• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নিউইয়র্কে বাংলাদেশির মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বক্তব্যে ভাইয়ের বিরোধিতা
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। বুধবার (২৭ মার্চ) নিউইয়র্কের কুইন্সে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এ বাংলাদেশি অভিবাসী। এ ঘটনায় রোজারিও পুলিশ জানিয়েছিল, ৯১১ নম্বরে কল করে এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তির কথা জানানো হয়। সেখানে পৌঁছানোর পরে, পুলিশ কর্মকর্তারা ছুরি হাতে উইনকে দেখতে পান। পুলিশ প্রথমে টেজার দিয়ে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার মা অপ্রত্যাশিতভাবে এর মধ্যে এসে পড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে প্রাণঘাতী গুলি চালানো হয়। এবার পুলিশের বক্তব্যের বিরোধিতা করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ভাই উৎস বলেছেন, কর্মকর্তারা যখন গুলি চালান, তখন তাদের মা উইনকে ধরে রেখেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ অপ্রয়োজনীয় ছিল। দুজন সশস্ত্র কর্মকর্তাকে দেখেও উইন মারাত্মক হুমকিস্বরূপ কোনো পরিস্থিতি তৈরি করেনি। তাদের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে এসেছিল এবং উইনের স্বপ্ন ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া। তবে পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে বিলম্বের কারণে তার পরিকল্পনা আটকে যায়, যা গত বছর অনুমোদিত হয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের সময় পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তবে পুলিশের যথেষ্ট সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে এবং পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে যাচ্ছে বলেছেন সমালোচকেরা।  
১৩ ঘণ্টা আগে

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে যা বললেন সেলিমা রহমান 
‘বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় না। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর লালবাগে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনরা বলেছে বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এখন কাদের সাহেবের কথায়ই প্রমাণ হয়েছে এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, ভারতের দয়ায় জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, বিদেশে বিএনপির কোনো প্রভু নেই। দেশের জনগণই আমাদের শক্তি। কিন্তু বর্তমান সরকারের মূলশক্তি জনগণ নয়, প্রভু রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।  বিএনপির এই নেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা নিজ স্বার্থে সবকিছু বিকিয়ে দিচ্ছে। দমন-পীড়ন করে মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। সেলিমা রহমান বলেন, এই সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। এ থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাসেল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য লতিফ উল্লাহ জাফরু, বংশাল থানা বিএনপি নেতা ইয়াকুব সরকারসহ অনেকেই।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৩

রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এবার ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন মান্টিটস্কি, মূলত তা নিয়েই ক্ষোভ দলটির। রুশ রাষ্ট্রদূতের এ বক্তব্য অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও আওয়ামীসূলভ বলে দাবি করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।   শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।  একইসঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার সংকল্প ও মহান আত্মত্যাগের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে ভোট নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলা হয়, তার এই বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বলয়ের বাইরের সব বাংলাদেশি নাগরিক আজ নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে নিজ দেশে পরাধীন। গত ১৫ বছর ধরে, গণবিদ্বেষী সরকার যে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দমন—দুর্বৃত্তায়ন চালিয়েছে, সমাজের প্রতিটি শ্রেণী ও পেশার মানুষ তাতে বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে ৭ জানুয়ারি যে প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা আকাঙ্খার প্রতিফলন তার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং, নির্বাচনের নামে এটি ছিল জাতির সঙ্গে একটি সহিংস প্রতারণা, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নিশিরাতের ভোটে অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে ও অসাংবিধানিকভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের স্বার্থবাদী, কতৃর্ত্ববাদী অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সহায়তা ও সমর্থনে  কুক্ষিগত ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা।  বিবৃতিতে রিজভী বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বসহ প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতারে তথাকথিত এই নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পর, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হতাশা ব্যক্ত করেন। সব বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে মন্তব্য করে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান গতিপথ পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে নির্বাচনি সব অনিয়মের সময়োপযোগী ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বলে অন্য পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য বিবৃতি দেয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন যে বিশ্বাসযোগ্য, মুক্ত ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে, বাংলাদেশে তার কোনো মানদণ্ড মানা হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার জন্য বিকল্প ছিল না বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করে।  রিজভী বলেন, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেয় সাতটি খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক সংগঠন। নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি জানিয়ে রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলে, এমন বহু খবর ও তথ্য—প্রমাণ আছে, যেগুলো নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে। এর মধ্যে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ এবং ভোটের ফলাফলে কারচুপির মতো বিষয়ও রয়েছে, যা গুরুতরভাবে গণতন্ত্রের মূল নীতিসমূহ ক্ষুন্ন করে। এমন বাস্তবতায় রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও আওয়ামীসূলভ বলে মন্তব্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের।  বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহাদ্যর্পূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যবসা, বাণিজ্য, জ্ঞান ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে। বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনেই দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। তাই বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার সংকল্প ও মহান আত্মত্যাগের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাশিয়াকে আহ্বান করছে বিএনপি।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৪

