• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিআরটিসির ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাজের পারফরম্যান্স কমে যাওয়ায় ১৫ কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিআরটিসিরে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, শুধু চেয়ারম্যান ঠিক থাকলে হবে না, ডিপো ম্যানেজারদেরও ঠিক থাকতে হবে। তারা ঠিক থাকলে অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। বসে বসে বেতন নেওয়ায় সুযোগ এখন আর নেই। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন কর্মীর কাজের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে টাকা দেয়। তাদের পারফরম্যান্স জিরো সময় দিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পারফরম্যান্স আপগ্রেড করতে না পারে, তবে তাদের অ্যাকাউন্ট এমনই থাকবে। যতদিন না পর্যন্ত পারফরম্যান্স বৃদ্ধি হবে, ততদিন অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ থাকবে। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিআরটিসির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত থাকবে। কাজ করলে টাকা পাবে, কাজ না করলে কোনো টাকা নেই। গাড়ি লিজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি গাড়ি লিজ শূন্যতে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। এই মুহূর্তে মাত্র ৩৪টি গাড়ি লিজে আছে, আগামীতে তা থাকবে না। আমি সব লিজ বাতিল করে দিয়েছি। নতুন করে কোনো লিজ নবায়নের প্রশ্নই আসে না। পূর্বে যারা লিজ নিয়েছে এবং লিজের টাকা জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন,  চ্যাসিস বাদে গাড়ি বানানোর সক্ষমতা আমার ১০০ শতাংশ আছে। সামনের সপ্তাহে আমাদের মিটিং আছে, এরপরে চার-পাঁচটি গাড়ি বানানোর কাজ আমরা শুরু করব।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০১

প্রতারণা করে গড়া অর্থ-সম্পদ সব ফ্রিজ হবে : সিআইডি প্রধান
যারা প্রতারণা করে গাড়ি-বাড়ি করছে এবং বিদেশে অর্থপাচার করছে তাদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হবে। সেই সঙ্গে তাদের সব সম্পদ, টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। টাকা পাচারের বিষয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, যারা প্রতারণা করে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে টাকা পাচার করছে আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেবো না। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু ঘটনায় এমন অর্থ ফ্রিজ করেছি। এখনও আরও কিছু কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমরা দেখছি যারা প্রতারক তারা প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সেই টাকা আর রাখেন না। এমনটাই হয়েছে লাগেজ ভর্তি ডলার পাঠানোর কথা বলে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী মূলহোতার ক্ষেত্রে। চক্রটি মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো। ভার্চুয়াল টোপ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করে সিআইডি প্রধান বলেন, ইদানীং যে কোনো ব্যক্তিকে ফোন করে অথবা ফেসবুকে বিনা বিনিয়োগে অর্থ কামানো যায় বলে প্রলোভন দেখাচ্ছে। তারা আপনাকে ফোন করে বলবে ৩০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ৬০০ টাকা পাবেন, বাসায় বসে বিনা পুঁজিতে লাভবান হবেন, নানা কথা বলে আকৃষ্ট করছে। তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা একটি লিংক পাঠায়। তাতে ক্লিক করলে তারা আপনাকে টোপ হিসেবে কিছু টাকা দিচ্ছে এরপর সেই লিংক বন্ধ করে দিচ্ছে। পরে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে চক্রটি। চক্রটির সঙ্গে বিদেশি একটি চক্র জড়িত। আমরা তাদের নিয়ে কাজ করছি। লাগেজ ভর্তি ডলার পাঠানোর কথা বলে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ সুমন আল রেজা (৪০)। বাংলাদেশেই থাকেন। তার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের একজন সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। সেই অর্থ ডলারে আনতে তাকে খরচ দিতে হবে। যার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা। রেজা প্রলোভনে পড়ে তার বোন-দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নেন। এরপর সেই টাকা পাঠান প্রতারক চক্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এরপর সেই টাকা তুলে নেয় চক্রটি। এভাবে বিভিন্নজনকে ডলার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছে চক্রটি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চক্রটির মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার ইউনিট। গ্রেফতাররা হলেন- সোহেল আহমেদ অপু (২৮), ইব্রাহিম (৩০) ও আকাশ (২৪)। তাদের মধ্যে মূলহোতা তপুকে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে গত মাসে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তপু মিরপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, সুমন আল রেজার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। সেই ব্যক্তি গত ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর মারা গেছেন। কিন্তু তার কোনো ওয়ারিশ নেই। এরপর প্রতারক সুমন আল রেজাকে প্রতারক ব্যাংক ক্লায়েন্টের ওয়ারিশ হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেন। তার ডিপোজিট করা টাকা উত্তোলনের পর দুজনে সমানভাগে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাবও দেন তাকে। এরপর প্রতারক চক্রটি সুমন আল রেজার কাছে লাগেজ ভর্তি ডলার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো চার্জ বাবদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) দাবি করে। এবার রেজা লাগেজ ভর্তি ডলারের প্রলোভনে পড়ে যান। সেই প্রতারক চক্রের কথামতো বাংলাদেশ ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) গোল্ডেন লজিস্টিক এন্টারপ্রাইজের ডাচ বাংলা ব্যাংক ঢাকার মিরপুর-১০ শাখায় পাঠিয়ে দেয়। রেজা অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পান তার অ্যাকাউন্টে কোনো ডলারই ঢোকেনি। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তপুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়