রুডের (অপরিশোধিত জ্বালানি তেল) সঙ্গে দাম সমন্বয় করা। আগে এটা ছিল ফার্নেস অয়েলের সঙ্গে। এতে আস্থার সংকট ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্টের দাম বাড়লে প্রাপ্ত গ্যাসের দাম বাড়বে। আবার কমলে কমবে। বাড়তি সুবিধার মধ্যে আরও আছে কর মওকুফ ও হিস্যা বাড়ানোর বিষয়। অর্থাৎ, বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠানকে কোনও ধরনের কর দিতে হবে না। সংশোধিত মডেল পিএসসিতে (উৎপাদন বণ্টন চুক্তি) এমন সুবিধার পাশাপাশি সাগরে প্রাপ্ত গ্যাসের হিস্যার পরিমাণও আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া গ্যাস রপ্তানির সুযোগসহ বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হচ্ছে আরও সুবিধা। তবে এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থও অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, সমালোচনা যারা করেন, তাদের মুখে ছাই দিয়ে আমরা আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ইতিবাচক জায়গা দেখাতে পেরেছি।  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের প্রাথমিক কাজ শুরু হলো। ২৪টি ব্লকে আমরা দরপত্র ডেকেছি। সরকার চায় যাদের গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান কাজে সফলতা আছে, বিশ্বের এমন বিখ্যাত কোম্পানি এই উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিক। পেট্রোবাংলা বলছে, সাগরে তেল-গ্যাস পেলে তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের অংশের তেল বা গ্যাস প্রথমে পেট্রোবাংলা এবং পরে দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে হবে। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান কিনতে রাজি না হলে, তখন তারা তা বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে। অনুষ্ঠানে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সম্পদ আহরণে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু সমুদ্র নয়, স্থলভাগেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করতে হবে।  আর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, পেট্রোবাংলার উদ্যোগে দুটি ডেটা সেন্টার করা হবে। এখানে ৮টি প্যাকেজে ডেটা প্রস্তুত থাকবে। আগ্রহীরা এই ডেটা কিনতে পারবে। তেলের জন্য ২০ বছর এবং গ্যাসের জন্য ২৫ বছর ধরা হয়েছে চুক্তির মেয়াদ।   
১২ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৪

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানির
বঙ্গোপসাগরে অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্রে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন বড় বড় কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি।  সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে নসরুল হামিদ বলেন, এবারের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।  তিনি বলেন, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমার সময় দেয়া হয়েছে। এরপর বাছ-বিচার করে দেখা হবে, কোন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এজন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনে দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:১৬

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। আর এ জন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি। জানা গেছে,  ২০১২ ও ২০১৪ সালে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয় বাংলাদেশের। সমুদ্রে মোট ২৬টি ব্লক আছে, যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি। এসব ব্লকে ২০১০ সালে গভীর সাগরে ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ ব্লকে কাজের আগ্রহ দেখায় কনোকো ফিলিপস। কোম্পানিটি ২ডি জরিপ শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি করে, সেই দাবি না মানায় কাজ ছেড়ে চলে যায় কোম্পানিটি। অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ুও চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে সমুদ্রের ২টি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। তাই এ দুটি বাদ দিয়ে ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সন মবিল ও শেভরনও এই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছিল পেট্রোবাংলা। এরপর ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে নতুন পিএসসি চূড়ান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। যেখানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণে আগের চেয়ে সুবিধা বাড়ানো হয়। অবশেষে সেই দরপত্র আহ্বান করলো পেট্রোবাংলা।  এবারের অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি) বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করতে নীতিমালায় বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম ঠিক করা হবে। গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ারের অনুপাত বাড়তে থাকবে। গভীর সমুদ্রে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ এবং অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের শেয়ার ৪০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করবে। কোম্পানি যদি গ্যাস বিক্রি করতে চায়, তাহলে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে, পেট্রোবাংলা নিতে না চাইলে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেছেন, ডাটার জন্য আলাদা ৮টি প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো কিনে আমাদের ব্লকগুলো সম্পর্কে তথ্য পাবে আগ্রহী কোম্পানিগুলো।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি, ৩০ জলদস্যু গ্রেপ্তার
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। রোববার রাত থেকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত চলে রুদ্ধশ্বাস এ অভিযান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার। তিনি বলেন, অভিযানে তিনটি ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। যা এ যাবৎকালে সাগরে র‌্যাব-৭ পরিচালিত অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল) অভিযান চালায় র‌্যাব। রোববার রাতে জলদস্যুদের অবস্থান শনাক্তের পর তাদের দীর্ঘপথ তাড়া করে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তিনি বলেন, জব্দকৃত তিনটি ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও জাল জব্দ করা হয়। যা এ যাবৎকালে সাগরে র‌্যাব-৭ পরিচালিত অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে দুপুরে। এ অভিযানে ৩০ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি : ১০ ঘণ্টা পর ১৮ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ১০ ঘণ্টা পর ১৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালির সোনারচর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আটবাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাথরঘাটা ঘাটে এসে এ তথ্য জানান ফিরে আসা জেলেরা। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটার মারুফের মালিকানা এফবি আল-আমিন ট্রলারসহ ১৮ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। বঙ্গোপসাগরে কয়েকদিন মাছ ধরার পর আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালির দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে এসে আটবাম এলাকায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন জেলেরা। কিছুক্ষণ পর ওই ট্রলারের জেলেরা ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান ট্রলারের তলা ফেটে পানি ঢুকছে এবং ট্রলার ডুবে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রলার থেকে লাফিয়ে সাগরে পড়ে ভাসতে থাকেন তারা। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর অপর একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করেন।   ট্রলার মালিক মো. মারুফ জানান, তার ট্রলারটি ডুবে গেছে। ট্রলারে থাকা ১৮ জেলে উদ্ধার হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৮ জেলেই অক্ষত রয়েছেন। কোনো নিখোঁজ সংবাদ নেই।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২১

