• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষক কারাগারে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষকে (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মো. কাইয়ূম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করে।    পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে। তবে বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করতেন।  মামলার বাদী জানান, সম্প্রতি সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি লেখা শেয়ার করেন। পরবর্তীতে এই পোস্টের কমেন্টসে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তিমূলক কমেন্টস করেন। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহূর্তেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।     জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেসবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট মামলায় সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।  
১০ ঘণ্টা আগে

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও রেলপথে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনের নিচে শিশুকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে আত্মহত্যার খবর পান স্বজনরা।  নিহতরা হলেন, হাজিগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা দেওনজি বাড়ির রফিকুল ইসলামের মেয়ে তাহমিনা আক্তার রিমা ও তার দুই বছরের ছেলে আব্দুর রহমান। রেলওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মাসুদ আলম ঘটনাস্থল থেকে মা ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।  এদিকে গেলো ২৮ মার্চ হাজীগঞ্জ থানায় প্রবাসী স্বামী মাসুদুজ্জামান হাওলাদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে আত্মহননকারী গৃহবধূ তাহমিনা আক্তার।  অভিযোগে স্বামী প্রবাসে থাকা অবস্থায় তালাক দেয়ার পরও স্বামী দেশে এসে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অভিযোগটির তদন্তে কাজ করেন হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক আবদুর রহমান। অন্যদিকে স্বজনেরা বলছেন, স্বামী মাসুদুজ্জামান দেশে এসে বিষয়টি সুরাহা না করে প্রবাসে চলে যাওয়ায় আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় তাহমিনা। সে বিয়ের পর থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা গ্রামে বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। তাদের চার বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর বাড়ী একই উপজেলার স্বর্ণা গ্রামের হাওলাদার বাড়ী।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩২

তীব্র গরমে ফেসবুকে ভাইরাল আবুল খায়েরের সেই বিজ্ঞাপন!
তীব্র গরমে নাজেহাল দেশবাসী। আর এই গরমের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বৃক্ষনিধন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে গাছ কাটার সমালোচনা যেমন হচ্ছে নতুন করে গাছ লাগানোর কথাও বলছেন অনেকে। ইট-পাথরে গড়া বড় শহরগুলোই শুধু না, অজপাড়াগাঁয়ের বাতাসেও এখন শীতলতা নাই। হাওয়ার পরশে যেন দাবানলের অনুভূতি! গুগল ওয়েদারে তাপমাত্রা যদি দেখায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, উপলব্ধি দেখায় ৪২ বা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন এই অবস্থা? সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক পোস্টগুলো থেকে মনে হয়, তারা গাছ কমে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখছেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রতিবছরই পৃথিবীর বায়ুতে যে তাপমাত্রা বাড়ছে এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষনিধন। এবারও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ ফেসবুকে বৃক্ষ রোপণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছেন। অনেকে এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বহুল প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপনের কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হচ্ছেন। বিজ্ঞাপনটিতে কিংবদন্তী অভিনেতা আবুল খায়ের ছিলেন একজন কবিরাজ। একদিন হাঁটতে হাঁটতে আকাশমুখী গাছের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছিলেন তিনি। এরমধ্যেই সেখানে আসেন গাছের মালিক। তাদের দুজনের কথোপকথন ছিল এমন- গাছের মালিক: কি গো কবিরাজ, কী খোঁজতাসেন? কবিরাজ: আইচ্ছা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিল না? গাছের মালিক: আছিল, কাইট্টা ফালাইছি। কবিরাজ: এইখানে একটা শিশু গাছ আর ওই মাথায় একটা হরতকী গাছ। গাছের মালিক: আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি। কবিরাজ: আপনের গাছ? গাছের মালিক: হ। টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি। কবিরাজ: গাছ লাগাইছিলো কে? গাছের মালিক: আমার বাবায়। কবিরাজ: আপনি কী লাগাইছেন? গাছের মালিক: আমি কী লাগাইছি? কবিরাজ- হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।   এরপর কবিরাজ একদল গ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না। প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট-পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ-দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি? অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?   মানুষের মাঝে বৃক্ষ নিধন বিরোধী সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছিল। নব্বই দশকে বিটিভি যখন দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপনটি বেশি প্রচার করা হতো। পরবর্তী সময়িও বিজ্ঞাপনটি দেখা গেছে বিটিভিতে। এই বিজ্ঞাপনে মরহুম আবুল খায়েরের অসাধারণ আর হৃদয়গ্রাহী সংলাপ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরতো। বিজ্ঞাপনটির সংলাপ ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকেই এটি আবারও টেলিভিশনে ব্যাপকভাবে প্রচারের দাবি জানাচ্ছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির হোসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। মুন্সি সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী হোস্টেলের ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান (রূপসজ্জাকারী) হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, মিরপুরের বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন রাদিয়া তেহরিন উৎস। তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলামের সন্তান। গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অডিশন রাউন্ডে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে। মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলিং করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪২

ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজছে মেয়ে, ফারাজ করিমের পোস্ট
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজে পেতে মেয়ের আবেদন সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মা মোসা. রোকেয়া খাতুন রুমিকে খুঁজে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মেয়ে ফাবিহা জাহারা প্রিয়মি। প্রিয়মির করা সেই পোস্টে, এখন তার মাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকেই। এই মানবিক আবেদনটি আলোচিত তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরীর চোখে পড়লে, তিনিও আলাদাভাবে পোস্ট করেন। যা এরইমধ্যে শেয়ার করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। প্রিয়মি গণমাধ্যমকে জানান, তার মা পঞ্চাশোর্ধ মোসা. রোকেয়া খাতুন (রুমি) ঈদের পরদিন, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এসময় তার পড়নে ছিল কমলা রঙের থ্রিপিস। রোকেয়া খাতুন স্মৃতিশক্তিতে ও শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। তাই পরিবারের আশংকা তিনি পথিমধ্যে হারিয়ে গেছেন। প্রিয়মি আরও বলেন, এ ব্যাপারে নিউমার্কেট থানায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং- ৫৯৩। পরবর্তীতে ফোন ট্র্যাকিং করার চেষ্টা করে পুলিশ। তিনি জানান, তার মার মোবাইল ফোনটি ঈদের আগেই হারিয়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজিত কুমার সরকার। তিনি বলেন, এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলমান রয়েছে। প্রিয়মির দাবি, পুলিশ রাজধানীর কিছু পয়েন্টের সিসি ক্যামেরা চেক করলে মাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ফারাজ করিমসহ অন্য সবাই শুধুই মানবিক দিক থেকে পোস্টটি শেয়ার করে মাকে খুঁজতে চেষ্টা করছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩১

বরাদ্দের আগেই প্রতীক দিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা, দুই প্রার্থীকে শোকজ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের দুই দিন আগেই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছবিসহ প্রতীক ব্যবহার করে প্রচারণার ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল ও অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদকে কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব রোমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শরাফ উদ্দিন আজাদ রামগতি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ওয়াহেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল রামগতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর আগেই সোহেল কাপ প্রতীক ও ওয়াহেদ দোয়াত কলম প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর ২২ এবং ২০১৬ এর বিধি ৫(১) ও ৫(২) লঙ্ঘন। এজন্য কেন ওই দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে লেখা হবে না তা আগামী ৩ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ শোকজ নোটিশের অনুলিপি  নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবসহ আরও ৫টি দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, যেহেতু এখনো প্রতীক পাইনি, সেহেতু প্রতীক ব্যবহার করে প্রচারণার প্রশ্নই আসে না। কে বা কারা প্রতীক লাগিয়ে আমার নামে ফেসবুকে প্রচার করেছে। আমি এর কিছুই জানি না।   চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ বলেন, আমি গতবারও দোয়াত কলম নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এবারও আমার পছন্দের প্রতীক দোয়াত কলম। অন্য কেউ এই প্রতীকের জন্য আবেদন করেননি। হয়তো এ জন্যই কে বা কারা প্রতীক লাগিয়ে পোস্টার করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যতটুকু সম্ভব সবাইকে নিষেধ করা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব রোমান চৌধুরী বলেন, বরাদ্দ দেওয়ার আগেই প্রতীক দিয়ে পোস্টার করে দুই প্রার্থীর নামে ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় ওই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রামগতি উপজেলায় সোহেল ও ওয়াহেদ ছাড়াও আরও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- জামশেদা জাং চৌধুরী, রোকেয়া বেগম ও মাহবুবুর রহমান টিপু। এ উপজেলায় ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৫

