• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি জিম্মিদের মেরে ফেলার হুমকি জলদস্যুদের
আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি জাহাজ। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে।  মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি জিম্মি নাবিকদের এক এক করে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা। গতকাল মাগরিবের পর মুঠোফোনে জিম্মি জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন তার স্ত্রীর কাছে। ওই বার্তা এসেছে গণমাধ্যমের হাতে।  অডিও বার্তায় আতিক উল্লাহ খানকে বলতে শোনা যায়, ‘এই বার্তাটা সবাইকে পৌঁছে দিয়ো। আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’ এর আগে গতকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের এই জাহাজটি পরিচালনা করছে গ্রুপটির সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেড। জাহাজে আতিক উল্লাহসহ ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। খবর চাউর হওয়ার পর থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নাবিকদের স্বজনদের। আতিকের বাড়ি চন্দনাইশের বরকল এলাকায়। মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে শহরের নন্দনকানন এলাকায় থাকেন তিনি। মা শাহানুর আকতার কাঁদতে কাঁদতে জানান, মাগরিবের সময় ছেলের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তখন আতিক তাকে বলেছেন, তাদের ৫০ জন জলদস্যু ঘিরে রেখেছে। একটা কেবিনে বন্দি সবাই। তাদের সোমালিয়া নিয়ে যাচ্ছে। আড়াই দিনের মতো লাগবে ওখানে পৌঁছাতে। সবার জন্য দোয়া চেয়েছেন আতিক।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৮

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ মিথ্যা!
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামে এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ বেশ আলোড়ন তোলে সম্প্রতি। ঘটনা গড়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী পর্যন্ত। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। এবার সেই  সেই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চার সদস্যের কমিটি, যাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এ প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সকল তথ্য উপাত্ত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত  মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর শিট ছেঁড়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বরং, পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ লাভ অসম্ভব বুঝতে পেরে ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার গল্প মঞ্চস্থ করেছেন হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামে ওই শিক্ষার্থী।  তদন্ত কমিটি জানায়, অভিযোগকারী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া ও তার বাবা-মায়ের প্রদত্ত সাক্ষ্য বিবরণী পর্যালোচনায় স্পষ্ট হয় যে, শুরু থেকেই তার উপর পরিবার ও সমাজের ডাক্তার হওয়ার প্রত্যাশার চাপ ছিল। এমনকি এর আগের বছর এই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশই করেননি; পাশ করেনি এ বছরও। অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া বলেন, সব সাক্ষ্য পর্যালোচনা ও প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হয় যে, অভিযোগকারীর সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আরও ভালো ফলাফল করে বাবা-মায়ের কাছে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির মিথ্যা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হুমাইরা। কিন্তু বাস্তবে পরীক্ষায় ৫৭টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না নিশ্চিত জেনে তার ব্যর্থতার দায় হল পরিদর্শকের উপর চাপিয়ে দেন। একই সঙ্গে ভর্তির সুযোগ লাভের আশায় এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক গল্প সাজান। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, বর্তমান সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় বিগত বছরসমূহের ধারাবাহিকতায় সবার আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর পরীক্ষা পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াসে ওই পরীক্ষার্থী তৃতীয় কোনও পক্ষের চক্রান্তে প্রভাবিত হয়েছেন কি না, তা উন্মোচনের সুপারিশ করা হয়েছে। পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাবা-মায়ের তাদের সন্তানদের এ ধরনের চাপ দেওয়া উচিত না। উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩–২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে চলে যাওয়ার সময় হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর পথ আগলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন, ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষাকেন্দ্রের একজন পর্যবেক্ষক। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তাকে নতুন ওএমআর শিট দেন পর্যবেক্ষক। তবে, তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তার জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৯