বঙ্গোপসাগরে ভাসমান শকুন উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ভাসমান অবস্থায় অসুস্থ একটি শকুন উদ্ধার করেছে জেলেরা। সাত দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের ট্রলারেই রেখে খাবার খাইয়ে সুস্থ করে রাখেন তারা। পরে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (৬ ফেরুয়ারি) সকালে ট্রলারের মাঝি দেলোয়ার হোসেন বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুযারি) বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় দেলোয়ারের মালিকানা এফবি বেলায়েত  ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারের মালিক ও মাঝি দেলোয়ার হোসেন বলেন, গভীর সাগরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলাম। অনেকক্ষণ ধরে শকুনটি সাগরে ভাসছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম এমনিতেই ভাসছে। পরে দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় দেখে ট্রলার চালিয়ে পাশে গিয়ে উদ্ধার করি। শরীরে কোনো আঘাত না থাকলেও শারীরিকভাবে দুর্বল মনে হওয়ায় ট্রলারে রেখেই খাবার খাইয়ে রাখি। পরে মঙ্গলবার ট্রলার নিয়ে কূলে এসে বন বিভাগের কাছে শকুনটি হস্তান্তর করা হয়। হরিণঘাটা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আবদুল হাই বলেন, জেলেদের থেকে একটি শকুন আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা জানান, শকুনটি অসুস্থ অবস্থায় সাগর থেকে উদ্ধার করেছেন। আমরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখবো সুস্থ থাকলে বনে অবমুক্ত করা হবে। পরিবেশকর্মী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, অতিমাত্রায় কৃষিতে কীটনাশক, পোকামাকড় জাতীয় জীবজন্তু মারার জন্য বিষ মিশ্রিত খাবার প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড় শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও মানুষের অত্যাচার তো আছেই। জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সুন্দর পরিবেশ এবং বন সংরক্ষণ দরকার। এ জন্য স্থানীয় সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা বাড়ানো দরকার।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৭

বঙ্গোপসাগরে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৬ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও লুণ্ঠিত মাছসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। আটককৃতদের মধ্যে কুখ্যাত জলদস্যু সর্দার বাদশাও রয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানান। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহর ছেলে জলদস্যু সর্দার মো. বাদশা (২৭), চট্টগ্রামের ইপিজেড ৩৯ নং ওয়ার্ডের সাংনারিকলতলা এলাকার মো. আবু বক্করের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫), কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দক্ষিণ ধুরং জুলেকাবিবির মো. ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২২), একই থানার পেচারপাড়া এলাকার  মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম (২০), একই থানার লেমশিখালীর রহিম উল্লাহর ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম (২২) এবং একই থানার সাহারুম সিকদার পাড়ার- মো. ইউনুছের ছেলে মো. রাফি (১৯)। র‌্যাবের অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোমবার (২২ জানুয়ারি) মহেশখালী থানাধীন কুতুবজুম এলাকার বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী মো. বেলাল হোসেন তাদের কাছে একটি অভিযোগ করেন। আগের দিন বিকেলে বঙ্গোপসাগরে বাঁকখালী নদীর মোহনার অদূরে তার মালিকানাধীন ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার ট্রলারে ১০-১২ জন অস্ত্রধারী জলদস্যু হামলা চালায়। বেলাল হোসেনের ট্রলারে থাকা মাছ, মাছ ধরার জাল, বোটের ইঞ্জিনের মালামাল, তেল ইত্যাদি লুট করে নিয়ে যায় তারা। র‌্যাবের অধিনায়ক আরও জানান, বেলাল হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি দল বঙ্গোপসাগরে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকখালী নদীর মোহনায় একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে থাকা লোকজনকে সন্দেহ হয়। র‌্যাবের দল ট্রলারটির গতিরোধের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা জলদস্যুরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে ৫-৬ জন জলদস্যু সাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারে থাকা বাদশাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় লুট হওয়া মাছ ও জাল এবং ৩টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৪টি কার্তুজ, ৩টি ধারাল দা, ২টি স্মার্ট ফোন এবং ৮টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়