• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফ্ল্যাট থেকে গায়িকার লাশ উদ্ধার
ফ্ল্যাট থেকে জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী আঁচল প্যাটেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ২২। বুধবার (৬ মার্চ) ভারতের বারানসির উত্তরপ্রদেশ থেকে এই গায়িকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের শিবপুর থানা এলাকায় থাকতেন আঁচল। এদিন গায়িকার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন তার ভাই বিকাশ।    বিকাশের দাবি— তার বোনকে স্বামী দীপক ও এক নারী মিলে খুন করেছেন। আপাতত বোনজামাই এবং সেই নারীর বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।      ভারতীয় গণমাধমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আচলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানার জন্য তদন্তও করা হচ্ছে।      শিবপুর থানা থেকে পুলিশ জানায়, ইতোমধ্যে আঁচলের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও এক নারীকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।   জানা গেছে, আঁচলের বাবার বাড়ি বারানসির ঢেলওয়ারিয়া এলাকায়। বিয়ের পর স্বামী দীপকের সঙ্গে শিবপুর থানা এলাকায় থাকতেন এই গায়িকা। মঙ্গলবার ফোনে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানার পর সেখানে ছুটে আসে গায়িকার পরিবার। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে দীপকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আঁচল। তাদের ফ্ল্যাটে বেশিরভাগ সময়ই বাইরের মানুষের আনাগোনা ছিল। এছাড়া দীপকও তার স্ত্রীকে নানানভাবে নির্যাতন করতেন বলে জানানো হয়েছে পুলিশকে।    সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১০

ফ্ল্যাট কেনায় প্রভাবশালীদের ভয়াবহ কর ফাঁকি
রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কেনায় ভয়াবহ কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। তালিকায় রয়েছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবী ও খেলোয়াড়। তাদের কারণে সরকার অর্ধশত কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। সম্প্রতি অনুসন্ধানে সিআইসি দেখতে পায়, ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা ও বনানীতে জমি, ফ্ল্যাট বা ফ্লোর স্পেসের মূল্য আকাশছোঁয়া হলেও ডেভেলপার কোম্পানি ও ক্রেতা যোগসাজশ করে কম দাম দেখাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী শ্রেণির করদাতার বাণিজ্যিক ও আবাসিক স্পেস ক্রয়ে অর্ধশত কোটি টাকার কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। উত্তর গুলশানে দক্ষিণমুখী লেকের পাড়ে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে একজন চিকিৎসক ফ্ল্যাট কেনেন। ডাক্তারি পেশা থেকে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ করার জন্য ৪ হাজার ৩৭৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ১৩ কোটি টাকায় কিনলেও সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যে রেজিস্ট্রেশন নেন। বাকি সাড়ে ৮ কোটি টাকার সম্পদ খুব সহজেই বৈধ করে নিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন ক্রিকেটার আবাসিক ভবনটিতে ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ক্রয় করলেও তিনি তা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। আবার একটি সিকিউরিটিজ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৯ হাজার ৭০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ৪৯ কোটি টাকায় কিনলেও ১০ কোটি টাকায় রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন। এতে ওই ব্যক্তি ৩৯ কোটি টাকার সম্পদের উৎসের ওপর কর ফাঁকি দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ফ্ল্যাট ক্রয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও এখনো আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। অন্যদিকে একজন ব্যবসায়ী গুলশান ৫০ নম্বর রোডের বহুতল ভবনে প্রায় ২৮ কোটি টাকার স্পেস ক্রয় করলেও আয়কর রিটার্নে তা প্রদর্শন করেননি। অন্যদিকে বনানী-তেজগাঁও লিংক রোডের একটি বাণিজ্যিক ভবনে একটি সিকিউরিটিজ কোম্পানি স্পেস ক্রয়ে ৭৩ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও অডিট রিপোর্টে প্রদর্শন করেছেন মাত্র ৫৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে পুরো বিনিয়োগের প্রায় ৭২ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে বৈধ করা হয়েছে। একই ভবনে আরেকটি কোম্পানি স্পেস কেনার ক্ষেত্রে খরচ করেছে ১৩ কোটি টাকা; কিন্তু অডিট রিপোর্টে তা প্রদর্শন করেনি। এমন রাজস্ব ফাঁকির আরও ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইসির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে যেসব ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতার আয়কর নথিতে তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের তলব করে বিনিয়োগের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। এ ছাড়া গুলশান, বনানী এলাকায় কর ফাঁকির আরও বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করতে একটি টিম কাজ করছে। এদিকে কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সহজ পথে পরিণত হয়েছে আবাসন খাত। এর কারণ হলো- স্বাভাবিক নিয়মে যেখানে একজন করদাতাকে নির্ধারিত করের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে টাকা বৈধ করতে হয়, সেখানে আবাসন খাতে ‘বিশেষ’ ব্যবস্থা রাখায় ২-৪ শতাংশ জরিমানা দিয়েই টাকা বৈধ করা যাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী সেই সুযোগটাই নিয়ে তাদের কালো টাকা সাদা করছেন। এর ফলে সরকার অনেক কম কর আদায় করতে পারছেন। এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এ ধরনের প্রভিশন চিরস্থায়ী ভিত্তিতে রাখা ঠিক নয়। অর্থনীতির প্রয়োজনে সাময়িকভাবে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলেও আবাসন খাত থেকে বেশি রাজস্ব আসছে না। তাই এ বিধান রাখার যৌক্তিকতা নেই। এতে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হন এবং অপ্রদর্শিত অর্থ উপার্জনের বা অর্থ লুকানোর প্রবণতা তৈরি হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

ধানমন্ডির ফ্ল্যাট থেকে মডেল তাসনিয়ার মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তানজিম তাসনিয়া (২৬) নামে এক মডেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাবের) এ মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন তানজিম। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোরের  দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। ধানমন্ডি ৯/১ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ধানমন্ডির ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তানজিম। চতুর্থ তলায় তাদের আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকেন। ভোরে তারই এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখতে পান, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন তানজিম। তিনি জানান, তারপর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হলে সকাল ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, তানজিম ইউল্যাবে পড়ালেখা করতেন। তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে সে পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন। তবে সে খুব জেদি স্বভাবের ছিল। আর এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্তের পর এই বিষয় বিস্তারিত বলা যাবে জানান ওসি মো. পারভেজ ইসলাম।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়