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোছা. সাথী খাতুন নামে এক প্রসূতির জরায়ুর নাড়ি ভুল চিকিৎসায় কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।  গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপজেলার দারুস সেফা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।   জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হরিগোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল মাজেদের স্ত্রী মোছা. সাথি খাতুন গর্ভবতী অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কালীগঞ্জ দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালে যান। ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত চিকিৎসক রোকসানা পারভীন রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলেন, বাচ্চা পেটের ভেতর মারা গেছে, তাকে এখনই সিজার করতে হবে, না হলে রোগীও মারা যাবে। এরপর ডা. রোকসানা পারভীনের তত্ত্বাবধানে সিজার করার সময় প্রসূতির জরায়ুর নাড় কেটে ফেলা হয়। পরদিন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দারুস শেফা হাসপাতাল কর্তপক্ষ রোগীকে দ্রুত খুলনা নিয়ে যেতে বলেন। তাৎক্ষণিক প্রসূতির স্বামী আব্দুল মাজেদ তার স্ত্রীকে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তপক্ষ রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করে। ওই রোগী যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  ভুক্তভোগী সাথী খাতুনের স্বামী আব্দুল মাজেদ মুঠোফোনে জানান, দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. রোকসানা পারভীন আমার স্ত্রীর সিজার করার সময় জরায়ুর নাড় কেটে ফেলেছে। সে আর কোনোদিনই মা হতে পারবে না। হাসপাতাল খুলে কী চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে তারা? আমার স্ত্রীর যে ক্ষতি হলো তা কীভাবে পূরণ হবে? আমার স্ত্রী এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। আমি বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এই ভুল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।  এ ব্যাপারে দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার রোকসানা পারভিন জানান, ওই নারীর অপারেশন আমি করিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অপারেশন হয়েছে এটা সঠিক। কিন্তু অপারেশনটি করেছেন ডা. প্রতাপ বাবু। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালীগঞ্জের দারুস শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অপচিকিৎসার নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ / মিথ্যা মামলায় বিপদে না ফেলার নিশ্চয়তা দিলেন নৌকার প্রার্থী
দলীয় কোনো নেতাকর্মী কাউকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় বিপদে ফেলতে পারবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দির গণি শাহর মাজার প্রাঙ্গণে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ নিশ্চয়তা দেন। ফয়জুর রহমান বলেন, আমরা ঐতিহ্যবাহী নবীনগর এলাকার অধিবাসী। আমরা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক উন্নত। কিন্তু আমাদের একটি দোষ আছে, তা হচ্ছে আমরা বিভিন্নভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত। যেহেতু দাঙ্গায় লিপ্ত থাকি সেজন্যে এমপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কথা দিচ্ছি, সবার সঙ্গে মিলেমিশে দাঙ্গা নিরসনে কাজ করব। আমি নিরপেক্ষভাবে সবার হয়েই কাজ করব। আমরা নবীনগরকে একটি শান্তির নবীনগর হিসেবে দেখতে চাই। তিনি বলেন, আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না এবং কোনো দলের পক্ষ নেবো না। আমাকে আশেপাশের কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। অতীতেও আমি এমপি থাকার সময় কারও কথায় নিয়ন্ত্রিত হইনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন সায়ানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ, বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লাল মিয়া, সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান সোহেল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য বোরহান উদ্দিন ও নুরুন্নাহার বেগম প্রমুখ। উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর নানান সময়ে সংঘর্ষের কারণে সমালোচিত হয়েছে। এরমধ্যে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে গ্রাম্য দাঙ্গায় পা কেটে নিয়ে মিছিল দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছিল।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮

নোয়াখালী-৩ / নৌকায় ভোট দিলে পিষে ফেলার নির্দেশ আ.লীগ সভাপতির
নৌকা প্রতীকে ভোট দিলে  পিষে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ।  সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নে ‌ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আয়োজিত উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।  ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি বিগত ১১ বছর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহকে বলতে শোনা যায়, আজ গণসংযোগের শেষ দিন, নির্বাচনের আগে এটাই সমাপনী দিন কাদিরপুর ইউনিয়নের জন্য। অতএব বলছি, কাদিরপুরের একটা লোকও যদি ডান বাম করেন তাদের খেদাই (তাড়িয়ে) দিবেন। যেগুলো ওরে (নৌকার প্রার্থী) ভোট দিবে মনে করবেন ওদেরও কাদিরপুর থাকার অধিকার নাই। তাড়িয়ে দিবেন এখান থেকে। আছে দুই একটা কালসাপ আছে। এদের চিহ্নিত করে নির্বাচনের দিন ছেঁচি (পিষে) দেবেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ, চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ এফসিএ, কাদিরপুর উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।  বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা আমি বলিনি। তবে যারা এ ধরনের অভিযোগ করছে তারাই একসময় নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।  নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিনুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়