• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তদন্ত কমিটি গঠন, ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে সময় সাপেক্ষ বিষয় এটি। নিয়ম অনুয়ায়ী শাস্তি দেয়া হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েট উপাচার্য বলেন, আগামী ৮ তারিখের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ছাত্রদের দাবির বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। এদিকে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মূল ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ইস্যুর সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৬ জনকে ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটাম দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। এর আগে তারা সকাল থেকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত অনুপ্রবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে শুক্রবার বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি পেশ করেছিলাম। তারা বলেন, বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রথম দাবি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সাথে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের একাংশের নাম পরিচয় আমরা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি। তারা হলো এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাত। বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গের দায়ে এবং বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অপশক্তি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করায় এদের সকলের বুয়েট থেকে স্থায়ী একাডেমিক এবং হল বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

সিসিটিভি ফুটেজ জব্দের ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি শত ভরি স্বর্ণ
সিসিটিভি ফুটেজ জব্দের তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি ফেনীতে দিনদুপুরে লুট হওয়া সেই শত ভরি স্বর্ণ। এ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে জেলার  ফাজিলপুর ইউনিয়নের রহিম উল্লাহ বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সাধারণ দোকানিদের। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তারা জানান, দোকানের সামনে এবং আশপাশে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। এরপরও দিনদুপুরে শাটারের তালা ভেঙে শত ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। তারপর পুলিশ এসে সিসিটিভি ফুটেজ জব্দের তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি এসব স্বর্ণ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই বাজারের আলাদিন জুয়েলার্সের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অন্তত ১০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকান মালিক আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি যাই। আড়াইটার দিকে দোকানে এসে তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই। ভেতরে ঢুকে দেখি অন্তত ১০০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা। তাৎক্ষণিক পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু দুই দিনেও চুরির মালামাল উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে আমরা বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছি।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমাদের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। ফুটেজে দুই জন বাইরে পাহারায় থেকে তালা ভেঙেছে, একজন ভেতরে ঢুকে স্বর্ণ চুরি করার দৃশ্য রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু মারমাসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়