• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফ্যান চালানো নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, অতঃপর...
নোয়াখালীর সেনবাগে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শ্রাবণী বৈষ্ণব (২১) নামের এক গৃহবধূ ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের বৈষ্ণব বাড়িতে এ ঘটে।  নিহত গৃহবধূ ওই বাড়ির নয়ন বৈষ্ণবের স্ত্রী। নিহতের বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহর আনন্দ বাজার এলাকায়। তাদের ৩ মাসের অরাধ্য বৈষ্ণব অবন্তিকা নামের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। নিহত গৃহবধূর মা যুগ মায়া বৈষ্ণব ও বোন স্মৃতি বৈষ্ণব এ ঘটনায় জন্য নিহতের স্বামী নয়ন বৈষ্ণব, শাশুড়ি লক্ষ্মী  বৈষ্ণব, তিন বোন শিল্পী বৈষ্ণব, শিখা বৈষ্ণব, বিউটি বৈষ্ণবসহ পাঁচজনকে দায়ী করেন। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই নিউটন চৌধুরী ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূ তার স্বামী নয়ন  বৈষ্ণবের সঙ্গে ফ্যান চালানো নিয়ে ঝগড়া করেন। এরপর স্বামী কাজে বের হয়ে বসুরহাটে চলে যান। পরে স্ত্রী নিজের রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে সেবারহাট নুর প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ দিকে নিহত গৃহবধূর স্বামী নয়ন বৈষ্ণব খবর পেয়ে থানায় গিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্চ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

ফ্যান বন্ধ করা নিয়ে রুমমেটকে পেটাল কুবি শিক্ষার্থী
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে শেখ সজীব নামে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে তারই রুমমেট আবু সাঈদ আহমেদ। আবু সাঈদ আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫১৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হল প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী রুমমেট জানায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ি থেকে হলে ফিরে আসেন সজীব। এসে গরম লাগার কারণে রুমের ফ্যান ছেড়ে দিলে তার রুমমেট সাঈদ আহমেদ ফ্যান বন্ধ করতে বলে। এক পর্যায়ে সাঈদ নিজেই ফ্যান বন্ধ করে দেয়। পরে সজীব আবার ফ্যান ছেড়ে দিলে সাঈদ পুনরায় ফ্যান বন্ধ করে এবং ফ্যানের রেগুলেটর ভেঙে ফেলে। পরে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাঈদের বিছানার নিচে থাকা এসএস পাইপ নিয়ে সজীবকে আঘাত করেন। পরে অন্যান্য রুমমেট ও পাশের রুমের সহপাঠীরা এসে সজীবকে উদ্ধার করে এবং সাঈদকে আরেক রুমে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সজীব ডান হাতের বাহু, পেট এবং মাথার ডানপাশে আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে সহপাঠীরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন বলেন, হৈচৈ শুনে আমি ওই রুমে আসার পর দেখি সাঈদের হাতে রড এবং দুজন তাকে বাধা (সাঈদ) দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবুও সাঈদ সজীবকে আঘাত করে। এ বিষয়ে আহত শেখ সজীব বলেন, গরম লাগার কারণে রুমের ফ্যান চালু করি। তখন সাঈদ সঙ্গে সঙ্গে ফ্যান বন্ধ করতে বলে। আমি দুই মিনিট অপেক্ষা করতে বলি। কারণ, আমার গরম লাগছে। তখন সাইদ ফ্যান বন্ধ করে দেয় এবং এক পর্যায়ে ফ্যানের রেগুলেটর ভেঙে ফেলে। এ সময় আমি কারণটি জানতে চাইলে তিনি আমাকে গালি দেন এবং তার বেডের নীচ থেকে একটা পাইপ বের করে আমাকে জোরে আঘাত করেন।  তিনি বলেন, এর আগেও সাঈদ অনেককে মারধর করতে উদ্যত হয়। এখন আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই প্রভোস্ট স্যার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।  তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাঈদ আহমেদ বলেন, বিকালে আমি রুমে শুয়েছিলাম। সজীব বাসা থেকে রুমে এসে ফ্যান ফুল স্পিডে ছেড়ে দেয়। ফ্যানে ময়লা থাকার ফলে পুরো রুমে ময়লা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আমি ফ্যান বন্ধ করে দিই। তখন সজীব বলে ফ্যান বন্ধ করলি কেন? এ সময় সজীব আবার ফ্যান ছেড়ে দেয়। পরে আবার আমি বন্ধ করে দিলে তখন সজীব আমাকে ধাক্কা দেয় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন রুমে ব্যাচমেটরা চলে আসে। এক পর্যায়ে সজীব দুই লিটারের বোতল দিয়ে আমাকে আঘাত করে। পরে আমি ওকে পাইপ দিয়ে আঘাত করি।  এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত হল প্রভোস্ট মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত আছি। কালকে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এটি হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই এটি হল প্রশাসন দেখবে। তবে হল প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়