ব্যারিস্টার খোকনের বক্তব্যে আপিল বিভাগের ক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ীদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ‘বর্তমান সংসদের এমপিদের শপথ নেওয়া অসাংবিধানিক হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে’ গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে সতর্ক করেছেন আপিল বিভাগ। এদিন মামলাটি শুনানিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করতে ডায়াসের সামনে আসলে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো রায়ের বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে আপনি রিভিউ করতে পারেন। পাবলিকলি রায় নিয়ে এসব কী বলে বেড়ান? এভাবে বলতে পারেন না। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, রায়ে থাকা ফিকশন নিয়ে কথা বলেছি। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, রায়ের ব্যাখ্যা দেবে একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট। আপনি ব্যাখ্যা দেওয়ার কে? এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আপনার মামলা আজ শুনা হবে না। পরে খোকন বলেন, তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন। এর আগে, গত বছরের ১ আগস্ট একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর ২৯০ সংসদ সদস্যদের শপথকে অবৈধ বলে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।  পূর্ণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন বসার দিন থেকেই সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শুরু হবে। ওই মামলায় আপিল বিভাগে লড়েছিলেন ব্যারিস্টার খোকন। রায় তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। েউ উল্লেখ্য, দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একাদশ সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া শপথের বৈধতা নিয়ে ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

নির্বাচন নিয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির বক্তব্যে ‘নাখোশ’ বিএনপি
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের বক্তব্যের  প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশে নির্বাচনের ঠিক ২ দিন আগে বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে ৭ জানুয়ারি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচন হতে চললেও ওইদিন ‘একটি অনুকূল পরিবেশে নাগরিকদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে’ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতাদের অবদান রাখতে আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বিএনপি আরও জানায়, কমনওয়েলথ মহাসচিবের এমন আহ্বান বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে হতবাক করেছে। যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাসন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রহসনমূলক ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিস করেছেন। তার বক্তব্য বাংলাদেশের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা বিশ্বাস করি তার বক্তব্য গণতন্ত্রপন্থী বাংলাদেশিদের আকাঙ্ক্ষা ও আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী, যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। ‘প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ডকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে, বাংলাদেশের সব প্রধান গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচন বয়কট করেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ডামি/স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদ নিয়ে ভুয়া বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়। যেহেতু নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত এবং জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কোনো অনুকূল পরিবেশ এবং সমান খেলার সুযোগ নেই, ভোটাররাও একতরফা ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। শাসকদল এখন ভোট কেন্দ্রে জনগণের উপস্থিতি প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ভোটার বা ভোটার নন এমন ব্যক্তিদেরকে বলপ্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানো যায়। এ ধরনের কাল্পনিক গল্পগুলো স্থানীয় মিডিয়া (সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও), সোশ্যাল মিডিয়া এবং খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া দ্বারা ভালোভাবে কভার করা হয়েছে। তবে কমনওয়েলথ সচিবালয় এবং পরিদর্শনকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিৎ যে, গত ৩ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং নির্বিচারে ব্যাপক গ্রেপ্তারের মতো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও ভয়ের অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগে কারাগারে বন্দী বিএনপির মহাসচিব ও এর শীর্ষ নেতাসহ ২৭ হাজারের বেশি বিরোধী ভিন্নমতাবলম্বী নেতাকর্মী। পুলিশ হেফাজতে অসংখ্য মানুষ নিহত, নির্যাতন ও মারা গেছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার যারা আইনের শাসন এবং উদার মূল্যবোধে বিশ্বাসী তারাও বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে, সব গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন থেকে বাধ্য করে, ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে এবং ডামি প্রার্থী, ডামি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ডামি ভোটারদের দ্বারা একটি মঞ্চস্থ নির্বাচনের পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী শাসন পরিচালনা করছে। এটি একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি কমনওয়েলথের অঙ্গীকার স্বীকার করে। কমনওয়েলথের মহাসচিব যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করতে চান, যেমন তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, জনগণ তার কাছে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও প্রশাসনের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করে। কিন্তু তার বক্তব্য বাস্তবতার সংস্পর্শের বাইরে, কারণ ৭ জানুয়ারি এ প্রহসনমূলক অনুশীলনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণার অনুচ্ছেদ ২১ এবং ২১-এর অধীনে কোনও মানদণ্ডের নির্বাচন হিসাবে স্বীকৃত বা আখ্যায়িত হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতাও পূরণ করে না।’
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়