• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিতু হত্যা / চট্টগ্রাম থেকে ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তার
চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম ওরফে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) তাকে ফেনী জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ এপ্রিল বাবুল আক্তারকে ঢাকা কারাগার থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। ১৫ দিন পর পর তার মামলার শুনানি হয়। তাই তিনি চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে বুধবার ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার ফেনী কারাগারে ছিলেন।’ ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরেরদিন নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন স্বামী বাবুল আক্তার। পরে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ফেনীতে ১৩ আইনজীবীর মামলা
ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম না থাকায় ১৩ আইনজীবী আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক বেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলায় গোলাম সরওয়ার, মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার, মিজানুর রহমান সেলিম, রায়হান উদ্দিন মামুন, এস এম আবুল মনসুর রানা, আবদুল আহাদ ভূঁইয়া, রবিউল হক ফরহাদ, আবদুল মালেক, সাইদুর রহমান রাব্বী, একরামুল হক ভূঁইয়া, সাইফুল্লাহ রাশেদ, শাহজালাল ভূঞা সবুজ ও আনোয়ারুল আজিম বাদী হিসেবে রয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী পক্ষ বার কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছরের ১২ জুলাই সমিতির সাধারণ সভায় তাদের আগামী নির্বাচনে ভোটার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনসংক্রান্ত তফসিল প্রকাশ করা হয়। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ০৭ এর উপ-অনুচ্ছেদ (গ) এর বিধানমতে, ‘কারা ভোটার হইবেন। যে সকল বিজ্ঞ সদস্য অত্র সমিতির মাধ্যমে সনদ নবায়ন করেন, বার কাউন্সিলে যাবতীয় পাওনা অত্র সমিতির মাধ্যমে পরিশোধ করেন এবং অত্র সমিতির যাবতীয় পাওনা যথারীতি পরিশোধ করেন এবং জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত সমূহে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা ভোটার হিসাবে গণ্য হইবেন।  তবে, মাদার বার ফেনী হলেও যারা অন্য বারে যোগদান না করিয়া আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা ভোটার হবেন না। যে সকল সদস্য অন্য কোনো আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে বার কাউন্সিলের পাওনা পরিশোধ করেন অর্থাৎ তাদের মাদার বার অন্য সমিতিতে কিন্তু ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতি নিয়মিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন, তারা জেলা আইনজীবী সমিতি ফেনীর ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভোটাধিকার বহাল রাখতে ২৭ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির বরাবরে আবেদন করা হলে তা অগ্রাহ্য করে ২৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ২০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য করা হয়। ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল বশর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমরা সভা করেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। এ বিষয়ে রোববার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়