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে সাবেক আইজিপির ফেসবুকে পোস্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ভেরিফাইড পেজ থেকে এ তথ্য জানান সাবেক এই পুলিশ প্রধান। সেখানে তিনি লিখেছেন- প্রিয় সুহৃদ বৃন্দ, আগামীকাল ২০ এপ্রিল, শনিবার সকাল ১১:৩০ টায় এই পেজ এ কিছু তথ্য শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ। ব্যস্ত না থাকলে আপনাকে/আপনাদেরকে পাবো প্রত্যাশা থাকছে। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রত্যেকের জন্য শুভ কামনা। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা যিনি পুলিশের ৩০তম মহাপরিদর্শক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপূর্বে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১

ফেসবুকে লাইভের জেরে চাকরি গেল এসপির
খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানাকে চাকরিচ্যুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এটি প্রকাশ করা হয়েছে। গেল ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।   এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।    শুনানিকালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য ও উপস্থাপিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি পর্যালোচনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিলপত্রাদি পর্যালোচনা ও সরেজমিনে তদন্ত অন্তে গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে আনিত ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।   অভিযোগ, লিখিত জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৩ জুন দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়। ২০ জুলাই দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেন ওই পলিশ সুপার। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তার দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পুনরায় পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খণ্ডনের মতো কোনো যুক্তি তিনি উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি।   পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়। পরে ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।   অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’র প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গেল ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণে পরামর্শ প্রদান করে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৯

মুক্তির পর ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন জিম্মি জাহাজের চিফ অফিসার
ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিক। এরপর জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে মালিকপক্ষ ও সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাতে থাকে। অবশেষে ৩১ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাতে মুক্তি পায় জাহাজ ও নাকিকরা।  এদিকে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দেন জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকউল্লাহ খান। সেখানে তিনি লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ। বন্ধু, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা পুরো যাত্রায় আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। ধন্যবাদ ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ। লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ। আতিকউল্লাহ খানের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গেই রয়েছেন ইইউ নেভির কমান্ডোরা। এ ছাড়া এমভি আবদুল্লাহর পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধ জাহাজও দেখা যায়। উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পরে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১১

ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের ভালোবাসার বার্তা
ঈদের দ্বিতীয় দিন ফেসবুকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণাকে জয় করার কথা বললেন তিনি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১১টি ছবি পোস্ট করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ক্যাপশনে কাদের লিখেন, ‘ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা তাড়ানো যায় না। শুধু ভালোবাসাই তা করতে পারে।’  পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এক ঘণ্টার মধ্যেই ১১ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়ে। এই সময়ের মধ্যে মন্তব্যও পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি। শেয়ার হয়েছে ৫শ’র বেশি।  একজন লিখেছেন ‘কাদের ভাই, আজকে ছবি এত কম দিলেন কেন?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, মাত্র ১১টা ছবি অ্যাটাচ করেছেন পোস্টে? মেনে নিতে পারলাম না।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মিনিস্ট্রি অব লাভের মিনিস্টার।’  এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন এক ভিডিও বার্তা দেন মন্ত্রী। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এবারও ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা গেছে। অনেকেই ঈদযাত্রা নিয়ে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করেছিলেন। তবে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় সব সংশয় ও শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ফেসবুকে একাধিক ছবি পোস্ট করেন ওবায়দুল কাদের। সেসব ছবি অনেক আলোচনার জন্মও দেয়।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়